![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন ফিরে এসে যদি দেখিস কোথাও জল জমে আছে তাহলে বুঝে নিস কেউ এসে চোখের জল ফেলে গেছে।
আমাদের অনেক দিনের ইতিহাসের কাছে দায় মোচনের তাগিদে রাজাকারের বিচার শুরু হয়েছে। আমরা প্রথম থেকে অস্পষ্টভাবে বিচার কার্য শুরু হতে দেখেছি। তখন থেকে আমাদের ধারনা ছিল না যে, একটা যুদ্ধাপরাধীকে বিচার করা যাবে। কেননা, এ ধরনের বিচার কার্য পরিচালনার মতন কোন শক্ত আইন করা হয় নি, অভিজ্ঞ বিচারক নেই, নেই কোন অবকাঠামো। একপ্রকার ভঙ্গুর প্রক্রিয়ার ভিতরে বিচার ব্যবস্থা শুরু হয়েছে।
দূর্বল তথ্য ব্যবস্থাপনার জন্যে সম্পূর্ণ যুদ্ধাপরাধীর তালিকা প্রস্তুত করা যায় নি। আমাদের মহল্লাতে একটা বড় যুদ্ধাপরাধী রয়েছে তার নাম তালিকাতে আসে নি। কেননা, সে একজন সরকারী দলের হম্বিতম্বি নেতা। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর বেয়াই একজন যুদ্ধাপরাধী তাকেও তালিকাভুক্ত করা যায় নি। এররকম প্রকৃত অনেক যুদ্ধাপরাধী রেহাই পেয়ে গেছে। যাদের ধরা হয়েছে তাদের নাম সবসময় উচ্চারিত হয়েছে। তাদের নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে লেখালেখি হয়েছে। জনপ্রিয় হুমায়ূন আহমেদ, "তুই রাজাকার" ডায়ালগ দিয়ে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের প্রশ্নটি সম্মুখে আনেন।
চল্লিশটা বছর ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের গোপন তৎপরতায় ভালো মতন বিচারকার্য চালানো যাচ্ছে না। জামায়াত ও শিবিরের যৌথ তৎপরতায় বারবার বিচারকার্য বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। খুবই শংকার বিষয় তারা খুব সুসংগঠিত। এর মানে বোঝা যাচ্ছে, সাধারন জনতার একটা অংশ তাদের পক্ষে রয়েছে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি জায়গাতে তারা হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে। আমাদের পুলিশ বাহিনীর উপর হামলাও হয়েছে। প্রকৃত হামলাকারীদের সনাক্ত করা যায় নি। আমাদেরকে তহল দায়িত্বতে থাকা পুলিশ নিজেই নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত। আমাদের আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা এত নাজুক যে, যেখানে সেখানে বাস পোড়ানো, মানুষ মেরে ফেলা খুব মামুলি পর্যায়ে চলে গেছে। আমরা শোকাহত হতে হতে পাথর হয়ে গেছি। তাই এই সুযোগে অপরাধী হয়ে গেছে বিধ্বংসী। আমাদের নিস্ক্রীয়তার সুযোগে জামায়াত আজ বদ্ধ উন্মাদ।
৪ঠা ফ্রেবুয়ারী , ২০১৩
--------------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ২৩৮/৩৬৫
(বিলম্বে আপলোডের জন্যে দুঃখিত)
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
++++