![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বাস ও সংষ্কৃতি: পর্ব- এক
শিরোনাম দেখে অনেকেই ভাবতে পারেন যে, আগে বিশ্বাস ও পরে সংষ্কিৃতি শব্দ প্রয়োগের দরকার কি? এ ধরনের ভাবনার কারণ হল আমাদের সামাজিকীকরণ। আমাদের যে পরিবেশে গড়ে উঠেছি তাতে মনে করা হয় যে, বিশ্বাস হল সংষ্কিৃতির একটি অংশ।এবং সংষ্কিৃতি হল কোন একটি নিদিষ্ট এলাকার মানুষের আচার -আচরণ, চিন্তা ভাবনা, সাহিত্য, কলা, দৃষ্টিভঙ্গি,ধর্ম, বিশ্বাস ও মূল্যবোধ ই্ত্যিাদি।
একটি বাস্তব উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি শুরু করা যাক: আর তাহল পাবনার গ্রামের বাড়িতে ছোট সময় থেকেই দেখে আসছি দুটি ধমীর্য় সম্পদায়ের বাস। একটি সনাতন হিন্দু ও অপরটি মুসলিম। হিন্দু সম্প্রদায়টি চৌহান গোত্রের এবং সঙ্গত কারনেই তারা তাদের নামের শেষে
চৌহান শব্দাট ব্যবহার করে থাকে। তো যাই হোক ছোট্ট কাল থেকেই কেন যেন তাদেরকে এবং তাদের নাম আমার কাছে ভাল লাগত। একই গ্রামে থাকার কারণে তোদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান বিশেষ করে পাঠা বলি অনুষ্ঠানটি খুব কমই মিস হত। আমাদের পরিবারের প্রায় সকলের সাথেই তাদের ভাল সম্পর্ক। চৌাহান পরিবারে কিছু মহিলাদের সাথে আমার মায়ের যথেষ্ট সখ্য। স্কুল শিক্ষক রাজেন্দ্রনাথ স্যারের সাথে আমার খুবই ভাল সম্পর্ক এবং বিভিন্ন বিষয়ে মতবিসনময় হত। এভাবেই এইসএসসসি পর্যন্ত এভাবেই কাটতে থাকে।
পরবর্তীতে জাহাঙ্গীরনগরে এসে পেলাম সংষ্কিৃতি ও বাঙ্গালী সংষ্কিৃতির ব্যাপক প্রয়োগ। গণরুমে এস বিভিন্ন সাংষ্কিৃতিক জোট এর কাছ থেকে জানতে পারি Culture, Norms, Values, Customs, Perception, শব্দগুলো। তখন থেকেই মনে প্রশ্ন জাগত আসলে সংষ্কৃতিটা কি? এতদিন কোন সমাজে ছিলাম? যাই হোক আমরা সবাই যেহেতু বাঙ্গালী সেহেতু আমাদের বাঙ্গালী মনন বিকাশের জন্য বাংলা চর্চা করতে হবে। এভাবেই নানা অনুষ্ঠান ও পার্বনের মধ্য দিয়ে । তবে সবেক্ষেত্রে অংশ নিতে না পারলেও ব্ন্ধুদের কাছ থেকে খোজ খবর পেয়ে যেতাম। কিন্তু মনের মধ্য যে প্রশ্ন জাজত তাহল:
এক. সংস্কিৃতি বিষয়টা আসলে কি? এটি যদি আমাদের আচরনের ফলই হয় তাহলে কই এত বছর কটিয়ে দিলাম সেখানে তো টা দেখলাম না। পহেলা বৈশাখের মেলায় যেতাম ( আমরা একে আড়ং বলতাম) ছোট বন্ধুদের সাথে। শুধু যাওয়াই না জোয়ড়ীদের দলেও
আংশগ্রহন করেছিলাম। তবে বৈশাখী আয়োজন করতেন মূলত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা।
চলবে....
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২
রাতুল_শাহ বলেছেন: হুম