![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"সুখবিলাস"
একজন সুস্থ মানুষ কতোদিন বাঁচে? খুববেশী ঝামেলা না হলে ৭০-৮০ বছর? কিন্তু আমাদের এই ক্ষুদ্র সমাজে, নগণ্য একজন মানুষ, আসলে কতোটুকু সময় ব্যবহার করে? কতোটুকু সময়, সে তার অগোছালো জীবন গুছানোর জন্য পায়? কতোটুকু সময়, সে তার পরিবারের সাথে ব্যায় করতে পারে? কতোটুকু সময়, সে তার প্রিয়জনের সাথে ব্যায় করলো? কতোটুকু সময়, শৈশবে সে হেসে-খেলে পার করে আসলো? যুবক বয়সে কতোটুকু সময়, তার ভবিষ্যৎ গুছানোর জন্য ব্যয় করলো? কেউ কি কখনো এইসব নিয়ে ভাবে? কেউ কি কখনো এইসব নিয়ে চিন্তা করে?
নাহ ভাই, এসব কারো ভাবার সময় নাই! সবাই আছে দৌড়ের উপর। সবাই যার-যার ভবিষ্যৎ গোছাতে ব্যাস্ত। হাতের পাশে দু-তিনটা মানুষ মরে পড়ে থাকলেও, কারও দেখার সময় নাই। সবার মাথায় একটাই চিন্তা, কি করে সামনের মানুষের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে উপরে উঠা যায়। কি করে সামনের মানুষকে পিছনে ফেলা যায়। অগ্রসর হবার প্রবনতাই মানুষকে, মানুষ হতে সাহায্য করে। কিন্তু মানুষ হতে যেয়ে, অনেক মানুষ যে পশুর শ্রেণীতে দলভুক্ত হয়ে যায়; এটা তারা নিজেরা বুঝতে পারে না। সম্ভবত মানুষের সে ক্ষমতা নেই। একজন মানুষ তার নিজের পশুসুলভ আচারন, কখনো নিজে ধরতে পারে না।বুঝলে হয়তোবা সে তার পশুত্বকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে পারতো।
সম্ভবত পৃথিবীতে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে, আমাদের ভিতরের পশুত্বকে নিয়ন্ত্রন করা। একটা শিশুর জন্মের পরবর্তী ১৫-২০ বছর শিক্ষার মধ্যেই কেটে যায়। ১৫-২০ বছর ধরে শুধু একটাই চেষ্টা করা হয়, যাতে মানব শিশুটি মানব শিশুই থাকে, কোনভাবে যাতে পশু না হয়। কিন্তু তাতে কি আসলেই কোন লাভ হচ্ছে? পশুর মধ্যেও যে হানাহানি-মারামারি, মানুষের মধ্যেও তা বিদ্যমান। লোক ঠকানোতে আমরাই সেরা, স্বার্থের সময় আমরা সবাই অনেক এগিয়ে। কাজ উদ্ধার হয়ে গেলে আমরা উধাও। তাহলে আমাদের মধ্যে এমন কি বিশেষ আছে, যা আমাদেরকে মানুষ হিসাবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে?
সায়ানাইড, পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত যৌগগুলোর মধ্যে অন্যতম। অতীতে পৃথিবীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস, সায়ানাইডের মাধ্যমে পরিবর্তন এবং নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে। খুবই বিশেষ ক্ষেত্রে সায়ানাইড বর্ণ, গন্ধ এবং স্বাদহীন। মানুষের পশুত্বও ঠিক একই রকম, সহজে ধরা যায় না। আমাদের পশুত্বকে, সায়ানাইডের সাথে এবং আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে চিনির সাথে তুলনা করা যায়। চিনির সাথে সায়ানাইড গুলিয়ে, আমরা নিজেদের ভবিষ্যতের কঠিন পৃথিবীর জন্য তৈরি করছি। অন্তরের মধ্যে, সুগার কোটেড সায়ানাইড নিয়ে আমরা সবাই তৈরি।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, একজন মোটামুটি সুস্থ-সবল মানুষের গড় আয়ু ৬০-৭০ বছর। কারো ক্ষেত্রে কম, কারো ক্ষেত্রে বেশী। এখন, মনেকরি আপনার গড় আয়ু ৬০ বছর। অর্থাৎ, ৬০ x ৩৬৫ = ২১৯০০ দিন। লিপ ইয়ারের জন্য আরো ১৫ দিন যোগ করলাম, তাহলে ২১৯১৫ দিন। এতোদিনের মধ্যে, শুধু ঘুমিয়ে কাটাবেন প্রায় অর্ধেকটা সময়। অর্থাৎ, প্রায় ১০৯৫৭ দিন এবং আপনার জীবনের পরিশিষ্ট দিনগুলোর মধ্যে প্রায় ১০০০ দিন তো টয়লেটের মধ্যেই কাটাবেন। যদি আপনার হায়াত ভাল থাকে, তাহলে সবমিলিয়ে হয়তোবা ৯৯৫৭ দিন হাতে পাবেন, সুস্থভাবে বাঁচার জন্য। আরেকটু বাড়িয়ে ১০০০০ দিন ধরলাম। ১০০০০ দিন কিন্তু খুব বেশী না, অনেক অল্প সময়।
অনেক হয়েছে ভবিষ্যৎ গোছানো, এখন একটু বিশ্রাম নিন। একটু কাছের মানুষের খোজ-খবর নিন। আপনার কাছের মানুষদের সময় দিন। নিজের গাম্ভীর্যতা ত্যাগ করুন। একটু মন খুলে একটু হাসুন। অন্তরের জমানো কথাগুলো বের করেদিন। নিজের আনন্দ বিতরণ করুন সবার সাথে, অন্যের দুঃখ গ্রহন করুন প্রাণ খুলে। একটু পাগলামি করুন। আপনাকে কেউ পাগল ভাবলে ভাবুক। মনে রাখবেন, পাগলের কোন শত্রু নেই! একজন শত্রুর চাইতে দশজন বন্ধুর মূল্য অনেক বেশী। আনন্দ যে ভাবে বণ্টন করলে বাড়ে, ঠিক একই ভাবে দুঃখ-কষ্ট বণ্টন করলে কমে। চেষ্টা করুন, যাতে আপনার পাশের মানুষটি, আপনার জন্য কোন কষ্ট না পায়। বাঁচবেনই বা কয়দিন? কোন ঠিক আছে? যতদিন বাঁচবেন মন খুলে, মাথা উচু করে বাঁচুন।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭
অণী বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬
সুমন কর বলেছেন: সায়ানাইড, পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত যৌগগুলোর মধ্যে অন্যতম। অতীতে পৃথিবীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস, সায়ানাইডের মাধ্যমে পরিবর্তন এবং নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে। খুবই বিশেষ ক্ষেত্রে সায়ানাইড বর্ণ, গন্ধ এবং স্বাদহীন। মানুষের পশুত্বও ঠিক একই রকম, সহজে ধরা যায় না। আমাদের পশুত্বকে, সায়ানাইডের সাথে এবং আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে চিনির সাথে তুলনা করা যায়। চিনির সাথে সায়ানাইড গুলিয়ে, আমরা নিজেদের ভবিষ্যতের কঠিন পৃথিবীর জন্য তৈরি করছি। অন্তরের মধ্যে, সুগার কোটেড সায়ানাইড নিয়ে আমরা সবাই তৈরি। --
ভালো বলেছেন।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৭
অণী বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:০৩
আহমেদ কিংশুক বলেছেন: অসাধাৱন!