নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শখ : লেখালেখি, ফটোগ্রাফি। প্রথম বই : বন্ধু মানে বোধহয়, প্রকাশকাল : ১৯৯৯। দ্বিতীয় বই : বৃষ্টি রেখেছে জলজ স্মৃতি, প্রকাশকাল : ২০১০।

অয়ন আহমেদ

একদিন ফিরে এসে যদি দেখিস কোথাও জল জমে আছে তাহলে বুঝে নিস কেউ এসে চোখের জল ফেলে গেছে।

অয়ন আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অ আ আজকের লেখালেখি - ২১৩ (তথাকথিত দেশপ্রেম ও আমাদের বিকৃত ইতিহাস)

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৯

আমার সোনার বাংলা

আমি তোমায় ভালবাসি

চিরদিন তোমার আকাশ

তোমার বাতাস

আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি

সোনার বাংলা

আমি তোমায় ভালবাসি।



এই দারুন গানটার জন্যে আমি গর্ব করি। আমি গর্ব আমি একটা সোনার দেশের নাগরিক। বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে সিনেমা হলগুলোতে যখন এই গানটার সুর বাজে তখন আমরা সবাই এক পতাকা তলে দাঁড়িয়ে যাই। আমরা আমার দেশটাকে যে প্রচন্ড ভালবাসি সেটি আমরা কোন না কোনভাবে চেষ্টা করি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, অনেকে সিনেমা হলগুলোতে আমি অনেককে দেখেছি আমাদের জাতীয় পতাকা দেখে পাঁচটা মিনিট দাঁড়িয়ে তারা সম্মান দেখাতে চান না তখন তারা পপকর্ন চিবুতে চিবুতে সিনেমা আরম্ভের জন্যে অপেক্ষা করতে থাকেন। আমি দু'একজনকে ধমকের সুরে বলেছিলাম, বসে আছেন কেন? দাঁড়াতে কি কষ্ট লাগে? কিন্তু তাকে দাঁড় করানো যায় নি। কেননা, সেখানে আমি ছাড়া আর কেউ প্রতিবাদ করে নি। এ সামান্য শ্রদ্ধা থেকে কিন্তু দেশের প্রতি নুন্যতম দায়িত্ববোধ জন্ম নেয়। পরবর্তীতে সেটি বড় আকার হলে সেটি আমরা বলি দেশপ্রেম। বিজয় দিবস এলে আমাদের শহরটা পতাকায় ভরে যায় সবুজ পতাকায় আকাশে বাতাসে গাড়ীতে বাড়িতে সর্বত্র পতাকা উড়ে কিন্তু বাকী দিনগুলোতে পতাকার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। বিজয় দিবস শেষে আমাদের পতাকাগুলো মাটিতে পড়ে থাকে তাই আমরা আসলে এক দিনের বাংলাদেশী। বছরে একবার দেশের জন্যে মাতাল থাকি। দেশপ্রেম তাই কৈশরের প্রেমের মতন, হুজুগে ভালবাসা।



বরাবরের মতন একুশে বইমেলা শুরু হয় ভাষা আন্দোলনের মাসে। কিন্তু নতুন প্রজম্মে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস জানে না এমনকি তাদের পূর্ব প্রজন্ম তাদেরকে ঘন কুয়াশায় রেখে দেয়। মিডিয়া চ্যানেলগুলো যখন আহ্লাদি গলায় প্রশ্ন করে, "২১ ফেব্রুয়ারীতে কি হয়েছিল?"। প্রায়শই শুনতে পাই অন্যমুখগুলো সহজ প্রশ্নের অবাক উত্তর,"যুদ্ধ হয়েছিল, অনেক রক্ত, অনেক বোম ফুটে ছিল"। নতুন প্রজম্ম ইতিহাসকে গুলে ফেলেছে। আমাদের যারা ইতিহাসের অংশের মানুষগুলো নিজেরা ইতিহাস বিকৃত করে রেখেছে । তাই আমরা বির্তক করি স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে। আমরা কোনদিন জানতে চাই না, আজকের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ সাহেব কি করে মহান নেতা হলেন? কেন জিয়াকে যুদ্ধ ঘোষনা করতে হয়েছিল? ভাষানী কেন আড়ালে চলে গেলেন? কেন তাজউদ্দিনসহ অনেক নেতাকে মেরে হল? যুদ্ধ পরবর্তীতে কেন মুক্তিযোদ্ধাদের আওয়ামীপন্থীরা হত্যা করলো? কেন জাসদ প্রতিবাদ করলো না? রাজাকারকে কেন ক্ষমা করেছিল? এই অংসখ্য অমীমাংসিত ঘটনাগুলোর জন্যে আজ আমরা নতুন প্রজম্ম হাতে পেয়েছি বিকৃত ইতিহাস। আগামীতে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেনীতে ভাষানীর নাম কেউ খুঁজে পাবে না সম্প্রতি বাদ দেওয়া হয়েছে। একসময় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা যারা ছিলেন যুদ্ধচলাকালীন সময়ে কোলের শিশু কিংবা অনাগত শিশু ছিল তারা আমাদের অনাগত শিশুদেরকে যুদ্ধের গল্প শোনাবে। তারপর আমাদের পরবর্তী বংশধররা বলবে, বাবা জানো, একসময় আমাদের দেশে না যুদ্ধ হয়েছিল অনেক বড় বড় এটম বোমা ফেটেছিল কত মানুষ মরে গিয়েছিল। কিন্তু বাবা তুমি তাহলে বেঁচে আছো কি করে ? আমি তখন মুচকি হাসবো।



১০ই জানুয়ারী,২০১৩

--------------------------------------------------------------------------------

লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ২১৩/৩৬৫

(বিলম্বে আপলোডের জন্যে দুঃখিত।)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

এহসান সাবির বলেছেন: আমরা নতুন প্রজম্ম হাতে পেয়েছি বিকৃত ইতিহাস এবং আমাদের পরের প্রজম্মরা ইতিহাস নিয়ে একদম আগ্রহী না।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪০

অয়ন আহমেদ বলেছেন: কথা সত্য। ধন্যবাদ :)

২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪

রীতিমত লিয়া বলেছেন: আমাদের প্রজন্মের অনেকেরি ইতিহাস ও দেশের প্রতি অনিহা আছে। তারা সবসময় বলে, ধুর বাংলাদেশ!! বাংলাদেশকে দিয়ে কিছু হবে?
আমার মতে, আমরাই যদি কিছু না করি তাহলে বাংলাদেশকে দিয়ে কিছু হওয়ার আশা করাটাও তো অযৌক্তিক।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

অয়ন আহমেদ বলেছেন: আমাদের প্রজম্মকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমাদের প্রজম্ম খুব সহজে অন্য দেশের খবর পাচ্ছে। সেই দেশের স্বচ্ছ ইতিহাস জানতে পারছে। তাই অভিমান করে এই সব কথা বলছে। আমাদের দেশে যুদ্ধকালীন সময়ের মানুষগুলো ইতিহাসকে বিকৃত করছে। তাই আমাদের ইতিহাস রাজনৈতিকসুবিধামূলক ইতিহাস। তাই আমাদের প্রজম্ম এই ইতিহাস নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.