![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন ফিরে এসে যদি দেখিস কোথাও জল জমে আছে তাহলে বুঝে নিস কেউ এসে চোখের জল ফেলে গেছে।
আমাদের মতন সাধারন আমজনতাকে যখন প্রশ্ন করা হয়, তোমাদের প্রিয় উৎসব কি ? আমরা সবাই একাধারে অনেকগুলো উৎসবের নাম বলে দেই, বৈশাখ উৎসব, বসন্ত উৎসব, বিজয় উৎসব এগুলো কিন্তু বাঙ্গালী হিসেবে উৎসব এইগুলো সব ধর্মের সমান আনন্দের উৎসব। কিন্তু ধর্মীয় উৎসব বলতে গেলে যেগুলো হয় সেটি ঈদ উৎসব, শারদীয়া উৎসব, বড়দিন, বৌদ্ধ পূর্ণিমা। আমরা সবাই মুখ মাখিয়ে থাকি এই সব উৎসবের জন্যে। এই উৎসবগুলোর জন্যে আমাদের সারা বছরের জমানো কষ্টগুলো নিমেষে মিলিয়ে যায়। আমরা সবাই প্রানশক্তি ফিরে পাই নতুন চলার পথে।
আজ হরতালের দ্বিতীয় দিন। হরতাল রাজনৈতিক দলগুলোর উৎসবে পরিনত হয়েছে। ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, মানব হত্যার ভিতরে একদল হায়েনা উল্লাস করে। এরা সবাই রাজনৈতিক দলের নেতা। তাদের রাজনৈতিক উল্লাস আমাদের মতন অরাজনৈতিক নিরীহ মানুষের আতঙ্ক। আজ পর্যন্ত কেউ বলতে পারবে না কোন হরতালে নির্ভাবনায় মানুষ স্বর্তস্ফূর্তভাবে এগিয়ে এসেছে। শেষ মনে হয় এরশাদ বিরোধী হরতাল মানুষ সর্মথন করেছিল গনতন্ত্রের জন্যে। এরপর যতগুলো হরতাল হয়েছে সাধারন মানুষের কখনো উপকারে এসেছে বলে মনে হয় না। আজ হরতাল হচ্ছে আগুন জ্বলছে, মানুষ মরছে, বাড়ীঘর ভাঙ্গছে। যাদের ক্ষতি হচ্ছে তারা আমাদের মতন খেটে খাওয়া মানুষ। যারা ভোটের দিনে একদিনের রাজা। আমরা হরতাল বন্ধের জোর দাবী জানাচ্ছি আমাদের নিজেদের বাঁচাতে পুলিশের অনেকে মরে যাচ্ছে তেমনি হরতালকারীরা নিজেরা নিজের মরে যাওয়ার রাস্তাটা সোজা করে রাখছে। যারা হরতাল করছে তাদের সবাই কিশোর যারা এই উগ্রতায় যাদের উৎস তারা নেহাতে রাজনৈতিক মন্ডলে শিশু। তাদেরকে অপরাধমূলক কাজে উসকানো হচ্ছে। সেজন্য জন প্রতি ৩০০ টাকা দিয়ে ভাড়া করে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে। এরা সবাই নোংরা রাজনীতির শিকার। অথচ এদের আজ বিকালে খেলার মাঠে থাকার কথা, নদীর পাড়ে বসে বাঁশি বাজানোর কথা, সকালে স্কুলে বসে অংক করার কথা। অথচ সবকিছু ভুলে গিয়ে এখন ওরা প্রস্তুতি নিচ্ছে আরেকটা সহিংসতার।
৪ঠা মার্চ, ২০১৩
--------------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ২৬৬/৩৬৫
©somewhere in net ltd.