![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের খেয়ালখুশি মতো চলা, নিজের জগৎ নিয়ে ব্যস্ত থাকা, কারো প্রতি ঘৃণা কিংবা বিদ্বেষ না রাখা, কোন প্রকার সন্দেহ না রেখে নিশ্চিন্তে ভালোবাসা ও বিশ্বাস করে যাওয়া- এসব'ই তো একজন মানুষ হিসেবে আমাদের চাওয়া। এসব যারা করতে পারে তাদের'ই তো আমরা প্রকৃত মানুষ বলি।
আসলে'ই কি বলি?
উপরে যা বললাম তা একজন “অটিস্টিক" শিশুর লক্ষণ। কাওকে হীন করে বলছিনা। ”অটিজম" সম্পর্কে খোঁজ নিন; জানতে পারবেন। “অটিজম" কোন রোগ নয়; স্নায়ুগত বা মানসিক সমস্যা। সাধারণত এটি'কে শিশুর মনোবিকাশগত সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এ সমস্যা যে শিশু'র হয় সে সমবয়সীদের তুলনা'য় পিছিয়ে পড়ে। সে সুস্থ সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে অক্ষম হয়।
“অটিস্টিক" শিশুকে আমাদের সমাজ স্বীকৃতি দিতে চায়না। সমাজের অবহেলিত ও বোঝা হিসেবে গণ্য হয় সে। কারণ সে অন্যদের মতো নয়। অন্যদের মতো'রা মানুষ; বাকী'রা মানুষ না- এরকম চিন্তা আমাদের সমাজের। আমার কাছে ঐ ব্যতিক্রমী মানুষগুলা'র চেয়ে এ সমাজ'কে মানসিক সমস্যা'য় আক্রান্ত বলে মনে হয়।
একজন “অটিস্টিক" শিশু পারে নিঃসঙ্কোচে তার মায়ের কথা বিশ্বাস করতে; একজন “অটিস্টিক" শিশু পারে যানবাহনপূর্ণ ব্যস্ত রাস্তা'য় নিশ্চিন্তে তার বোনের হাত'টি ধরে আশেপাশে না তাকিয়ে রাস্তা'টি পার হতে। একজন “অটিস্টিক" শিশু পারে রাস্তা'র অপরিচিত একজন আগন্তুক'কে মনে প্রাণে ভালোবেসে নিঃসন্দেহে তার সাথে সময় কাটাতে। আমি আর আপনি কি তা পারি?
আমার কাছে তাদের'ই প্রকৃত মানুষ মনে হয়। জাগতিক চিন্তা-চেতনা ত্যাগ করে; নিজের জীবনটাকে উপভোগ করা- যা আপনি আমি পারিনা। আচ্ছা তারা তো কারো কোন ক্ষতি করে'না; তবু কেন এই অবহেলা?
আসুন আমরা সবাই তাদের আমাদের মতো'ই একজন মনে করি। আসুন তাদের ভালোবেসে আমাদের'ই সঙ্গী করে নিই। ঘৃণা-হিংসা এগুলো পশুর কাজ; মানুষের নয়। চলুন না সবাই সবাই'কে ভালোবেসে এই পৃথিবী'কে “মানুষের পৃথিবী" হিসেবে গড়ে তুলি।
আজ ২'রা এপ্রিল; বিশ্ব “অটিজম" সচেতনতা দিবস। আশেপাশের “অটিস্টিক" শিশুদের প্রতি ঘৃণার দৃষ্টি না রেখে; ভালোবাসা দিয়ে একটি সুন্দর পৃথিবী তৈরি করি- এটি'ই হোক বিশ্ব “অটিজম" সচেতনতা দিবসে আমাদের সকলের একমাত্র শ্লোগান।
#বিশ্ব_অটিজম_সচেতনতা_দিবস।
©somewhere in net ltd.