নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ ঐতিহাসিক ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান দিবস

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৭


১৯৬৯ সালের এই দিনে বাঙালির স্বাধিকার আদায়সহ পাকিস্তানি স্বৈরশাসক জেনারেল আইয়ুব খানবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে মতিউর রহমান, মকবুল, রুস্তমসহ পাঁচজন শহীদ হন। তাদের রক্তের সিঁড়ি বেয়ে আইয়ুববিরোধী গণআন্দোলনসহ স্বাধীনতা আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নিয়েছিল।বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির মুক্তিসনদ ৬ দফা দেয়ার কারণে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝোলাতে চেয়েছিলো পাকিস্তানি শাষকগোষ্ঠী। কিন্তু সেদিন বিক্ষুব্ধ বাংলার মানুষ দ্রোহের আগুনে জ্বলে উঠে ব্যাপক গণঅভ্যুত্থান-গণবিস্ফোরণের মুখে আইয়ুব খানকে ক্ষমতার মসনদ থেকে বিদায় জানায় এবং দীর্ঘ ৩৩ মাস কারাগারে আটক প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে মুক্ত করে আনে।বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসন, শোষণ এবং বঞ্চনা থেকে বাঙালিকে মুক্ত করতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ৬ দফা ঘোষণা করেন। এতে স্বাধিকার আন্দোলনের গতি তীব্রতর হলে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করে বঙ্গবন্ধুকে বন্দি করে। এর বিরুদ্ধে ছাত্র-কৃষক-শ্রমিক-জনতার দেশব্যাপী দুর্বার এবং স্বতঃস্ফূর্ত গণআন্দোলন শুরু হয়।এক পর্যায়ে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি ঢাকায় হরতালের ডাক দেয়া হয়। আর সেই হরতাল চলাকালে সচিবালয়ের সামনে আবদুল গণি রোডে শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর পুলিশ গুলি চালায়। তাতে বকশীবাজার নবকুমার ইনস্টিটিউটের ৯ম বা ১০ম মেধাবী ছাত্র মতিউর রহমান মকবুল, রুস্তমসহ পাঁচজন শহীদ হয়েছিল। সেদিন মতিয়ুরের বুক পকেটে পাওয়া গিয়েছিল একটি চিরকুট। তাতে লেখা ছিল মা আমি মিছিলে যাচ্ছি। যদি ফিরে না আসি তুমি মনে করো তোমার ছেলে বাংলার মানুষের জন্য জীবন দিয়ে গেছে। ইতি- মতিয়ুর রহমান, পিতা আজহার উদ্দিন মল্লিক, নবকুমার ইন্সটিটিউট। ন্যাশনাল ব্যাংক কলোনি, মতিঝিল।তার আগে ২০শে জানুয়ারি পুলিশের গুলিতে আসাদুজ্জামান আসাদ শহীদ হওয়ায় গোটা পূর্ব পাকিস্তান এমনিতেই বিক্ষোভে তেতে ছিল। ২৪শে জানুয়ারি মতিউরদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে সামরিক শাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন দুর্বার গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। ডাকসুর তৎকালীন ভিপি এবং ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে ছাত্রসমাজের পাশাপাশি রাজপথে নামে বিক্ষুব্ধ বাঙালি। অবশেষে গণঅভ্যুত্থানের মুখে আইয়ুব খান বঙ্গবন্ধুসহ রাজবন্দিদের মুক্তি দেয়ার পাশাপাশি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন।

৪ জানুয়ারি - সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ তাদের ঐতিহাসিক ১১ দফা কর্মসূচী পেশ করেন।
৭ ও ৮ জানুয়ারি - গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে রাজনৈতিক ঐক্য ডেমোক্রেটিক অ্যাকশন কমিটি বা ড্যাক (DAC) গঠিত হয়।
২০ জানুয়ারি - ছাত্রদের মিছিলে গুলিবর্ষনের ঘটনায় নিহত হন ছাত্র আসাদুজ্জামান।

২৪ জানুয়ারি - পুলিশের গুলিতে নিহত হন কিশোর ছাত্র মতিয়ুর রহমান-সহ আরো অনেকে।
১৫ ফেব্রুয়ারি - কুর্মিটোলা ক্যান্টনমেন্টে আটক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামী সার্জেন্ট জহুরুল হক কে হত্যা ।
১৮ ফেব্রুয়ারি - রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মৌন মিছিলে গুলি চালালে নিহত হন শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহা।
২১ ফেব্রুয়ারি - আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার।
২৬ ফেব্রুয়ারি - বিরোধী নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনার জন্য আইয়ুব খান গোলটেবিল বৈঠক আহবান করেন। পরবর্তীতে গোলটেবিল বৈঠক ব্যর্থ হলে আইয়ুব খান পদত্যাগ করেন।

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকা
৮ ডিসেম্বর ১৯৬৮ - নীলক্ষেতে ওয়াবদার কর্মচারী আব্দুল মজিদ ও গুলিস্তানে সাইকেল মিস্ত্রি আবু।
৯ ডিসেম্বর ১৯৬৮ - ফৌজদার হাটে শ্রমিক মুসা মিয়া।
২৯ ডিসেম্বর ১৯৬৮ - হাতির দিয়ায় কৃষক মিয়া চাঁন, হাসান আলী, চেরাগ আলী এবং শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান।
১৮ জানুয়ারি ১৯৬৯ - রূপগঞ্জে ছাত্র হাফিজ আহমেদ।
২০ জানুয়ারি ১৯৬৯ - ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে ছাত্র ও কৃষক সংগঠক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আসাদ।
২৪ জানুয়ারি ১৯৬৯ - সেক্রেটারিয়েটের সামনে ছাত্র মতিয়ুর রহমান মল্লিক,রচ্স্তম আলী ও ময়মনসিংহে ছাত্র আলমগীর মনসুর এবং চট্টগ্রামে শ্রমিক হাসানুজ্জামান ও জানু মিঞা।
২৫ জানুয়ারি ১৯৬৯ - নাখালপাড়ায় গৃহবধু আনোয়ারা বেগম, তেজগাঁতে ছাত্র আব্দুল লতিফ, ধানমণ্ডি এলাকায় চাকুরীজীবি রহিমদাদ।
২৬ জানুয়ারি ১৯৬৯ - ঢাকায় শ্রমিক সরল খান, শিমুলিয়া রেলস্টেশনে আনোয়ার আলী, সিদ্দিরগঞ্জে জুলহাস শিকদার।
২৭ জানুয়ারি ১৯৬৯ - গৌরিপুরে ছাত্র হারচ্ন আব্দুল আজিজ।
৩০ জানুয়ারি ১৯৬৯ - জাজিরায় ছাত্র আলাউদ্দীন ও নৌকার মাঝি আব্দুল জব্বার মাঝি
১ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ - জলির পাড় ছাত্র মহানন্দ সরকার ছাত্র।
৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ - ঢাকায় শ্রমিক আব্দুল আলী।
৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ - রাজারগাঁও ছাত্র মজিবর রহমান ও কামাল উদ্দীন আকন্দ।
১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ - নবীনগর, নারায়নগঞ্জে ছাত্র মাজাহার আহমেদ ও ঢাকা সেনানিবাসে সৈনিক সার্জেন্ট জহুরুল হক।
১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ - নাজিরা বাজারে প্রেসকর্মী ইসহাক।
১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ - সোনাদিঘীর পাড়, রাজশাহীতে সিটি কলেজ ছাত্র ও ছাত্রনেতা নূরুল ইসলাম খোকা , রামেক হাসপাতালে শিক্ষক ড. মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা ও নাজিরাবাজারে চাকুরীজীবি রহমতুল্লাহ।
১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ - ঢাকায় শ্রমিক লোকমান, মুজিবুর রহমান, মালিবাগে দর্জি আতাহার খান, হোটেল বয় শামসু আইসক্রীম বিক্রেতা আব্দুল আলী, কাঠমিস্ত্রী আবুল হাশেম, সেনবাগে ছাত্র খোরশেদ আলম, সেনবাগ- নোয়াখালীতে শ্রমিক হাফিজুর রহমান, আব্দুর রহমান, ছাত্র আবুল কালাম, শামসুল হক, কুষ্টিয়ায় চাকুরীজীবি আব্দুর রাজ্জাক।
২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ - ঢাকা সেনানিবাসে মু. দেলওয়ার হোসেন।
২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ - দৌলতপুরে ছাত্র আবদুস সাত্তার, মনিরচ্জ্জামান, নৈশবিদ্যালয়ের ছাত্র ও শ্রমিক মাহতাক আলী, শ্রমিক ইসরাফিল বান্দো, আলতাব, হাবিবুর রহমান,নাসির, লোকনাথ।
২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ - বরিশালে ছাত্র আলাউদ্দীন, ঢাকায় শ্রমিক আব্দুস সাত্তার।
৭ মার্চ ১৯৬৯ - টাঙ্গাইলে ছাত্র বিশ্বনাথ সাহা।
৮ মার্চ ১৯৬৯ - শেরপুরে ছাত্র দারোগ আলী।
২৩ মার্চ ১৯৬৯ - মানিকগঞ্জে ছাত্র আবদুল কাদের।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কবির১২০৩ বলেছেন: আমি এইচ ডি মুহাম্মদ কবির হোসেন বললাম পোস্টটি একটি ফালতু।
জাতিকে নতুন কিছু দেন।

ব্লগ সার্চম্যান ,আমি মর্মহত আমার অদ্যকার লেখায় এইচ ডি মুহাম্মদ কবির হোসেনের উক্ত মন্তব্যে

'৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থান দিবসঃ ঐতিহাসিক এই দিনটিকে স্মরণ করছি গভীর শ্রদ্ধায়

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩১

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ নুরু ভাই। বিষয়টা দেখে আমি মর্মাত। আসলে এরা ব্লগে থাক বাদ দেন ভাই শুধু শুধু ঝগরা ক্যাচাল করার প্রয়োজন নাই।

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৪

নজসু বলেছেন:



শহিদদের শ্রদ্ধা জানাই।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: গভীর শ‍্রদ্ধাঞ্জলি।

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: দিনটি যে আপনি স্মরন রেখেছেন এর জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: সাথে এসে যোগ দেয়ায় আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।

৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৫২

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এমন সুন্দর একটি পোষ্ট দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০১

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদুর রহমান ভাই। শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধঞ্জলি।

৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আত্ম জাগরনের এই দিন শুধু স্মরনে নয়, হৃদয়ের গহনে চেতনার স্ফূলীংগ ছড়িয়ে দিক!
যুগ যুগে কালে কালে জালিম আর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে দ্রোহের শিক্ষা লয়ে!

অনেক ধন্যবাদ ভাই দিবসের স্মরণে পোষ্টে দেয়ায়

+++++++

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: শহীদদের আত্মত্যাগ আমাদের চেতনাকে যেন একটা সুন্দর দূর্নীতি মুক্ত দেশ করা সহায়ক হয় সে দোআ থাকল দেশের সকল রাজনীতিবিধদ এবং গণতন্ত্র হত্যাকারী দেশের মাহাজনদের প্রতি। ধন্যবাদ ভ্রাতা।

৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:

ঐ সময়ের নেতাকে হত্যা করার পর, দেশের অর্ধেক বাংগালী তা সাপোর্ট করে চলেছে আজও।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: শুধু ওই সময় কেন এখনোতো নেতাদের হত্যা করলে বাঙ্গালীরা সাপোট করেন।

৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৮

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ম্যালাদিন পর বন্ধুবর,
কেমন আছেন?

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২১

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: এইতো আছি ভাই । আপনার খবর কি ? ভোট দিয়েছিলেন ভাই নাকি আমার মত আপনারও আগেই মেরেছিল ?

৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১৬

অস্বাধীন নাগরিক বলেছেন: অনেক তথ্য সমৃদ্ধ লেখাটির জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৬

চাঁনমিয়া বলেছেন: অনেক ভাল লাগল তথমূলক পোস্ট ।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০০

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ইতিহাস জেনে ভালো লাগল।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ হাসু ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.