![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন ফিরে এসে যদি দেখিস কোথাও জল জমে আছে তাহলে বুঝে নিস কেউ এসে চোখের জল ফেলে গেছে।
আমার লেখার আরম্ভের প্রথমদিককার গল্প; আমি প্রথম লিখি যখন তখন আমি ক্লাস ফোরে পড়ি খুব হাস্যকর একটা ছড়া। আমার আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভালবাসার আবেশে জড়িয়ে থাকা প্রিয়মুখগুলো আমাকে কখনোই নিরাশ করেনি, কখনো বলে নি এইটা কিছু হলো, আমি লেখা ছাড়ি নি। আমার পরিবারে একগাদা কবি, লেখক থাকাতে আমি খুব দ্রুত লেখালেখির ভিতর ঝুঁকে পড়লাম। আমি নিজেকে আনন্দ দিতে লিখতাম, লিখি ও লিখবো । আমার লেখাকে আমি কখনো পেশাদারীত্ব নিরিক্ষে ভাবি নি তাই বই প্রকাশে সবসময় অনীহা দেখিয়ে আসছি। তাও প্রিয় মানুষদের সীমাহীন ভালবাসার তাগিদে আমাকে নিজ খরচে দু'টি বই প্রকাশ করতে হয়েছিল। খুব একটা বই বিক্রি করা যায় নি নতুন লেখক বলে। তাও আমার দুঃখ নেই যারা বইটি পড়েছে তারা অবাক হয়ে বলেছিল, "এতদিন পর কেন বই প্রকাশ করলে?"। তারপর আমাকে প্রথম প্রথম সবাই স্নেহসুলভ দৃষ্টিতে কবিতা পড়ে বলত বাহবাও পেয়েছি। পরবর্তী অনেকে প্রশ্ন করত তুমি কার মতন লিখো আমি অনেক সময় এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারতাম না। আমার মাথায় নেই আমি কার মতন লিখি। কেননা, কাউকে অনুকরন করে আমার কোন লেখার কোন চিত্র সৃষ্টি হয় নাই। আমি আমার নিজের মতন করে লেখি আমার একটা নিজস্ব ধাঁচ আছে সেই ধাঁচে আমি লিখি। আমি সবসময় বিশ্বাস করি নিজস্বটা এমন একটা বিষয় যার স্থান কেউ কোনদিন নিতে পারে নি, পারবেও না, যার শ্রেষ্ঠ উদাহরন রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, হুমায়ুন আহমেদ আরো অনেকে, যারা নিজেরা একেকজন নিজস্বতা তৈরী করে নিয়ে সবার হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে।
যখন ছবি তুলতে আরম্ভ করি বাবা আমাকে একটা ইয়াসিকা ফ্লিম ক্যামেরা কিনে দেন তারপর থেকে আমার শুরু হয় ক্লিক ক্লিক। পিকনিকে সবার ফটো তোলা দিয়ে সবাই জেনে গেল আমার ছবি তোলার পাগলামীপনা । একসময় ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে তুলতে লাগলাম। আমার ছবির প্রতি তীব্র অনুরাগ দেখে বাবা আমাকে উনার প্রফেশনাল ক্যামেরাতে ফটো তুলতে বললেন, আমি ভয় পেয়ে আর ফটোগ্রাফিতে আগাতে সাহস পেলাম। অতঃপর শুরু ব্যস্ততা নিজের পড়াশুনা, ক্যারিয়ার। পড়াশুনা শেষে অবসরগুলো আবার পেয়ে বসলো ফটোগ্রাফি পাগলামী। ভাবতে শুরু করলাম ফটোগ্রাফি নিয়ে চর্চা শুরু হলো ধুমসে। নিজের জমানো টাকা দিয়ে পুরানো মডেলের ক্যানন ৪০০ডি এসএলআর কিনে ফেললাম। পাগলামো শুরু হয়ে গেল যখন পেয়ে গেলাম একগাদা ফটো বন্ধু। প্রথম প্রথম সবার মুখে একটা কমন কথা শুনতাম উনার মতন করে ফটো তুলো, উনাকে অনুসরন করো, এই কথাটা আমার বরাবর অপছনেন্দর ছিল কেননা, লেখালেখির অভিজ্ঞতার আলোকে আমার কাছে মনে হয়েছে কাউকে অনুসরন করা আর নকল করার ক্ষেত্রে কোন পার্থক্য নেই। শিল্প কিংবা সাহিত্য মানে হলো এমন এক সৃষ্টি যা শিল্পীর নিজস্বতা যার কোন প্রতিলিপি নেই। আমাকে অনেকগুলো ফটোগ্রাফার সম্পর্কে জানানো হলো এবং বলা হলো ওমুককে দেখে শেখো, তমুককে দেখে নিজেকে গড়ো। আমি তখন ভাবলাম, যাদেরকে দেখে শিখবো ওরা কাকে দেখে শিখেছে। আমার যতদূর মনে হয় যেকোন সৃষ্টি কাউকে শিখিয়ে দেওয়া যায় না অথবা কারোর মাথায় চাপিয়ে দেওয়া যায় না। সবার নিজস্ব একটা ধাঁচ থাকা উচিত। সেই আদলে চর্চার ভিতর দিয়ে এমন এক শিল্প গড়ে তোলা হবে যা মানুষের হৃদয়ে চিরদিনের জন্যে স্থান করে থাকবে। আমি আশায় আছি এমন কিছু হবে একদিন তাই প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
১৬ই জানুয়ারী,২০১৩
--------------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ২১৯/৩৬৫
(বিলম্বে আপলোডের জন্যে দুঃখিত)
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২৯
অয়ন আহমেদ বলেছেন: নিজের ব্যবসায়িক কাজে খুব ব্যস্ত থাকি তাই সময় মত আপলোড দিতে পারি না। তাই এই কথা লিখে রাখি।
২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এবার বুঝলাম অনেক ধন্যবাদ ভাই । দেরী হোক তবু চাই চলুক এমন একটি সিরিজ
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:০৫
অয়ন আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
যদি কিছু মনে না করেন তাহলে জানতে পারি কি আপনার এই সিরিজের প্রতিটি পর্বের শেষে কেন (বিলম্বে আপলোডের জন্যে দুঃখিত) এই লেখাটি দিয়ে থাকেন ?