নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনে মনে গল্পকার। যখন আমি কোনো কিছুই করি না, তখনো একটা কাজ সব সময় করতে থাকি। মনে মনে গল্প লিখতে থাকি।

অনন্ত আরফাত

অনন্ত আরফাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

রেড লেভেল

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:০৮



কবিতা আমি কোনো দিনও পছন্দ করি না, তবুও
ওলিও ড্রিম হ্যাভেনের এগারো তলার ছাদে যেদিন
প্রথম জিহ্বা পুড়লো, গলা জ্বলে গেলো, সেদিন-ই
আমার মনে হলো, প্রতিটি মানুষ কবিতা লেখে…

বস্তুত প্রতিটি মাতাল এক একজন জীবনানন্দ দাশ!
নাকি কবিরাই শুধু মাতাল হয়ে যায়? এক ইরানি
কবি বলেছিলেন, “এতো সরাব পান করবো যে,
পান করতে করতে মারা যাবো। যেখানে আমার কবর
হবে সেখানে এতো সুন্দর মদের ঘ্রাণ ছড়াবে, মানুষ
কবরের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে মদের ঘ্রাণে লুটিয়ে
পড়বে এক একজন।” মূলত কিছু কিছু কবিতা রেড
লেভেলের চেয়েও আরো বেশি ভয়াবহ উত্তেজক!

অবশ্য কবিরা নিজেরাও বড় বেশি দাহ্য পদার্থ
যেইখানটা ভালোবাসে, পুড়ে ছাড়খার করে দিতে
দ্বিধাবোধ করে না, আর যেটা ভালোবাসে না, সেটাও।
মূলত সবকিছু পুড়ে ছাড়খার করে দেওয়ার জন্যই
কবিরা পৃথিবীতে আসে। মায়াকোভস্কি যেদিন
আত্মহত্যা করলো, শেলী যেদিন ডুবে মারা গেলো,
কিংবা জীবনানন্দ দাশ--যেদিন ট্রামের নিচে পড়ে
হাসপাতালে গেলেন, সেদিন পুড়লো লাবণ্য দাশের
সংসার। প্রতিটি রেড লেভেল কবিতার জঠরে শোয়ে
থাকে এক একজন পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া লাবণ্য দাশ!

কবিরা বড্ড বেশি পোড়ায়, কিংবা পুড়ে ছাই হয়ে যায়…


৪ অক্টোবর, '১৬। কার্তিকের দুপুর।
চট্টগ্রাম।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর কবিতা।
গত একশো বছরে ট্রাম্পে নিচের পড়ে কেউ মারা যায় নি। শুধু মাত্র জীবনানন্দ ছাড়া।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৮

অনন্ত আরফাত বলেছেন: ট্রামে পড়ে মরে যাওয়া একেবারেই যে অসম্ভব, তা কিন্তু না। হয়তো লোকটা জীবনানন্দ দাশ বলেই আমরা এত হিসাব নিকাশ করছি ভাই। দেখা গেল অন্য কেউও হয়তো ট্রামের নিচে পড়ছে। কিন্তু আমরা জানি না। আবার নাও পড়তে পারে।

২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৯

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: কবিরা বড্ড বেশি পোড়ায়, কিংবা পুড়ে ছাই হয়ে যায়…

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৪

অনন্ত আরফাত বলেছেন: ভালোবাসা জানবেন ভাই।

৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৬

দিলের্‌ আড্ডা বলেছেন: একজন ইরানী কবির জায়গায় ‘ওমর খৈয়াম’ লিখলেই নেশা কয়েকশোগুণ বেশী ধরে যায়। আর রুবাইয়াতটা সম্ভবত ওমর খৈয়ামের, অবশ্য হাফিজেরও হতে পারে। সে যাই হোক নেশার গুরু ওমর খৈয়াম। শ্যাম্পেন, ভদকা, বিয়ার, ব্রান্ডি একসাথে মিশিয়ে ককটেল বানালেও ওমর খৈয়ামের মুখের ‘শরাব’, সুখের ‘শরাব’ শব্দটার সমতুল্য হবে না।

ট্রামের ঢাক্কায় মৃত্যু অসম্ভব কিছু নয়। তবে জীবনানন্দ হয়তো ইচ্ছে করেই নিহত হয়েছিলেন, কিংবা অনিচ্ছাকৃতভাবে। আর এটাতো ঠিক যে উনার কবিতা বিষন্নতার আঁধার। তাই এটা অসম্ভব নয় যে বিষন্নতা উনাকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছিলো।

ধন্যবাদ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৬

অনন্ত আরফাত বলেছেন: ভালোবাসা ভাই।

৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৬

সোনালী ডানার চিল বলেছেন: দারুন কবিতাটি পড়া হলো।
আসলেই কবিতা যখন ভর করে তা যেন অতিমাতালিক!
আপনি ঠিকই বলেছেন প্রতিটি মানুষই কবি, তবে কবিতায় প্রকাশ তার
ব্যক্তিগত নৈপুন্য!
কবিতাপাঠসূত্রে গুরুকবিদের দর্শন পেলাম!

ভালো থাকা হোক-

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৪

অনন্ত আরফাত বলেছেন: আপনিও ভালো থাকবেন প্রিয়। ভালোবাসা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.