![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজি ছিলেন একজন তুর্কি সেনাপতি। তিনি ১২০৫ বা ৬ সালের দিকে সে সময়ের বঙ্গের শাসক সেন রাজবংশের শেষ রাজা লক্ষ্মণ সেনকে পরাজিত করে সেন গৌড় দখল করেছিলেন। লক্ষণ সেন প্রাণ নিয়ে পালিয়ে সেসময় বঙ্গে পালিয়ে যান এবং তার সৈন্যরা পরাজিত হয়ে নদীয়া শহর ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।বখতিয়ার নদীয়া শহর অধিকার করে তা ধ্বংস করেন এবং সেই শহরে রাজধানী না করে গৌড় লক্ষণাবতীতে গিয়ে রাজধানী স্থাপন করেন।
জীবনের প্রথম ভাগে তিনি ছিলেন আফগানিস্তানের গরমশির বা আধুনিক দশতই-মার্গের অধিবাসী। তার বাল্যজীবন সম্বন্ধে বিশেষ কিছু জানা যায় না। তবে মনে করা হয় দারিদ্রের পীড়নে তিনি স্বদেশ ত্যাগ করেন এবং নিজের কর্মশক্তির উপর ভর করে অন্যান্য দেশবাসীর ন্যায় ভাগ্যান্বেষণে বের হন। প্রথমেই তিনি গজনির সুলতান মুহাম্মাদ ঘুরির সৈন্যবাহিনীতে চাকুরিপ্রার্থী হয়ে ব্যার্থ হন। আকারে খাটো লম্বা হাত এবং কুৎসিত চেহারার অধিকারী হওয়ায় সেনাধ্যক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হন। গজনীতে ব্যর্থ হয়ে তিনি দিল্লিতে কুতুবউদ্দীন আইবেকের দরবারে হাজির হন। সেখানেও তিনি চাকরি পেতে ব্যর্থ হন। অতঃপর তিনি বদাউনে যান। সেখানকার শাসনকর্তা মালিক হিজবর উদ্দিন বখতিয়ার খলজিকে নগদ বেতনে সেনাবাহিনীতে চাকরি প্রদান করেন। কিন্তু উচ্চভিলাসি বখতিয়ার সামান্য বেতনভোগী সিপাহি হয়ে পরিতৃপ্ত হতে পারেন নি। অল্পকাল পর তিনি বদাউন ত্যাগ করে অযোদ্ধায় যান। অযোদ্ধার শাসনকর্তা হুসামউদ্দিন তাকে বর্তমান মির্জাপুর জেলার পূর্ব দক্ষিণ কোণে ভগবৎ ও ভিউলি নামক দুইটি পরগনার জায়গির প্রদান করেন। এখানেই বখতিয়ার তার ভবিষ্যৎ উন্নতির উৎস খুঁজে পান এবং এই দুটি পরগনাই পরবর্তীকালে তার শক্তির উৎস হয়ে ওঠে ।
১২০১ সালে বখতিয়ার মাত্র দুই হাজার সৈন্য সংগ্রহ করে পার্শ্ববর্তী হিন্দু রাজ্যগুলো আক্রমণ এবং লুণ্ঠন করতে থাকেন। সেই সময়ে তার বীরত্বের কথা চারিদিক ছড়িয়ে পড়তে থাকে এবং অনেক ভাগ্যান্বেষী মুসলিম সৈনিক তার বাহিনীতে যোগদান করতে থাকেন। তাতে করে তার সৈন্যসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এভাবে চলতে থাকলে তিনি একদিন এক প্রাচীরবেষ্টিত দূর্গের মতো স্থানে আসেন এবং আক্রমণ করেন। প্রতিপক্ষ কোনো বাধাই দেয় নি। দূর্গজয়ের পর তিনি দেখলেন যে দূর্গের অধিবাসীরা প্রত্যেকেই মুণ্ডিতমস্তক এবং দূর্গটি বইপত্র দিয়ে ভরা। জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি জানতে পারলেন যে তিনি একটি বৌদ্ধ বিহার জয় করেছেন। এটি ছিল ওদন্ত বিহার বা ওদন্তপুরী বিহার। সেই সময় থেকেই মুসলমানেরা জায়গাটিকে বিহার বা বিহার শরিফ নামে ডাকে।বিহার জয়ের পর বখতিয়ার খলজি অনেক ধনরত্ন সহ কুতুব-উদ্দিন আইবকের সাথে দেখা করতে যান এবং কুতুব-উদ্দিন কর্তৃক সম্মানিত হয়ে ফিরে আসেন। এর পরই তিনি বাংলা জয়ের জন্য সাহস এবং শক্তি সঞ্চয় করতে থাকেন।
বাংলা বিজয়
তৎকালীন বাংলার রাজা লক্ষণ সেন বাংলার রাজধানী নদীয়ায় অবস্থান করছিলেন কারণ নদীয়া ছিল বহিঃশত্রুর কাছ থেকে সবচেয়ে সুরক্ষিত অঞ্চল। বলা হয়ে থাকে যে নদিয়ায় আসার কিছু আগে রাজসভার কিছু দৈবজ্ঞ পণ্ডিত তাকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে এক তুর্কি সৈনিক তাকে পরাজিত করতে পারে। তাতে করে লক্ষন সেনের মনে ভীতির সঞ্চার হয় এবং নদীয়ার প্রবেশপথ রাজমহল এবং তেলিয়াগড়ের নিরাপত্তা জোরদার করেন। লক্ষন সেনের ধারণা ছিল যে ঝাড়খণ্ডের শ্বাপদশংকুল অরণ্য দিয়ে কোনো সৈন্যবাহিনীর পক্ষে নদীয়া আক্রমণ করা সম্ভব নয় কিন্তু বখতিয়ার সেইপথেই তার সৈন্যবাহিনীকে নিয়ে আসেন। নদীয়া অভিযানকালে বখতিয়ার ঝাড়খণ্ডের মধ্য দিয়ে এত দ্রুতগতিতে অগ্রসর হয়েছিলেন যে তার সাথে মাত্র ১৮ জন সৈনিকই তাল মেলাতে পেরেছিলেন। বখতিয়ার সোজা রাজা লক্ষন সেনের প্রাসাদদ্বারে উপস্থিত হন ও দ্বাররক্ষী এবং প্রহরীদের হত্যা করে প্রাসাদের ভিতরে প্রবেশ করেন। তাতে প্রাসাদের ভিতরে হইচই পড়ে যায় এবং লক্ষণ সেন দিগ্বিদিক হারিয়ে ফেলে প্রাসাদের পেছনের দরজা দিয়ে নৌপথে বিক্রমপুরে আশ্রয় নেন।নদীয়া জয় করে পরবর্তীতে লক্ষণাবতীর বা গৌড় দিকে অগ্রসহ হন এবং সেখানেই রাজধানী স্থাপন করেন। সেই লক্ষণাবতীই পরবর্তীকালে লখনৌতি নামে পরিচিত হয়। গৌড় জয়ের পর আরও পূর্বদিকে বরেন্দ্র বা উত্তর বাংলায় নিজ অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি এলাকাগুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে একজন করে সেনাপতিকে শাষণভার অর্পণ করেন। বখতিয়ারের সেনাধ্যক্ষদের মধ্যে দুজনের নাম পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে আলি মর্দান খলজি বরসৌলে, হুসামউদ্দিন ইওজ খলজি গঙ্গতরীর শাসনকর্তা নিযুক্ত হন।
তিব্বত আক্রমণ
বখতিয়ারের রাজ্য পূর্বে তিস্তা নদী এবং করতোয়া নদী দক্ষিণে পদ্মা নদী উত্তরে দিনাজপুর জেলার দেবকোট হয়ে রংপুর শহর পর্যন্ত এবং পশ্চিমে পূর্বে অধিকৃত বিহার পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। যদিও বাংলাদেশের বৃহদাংশ তার রাজ্যের বাইরে ছিল ওইসব অঞ্চল দখল না করে তিনি তিব্বত আক্রমণের পরিকল্পনা করেন। উদ্দেশ্য ছিল তুর্কিস্তানের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা। তিব্বত আক্রমণের রাস্তা আবিষ্কারের জন্য বখতিয়ার বাংলার উত্তর পূর্বাংশের উপজাতীগোষ্টির সদস্য আলী মেচকে নিয়োগ দেন।সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পর তিনি তিন জন সেনাপতি এবং প্রায় দশ হাজার সৈন্য সামন্ত নিয়ে লখনৌতি থেকে তিব্বতের দিকে রওনা দেন। সৈন্যবাহিনী বর্ধনকোট শহরের কাছে পৌছালে তারা তিস্তা নদীর চেয়েও তিন গুন চওড়া বেগমতী নদী পার না হয়ে নদীর তীর ধরে তিন দিন দূরত্ব চলার পর একটি পাথরের সেতুর নিকটে আসেন এবং সেখানে তার দুইজন সেনাপতিকে সেতুর সুরক্ষায় রেখে সামনের দিকে অগ্রসর হন। সামনে একটি কেল্লা পরে। ওই কেল্লার সৈন্যদের সাথে যুদ্ধে বখতিয়ার জয় করলেও সৈন্যবাহিনী ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়। কেল্লার সৈন্যদের থেকে বখতিয়ার জানতে পারেন যে অদূরে করমবত্তন নামক শহরে কয়েক লক্ষ সৈন্য যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। সেই কথা শুনে বখতিয়ার সামনের দিকে অগ্রসর না হয়ে প্রত্যাবর্তন করেন। ফেরার পথে তার সৈন্যরা অসীম কষ্ট সহ্য করে। সেতুর কাছে এসে বখতিয়ার দেখেন যে পার্বত্য লোকেরা তার দুই সেনাপতির উপর আক্রমণ চালিয়ে তাদের মেরে ফেলেছে এবং সেতুটি পুরোপুরি বিদ্ধস্ত করে দিয়েছে। তারপর বখতিয়ার খুব অল্প সংখ্যক সৈন্য সহ ফিরে আসতে সক্ষন হন। সেই ঘটনার পরেই বখতিয়ার বুঝতে পারেন যে তিব্বত অভিযান বিফল হওয়ার ফলে তার শক্তি মারাত্বক ভাবে হ্রাস পেয়েছে এবং তাতে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
তিব্বত অভিযান বিফল হলে বখতিয়ার দেবকোটে ফিরে আসেন। গৌহাটির নিকটে ব্রহ্মপুত্রের তীরে কানাই বড়শি বোয়া নামক স্থানে তুর্কি সেনাদলের বিধ্বস্ত হওয়ার বিভিন্ন আলামত পাওয়া যায়। তিব্বত অভিযান বিফল এবং সৈন্যবাহিনীর ব্যাপক ক্ষতির ফলে লখনৌতির মুসলিম রাজ্যের প্রজারের মধ্যে বিদ্রোহ এবং বিরোধ দেখা দিতে শুরু করে। আর তার ফলে বাংলার ছোট ছোট মুসলিম রাজ্যগুলো দিল্লির সাথে সম্ভাব্য বিরোধে আগে থেকেই কোনঠাসা হয়ে পড়ে। এরকম নানাবিধ চিন্তা এবং পরাজয়ের গ্লানিতে বখতিয়ার অসুস্থ এবং পরে শয্যাশায়ী হন। তার অল্প কিছুদিন বাদে ১২০৬ সালে তিনি শয্যাশায়ী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। কেউ কেউ অনুমান করেন যে বখতিয়ারের মৃত্যুতে তার সেনাপতি আলিমর্দান খলজির হাত ছিল । ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খলজি সংক্রান্ত সকল তথ্যই মুসলিম ঐতিহাসিক মিনহাজউদ্দিন শিরাজের তবকাৎ-ই-নাসিরী গ্রন্থ থেকে সংগ্রহ করা। মিনহাজ বখতিয়ারের মৃত্যুর প্রায় চল্লিশ বছর পর বাংলায় গিয়ে বাংলা বিজয়ের যে কাহিনী শুনেছিলেন তাই মূলত লিপিবদ্ধ করেছেন এবং তার উপর ভিত্তি করেই ইতিহাস রচিত হয়েছে। তার বর্ণনা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে তিনি মূলত প্রচলিত কাহিনীগুলিকেই লিপিবদ্ধ করেছিলেন যা ঐতিহাসিকদের কাছে বাংলা জয়ের একমাত্র দলিল। তাই মিনহাজের সব কথাই সঠিক তা নাও হতে পারে।
১১৯৩ সালে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় পুরোপুরি ধ্বংস করার জন্য খিলজিকে দায়ী করা হয়। সেখানে থাকা সকল ছাত্রদেরকেও সে সময় হত্যা করা হয়। তবে এসম্পর্কিত মূল সূত্র থেকে জানা যায় যে খিলজি সে বিষয়ে অজ্ঞাত ছিলেন ।আর তার কারন হল যে সেটি একটি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল।
"তথ্যসূত্র"=ইন্টারনেট
২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:২৪
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: বরাবরের মতই সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ বিদ্রোহ ভৃণ্ড ভাই । মনে হয় এ যুদ্ধ আর থামবে না ।
২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫১
খোলা মনের কথা বলেছেন: মাধ্যমিকে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মাদ বখতিয়ার খলজির ইতিহাস লাইন বাই লাইন মুখস্ত ছিল। তার ১৮ জন সন্য নিয়ে বঙ্গ জয় করে ব্যাপারটি আমার কাছে অদ্ভুদ লেগেছিল। নতুন করে আবারো জানার সুযোগ হল। ধন্যবাদ আপনাকে।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:২৬
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: বরাবরের মতই সুন্দর একটি মন্তব্য করলেন খোলা মনের কথা ভাই।অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:১১
প্রামানিক বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৩০
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই ।
৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪
প্রামানিক বলেছেন: কলেজ জীবনে এই ইতিহাস পড়া ছিল, আপনার লেখা পড়ে আরো অনেক কিছু জানলাম।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২০
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই ।ফিরতি মন্তব্যে জানিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা ।
নেন ভাই শরবত খেয়ে মনটাকে আরো চাঙ্গা করে তুলুন
৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭
মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: ইতিহাস পড়তে ভাল লাগে।অনেক কিছু জানলাম।ধন্যবাদ আপনাকে।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২২
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ মো: হাসানূর রহমান রিজভী ভাই ।
৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:১১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সংক্ষেপে অনেককিছুই জানলাম । ধন্যবাদ
২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২৫
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ রূপক বিধৌত সাধু ভাই ।ভালো থাকুন শুভ কামনা ।
৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২
শামছুল ইসলাম বলেছেন: ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজিকে নিয়ে লেখা ইতিহাসটা ভাললেগেছে, অনেক কিছু জানা হলো।
ভাল থাকুন। সবসময়।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ শামছুল ইসলাম ভাই ।
৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩
মামুন ইসলাম বলেছেন: আগে কিছু পড়েছিলাম আজ বিস্তারিত আপনার পোস্ট থেকে পড়লাম ।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ইসলাম ভাই ।
৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১
মাকার মাহিতা বলেছেন: লড়াকু ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বখতিয়ার খিলজী। ইতিহাস
ভাল লাগল, ধন্যবাদ।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:০০
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ মাহিতা আপু ।
১০| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৫০
রমিত বলেছেন:
আপনার লেখা ভালো হয়েছে।
নালন্দা আক্রমণের বিষয়টি আবার টানলেন কেন? ইখতিয়ারের সাথে নালন্দার কোন সম্পর্কই নেই। তিনি নালন্দা যানইনি। আপনি কি কোন খ্যাতিমান ইতিহাসবেত্তার বইয়ের রেফারেন্স দিয়ে দেখাতে পারবেন যে ইখতিয়ার খিলজী নালন্দা গিয়েছিলেন?
উনার ওদন্তপুরী বিহারে যাওয়ার ইতিহাস রয়েছে, কিন্তু তিনি সেটা ধ্বংস করেছেন এরকম কথাও তো কোন গুরুভার ইতিহাস বইয়ে লেখা নেই। ইন্টারনেট ভালো জিনিস তবে সেখানে প্রাপ্ত সব লেখাকেই রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার করা সিদ্ধ নয়। কিতাবে যা পাওয়া যায়, তাতে বোঝা যায় যে ওদন্তপুরী দখলের পর ইখতিয়ার খিলজী যখন বুঝতে পারলেন যে ওটা একটি জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র তিনি দ্রুত নিজেকে সামলে নেন। এবং ঐ জায়গার নাম দেন বিহার শরীফ, যা এখনও প্রচলিত আছে। একটু ভেবে দেখেন তো মুসলমানরা 'শরীফ' শব্দটি কতটা শ্রদ্ধার সাথে একটি পবিত্র জায়গার নামের সাথে উচ্চারণ করে।
আরেকটি বিষয় ভালো করে লক্ষ্য করুন, আমাদের পূর্বপুরুষরা বৌদ্ধ ছিলেন। দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা যত নিদর্শন রয়েছে (পাহাড়পুর থেকে ময়নামতি) সবই বৌদ্ধ নিদর্শন। এগুলো ধ্বংস হলো কবে? ইখতিয়ার খিলজীর আগে একশত বছর ছিলো অবৌদ্ধ ও অবাঙালী সেন রাজাদের শাসন। তারাই ছিলো এইসব ধ্বংসের পিছনে।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:০৮
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় রমিত ভাই । ভাই আপনি ভুল বুঝতেছেন আমি কিন্ত বলি নাই উনি নালন্দা ধংস করেছেন বরং এই কারনেই আমি লেখায় উল্লেখ্য করে দিয়েছি উনি নালন্দাকে বিহারের চোখে দেখেননি বরং ওটাকে বখতিয়ার খলজি একটা পাঠ্যশালা হিসেবে বিবেচিত করেছেন ।আবারোও অনেক অনেক ধন্যবাদ রমিত ভাই ।
১১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:১০
নিউ সিস্টেম বলেছেন: অনেক কিছু জানা হল।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: জানার জন্য ধন্যবাদ ।
১২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪২
লেখা পাগলা বলেছেন: ভালো লাগল খলজির জীবন সম্পকে জেনে ।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:১৬
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ লেখা পাগলা ভাই ।
১৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:২২
হাকিম৩ বলেছেন: ভালো লাগা রেখে গেলাম ।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:২০
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ HAKIM3 ভাই ।
১৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:৪১
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: বীরগাঁথা আঁকো যত
ফুরাবেনা তা অমিত;
সম্বিত পেয়েছ কি?
কয়েছে যা প্রিয় ''রমিত''?
ওপারেতে আছে কিছু
হীনমন মিনসে;
আজীবনি যবনেরে
করে যাবে হিংসে।
পরাজিত গ্লানি লয়ে
ক'বে সদা মন্দা;
খিলজী ধ্বসেছে নাকি
বিহার নালন্দা।
কয়ে যাক দুর্মুখ
ইতিহাস কথা কয়;
খিলজীর বীরগাঁথা
চিরস্মরা অক্ষয়।
আজ প্রিয় ''রমিতে''রে
নয়াভাবে পেলাম;
শ্রদ্ধায় আপ্লুত স্বরে
জানালুম সেলাম।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: প্রিয় রমিত ভাইকে বুঝিয়ে বলছি ভাই ।
১৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:৫৪
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ভালো লাগল বখতিয়ার খলজির ইতিহাস জেনে । পোস্ট প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম । পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ মফিজ ভাই ।
১৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:০০
সাগর মাঝি বলেছেন: ভালো লাগে বলে মাঝে মাঝে ইতিহাস পড়ি। আপনার লেখাটাও পড়লাম। ভালো লাগলো। তবে যখনই ইতিহাস পড়ি তখনি অজানা এক ক্রোধ ভিতরে বাসা বাঁধে। কারণ হলো সব বহিরাগত ডাকুদের হাতে আমার বাংলার রাজাদের পরাজয়।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ সাগর মাঝি ভাই । শুধু আপনিই না ভাই এই একই জিনিস আমাদের সকলের মনেই বাসা বেঁধে রেখেছে ।
১৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:০৪
মাদিহা মৌ বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম … ইতিহাস খুব কাজে দেয় মাঝেমাঝে …
২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ আপু ।
১৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:০২
বীরেনদ্র বলেছেন: Khilji did not know that Nalanda was a univeristy. Since he did not know it he did not destroy it. Is that a rational logic? The Muslim conquerers in many countries destroyed other libraries too eg. the library of of Alerxandria. Please go through his two articles. Click This Link
http://www.danielpipes.org/comments/196640।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আমি যতটুক পেয়েছি ইতিহাসে সে টুক লেখেছি। এবার এটাকে মিথ্যে প্রমাণ করার জন্য সঠিক তথ্য দিয়ে আপনি একটা পোস্ট লেখুন ।
১৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৪১
অদৃশ্য বলেছেন:
অনেক কিছু জানা হলো... চমৎকার পোষ্ট...
শুভকামনা...
২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ।
২০| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৪৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
"১২০১ সালে বখতিয়ার মাত্র দুই হাজার সৈন্য সংগ্রহ করে পার্শ্ববর্তী হিন্দু রাজ্যগুলো আক্রমণ এবং লুণ্ঠন করতে থাকেন। সেই সময়ে তার বীরত্বের কথা চারিদিক ছড়িয়ে পড়তে থাকে এবং অনেক ভাগ্যান্বেষী মুসলিম সৈনিক তার বাহিনীতে যোগদান করতে থাকেন। "
-আফগানী দস্যু ছিল এই জল্লাদ।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৭
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আমি আপনার কথা বিশ্বাস করবো যদি তার প্রমাণ দিতে পারেন । আপনার চোখে সব মুসলিমইতো দশ্যু তাই না । কাউকে খারাপ বলতে হলে তার একটা যুক্তি এবং প্রমান থাকতে হয় । যদি প্রমাণ করতে পারেন তার জল্লাদির তাহলে আপনার কথা মানবো ।
২১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:১০
মূল-উপদল বলেছেন: @লেখক- হিন্দু গ্রাম আক্রমন করে লুন্ঠন করাকে বীরত্ব বলে নাহ।
@বীরেনদ্র - ইতিহাস লজিক দিয়ে চলে না, চলে ঘটনা পরম্পরা দিয়ে।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:১৩
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: কি জানি তাতো জানি না ।
২২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:১৭
নাইম রাজ বলেছেন: না জানা ইতিহাস জানা হল ।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:১৬
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ পোস্ট পড়ার জন্য ।
২৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫
রুদ্র কায়সার বলেছেন: ভাল লাগলো
২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:১৮
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ
২৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭
বীরেনদ্র বলেছেন: Off course History and logic are two different issues. But you wished to establich innocence of your Islamic hero by pointing that he did not know that there was a university at Nalanda. He did not know so he did not destroy it? Did you cehck the link I gave you. Your problem is that you try to establish that the Muslims are inncent heroes and all the falults are with the infidels. Yo referred to to your prophet. Do you have the guts to tolerate the wrong doings of your prophet which is a history too.
২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:৪৫
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: বীরেনদ্র ভাই আমি শুধু আপনার লিং টিই না আরো কয়েকটি লিং দেখেছি,আর বেশির ভাগ লিং এ নালন্দা যে উনি তৃতিয়বার আক্রমণে অংশ নেন তাই লেখা আছে ।কথা হল তার আগে যে দুজন নালন্দা আক্রমণ কারী ছিলেন তারা কিন্তু আঙ্গুল চুষেন নাই ।
তাছাড়াও ভালো করে ইতিহাস জেনে নিন আসলে খলজি সেখানে উপস্থিত হওয়ার আগ পযন্ত কি ঘটেছিল ।
আমি যতদূর জানি ৯৮৮ থেকে ১০৩৮ খ্রিস্টাব্দের ভিতরে বড় একটি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল নালন্দা মহাবিহারে ।
২৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০
বাংলার জামিনদার বলেছেন: সে ছিলো একজন বহিরাগত আক্রমনকারী, লুটেরা। ভাল বলার কারন কি????
২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:১৯
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: জমিদার ভাই তারে খারাপ বলারি কারন কি ?
২৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৩৯
ঝালমুড়ি আলা বলেছেন: জানা হল বখতিয়ার সম্পর্কে ।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:৪৭
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ।
২৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:২৯
সাগর মাঝি বলেছেন: ১২০১ সালে বখতিয়ার মাত্র দুই হাজার সৈন্য সংগ্রহ করে পার্শ্ববর্তী হিন্দু রাজ্যগুলো আক্রমণ এবং লুণ্ঠন করতে থাকেন। সেই সময়ে তার বীরত্বের কথা চারিদিক ছড়িয়ে পড়তে থাকে এবং অনেক ভাগ্যান্বেষী মুসলিম সৈনিক তার বাহিনীতে যোগদান করতে থাকেন। "
-আফগানী দস্যু ছিল এই জল্লাদ। চাঁদগাজী সাহেবের সাতে একমত।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:০৩
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: হু ঠিকই কইছেন আপনেরা এই পৃথিবীতে হিন্দু ধর্মই ঠিক । আর ইসলাম হইল মিথ্যা আর ইসলামের পক্ষে যে কথা বলবে সেই হল অমুক তমুক জল্লাদ ।চাঁদগাজী ভাইয়ের কথা কি আর কমু ? উনার একক পক্ষে রাজনীতি নিয়ে লেখা পোস্ট গত এক বছর ধরেই পড়ে আসছি । ধন্যবাদ ।
২৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৪২
নতুন বিচারক বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:০৫
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ বিচারক ভাই ।
২৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:১১
এস বি সুমন বলেছেন: বখতিয়ার খলজি নাকি ইসলামের বীর , কথাটা কি সইত্ত ?
২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:০৭
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ক্যান আপনি উনার ইতিহাস পড়েন নাই ?
৩০| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:১৬
সাগর মাঝি বলেছেন:
২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:২৮
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন:
৩১| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪
টারজান০০০০৭ বলেছেন: ১১৯৩ সালে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় পুরোপুরি ধ্বংস করার জন্য খিলজিকে দায়ী করা হয়। সেখানে থাকা সকল ছাত্রদেরকেও সে সময় হত্যা করা হয়।
ইহা তো তাহাই নির্দেশ করে যে তিনি নালন্দা ধ্বংস করিয়াছিলেন ! কিন্তু ব্লগার রমিত সাহেব প্রমান দিয়েছেন ইহা সত্য নহে !
আর আমাদের পাঁঠা , গোবৎস ব্লগারদের কথা আর কি বলিব , উহাদের কাছে বীর হইলো ডাকাইত শিবাজী ! যেসমস্ত মুসলমান বীরদের হাতে তাহাদের পূর্বপুরুষ মারা খাইছিলো, এমনকি টিপু সুলতানও তাহাদের কাছে সন্ত্রাসী, ডাকাইত ! গোবৎসরা ইহা কহিতে পারে, কারণ উনাদের পিছন এহনো ব্যাথা করে , তবে পাঁঠাগুলোর জ্বলে কেন বুঝিনা ! বিচি বড় হওনের জ্বালায় হইতে পারে !
১২ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যুদ্ধ মানেই ধ্বংস!
বারবার প্রমাণ হবার পরও আজো যুদ্ধ থামছে কই????
++++++++++