নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবু মুছা আল আজাদ

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র

আবু মুছা আল আজাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

২২৬ বছর ধরে পৃথিবীর মহাশাক্তিধর শাসক The Rothchild Family

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৩

(দুই) পৃথিবীর সরকার ব্যবস্থা, বড় বড় ব্যাংকিং, ব্যবসা, ফার্মেসি, বৃহঃ বায়োটেকনোলজি, মিডিয়া এবং এরকম অনেককিছুই নিয়ন্ত্রন করছে The Rothchild Family.
নাথান রথচাইলাড যিনি পুরো বৃটেনের অর্থ ব্যবস্থার নিয়নত্রনে নিয়ে নেন তিনিই ১৭৯১ সালে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে ২০ বছরের চুক্তিতে প্রথম একটি কেন্দ্রিয় ব্যাংক স্থাপন করে পুরো দেশের অর্থনীতি নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করে। ১৮১১ সালে ব্যাংকের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় এবং নাথান চুক্তি নবায়ন করার জন্য কংগ্রেসে আবেদন করে কিন্তু উক্ত ব্যাংক অর্থনীতিকে হুমকির সম্মুখিন করছে এই যুক্তিতে কংগ্রেস চুক্তি
নবায়নের বিরুদ্ধে ভোট দেয়।
এতে নাথান রথচাইল্ড ঘোষনা করে যে “ হয় চুক্তি নবায়ন করতে হবে নচেৎ যুক্তরাষ্ট্র ধ্বংসাত্বক যুদ্ধের মুখোমুখি হতে হবে। এরপরও যুক্তরাষ্ট্র হুমকিকে উপেক্ষা করে এবং চুক্তি নবায়ন বন্ধ রাখে।
তখন নাথান যুক্তরাষ্ট্রকে আবার নিজেদের কলোনি করার জন্য বৃটেনকে উৎসাহিত করে। ১৮১২ সালে নাথান রথচাইল্ড এর অর্থ ও উৎসাহ পেয়ে বৃটেন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে। যুদ্ধে নাথানের প্লান ছিল যুক্তরাষ্টকে এমনভাবে ঋণগ্রস্থ করানো যাতে তার কছে সারেন্ডার হয় এবং ব্যাংক চুক্তি নবায়ন করতে বাধ্য হয়। ১৮১৬ সালে কংগ্রেস চুক্তি নবায়ন করা ছাড়াও যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে অর্থ সরবরাহ করার জন্য নাথানকে আরো একটি ব্যাংক খোলার অনুমতি প্রদান করে।
দীর্ঘ ৪ বছরের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেনের হাজার হাজার সাধারন মানুষ ও সেনা নিহত হয় কিন্তু নাথান রথচাইল্ড তার একটির পরিবর্তে দুটি ব্যাংক পেয়ে যায়।

(তিন)
The Rothchild Family এমন বিশ্ব ব্যবস্থা গঠন করেছে যে, পৃথিবীতে এমন কোন সরকার নাই যারা তাদের এডভাইস ছাড়া চলতে পারে। পিটার্সবার্গ থেকে ভিয়েনা, ভিয়েনা থেকে প্যারিস, প্যারিস থেকে লন্ডন, লন্ডন থেকে ওয়াাশিংটন সর্বত্রই তাদের সমান প্রভাব বিস্তার করে অছে।
১৭৯০ সালের পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ইহুদী রথচাইল্ড পরিবার সকল প্রকার যুদ্ধ ও ক’টনৈতিক কৌশলে মাত্র একটিবার পরাজিত হয়েছে। আমেরীকার যতগুলো প্রেসিডেন্ট আততায়ীর হাতে নিহত হয়েছেন তার সবই ঘটেছে এই রথচাইল্ড এর দ্বারাই।
১৮৩২ সালে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ৭ম প্রেসিডেন্ট আন্ড্রৃ জ্যাকসন আমেরিকার অর্থ ব্যবস্থা এর জনগনের জন্যই পরিচালিত হবে রথচাইল্ড এর জন্য নয় এই যুক্তিতে রথচাইল্ড পরিচালিত কেন্দ্রিয় ব্যাংক বন্ধ ঘোষনা করে। হঠাৎ তাদের পরিচালিত ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাবার পরে অর্থনীতিতে ব্যবপক মন্দা দেখা দেয়। অপরদিকে রথচাইল্ড আন্ড্রু জ্যাকসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নয়োর জন্য প্লান করতে থাকে। ১৮৩৫ সালে একজন আততায়ী পরপর ২ টি গুলি ছোড়ে কিন্তু ২টিই ব্যার্থ হওয়াতে প্রানে বেচে যান জ্যাকসন। এই ঘটনার পেছনে কে দাযী তা জানার পরও জ্যাকসন কোন ব্যবস্থাই গ্রহন করতে পারিনী। কিন্তু পরবর্তীতে ১৮৩৬ সালে আমেরিকাতে তাদের সম্পূর্ন ব্যাংক ব্যবসাই বন্ধ করে দেয় জ্যাকসন। ১৮৪১ সালে জন টেইলর প্রেসিডেন্ট হবার পর আবার তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাককে নবায়ন করে।
১৮৬১ সালে আমেরিকার গৃহ যু্েধর সময় ২৪ থেকে ৩৬ পার্সেন্টে সুদ নিতে বাধ্য করে আব্রাহাম লিংকনকে। এই অতি উচ্চ মাত্রার সুদের জন্য ক্ষিপ্ত হয়ে নিজেই সুদ মুক্ত অর্থ প্রিন্ট করা শুরু করে। এরপর রথচ্ইাল্ড বিদ্রোহীদেরকে শত শত কোটি অর্থ দিতে থাকে লিংকনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ।
তাদের অর্থ পেয়ে বিদ্রোহীরা লিংকন বাহিনীর চেয়ে শক্তিশালী হয়ে যায় এবং লিংকন তাদেও সাথে চুক্তি করতে বাধ্য হয়। ১৮৬৫ সালে লিংকন ঘোষনা করে আমার ২ টি শত্রæ এক. সম্মুখে দক্ষিনের বিদ্রোহীআর্মি দুই. পেছনে আছে আর্থিক প্রতিষ্টন যারা আমার প্রধান শত্রæ। ১৮৬৫ সালের এপ্রিল মাসেই লিংকন আততায়ার হতে নিহত হন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০৭

রাতুল_শাহ বলেছেন: রথচাইল্ডের ফাঁদ থেকে মনে হয় না আমেরিকা উদ্ধার হইতে পারবে।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: শুধু আমেরিকা কেন পৃথিবীর কোন দেশই সম্ভব নয় আপাতত বর্তমান অবস্থায়।

ইরান, উ:কোরিয়া, কিউবা এখনো বাইরে আছে বাট ......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.