নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বোরাক

১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ৩:০৬


আল বোরাককে বেহেশতী জীব হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং ইসলামের শেষ নবী মুহাম্মদ ইবন আব্দুল্লাহ এর বাহন ছিলো। সপ্তম শতকের সবচেয়ে প্রচলিত গাথা হতে জানা যায় যে বোরাক মুহাম্মদকে মক্কা থেকে জেরুজালেমে বহন করে নিয়ে গিয়েছিলো এবং ফিরিয়ে এনেছিলো যা কোরআন এ সুরা আল ইসরা তে বর্ণিত আছে মিরাজ এর কাহিনী হিসেবে।যদিও পারস্য বা দূর প্রাচ্য অঞ্চলে অঙ্কিত কাল্পনিক চিত্রে বোরাক এর মুখমন্ডল মানুষের আকৃতিতে উপস্থাপন করা হয় কিন্তু এই বিষয়ে কোনো হাদীস বা ইসলামের প্রাথমিক যুগের নির্ভরযোগ্য প্রামান্য দলিল পাওয়া যায় না। ধারনা করা হয় এটা সম্ভবত আরবী থেকে ফারসী ভাষায় সুন্দর মুখমন্ডলের জীব এর ভুল অনুবাদের ফলে হয়েছে যা পরবর্তীতে ফারসী থেকে ভারতীয় অঞ্চলে এসেছে।
হাদীস গ্রন্থ সহীহ আল বুখারী হতে অনুবাদ করা একটি হাদীসে বোরাক সম্পর্কে বলা হয়েছে

তখন খচ্চর অপেক্ষা ছোট কিন্তু গাধা অপেক্ষা বড় একটি সাদা প্রাণী আমার কাছে আনলো। প্রাণীটি এতো দ্রুত পদক্ষেপ ফেললো যা কোনো প্রাণীর চোখে দেখা সম্ভব নায়।
অপর একটি বর্ণনায় বোরাক সম্পর্কে বলা হয়েছেঃ
তখন জিবরাইল আমার নিকটে বোরাক কে আনলো সুন্দর মুখমন্ডল ও পশমের গাধা অপেক্ষা বড় কিন্ত খচ্চর অপেক্ষা ছোট লম্বা সাদা পশু। এর লম্বা কান ছিলো।এর দুটি পাখা ছিলো যা এর পা বরাবর লম্বা।

ইসলাম ধর্মমতে যে রাতে ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) ঐশ্বরিক উপায়ে ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেছিলেন এবং স্রষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেন সেই রাত। মুসলমানরা এবাদত বন্দেগীর মধ্য দিয়ে এই রাতটি উদযাপন করেন। ইসলামে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব আছে কেননা এই মেরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ অর্থাৎ নামায মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যক অর্থাৎ ফরজ নির্ধারণ করা হয় এবং দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের বিধান নির্দিষ্ট করা হয়।ইসলামের ইতিহাস অনুযায়ী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নবুওয়াত প্রকাশের একাদশ বৎসরের ৬২০ খ্রিস্টাব্দে রজব মাসের ২৬ তারিখের দিবাগত ইসলামের নবী মুহাম্মদ প্রথমে কাবা শরীফ থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত বায়তুল মুকাদ্দাস বা মসজিদুল আকসায় গমন করেন এবং সেখানে তিনি নবীদের জামায়াতে ইমামতি করেন। অত:পর তিনি বোরাক বিশেষ বাহনে আসীন হয়ে ঊর্ধ্বলোকে গমন করেন। ঊর্ধ্বাকাশে সিদরাতুল মুনতাহায় তিনি আল্লাহ'র সাক্ষাৎ লাভ করেন। সেই সফরে ফেরেশতা জিবরাইল তার সফরসঙ্গী ছিলেন। কুরআন শরীফের সূরা বাণী ইসরাঈল এর প্রথম আয়াতে সে প্রসঙ্গে বলা হয়েছেঃ

سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَى بِعَبْدِهِ لَيْلًا مِنْ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى الَّذِي بَارَكْنَا حَوْلَهُ لِنُرِيَهُ مِنْ آيَاتِنَا إِنَّه هُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ
উচ্চারণ: সুবহানাল্লাজি আস্রা বিআবদিহি লাইলাম মিনাল মাসিজদিল হারামী ইলাল মাসিজদিল আকসা
বঙ্গার্থঃ পবিত্র সেই মহান সত্তা যিনি তাহার এক বান্দা মুহাম্মদ-কে মসজিদে হারাম কাবাঘর হইতে মসজিদে আকসা বাইতুল মোকাদ্দাস পর্যন্ত পরিভ্রমণ করাইয়াছেন। ইহার মধ্যে তাহাকে অসংখ্য নিদর্শনাবলী দেখান হইয়াছে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ৩:১৩

কল্লোল পথিক বলেছেন:




সুন্দর পোস্ট।
পোস্টে ++++++++++

১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ৩:১৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কল্লোল পথিক ।

২| ১২ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৫:০২

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: "ইহার মধ্যে তাহাকে অসংখ্য নিদর্শনাবলী দেখান হইয়াছে।" - চক্ষু-কর্ণ ওয়ালা মানুষদের জন্য কী নিদর্শন আছে? ঠিক বোঝা গেল না।

১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৪০

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ সময় নিয়ে বসে আপনাকে বোঝাতে হবে ।

৩| ১২ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৭:১৮

সত্যান্বেষী০০৭ বলেছেন: সপ্তম শতক কোনটি? ৭ সন না অন্য কোন সন? নামাজ মেরাজ থেকে আনা একথার কোন প্রমান আছে কি? খ্রীষ্টাব্দ এবং রজব মাস কিভাবে মিলে?

১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: শতক অর্থ কি ? যাই হোক কোন তর্কে যাবো না কেননা আমি নিজেও বুঝি কম ভাই । তবে ভালো লাগে তাই বিষয় গুলো শেয়ার করার চেষ্টা করি ।পোস্টে সপ্তম শতক বলতে সম্ভবত সাতশত শতকেই বোঝানো হয়েছে । কুরআন পড়ে সুরা আল ইসরা দেখে নিতে পারেন
হয়ত যে আমাকে তথ্য দিছেন সেও ভুল করতে পারেন । মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.