![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চাকরী উত্তম কাজ যখন তা হয় জাতির সেবা, যখন তাতে মর্যাদা ও ব্যাক্তিত্ব নষ্ট না হয়। যখন জীবন ধারণের সম্বল হয়ে পড়ে চাকুরী, যখন সেটাকে দেশ সেবা বলে মনে হয় না তখন সেটা কর না। সত্য ও আইন অপেক্ষা যখন উপরিস্ত কর্মচারীকে বেশী মানতে হয়, তাহলে সরে পড়। প্রভুর সামনে যদি মনের বল না থাবক নিভয়ে সত্য কথা বলতে না পার, প্রয়োজন হলেই চাকুরী ছেড়ে দেবার সঙ্গতি থাকে তাহলে বুঝবে চাকরী করার জন্য তুমি পাশ করেছো।
মনের স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে না পারলে তোমাতে ও পশুতে প্রভেদ থাকে না। জীবন তোমার মিথ্যা হবে। স্বাধীন হৃদয় সত্যোর সেবক। কামার হও সেও ভাল- নিজেকে যণ্ত্র করে ফেল না। সৎ জ্ঞানী ও মহৎ যিনি তিনি নিজেকে ব্যাক্তিত্বহীন করতে চরম লজ্জাবোধ করেন- তিনি তাতে পাপ বোধ করেন।
চাকরী করে অন্যায়ভাবে রোজগার করে ধনী হবার লোভ রাখ? তোমার চেয়ে মুদি ভাল। মুদির পয়সা পবিত্র। অনেক যুবক থাকতে পারে যারা মনে করে কেতান রকম একটা চাকুরী সংগ্রহ করে সমাজের ভেতর একটা আসন প্রতিষ্টা করতে পারলেই হল। চুরির সাহায্যই হোক বা অসৎ উপায় অবলম্বন করেই হোক, ক্ষতি নেই।
চরিত্র তোমার নিষ্কলংক, সামান্য কাজ করে পয়সা উপায় করো তাতে জাত যাবে না। চোর- অন্যায়ের স সাহা্য যে বাচার চেষ্টা করে, তারাই জাত যায়। অসৎ উপায়ে পয়সা করো না, মিথ্যার আশ্রয় নিও না। লোককে বিপদে ফেলে অথৃ সংগ্রহ করতে তুমি ঘৃনা বোধ কর।ইউরোপের জ্ঞানগুরু প্লেটো মিশর ভ্রমন কালে মাথায় করে তেল বেচে রাস্তা খরচ জোগার করতেন।
যে, কুড়ে, আলসে, ঘুষখোর ও চোর সে-ই হীন। ব্যবসা বা ছোট স্বাধীন কাজে মানুষ হীন হয় না, হীন হয় মিথ্যা, চতুরতা ও প্রবঞ্চনায়। পছে জাতি যায়, সম্মান নষ্ট হয়- এই ভয়ে পরের গল গ্রহ হয়ে মাসের পর মাস কাটিয়ে দিচ্ছ? সম্মান কোথায়?তা তুমি ঠিক পাওনি?
সৎ উপায়ে যে পয়সা উপায় করা যায় তাতে তোমার আত্বার পতন হবে না। তোমার আত্বার পতন হবে আরস্য ও অসাধুতায়। তোমারই স্পর্শে কাজ গৌরবময় হবে।
আমাদের দেশের লোক যেমন আজকাল বিলেতে যায় এককালে তেমনি বিলেতের লোক গ্রীক ভ্রমনে যেত। বিলেত ফেরৎ লোককে কেও ইট টেনে বা কুলির কাজ করে পয়সা করতে দেখেছ? বিলেতের পন্ডিত গ্রীক ভ্রমন করে অগাধ জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। গ্রীক দেশ থেকে ফিরে এসে তিনি আরম্ভ করলেন এমন কাজ, যা তুমি আমি করতে লজ্জা বোধ করব। তাতে তার জাতি গিয়েছিল না। যার মধ্য জ্ঞান ও গুণ আছে সে কয় দিন নিচে পড়ে থাকে? লোক তাকে সম্মান করে উপরে তোলেই।
কাজে মানুষের জাত যায় না এটা বিশ্বাস করতেই হবে।কাজ হীন হয় ঐ সময় যখন কাজের ভিতর অসাধুতা পবেশ করে। আর কোন সময়েই নয়।
বিশ্ব-সভ্যতার এত দান তুমি ভোগ করছো- এসব কি করে হল? হাতের সাহায্য নয় কি? কাজ কামকে খেলা মনে করলে চলবে না। মিস্ত্রির হাতুড়িড় আঘাত, কামারের কপালের ঘাম, কুলির কোদালকে শ্রদ্ধার চোখে দেখ।
ডাক্তার জনসন মাত্র কয় আনা পয়সা নিয়ে লন্ডনের মত শহরে পৌছেছিলেন।অথচ তিনি কারো কাছে কোন কালে কোন হাত পাতে নি। এক বন্ধু এক সময় এক জোড়া জুতা দিয়েছিলেন। অপমান করে তিনি জুতা পথে ফেলে দিয়েছিলেন। জনসনকে অনেক সময় না খেয়ে রাত্রিতে শুয়ে থাকতে হত, তাতে তিনি কোনদিন কষ্ট ব্যাথিত বা হতাশ হননি। বাধাকে চুর্ন করে বীর পুরুষের মত তিনি যে নীতি রেখে গিয়েছেন তা অনেক পন্ডিতেই পারবেন না।
আরভিং সাহেব বলেছেন – চুপ করে বসে থাকলে কাজ হবে না। চেষ্টা কর নাড়াচাড়া কর।কুকুরের মত চিৎকরি কর সিংহ হয়ে ঘুমিয়ে থাকলে লাভ কি? পরীক্ষায় অকুতকার্য হয়েছো তারপর মনে হচ্ছে তোমার এক পয়সা মুল্য ও নাই। জিজ্ঞাসা করি – কেন? জান না এজগতে যারা নিতান্ত আনাড়ী তারা হাজা হাজার টাকা কামাই করছে। তোমার এ বেদনার কারন ,তুমি মুর্খ। মানুষ বালিতে সোনা ফলাতে পারে এ তুমি বিশ্বাস কর না? তুমি কুড়ে তোমার উদ্যম নাই- তুমি অাত্ব প্রত্যায়হীন অভাগা।
ফকস সাহেবকে একসময় একজন ভদ্র লোক বলেছিলেন- আপনার লেখা ভাল নয়। কাজের চারুতার প্রতি তার বতে নজর ছিল যে, তিনি সেইদিন হতে স্কুলের বালকের ন্যায় লেখা পড়া কর আরম্ভ করলেন এবং অল্পকালের মধ্য তার লেখা চমৎকার হয়ে গেল।
এক যুবক স্কট সাহেবের কাছে কিছু উপদেশ চেয়েছিলেন। যুবককে তিনি বললেন- কুড়ে[মি করো না যা করবার তা এখনই আরম্ভ কর। বিশ্রাম যদি করতে হয় কাজ সেরে আরম্ভ করবে। সময়ের যারা সৎব্যবহার করে তারা জিতবিই। সময়ই টাকা সময় টাকার চেয়েও বেশী। জীবনকে উন্নত কর কাজ কর- জ্ঞান অর্জন কর। চরিত্রকে ঠিক করে বসে থেক না। কৃপণের মত সময়ের কাছ থেকে তোমার পাওনা বুঝে নাও।এক ঘন্টা করে মাসে কত কাজ তোমার হয়েছে। তোমার কাজ দেখে তুমি নিজেই বিস্মিত হবে।
জীবনকে ব্যবহার কর দেখবে মৃত্যু তোমার কীকর্তর নিশান উড়িয়ে দিয়েছে।জীবন আলস্য,ম বিনা কাজে কাটিয়ে দাও, মৃত্যু কালে দেখবে জীবনে তোমার মিত্যা অভিনয় ছাড়া আর কিছু হয় নাই- একটা সীমাহীন দুংখ ও হা-হুতাশার সমস্টি। কাজে তোমার আত্বা তৃপ্তি লাভ করে।
সাধুতা ও সত্যর ভিতর দিয়ে যেমন উন্নতি লাভ করা যায় তেমন আর কিছুতে নয়। সত্য ও সাধুতাকে লক্ষ্য রেখে ব্যবসা কর, তোমার উন্নতি অবশ্যম্ভ্যবী।ব্যবসা ভাল কাজ এর মধ্য অমর্যাদার কিছু নাই।(বর্তমান বিশ্বের এলিট জায়োনিস্টরা সবাই ব্যবসা করে চাকুরী করে না)
যে জিনিস নিজে কিনলে ঠকেছ বলে মনে হল সি জিনিস ক্রেতাকে কখনো দিবে না। কখনো অনভিজ্ঞ ক্রেতাকে ঠকিও না। । অপেক্ষা কর তোমার সাধুতা ও সুনাম ছড়াতে দাও। লোকসানের দশগুন তাতে তামার পকেটে ভর্তি হবে।
চাকরী , চাকরী অনবরত চাকুরীর লোভে যুবকরা সোনার শক্তিভরা জীবনকে দুয়ারে দুয়ারে বিড়ম্বিত করে দিচ্ছে। মিস্ত্রি, কামার, দরজি এরা কি সত্যিই নিচু স্তরের লোক? অশিক্ষিত বলেই এদের সভ্য সমাজে মর্যাদা নাই? যা তুমি সামান্য বলে অবহেলা করছ, তা কতখানি জ্ঞান, চিন্তা ও সাধনার ফল তা কি ভেবে দেখেছ? শিক্তিত ব্যাক্তি যে-কোন কাজই করুক না কেন, তার সম্মান ও অর্থ দু-ই লাভ হবে। আত্বার অফুরন্ত শক্তিকে মানুষের কৃপাপ্রার্থি হয়ে ব্যার্থ করে দিও না।
সোর্স: ডা লুৎফর রহমান : উন্নত জীবন
©somewhere in net ltd.