![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন ফিরে এসে যদি দেখিস কোথাও জল জমে আছে তাহলে বুঝে নিস কেউ এসে চোখের জল ফেলে গেছে।
ছোটবেলায় গল্প শুনতাম, ভূতের গল্প। আমি রাতে ঘুমানোর সময় মা'কে প্রচন্ড জ্বালাতন করতাম বলে মা প্রতিদিন ভূতের ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়াতেন। রোজ রোজ ভয় পেয়ে ঘুমাতে ঘুমাতে একসময় অভ্যাস হয়ে গেল ভূতের গল্প পড়ার। খুব ভয় পেতাম যখন শুনতাম ভূত পিটিয়ে মানুষ মেরে ফেলতো, লাশ নিয়ে আগুনে ফেলে দিত। লম্বা ভূত, গেছো ভূত, মেছো ভূত, শাকচুন্নি পেত্নী এই হরেক রকম ভূত-পেত্নী ছিল। এরা সবাই মানুষকে আটকে রেখে নিযার্তন করত। ভূত-পেত্নী মানেই খারাপ কিছু। তখন আমরা খুব ভয়ে থাকতাম খারাপ কিছু আসর হবে, আয়তুল কুরসী পড়তাম। দু'একজন তাবিজও পড়তো তবে সেটি খারাপ জ্বীনের কথা ভেবে।
ঠিক এতগুলো বছর পার করে এসে এই লোমহর্ষক খবর পড়তে হচ্ছে, অসহায় প্রতিবন্ধীকে পিটিয়ে মেরেছে গাজীপুরের মানুষজন, বিনোদনের জন্যে অনেকে মোবাইলে ভিডিও করেছে, পুলিশ বরাবর নিরব দর্শক। মেয়েটির কষ্ট সবার হাসির খোরাক। আমি ভাবছি, এরা কি আসলেই মানুষ, নাকি মানুষরূপী পশু। এরা যে খুনী এদের বিচার কে করবে?
আমি ছোটবেলায় ভূতের গল্প শুনে বড় হয়েছি। যেগুলো আমাদের কাছে রূপকথার মতন আমাদের অনাগত শিশুদের জন্যে সেটি হবে নিমর্ম বাস্তব। আমাদের অনাগত শিশুরা রাস্তাঘাটে এই সব মানুষ পিটিয়ে মারা দৃশ্য দেখে বড় হবে। তারা অভ্যস্ত হয়ে যাবে এবং হয়ত তাদের কোন বিকার হবে না। তাই রোজ রোজ একই দৃশ্য দেখে তারা প্রতিবাদ করতে আগ্রহ দেখাবে না। এটি তাদের জন্যে হবে অতি সাধারন নৈমিত্তিক ঘটনা।
২৩ই জানুয়ারী , ২০১৩
--------------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ২২৬/৩৬৫
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৭
অয়ন আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এসবের বিরুদ্ধে চাই গণজাগরণ এবং দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি