![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন ফিরে এসে যদি দেখিস কোথাও জল জমে আছে তাহলে বুঝে নিস কেউ এসে চোখের জল ফেলে গেছে।
বাবা ফটোগ্রাফার হবার সুবাদে আমি ছোটবেলা থেকে অনেক ফটোগ্রাফারকে চিনতাম। তাদের ভিতর বেগ সাহেবে বড় ছেলে ছিলেন। আরো অনেকে রফিক আঙ্কেল। আরো অনেকে স্মৃতির ভারে আমি নামও ভুলে গেছি। বাবা আমার মতন শখে ফটোগ্রাফি করতেন। তাই পেশাগতভাবে ফটোগ্রাফিকে বেছে নেন নি। আমার বড় হওয়ার প্রতিটি ছবি তুলেছেন আমার বাবার সেই অলিম্পাস ক্যামেরা যা বাবা আমাকে গতবছর দিয়ে দিয়েছেন।
সকাল বেলাতে নাস্তার টেবিলে বাবার সাথে আমি আমাদের প্রদশর্নীর প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে আলাপ করছিলাম। বাবা আমাকে অনেকগুলো ভুল ধরিয়ে দিলেন। আমি খুব অবাক হয়ে ভাবলাম এই ছোট ব্যাপারগুলো আমাদের মাথায় আসে নি। আমি ভাবছিলাম, কাউকে বলা যায় যে আমাদের ফটো দেখে আমাদেরকে আরো গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ দিবেন। বাবাকে বললাম, বাবা ফোন নম্বর দিয়ে বললেন আমার নাম বলো। আমি সাথে সাথে ফোন দিয়ে প্রবীন ফটোগ্রাফার মোহাম্মদ তারেককে রাজী করিয়ে ফেললাম। উনি বাংলাদেশের প্রথম ফটোগ্রাফার যিনি একক ছবি প্রদশর্নী করেছিলেন। উনি বিজন দাসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। আমি এমন বড় মাপের ফটোগ্রাফারকে এত কাছে পেয়ে যাব স্বপ্নেও ভাবতে পারি নি। উনি ঠিক আমাকে কথা দিলেন এবং আসলেন। আমাদেরকে কৃতজ্ঞ করলেন। আমাদেরকে উৎসাহিত করলেন, ভুলগুলো ধরিয়ে দিলেন। আমাদের সাধুবাদ জানালেন।
১৫ই ফ্রেবুয়ারী ,২০১৩
--------------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ২৪৯/৩৬৫
(বিলম্বে আপলোডের জন্যে দুঃখিত)
©somewhere in net ltd.