নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শখ : লেখালেখি, ফটোগ্রাফি। প্রথম বই : বন্ধু মানে বোধহয়, প্রকাশকাল : ১৯৯৯। দ্বিতীয় বই : বৃষ্টি রেখেছে জলজ স্মৃতি, প্রকাশকাল : ২০১০।

অয়ন আহমেদ

একদিন ফিরে এসে যদি দেখিস কোথাও জল জমে আছে তাহলে বুঝে নিস কেউ এসে চোখের জল ফেলে গেছে।

অয়ন আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অ আ আজকের লেখালেখি - ২২৮ (পলিটিক্স একটি খারাপ শব্দ)

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮

রোজ রোজ অফিস আসা যাওয়ার পথে রিকসাওয়ালার সাথে গল্প করতে করতে যাতায়াত করি। যখন প্রচন্ড যানজটে পড়ি তখন এক সময় আমি রিকসাওয়ালাকে জিজ্ঞেস করি, ভাই আপনার বাড়ী কোথায়? সে বলে, "দ্যাশ আমার ফরিদপুর"। আমি তাকে জবাব দেই," আরে আপনেতো বঙ্গবন্ধুর দেশের মানুষ"। সে কিঞ্চিত বিরক্ত হয়। খিচানো মুখে বলে, "বঙ্গবন্ধুর আমলেতো ভালা আছিলাম, সুন্দর রাজনীতি হইতো, আর অখন সব পলিটিক্স হইয়া গেছে। সব ভালা রাজনীতিতে পলিটিক্স ঢুইক্যা দেশটারে তছনছ কইরা ফালাইছে"।



আমি কিছুক্ষন হাসলাম তারপর ভাবলাম। রাজনীতি বাংলা শব্দ এবং পলিটিক্স ইংরেজী শব্দ এবং উভয়ের মমার্থ কিন্তু একই। যাই হোক, আসল বিষয় হচ্ছে, বর্তমান পলিটিক্স শব্দটি সত্যিকার অর্থে খারাপ কিছু বলে ধরেই আগানো হচ্ছে। যেমন ধরা যাক, আমরা যারা চাকরী করি তাদের কাছে একটা ভয়ের শব্দ হচ্ছে কর্পোরেট পলিটিক্স। কর্পোরেট পলিটিক্সের জন্যে প্রমোশন আটকে যায়, বেতন আটকে যায়, বোনাস আটকে যায়, ছুটি পর্যন্ত আটকে যায়, অনেকে কর্মঠ কর্মকতার, কর্মীর আবার চাকরীও চলে যায়। কর্পোরেট পলিটিক্সের একটা ছোট অংশ জুড়ে থাকে পুরাতন কর্মকতা যারা অতিশয় চাটুকার পর্যায়ে প্রসিদ্ধ এবং উপরওয়ালা মন ভালো রাখতে নিজেকে পা চাটা পর্যায়ে নামিয়ে নিয়ে আসে। যে যত বেশী পা চাটতে পারে সে তত বেশী অনুগত ধরে নিয়ে উপরওয়ালা বসসম কর্মকর্তাগন গম্ভীর মুখে বলেন," কি দরকার প্রতিষ্ঠানে এত লোক রাখার এবং নতুন কাউকে না নিলেই তো হয়, কোম্পানীর কিছু খরচতো বেঁচে যায়"। তখন চাটুকার কিছু কর্মকর্তা খুশী হয় তাদের উদ্দেশ্য সফল হওয়াতে, তাদের বেতন বাড়বে, বোনাস বাড়বে। আর যারা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছে তাদের বাড়ে দীর্ঘশ্বাস।



অতঃপর এই পলিটিক্স যে শুধু কর্পোরেটের ক্ষেত্রেও নয় তা কিন্তু নয়, ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে এই ঘটনা অহরহ ঘটছে, যেমন, আজকালকার ছেলেরা ভালো ফটোগ্রাফি করছে, কাজ করছে, তাদের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। তারা আরো উচুমানে কাজের জন্যে সিনিয়র ভাইয়ার কাছে যাচ্ছে। কেউ তাদের শিখাচ্ছে কেউ তাদের ব্যবহার করছে। অনেক সিনিয়র ফটোগ্রাফার থাকেন যারা খুব ভালো মানের ফটোগ্রাফার তৈরী করছেন আবার অনেক সিনিয়র ফটোগ্রাফার আছেন যারা অনেক টাকা দিয়ে ওয়েডিং ফটোগ্রাফির কাজ করে থাকেন। অথচ অনেক সিনিয়র ফটোগ্রাফারগন বিবাহ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার ঘন্টাখানেক আগে সেখানে পৌছান তারপর ভোজন পর্ব শেষে পোর্টট্রেট ফটোর জন্যে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন। সিংহভাগ সময় কাজ করে সিনিয়র ফটোগ্রাফারের জুনিয়র ফটোগ্রাফারগন। তাদেরকে জন প্রতি দুই হাজার টাকা ধরিয়ে দেওয়া হয়। অথচ সিনিয়র ফটোগ্রাফারগন লাখ টাকার নীচে কাজ করতে চান না। যেসব জুনিয়র ফটোগ্রাফার আবেগী হয়ে থাকেন তারা নিরবে কাজ ছেড়ে চলে যান। বেকার হয়ে যান। অতি নির্ভরশীলতার জন্যে অনেকে ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারে না। আবার, অনেক ভালো ক্যারিয়ার থাকার মুহূর্তে একসময় কলিগ ফটোগ্রাফারের রোষানলে পড়েন । আবার, সেই পুরানো পলিটিক্স অতিশয় নোংরা ভূমিকায় অবতীর্ন হয়।



২৫ই জানুয়ারী , ২০১৩

--------------------------------------------------------------------------------

লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ২২৮/৩৬৫

(বিলম্বে আপলোডের জন্যে দুঃখিত)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
পলিটিক্স নিয়ে রাজনীতি সত্যি ভালনা ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০০

অয়ন আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.