নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যযুগীয় ইসলামি বিশ্বে জ্যোতির্বিদ্যার ইতিহাস ৩য় পর্ব

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৫৪

হুইহুই লিফা ভিত্তিক কোরীয় আকাশসংক্রান্ত বিশ্ব।
মধ্যযুগীয় ইসলামি বিশ্বে জ্যোতির্বিদ্যার ইতিহাস ১ম পর্ব
মধ্যযুগীয় ইসলামি বিশ্বে জ্যোতির্বিদ্যার ইতিহাস ২য় পর্ব
জোসিওন যুগের গোড়ার দিকে ইসলামি বর্ষপঞ্জি বিদ্যমান চৈনিক নির্ভর বর্ষপঞ্জিসমূহের উপর তার উচ্চতর নির্ভুলতার কারণে বর্ষপঞ্জি সংস্কারের ভিত্তি হিসেবে কাজ করতো। হুইহুই লিফার কোরিয়ান অনুবাদ জামাল আদ-দীনও ছিলেন একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী । আর তার ইসলামি জ্যোতির্বিজ্ঞান-সংক্রান্ত রচনার সাথে চৈনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের সংমিশ্রনের এক পাঠ্য, ১৫ শতকে সেজোং-এর সময়ে জোসিওন রাজবংশে কোরিয়ায় পঠিত হয়। ১৯ শতকের গোড়ার আগ পর্যন্ত কোরিয়ায় চৈনিক-ইসলামি জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রথা টিকে ছিল।ইসলামে প্রথম শৃঙ্খলাবদ্ধ পর্যবেক্ষণ আল-মামুনের পৃষ্ঠপোষকতায় ঘটার বিবরণ পাওয়া যায়। দামাস্ক থেকে বাগদাদ পর্যন্ত আরও অনেক ব্যক্তিগত মানমন্দিরে, মাধ্যাহ্নিক মাত্রা পরিমাপ করা হয় সৌর স্থিতিমাপ স্থাপন করা হয়, এবং সূর্য, চাঁদ আর গ্রহসমূহের বিশদ পর্যবেক্ষণ সম্পন্ন করা হয়।

দশম শতাব্দীতে, বুওয়াহিদ রাজবংশ জ্যোতির্বিজ্ঞানের বিস্তৃত কাজ সম্পন্নে উৎসাহ প্রদান করে, যেমন একটি বিশাল-পাল্লার যন্ত্র গঠন যা দ্বারা ৯৫০ সালে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এ সম্পর্কে আরো জানা যায় জিজ-এ জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের যেমন ইবনে আল-আলম দ্বারা লিপিবদ্ধ বিবরণী থেকে। মহান জ্যোতির্বিজ্ঞানী আবদ আল-রহমান আল সুফি রাজকুমার আদুদ এবং-দৌলেহের পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন যিনি টলেমীর তারার তালিকা শৃঙ্খলাবদ্ধ পুনঃনিরীক্ষণ করেন। শারাফ আল-দৌলাও বাগদাদে একই রকম মানমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। এবং টলিডো এবং করডোবা’য় ইবনে ইউনুস এবং আল-জারকালের বর্ণনা তাদের সময়ে কৃত্রিম যন্ত্রের ব্যবহারের ইঙ্গিত করে।তিনি ছিলেন প্রথম মালিক শাহ যিনি সর্বপ্রথম বিশাল মানমন্দির স্থাপন করেন, সম্ভবত ইসফাহান-এ। সেটা এখানেই ছিল যেখানে ওমর খৈয়াম আরও অনেক সহকর্মীর সাথে একটি জিজ নির্মাণ করেন এবং ফার্সি সৌর বর্ষপঞ্জি ওরফে জালালি বর্ষপঞ্জি প্রস্তুত করেন। আর সেই বর্ষপঞ্জির আধুনিক এক রুপ এখনও বর্তমানে ইরানে দাপ্তরিকভাবে ব্যবহার হয়।সবচেয়ে প্রভাবশালী মানমন্দির যদিও স্থাপিত হয় হেলেগু খান দ্বারা ১৩শ শতকের সময়। এখানে, নাসির আল-দীন আল-তুসি মারাগায় এর প্রযুক্তিগত নির্মাণ তদারকি করেন। স্থাপনাটিতে ছিল হেলাগু খানের বিশ্রামাগার, সেই সাথে একটি গ্রন্থাগার এবং মসজিদ। সেইকালের বিশিষ্ট জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কয়েকজন সেখানে একত্র হতেন, এবং তাদের সহায়তায় টলেমীয় ব্যবস্থার গুরুত্মপূর্ণ অদলবদল উৎপন্ন হয় ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে। সমরকন্দের উলুগ বেগ মানমন্দির।
১৪২০ সালে, রাজকুমার উলুগ বেগ, নিজে একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং গণিতবিদ, সমরকন্দে আরেকটি বিশাল মানমন্দির নির্মাণ করেন যার ভগ্নাবশেষ ১৯০৮ সালে রাশিয়ান দল দ্বারা খনন করা হয়।এবং অবশেষে, অটোম্যান ইস্তাম্বুলে ১৫৭৭ সালে তাকি আল-দীন মুহাম্মদ ইবনে মা’রুফ এক বিশাল মানমন্দির স্থাপন করেন, যা মারাগা এবং সমরকন্দের গুলোর মত বিশাল ছিল। মানমন্দিরটি যদিও ক্ষণস্থায়ী ছিল, মানমন্দিরের বিরোধীরা ছিল এবং নিয়তির পূর্বলক্ষণ প্রাদুর্ভূত হল এবং মানমন্দিরটি ১৫৮০ সালে ধ্বংস হয়ে যায়।যদিও অটোম্যান পাদ্রীরা জ্যোতির্বিজ্ঞানের বিজ্ঞানের বিরোধিতা করতেন না, মানমন্দিরটি প্রধানত জ্যোতির্বিদ্যার জন্যে ব্যবহৃত হচ্ছিল, যার বিরোধিতা তারা করেন, এবং সফলতার সাথে এর ধ্বংস অন্বেষণ করেন। ত্বকি আল-দিনের মানমন্দিরের কাজ
মুসলিম জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের দ্বারা ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিসমূহ সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানের উৎস দুটিঃ প্রথমত বর্তমানের ব্যক্তিগত এবং জাদুঘরে অবশিষ্ট সংগ্রহ থেকে এবং দ্বিতীয়ত মধ্যযুগের সংরক্ষিত গ্রন্থ এবং পাণ্ডুলিপি। স্বর্ণযুগের মুসলিম জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা তাদের সময়ে্র আগে থেকে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিসমূহের প্রচুর উন্নতিসাধন করেন যেমন নতুন পাল্লা বা বিবরণ যোগ।আকাশ সংক্রান্ত বিশ্ব এবং আরমিলেয়ারি গোলকসমূহ সাধারণত আকাশ সংক্রান্ত গোলকসমূহ জ্যোতির্বিজ্ঞানে সমস্যাসমূহ সমাধানে ব্যবহৃত হত। বর্তমানে, এমন ১২৬টি যন্ত্র পুরো পৃথিবীতে অবশিষ্ট আছে ।আর সবচেয়ে পুরনোটি ১১দশ শতাব্দী থেকে। সূর্যের উচ্চতা, অথবা তারকারাজির সঠিক উদয় বা বিনতি এসব দ্বারা হিসেব করা যায় পর্যবেক্ষকের অবস্থান গোলকের চরম বলয়ে প্রবেশ করে।
একটি আরমিলেয়ারি গোলকের প্রয়োগও একই রকম। প্রাচীন কোন ইসলামি আরমিলেয়ারি গোলক বিদ্যমান নেই কিন্ত বলয়যুক্ত যন্ত্রের উপরে বেশ কিছু গ্রন্থ লেখা হয়েছিল। এই প্রসঙ্গেও একটি ইসলামি উন্নয়ন আছে, গোলাকার এস্ট্রোলোব যার মাত্র একটি সম্পূর্ণ যন্ত্র ১৪দশ শতাব্দীর বিদ্যমান আছে।তামার এস্ট্রোলোবসমূহ ছিল একটি গ্রীক আবিষ্কার। এস্ট্রোলোব প্রস্তুতকারী প্রথম ইসলামি জ্যোতির্বিজ্ঞানী হচ্ছেন মুহগামাদ আল-ফাজারি । স্বর্ণযুগে ইসলামি বিশ্বে এস্ট্রোলোব জনপ্রিয় ছিল প্রধানত কিবলা খোঁজার সহায়ক হিসেবে। সবচেয়ে প্রাচীন জ্ঞাত উদাহরণ হল ৯২৭/৮ বা হিজরি পরবর্তী ৩১৫।যন্ত্রগুলো ব্যবহৃত হত সূর্য এবং স্থায়ী তারাগুলোর উদয়ের সময় জানার জন্য। আন্দালুসিয়ার আল-জারকালি এ ধরণের এক যন্ত্র তৈরি করেন যা, তার পূর্বসূরিদের বিসদৃশ পর্যবেক্ষকের অক্ষাংশের উপর নির্ভর করত না এবং যে কোন স্থানে ব্যবহার করা যেত। ইউরোপে যন্ত্রটি সাফিয়া নামে পরিচিতি লাভ করে।

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:১৯

মলাসইলমুইনা বলেছেন: মুটামুটি আপনার বলা সময়েই দশম শতকে মুসলিম বিজ্ঞানী আল খুজান্দি আবিষ্কার করেন আকাশে নক্ষত্র অবস্থানের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র সেক্সট্যান্ট |আল খুজান্দির আবিষ্কৃত বিরাটকায় এই সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের প্রথম স্থাপন করা হয় তেহরানের কাছে একটি অব্জার্ভেটরিতে | এই যন্ত্রের ওপর ভিত্তি করেই এই সেদিন পর্যন্তও নৌ জাহাজগুলো সমুদ্রে দিক নির্নীয় করতো |

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫২

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: সুন্দর কমেন্টির জন্য ধন্যবাদ।

২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:২৪

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: ভালো লাগলো। একসময় স্বর্ণযুগ ছিল এখন ৮/১০ টি বিয়ে করতে ব্যস্ত মুসলিমরা। আফসোস........।

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫৫

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: বিয়ের জন্য কোথাও কোনও ধর্মে বাধা নিষেধ আছে ? বা বিয়ের সংখ্যা নির্ধারণ ধার্য করা আছে।

৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: মুসলমানদের অতীত ইতিহাস বই পড়ার ইতিহাস। জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার ইতিহাস। অতীত ইতিহাস থেকে প্রেরণা নিয়ে জ্ঞান-বিজ্ঞানে পুনরায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্য আজ সারাবিশ্বের মুসলমানদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। কারণ আল কুরআনে বার বার জ্ঞান চর্চার বিষয়ে তাগিদ দেয়া হয়েছে।

১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই সত্যকথাটুকো বলার জন্য । আরো ধন্যবাদ এই গুরুত্বপূর্ণ কথাটির জন্যঃমুসলমানদের অতীত ইতিহাস বই পড়ার ইতিহাস। জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার ইতিহাস। অতীত ইতিহাস থেকে প্রেরণা নিয়ে জ্ঞান-বিজ্ঞানে পুনরায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্য আজ সারাবিশ্বের মুসলমানদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। কারণ আল কুরআনে বার বার জ্ঞান চর্চার বিষয়ে তাগিদ দেয়া হয়েছে।

৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ ভোর ৪:২৩

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন ভাই ভাবিয়া বুঝিয়া কমেন্ট করলে ভালো হয় না।আপনার একটা কমেন্টও ভালো হচ্ছে না। :)

১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ হাসু ভাই।

৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:৫৮

মলাসইলমুইনা বলেছেন: জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন সাহেব, আপনার মন্তব্যটা দেখে খানিকটা হতাশ হয়েছি |আপনি সাধারণ ইন্টারনেট সার্চ দিয়েই মন্তব্যটা করেছেন মনে হয় | আপনি যেটা বলেছেন সেটা হলো সেক্সট্যান্টের মডার্ন ভার্সনের কথা যেটা ১৭০০ সালের শেষ দিকে আবিষ্কার করা হয় | কিন্তু সেক্সট্যান্টের মূলা ধাৰণাতা এতো নতুন হলে মানুষে পক্ষে সমুদ্রে এই সময়ের আগে যাতায়াত করা কঠিন হয়ে যেত | যাহোক, আমি যেটা বলেছি সেটা অবশ্যই সত্যি | মুসলিম এসট্রনোমার আল খুজান্দি ৯০০ শতকে প্রথম সেক্সট্যান্ট আবিষ্কার করেন | সেক্সট্যান্ট কথাটা ল্যাটিন | আরবদের কাছে এটা ভিন্ন নাম পরিচিত ছিল | আমি গোটা পঞ্চাশেক মুসলিম লেখকদের বই আর মুসলিম অর্গানাইজেশনের ওয়েব সাইটের উদাহরণ দিতে পারতাম আমার তথ্যের পক্ষে |সেটা দিচ্ছি না |একজন পাশ্চাত্যের একাডেমিকের গবেষণা আর্টিকেলের উদাহরণ সেই আমার তথ্যের পক্ষ্যে | Thomas Hockey et al. (eds.). The Biographical Encyclopedia of Astronomers, New York: Springer, 2007, pp. 630-৬৩১ বইটা কষ্ট করে পড়ুন আমার কথার সত্যতা পেয়ে যাবেন | তারপরেও আপনার সন্দেহ দূর করতে এই বইয়ে Glen Van Brummelen-এর লেখা Khujandī: Abū Maḥmūd Ḥāmid ibn al‐Khiḍr al‐Khujandī চ্যাপ্টার থেকে একটা কোট করি " Khujandī's towering achievement, the giant mural sextant near Rayy, was perhaps the most ambitious instrument of its time." আল খুজান্দি-র আবিষ্কৃত এই সেক্সট্যান্ট যন্ত্রটা পরিচিত ছিল suds al‐Fakhrī নামে কারণ তাকে এই কাজে পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন বাদশাহ Fakhr al‐Dawla ' | একাডেমিক পাবলিকেশনের ব্যাপারে আপনার ধারণা থাকলে আপনি নিশ্চই জানবেন আমেরিকা বেইসড Springer, একাডেমিক পাবলিকেশনের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান | তাই সেটার একটা উৎসের কথাই বললাম |পাশ্চাত্যের আরো অনেক একাডেমিকের আলোচনা থেকেই আমি এখনই আরো উদাহরণ দিতে পারতাম |অনেক বড় হয়ে যাবে দেখে সেই চেষ্টা করলাম না | অনেক ধন্যবাদ |

১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: বাদ দিনতো ভাই,যে যা বুঝে তারে তা নিয়েই পড়ে থাকতে দিন ।

৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১৮

তারেক ফাহিম বলেছেন: মুসলমানদের অতিত ইতিহাস জানার প্রেরণার জন্য এই ধরনের পোষ্ট আমার কাছে গুরুত্বপুর্ণ++

১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তারেক ভাই আমাকেও অনপ্রেরণা দেবার জন্য।

৭| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ভালো লাগল ।

১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মফিজ ভাই।আছেন কেমন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.