নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুরাণা দৈত্যের কাহিনী (প্রথম পর্ব)

০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:১৭

ওপরের ছবিটি রিচার্ড ওয়াগনারের ডের রিং ডেস নিবেলুনগেন এ আর্থার রিকম্যানের আকা দৈত্য ফাফনার ও ফ্যাসল্ট সেইজ ফ্রেজা।
বিভিন্ন পৌরানিক কাহিনী এবং কিংবদন্তীতে পরিচিত প্রকান্ড আকার ও শক্তির মানবাকৃতীর দানব হল দৈত্য। ১৯২৭ সালে সৃষ্ট জায়ান্ট শব্দটি গ্রীক পুরানের জিগান্টেস থেকে নেয়া হয়েছে।বিভিন্ন ইন্দো ও ইউরোপিয় পুরানে দানবীয় মানুষদের বিশৃঙ্খল এবং বন্য স্বভাবের আদিযুগিয় সৃষ্টি হিসাবে দেখানো হয়েছে এবং তারা ঈশ্বর তা সে অলিম্পিয়ান, সেলটিক, হিন্দু বা নর্সেরই হোক এর সাথে প্রায়ই সংঘর্ষে লিপ্ত থাকে। নার্সিয়ান ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত অ ইন্দো ইউরোপিয় মানুষের লোকগল্প ও পৌরানিক কাহিনীতেও দৈত্যরা একই ভূমিকা পালন করে থাকে।ওল্ডটেস্টামেনেও দৈত্যের উল্লেখ আছে যার মধ্যে বিখ্যাত হল গোলিয়াথ, বাসার রাজা ওজ ও নেফিলিম, আনাকিম এবং মিশরের দৈত্যের উল্ল্যেখ আছে একটি কাহিনীতে । তাদের অসাধরন শক্তি এবং শারিরীক গঠন আছে বলেও গন্য করা হয়।রুপকথার গল্প যেমন,জ্যাক দ্য জায়ান্ট কিলার, বোকা ও নৃশংস্য মাঝে মাঝে মানুষ বিশেষত বাচ্চাখেকো দৈত্যের আধুনিক ধারনা সৃষ্টি করেছে যদিও এটা স্পষ্টত স্বগোত্রভোগি অগ্রিদের সাথে একটি বিভ্রান্তী। জ্যাক এন্ড দ্যা বেনস্টাক এ অগরিকে প্রায়ই দৈত্য হিসাবে বর্ননা করা হয়। জোনাথান সুইফট এবং রোনাল্ড ডাল এর মত আধুনিক বর্ননায় কিছু দৈত্য একই সাথে বুদ্ধিমান এবং বন্ধুসুলভ।
এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে ওসমার স্কিন্ডলারের লিথোগ্রাফিতে গোলিয়াথের মূখোমুখি ডেভিড
সৃষ্টিতত্ত্ব প্লাবনের পূর্বে ও পরে নেফিলিমের কথা বলে।সৃষ্টিতত্ত্ব অনুযায়ি নেফিলিম প্লাবনে ধংস হয়েছিল কিন্তু নেফিলিমের কথা নিম্নলিখিত গুলোর সাথে বন্যার পরে উল্লেখ্য করা আছেঃ
• দ্যা আনাকাইট Numbers 13:28-33Numbers 13:28-33
• দ্যা এমাইটস Deuteronomy 2:10Deuteronomy 2:10
• দ্যা এমোরাইটস Amos 2:9Amos 2:9
• দ্যা রেফাইইটস Joshua 12:4Joshua 12:4
বাইবেল গগ এবং ম্যাগগ,যারা পরে ইউরোপিয়ান লোক কাহিনীতে প্রবেশ করে এবং ডেভিড ও ফিলিস্তিনী দৈত্য গোলিয়াথ এর মধ্যের বিখ্যাত যুদ্ধের কথা বলে।প্রথম শতাব্দীর ইতিহাসবিদ ফ্লাভিয়াস জোসেফাস খ্রীষ্টপূর্ব ১ম ও ২য় শতাব্দীর ডেড সী স্ক্রল মতে গোলিয়াথের উচ্চতা চার কিঊবিট এবং এক স্প্যান প্রায় ২.০০ মিটার বা প্রায় ছয় ফুট সাত ইঞ্চি , রাজা জেমসের বাইবেলের অনুবাদ গোলিয়াথ এর উচ্চতা ছয় কিউবিট ও এক স্প্যান প্রায় নয় ফুট নয় ইঞ্চি লম্বা বলে উল্ল্যেখ করে, কিন্তু গ্রীক বাইবেল সেপ্টুয়াগিন্ট গোলিয়াথের উচ্চতা চার কিউবিট এবং এক স্প্যান ২.০০মি উল্ল্যেখ করে ।সেই সময়ে টিকে থাকা জীবাশ্ম নমুনার দিকে নির্দেশ করে ইহুদী ইতিহাসবিদ ফ্লাভিয়াস জোসেফাস তার এন্টিকিউটিস অব দ্যা জিউস,সিরসা ৯৩ খ্রীষ্টাব্দ এ এমোরাইটদের দৈত্য হিসাবে বর্ননা করেছিলেন, যে কারণে তারা তাদের আস্তানা হেব্রনে সরিয়ে নিয়েছিল এবং যখন তারা এটা দখল করেন তারা সকল বাসিন্দাদের হত্যা করেন। তখন থেকে সেখানে দৈত্যের প্রজাতি রয়ে গিয়েছিল যাদের দেহ এত বড় এবং চেহারা অন্য মানুষদের চেয়ে এত ভিন্ন ছিল যে তারা দেখতে বিস্ময়কর ও শুনতে ভয়ংকর ছিল।এইসব মানুষের হাড় আজকের দিনেও দেখানো হয় যার সাথে অন্যান্য মানুষের কোন বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক নেই। ইসলামে জাবাবিরাট বা জাব্বিরুন নামে পরিচিত দৈত্য যেমন জালুট,গোলিয়াথ ও উজ ইবন আনাক এর ঊল্ল্যেখ আছে।বুক অব ইনোচ পতিত ফেরেশতা ও মরনশীল নারীর সন্তান হিসাবে দৈত্যদের বর্ননা করে।
জৈনদের বিবেচনা করা সময়ের ভাগ।বলা হয়ে থাকে আভাসপানির প্রথম চার আরা এবং উৎসারপানির শেষ চার আরাতে মানুষ বর্তমানের চেয়ে অনেক লম্বা ছিল।
জৈনদের মতে একসময় এই পৃথিবীর উপর দৈত্যরা হেটে বেড়াত। জৈন বিশ্বতত্ত্ব বিশ্বজনীন সময়ের চক্রকে দুই ভাগে বা অর্ধ চক্রে ভাগ করে,আভাসারপানিশুদ্ধতা কমার সময়, এবং বাড়ার,উৎসারপানি, জৈন গ্রন্থ মতে রিশাভার উচ্চতা সময়ের বর্তমান অর্ধচক্রের প্রথম তির্থাংকারা ৫০০ ধানুসা দীর্ঘ ধনু ছিল।চক্র এগোনর সাথে আভাসারপানিতে সকম মানুষ ও প্রানীর উচ্চতা কমে যায়।হিন্দু ধর্মে জায়ান্টদের দৈত্য বলে। দৈত্যরা ছিল দিতি এবং পরম জ্ঞানি কাশ্যপের সন্তান যারা তাদের দেব সৎ ভাইদের প্রতি ইর্ষাপরায়ন হয়ে ভগবান বা দেবতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। যেহেতু দৈত্যরা ক্ষমতা সন্ধানি তারা প্রায়ই দানব এবং অসুরের মত একই আদর্শের জাতির সাথে মৈত্রিতা করতো।দানব ও অসুরের সাথে দৈত্যদের মাঝে মাঝে হিন্দু পুরানে শয়তানের গোত্রগত নাম রাক্ষস নামে ডাকা হয়। কিছু পরিচিত দৈত্য হল হিরানায়কাশিপু এবং হিরানায়কাশা। মহাকাব্য রামায়নের প্রধান শত্রু রাবন পিতার দিক থেকে ব্রাক্ষ্মন এবং মায়ের দিক থেকে দৈত্য ছিল। বলা হয়ে থাকে তার ছোট ভাই পাহাড়ের মত লম্বা ছিল এবং ভাল স্বভাবের ছিল।

পাইউট মৌখিক ইতিহাস মতে সি-টে-কাহ বা সাই স্বগোত্রভোজী লাল চুলের দৈত্যের কিংবদন্তীতুল্য গোত্র, যাদের অবশিষ্টাংশ ১৯১১ সালে নেভাদার লাভরক কেভের গুয়ানো খনি শ্রমিকরা খুজে পেয়েছিল বলে মনে করা হয়। তদুপরি পাইউট সৃষ্টি গল্প সিয়ারা নেভাদা ও রকি মাউন্টেন এর মধ্যে একদা বসবাসরত সুন্দর দৈত্যের কথা বলে। বিকলাঙ্গ সন্তান জন্ম দেওয়ার পর দৈত্যরা শিশুটির সাথে এমন খারাপ ব্যাবহার করে যে মহৎ আত্মা ভূমিকে গরম ও নির্জন করে দেন এবং শত্রুদের দৈত্যদের বিজয় করার অনুমোদন দেন।শুধু দুজন দৈত্য বেচে ছিলঃপাইউট ও তার স্ত্রী গরম মরুভূমিতে থাকতে থাকতে যাদের চামড়া বাদামি হয়ে গিয়েছিল।এড্রিয়েন্নে মেয়র তার বই প্রথম আমেরিকানদের কিংবদন্তী তে সি-টে-কাহ সমন্ধে লিখেন।তিনি পরামর্শ দেন যে লাভরক কেভ এবং নেভাদার অন্যান্য শুকনা গুহার কঙ্কাল কে দৈত্য ব্যাখ্যা দেয়া শুরু করেছিল পর্যটন ব্যাবসায়িরা এবং কঙ্কালগুলা স্বাভাবিক আকারের ছিল। যদিও লাভরকের একশত মাইল উত্তরে ম্যামথ এবং গুহা ভালুকের জীবাশ্ম আছে এবং তাদের লম্বা অঙ্গকে অদক্ষ দর্শক দৈত্যের বলে ভাবতে পারে। তিনি লালচে চুলের ব্যাপারে যুক্তি দেখান যে মৃত্যুর পরে চুলের রঙ স্থায়ি হয় না এবং বিভিন্ন কারন যেমন তাপমাত্রা, মাটি ইত্যাদি পুরানো খুব কালো চুলকে জং ধরা লাল বা কমলাতে পরিণত করতে পারে।

তথ্যসূত্র ইন্টারনেট ।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৩৯

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: সত্যিই কি এই সব দৈত্য-দানবের অস্তিত্ব আছে নাকি ভাই ?

০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:২৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আল্লাহু মাবুদই জানেন ।

২| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার দৈত্য সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হলো।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:২৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ইসলাম ভাই ।

৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪

জাহিদ হাসান বলেছেন: ভালো লাগল।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:২৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ জাহিদ হাসান ভাই ।

৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২৩

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: জেনে ভালো লাগল দৈত্য বিষয়।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:২৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ মাস্টার সাব ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.