![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন ফিরে এসে যদি দেখিস কোথাও জল জমে আছে তাহলে বুঝে নিস কেউ এসে চোখের জল ফেলে গেছে।
আজকাল অফিসের ভীষন ব্যস্ততার মাঝে অনেক কিছু করা সম্ভবপর হয়ে উঠে না। যেটুকু সময় পাই ফটোগ্রাফি নিয়ে পড়াশুনা করার চেষ্টা করি। লেখালেখি আর ফটোগ্রাফি আমার ডান চোখ ও বাম চোখ হয়ে গেছে। ওদের ছাড়া আমি অন্ধ হয়ে যাই।
সেদিন আইপ্যাডে বই পড়তে পড়তে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছিলাম। তখন নেটে সার্চ করে গেম খুঁজতে লাগলাম। খুব মজা লাগলো ছোটবেলাকার কথা মনে করে। আমি প্রথম গেম খেলতাম আটারী দিয়ে টেনিস, ফুটবল, গাড়ীর রেস। গোপীবাগে থাকতে রেল লাইন পেরিয়ে ভিডিও গেমের দোকানে সব্বাই দুই টাকা দিয়ে কয়েন ফেলে মোস্তফা গেম খেলত। এই ভিডিও আমার খুব একটা পছন্দ ছিল না। তবে আমার দেখতে ভালো লাগতো। আমাদের বাড়ীর কাছেই মুক্তা চাচার বাড়ী, সেখানে প্রবেশ মুখে ভিডিও গেমসের দোকান ছিল। আমাদের প্রতিবেশী লরেন্স এর মামার দোকান। তার উল্টা পিঠে আমার প্রিয় জয়নাল ভাইয়ের ফুচকার দোকান দারুন লাগত। আজও সময় পেলে খেয়ে আসি। সব্বাই তখন গেমস খেলত আমি প্লেটের পর প্লেট ফুচকা পেটে চালান দিতাম।
আমি যৌথ পরিবারে বড় হওয়ার সুবাদে আমরা অনায়াসে কম্পিউটারের দেখা পেয়ে যাই। আমার ফুফাত ভাইবোনেরা কম্পিউটার সাইয়েন্সের কিছু কোর্স নিয়ে গ্রাজুয়েশন করার সময় আমি প্রথম পরিচিত হলাম ফিফার গেমস সাথে, এন এফ এস গেমস, ফ্লাইট সিমুলেশন আরো অনেক গেমস। ধীরে ধীরে কমান্ডোস, প্রজেক্ট আই জি আই, ক্রোম, ফার ক্রাই, ব্রায়ান লারা সব কিছু খেলে ফেললাম। রোজার সময় প্রায়ই সেহরী সময় উঠতে কষ্ট হতো তখন আমি পড়াশুনা শেষ করে ডিনার করে রাত্রিতে কমান্ডোস নিয়ে বসতাম খেলতে খেলতে সেহরী সময় হয়ে যেত। আমি বাড়ীর সবাইকে ডেকে তুলতাম সেহরী করার জন্যে। আমরা এই রাত জেগে গেমস খেলার জন্যে আমাদের বাড়ীতে চোর আসতে সাহস করতো না। আমি গেমস কিনতে চলে যেতাম ইষ্টান প্লাজা, এলিফেন্ট রোড আমাকে সঙ্গ দিত আমার ছোট ছোট চাচতো ভাই ধ্রুব, রুদ্র, শরীফ, সানি। আমি আজ সেই কম্পিউটার গেমস খেলার পাগালামো ভরা দিনগুলোকে খুব মিস করি। আজও খেলতে বসে বেশীক্ষন সময় পাই না আমাকে কোন না কোন কাজের জন্যে ব্যস্ত হয়ে পড়তে হয়। প্রায়শই ভাবি, ইশ! জীবনটাকে যদি রিওয়াইন্ড করে আগের দিনগুলোতে ফিরে যেতে পারতাম।
১৯ই ফ্রেবুয়ারী ,২০১৩
--------------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ২৫৩/৩৬৫
(বিলম্বে আপলোডের জন্যে দুঃখিত)
©somewhere in net ltd.