নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মই আমার আজন্ম পাপ.....।

জিসান রাহমান

নীরবতায় বাঁচি, সত্যকে খুঁজি।

জিসান রাহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পোশাক না মানসিক বিকৃতি- ধর্ষণের জন্য দায়ী কোনটি?

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৯

ধর্ষণের বিচার চাই, ধর্ষকের ফাসি চাই। একই স্লোগান শুনছি অনেক বছর ধরেই। ধর্ষণের বিচার ধর্ষণের পরিমান কমাতে পারে কিন্তু ধর্ষণকে একেবারেই বন্ধ করতে পারেনা। ধর্ষণ কেন হচ্ছে সেইদিকে কেউ দৃষ্টি দিচ্ছে বলে মনে হয়না।

ধর্ষণ কি?
-কোন নারীর সাথে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা বা করতে চেষ্টা করাকে ধর্ষণ বলে।

ধর্ষণ কেন হয়??

-সোজা উত্তর, এমনকি সবচেয়ে পরিচিত উত্তর; "মেয়েটার পোশাক ভালোনা, চাল-চলন খারাপ, চরিত্রে সমস্যা ইত্যাদি ইত্যাদি।"

বর্তমানে নতুন এক অনুভূতির সৃষ্টি হয়েছে; তা হলো ধর্ষণাভূতি। এই অনুভূতিটা শুধুমাত্র পুরুষদের মাঝেই বিদ্যমান। একটা মেয়ের ব্যতিক্রমী কার্যকলাপ দেখলেই অনেক পুরুষের এই অনুভূতিতে সুড়সুড়ি লাগে।তাদের মধ্যে কেউ কেউ শীঘ্রই এই অনুভূতি দূর করতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে; যার ফলাফল খবরের কাগজে শিরোনাম হয় নতুন আরেকটি ধর্ষণ। অনুভূতিটা এমনই যে মাঝেমাঝে কোন কারন ছাড়াই মেয়ে দেখলেই জাগ্রত হয়, যার ফলাফল কোনভাবেই দোষ মেয়েটার উপর চাপানো যায়না। তারপরও কেউ কেউ ওই মেয়ের পিছনেই লেগে থাকে দোষ চাপানোর জন্য।

এ থেকেই বোঝা যায়, এই অনুভূতি নিতান্তই মানসিক, নারীর পোশাক কেন্দ্রিক কিংবা নারীর চালচলন কেন্দ্রিক না।

সমস্যা দূরীকরণের জন্য যতই নারীর উপর কাপড়ের বস্তা চাপানো হোক না কেন, সমস্যা দূর হবেনা। কেননা জ্বরের জন্য যদি গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ দেওয়া হয় তাতে জ্বর কখনোই কমবেনা।

সুতরাং আমাদের সমস্যার উপযুক্ত ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে। অর্থ্যাৎ পুরুষদের যে নতুন অনুভূতি সৃষ্টি হয়েছে তা দূর করতে হবে। পরিস্থিতি অনুকূলে না। আমাদের যারা ওই অনুভূতি লাভ করে ফেলেছেন তাদের মানসিক বিকৃতি রোধ করা যাবেনা হয়তো; কমানো যাবে। কমাতে পারলেই ধর্ষণের পরিমান কমে যাবে। সাথে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের যারা আছে তারা যেন মানসিকভাবে বিকৃত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। "সঙ্গম কোন বিনোদন নয়, এটা বংশগতি রক্ষার একটি পর্যায়" - এই শিক্ষা তাদের দিতে হবে। তবেই তারা নারী শরীরে বিনোদন খোঁজা থেকে বিরত থাকবে। ফলাফলস্বরূপ পরবর্তী সময়ে ধর্ষণবিহীন একটি বাঙলাদেশ পাওয়া যাবে।

বর্তমান সময়ে আমরা পুরুষের যারা আছি তাদের লজ্জা পাওয়া উচিত; কেননা আমাদের ভয়ে নারীরা একা, রাতে বাইরে যেতে ভয় পায়। আমাদের ভয় পায়, এটা গৌরবের কিছুনা। বরং এটাই লজ্জাজনক; কেননা তারা আমাদের মাঝে ধর্ষকের মূর্তি দেখতে পায়।

মানুষ হিসেবে আমাদের বিবেক কবে জাগ্রত হবে? কবে পুরুষকে পুরুষ হিসেবে নয়, নারীকে নারী হিসেবে নয়; মানুষ হিসেবে গন্য করা হবে?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.