নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটা সময় হয়তো আসবে যখন আমি সত্যি সত্যিই ভালো কিছু লেখতে পারবো। আর অপেক্ষা কিভাবে করতে হয় আমি জানি।

প্রীতম

আমার একটি আকাশ আছে, নীল সে আকাশ।

প্রীতম › বিস্তারিত পোস্টঃ

"দৃষ্টিভঙ্গি বদলাও দেখবে পৃথিবী বদলে গেছে।"

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৪৮

এবার তরমুজের দাম খুব কম।
তাই বন্ধুরা মিলে প্রায়ই বড়সর তরমুজ কিনে খাই।
কাঠফাটা রদ্দুর গরমে দুপুরে তরমুজ খাবার প্রিপারেশনটা অনেকটা এমন-

দুপুর ১২ টায়- কয়েকজনে মিলে টাকা উঠাই।
দুপুর ১ টায়- অনেক দামদর করে একটা বিশাল আকারের তরমুজ কিনি।
দুপুর দেড়টায়- বালতিতে বানি ঢেলে সেই পানিতে তরমুজটাকে চুবিয়ে রাখি।
দুপুর আড়াইটার পর- সবাই মিলে ধারালো ছুরি দিয়ে- "বিসমিল্লা আল্লাহু আকবার" বলে তরমুজ কাটি।
অতঃপর খাওয়া শুরু।

দুপুর সময়টা আমাদের বাজারে লোক সমাগম কিছুটা কম হয়। তারপরো কিভাবে যেনো আশেপাশের অনেকেই এসে সামিল হয় আমাদের ভোজনে।
এবার যেমন গরম পরেছে বেশি তেমনি তরমুজের স্বাধও বেশি।
খাবার ফাকে ফাকে কিছু ভিক্ষুক আসে তাদেরকেও আমাদের মধ্যে কেউ কেউ একটা করে তরমুজের ফালি দেয়। আর সবাই মিলে তাকিয়ে থাকিয়ে ভিক্ষুকের মুখে, তার অবয়বে খুশি হওয়াটা খুব ভালো লাগে।
যেহেতু তরমুজের দাম কম সেহেতু আমাদের মধ্যে অনেকেই শুধু মাত্র মজার অংশটা খেয়ে ফেলে দেয়।

আমি সকল তরমুজের খাওয়া খোসা একটি বালতিতে রেখে দেই।
খাওয়া শেষে বাজারের মধ্যে ঘুড়ে বেড়ানো ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চাদের ডেকে আনি। তারপর তাদেরকে হাতে বালতি ধরিয়ে দিয়ে বলি- “নে শুরু কর”।
ওরা আনন্দে তাদের ভোজন অনুষ্ঠান শুরু করে। আমি দেখি, সাথে আশে পাশের অনেকেই দেখে।

তাদের কাছ থেকে মন্তব্য আসে-
“খাওয়াবাই যদি তবে তরমুজ একটা কিনে খাওয়াও, উচ্ছিষ্ট কেনো?”

অথচ, আমি পরম আনন্দে “উচ্ছিষ্ট” খাওয়ারত কিছু পথশিশুকে দেখি।

কে যেনো বলেছিল- “দৃষ্টিভঙ্গি বদলাও দেখবে পৃথিবী বদলে গেছে”।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:০০

আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: “খাওয়াবাই যদি তবে তরমুজ একটা কিনে
খাওয়াও, উচ্ছিষ্ট কেনো?”

Click This Link

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:১৬

প্রন্তিক বাঙ্গালী বলেছেন: আপনি যখন বাচ্চাদের খাওয়াবেন, তখন তাদের ভাল, নতুন, তরমুজ খাওয়ান । উচ্ছিষ্ট কে??

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রীতম ,




“দৃষ্টিভঙ্গি বদলাও দেখবে পৃথিবী বদলে গেছে”।
উচ্ছিষ্ট খাইয়ে পথশিশুদের দেখে এবং তা তুলে ধরে আপনি যে দৃষ্টিভঙ্গি এখানে দেখিয়েছেন তা মূল বাক্যটির সাথে মোটেও যায় না ।
মূল বাক্যটির অর্থ হয়তো আপনি বোঝেন নি ।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০০

প্রীতম বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
................
খুব ছোটবেলার কথা মনে পড়ে। তখন আমি খুলনাতে থাকি (বাবা সরকারী চাকুরী করার সুবাদে)।
বাসার পাশেই পান পট্টি। প্রায়ই দেখতাম- দোকানদাররা কিছু নষ্ঠ হয়ে যাওয়া পোনের পোন (৮০টা পানে এক পোন) আমাদের বাসার পার্শের এক গর্তে ফেলে দিচ্ছে। আর ফেলার আগে পানগুলোতে কেরোসিন তেল ঢেলে দিচ্ছে যাকে করে অন্য গরিব লোকেরা সেগুলো নিয়ে খেতে না পারে।
এমন উদাহরণ অসংখ্যা আছে যেখানে অতিরিক্ত কিংবা বেচে যাওয়া খাবার (হোটেল, বিভিন্ন খাবার অনুষ্ঠান, উচ্চবিত্ত ফ্যামিলির না খাওয়া খাবার) ফেলে দেয়া এমন স্থানে যেখান থেকে শুধু কুকুর জাতিয় প্রাণীই খাবার যোগ্যতা রাখে, মানুষ না।
আমি একজন নিম্ন মধ্যবিত্ত ফ্যামিলিতে বেড়ে উঠা মানুষ। আমি আমার সন্তানদের জন্য অতিরিক্ত কিছু করতে পারিনা কিন্তু খাবার জিনিস নষ্ট না করার শিক্ষাটা তাদেরকে আমি দেই।
আপনি খেয়াল করে থাকবেন "উচ্ছিষ্ট" কথাটা আমি বার বার কোটেশনের ভেতরে রেখেছি, কারণ আমার সাথের বন্ধুরা যখন তরমুজটার কিছুটা অংশ খেয়ে বাকি অংশটা ফেলে দিচ্ছিল সেগুলো আমি সজতে তুলে নিয়েছি পরিস্কার বালতিতে। বলতিটাকে ডাষ্টবিন ভেবে ভুল করবেন না, এটাতে করে আমরা দোকানে পানি রাখি হাতমুখ ধোওয়া আর ওযু করার জন্য। সেটা আমার কাছে উচ্ছিষ্ট মনে হয়নি। কারণ, আপনি হয়তো ছবিগুলো খেয়াল করেননি। শেষের মুল ছবিগুলোর তরমুজগুলো ছুরি দিয়ে কাটা ছিল। এগুলোর কিছু অংশ খুব বড় অবচয় দেখে আমি ছুরি দিয়ে কিছুটা কেটে নিজেও খেয়েছি।
এখানেই আমার শিরোনাম লেখার তাৎপর্য। "দৃষ্টিভঙ্গি"।
মোদ্দা কথা হলো, আমি চেয়েছি আমাদের অতিরিক্ত খাবারগুলোকে "উচ্ছিষ্ট" ভাববার প্রয়াশে আমরা আমাদের আশেপাশের অনেক অংশিদারদেরকে বঞ্চিত করার মনোভাব থেকে কিছুটা বেরিয়ে আসতে পারি।
আমার বাসার রাতের বেচে যাওয়া ভাত আর তরকারীগুলো আমার বাসায় কাজের মহিলাটির তার পরিবারের সাকালে নাস্তা হয়ে যায় সহজেই। কিন্তু ভাত কিংবা তরকারি কিনে দেবার সামর্থ আমার নেই, অনেক সময় থাকে না।
আমি যেমন পারিনা পথশিশু নামের মানব বাচ্চাদের মাদক দ্রব্য "ড্যান্ডি" গ্রহন করার টাকার কিছু অংশ দিতে, তেমনি পারিনা উচ্ছিষ্ট খাবার ভেবে আমার বেচে যাওয়া খাবারগুলো তাদেরকে খাইয়ে অন্তত এক বেলায় ভুখা থাকায় সহযোগিতা করতে।
আবারো বলবো-
“দৃষ্টিভঙ্গি বদলাও দেখবে পৃথিবী বদলে গেছে”।
আমার ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০৫

গোধুলী রঙ বলেছেন: দৃষ্টিভঙ্গি বদলাও দেখবে পৃথিবী বদলে গেছ

এই বাক্যটার সাথে যেত, তরমুজের অর্ধেকটা আপনারা খেয়ে বাকী অর্ধেকটা এই শিশুদের দিলে।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০২

প্রীতম বলেছেন: আপনা পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।
আমি সম্ভোবত আমার কথাটা বোঝাতে পারিনি।
৩নং কমেন্টেস এর জবাবটা পড়বেন প্লিজ।

৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:২১

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: খুব ভালো কাজ করেছেন।

৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রীতম ,




আবারও লিখতে হলো আপনার দীর্ঘ প্রতিমন্তব্যের কারনে । হ্যাঁ আপনার মনোভাব এখানে পরিষ্কার । কিন্তু আপনার পোষ্টের দুর্বল উপস্থাপনার কারনে আপনার লেখার যে তাৎপর্য "দৃষ্টিভঙ্গি" তা পাঠক বুঝবেন না ।
এবার আমাকে দেয়া আপনার প্রতিমন্তব্যটি পড়ে যদি পাঠকেরা বোঝেন ।

আপনার এই দৃষ্টিভঙ্গিকে শ্রদ্ধা জানাতেই হয়।
ভালো থাকুন আর থাকুন এমন সুন্দর হয়ে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১২

প্রীতম বলেছেন: আপনাকে আবারো ধন্যবাদ। আপনি এভাবে মন্তব্য না করলে আমার লেখাটা অসম্পুর্নই থেকে যেতো।
ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.