নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামের মূল উৎস কুরআন করীমে উদাত্ত কন্ঠে রোযা সম্পর্কে যা ঘোষণা করা হয়েছে

১৯ শে মে, ২০১৮ রাত ১:২৪

হে যারা ঈমান এনেছ তোমাদের ওপর রোযা ফরজ করা হয়েছে যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল। যাতে করে তোমরা তাক্ওয়া অবলম্বন করতে পার”। (সূরা বাকারা: ১৮৩)

অন্য এক আয়াতে মহান রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেছেন,
রমযান মাস হচ্ছে সেই মাস যার মাঝে কুরআন করীম নাযেল করা হয়েছে। যা মানুষের জন্য পরিপূর্ণ হেদায়াত, পথ প্রদর্শনের দলিল এবং সত্য ও মিথ্যার মাঝে পার্থক্য নির্ণয়কারী। সুতরাং তোমাদের মাঝে যে এই মাসকে পাবে তাকে অবশ্যই রোযা রাখতে হবে। আর যদি কেউ রুগ্ন হয় অথবা সফরে থাকে তাহলে সে সমপরিমাণ রোযা অন্যান্য দিনসমূহে আদায় করবে। আল্লাহ্ পাক তোমাদের জন্য স্বাচ্ছন্দ চান এবং তোমাদের জন্য কাঠিন্য চান না এবং যেন তোমরা গণনা পূর্ণ কর এবং আল্লাহর মহিমা কীর্তন কর এইজন্য যে, তিনি তোমাদেরকে হেদায়াত দিয়েছেন এবং যেন তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর”। (সূরা বাকারা: ১৮৬)

হযরত আদম (আঃ) যখন নিষিদ্ধ ফল খেয়েছিলেন এবং তারপর তাওবাহ করেছিলেন তখন ৩০ দিন পর্যন্ত তার তাওবাহ কবুল হয়নি। ৩০ দিন পর তার তাওবাহ কবুল হয়। তারপর তার সন্তানদের উপরে ৩০টি রোযা ফরয করে দেয়া হয়।
নূহ (আঃ)-এর যুগেও রোযা ছিল। রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেন: হযরত নূহ (আঃ) ১লা শাওয়াল ও ১০ জিলহজ ছাড়া সারা বছর রোযা রাখতেন ।

হযরত নূহ (আঃ)-এর পরে নামকরা নবী ছিলেন হযরত ইবরাহীম (আঃ)। তার যুগে ৩০টি রোযা ছিল বলে কেউ কেউ লিখেছেন। হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর কিছু পরের যুগ বৈদিক যুগ।ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, বেদের অনুসারী ভারতের হিন্দুদের মধ্যেও ব্রত অর্থাৎ উপবাস ছিল। প্রত্যেক হিন্দী মাসের ১১ তারিখে ব্রাহ্মণদের উপর একাদশীর’ উপবাস রয়েছে।

হযরত দাউদ (আঃ)-এর আমলে রোজা ছিল। হযরত মূসা (আঃ)-এর পর কিতাবধারী বিখ্যাত নবী ছিলেন হযরত দাউদ (আঃ)। তার যুগেও রোযার প্রচলন ছিল। আল্লাহর রাসুল বলেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার নিকট সবচেয়ে প্রিয় রোযা হযরত দাউদ (আঃ)-এর রোযা। তিনি একদিন রোযা রাখতেন এবং একদিন বিনা রোযায় থাকতেন (নাসাঈ ১ম খণ্ড ২৫০ পৃষ্ঠা, বুখারী, মুসলিম,মিশকাত ১৭৯ পৃষ্ঠা)। অর্থাৎ হযরত দাউদ (আঃ) অর্ধেক বছর রোযা রাখতেন এবং অর্ধেক বছর বিনা রোযা থাকতেন।

রোজা রাখা বা সিয়ামের উদ্দেশ্য হলো, পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা এবং নিজেদের কামনা-বাসনা নিয়ন্ত্রণের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পরহেজগারি বা তাকওয়া বৃদ্ধি করা। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর; যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো (সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৩)।তাকওয়া শব্দটির মূল অর্থ রক্ষা করা। এর অনুবাদ করা হয়েছে নানাভাবে। যেমন পরহেজগারি, আল্লাহর ভয়, দ্বীনদারি, সৎ কর্মশীলতা, সতর্কতা প্রভৃতি। রোজা রাখা হয় এ জন্য যে এই তাকওয়ার দীক্ষায় আমরা দীক্ষিত হবো। রোজা ঢালের মতো কাজ করে, যা গোনাহের হাত থেকে আমাদের বাঁচায়। এর মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে আমরা আখেরাতে আল্লাহতায়ালার প্রদত্ত শাস্তি থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারি ।

রোজার কিছু মৌলিক আচার
ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের দ্বিতীয়টি হলো রোজা। রোজার কিছু মৌলিক আচার আছে। যা ফরজ বলে চিহ্নিত। অন্যদিকে ইসলাম কোনো ক্ষেত্রেই জোরজবরদস্তি করে না। রোজার ক্ষেত্রেও তাই। সুস্থ-সবল প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিমকে অবশ্যই রোজা রাখতে হবে। কিন্তু শারীরিক অসমর্থতার কারণে সে এ দায়িত্ব থেকে আপাতভাবে মুক্তি পেতে পারে। এর প্রতিবিধানে রয়েছে কাজা ও কাফফারার বিধান। ইসলাম নিজেকে সরল পথ বলে দাবি করে। তাই আচারিকভাবে সকল অবস্থা বিবেচনায় করা হয়। নিচে রোজার ফরজ এবং শর্তগুলো দেওয়া হলোঃ

রোজার ৩ ফরজ ঃ
১। নিয়ত করা ২। সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকা ৩। যৌন আচরণ থেকে বিরত থাকা।
রোজা রাখার ৪ শর্ত ঃ
১। মুসলিম হওয়া ২। বালেগ হওয়া ৩। অক্ষম না হওয়া ৪। ঋতুস্রাব থেকে বিরত থাকা নারী।

যেসব কারণে রমজান মাসে রোজা ভঙ্গ করা যাবে কিন্তু পরে কাজা করতে হয় তা হচ্ছেঃ
১। মুসাফির অবস্থায় ২। রোগ-ব্যাধি বৃদ্ধির বেশি আশঙ্কা থাকলে ৩। মাতৃগর্ভে সন্তানের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে ৪।
এমন ক্ষুধা বা তৃষ্ণা হয়, যাতে মৃত্যুর আশঙ্কা থাকতে পারে ৫। শক্তিহীন বৃদ্ধ হলে ৬। কোনো রোজাদারকে সাপে দংশন করলে
৭। মহিলাদের মাসিক হায়েজ-নেফাসকালীন রোজা ভঙ্গ করা যায়।




মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০১৮ সকাল ৭:১৮

এভো বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম, আপনার এই পোষ্ঠ থেকে , ধন্যবাদ ।

১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

২| ১৯ শে মে, ২০১৮ সকাল ৮:০২

আকিব হাসান জাভেদ বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট । আল্লাহ যেনো আমাদের সুস্থভাবে রোজা রাখার তৌফিক দান করেন। আমিন।

১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আমীন।

৩| ১৯ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: ইসলামী গান লেখার লোক নাই দেশে। অথচ ফিলিস্তিনসহ সারাবিশ্বে মুসলমানদের যে অবস্থা, তাতে সবচেয়ে বেশী হামদ, নাত, গজল হওয়ার কথা। ঘুরে ফিরে সেই নজরুলেই ভরসা। অনেস্টলি দেড়শ বছর আগের গানগুলি আর চলে না। মরা বাড়িতে বিলাপের মত শোনায়।

১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আপনি চাইলে লিখতে পারেন।

৪| ১৯ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:০১

চোরাবালি- বলেছেন: সুন্দর সংক্ষিপ্ত আলোচনা, ভালো লাগল।

১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৫| ২১ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:২৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: অনেক কিছুই জানা হল ধন্যবাদ।

১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মফিজ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.