নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবু মুছা আল আজাদ

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র

আবু মুছা আল আজাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্টালিন এবং সোভিয়েত ইউনিয়নকে পশ্চিামা সহায়তা: সম্পূর্ণ কন্ট্রভার্সি ইতিহাস (০১)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:১১

মে ১৯২২ ভ্লাদিমির লেনিন কয়েকবার স্টোকে আক্রান্ত হন। অসুস্থ অবস্থায় ১৯২৪ সাল মৃত্যুবরন করার পর সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্ব গ্রহন করেন যোসেফ স্টালিন। Leon Trotsky. এর সাথে তিক্ত দ্বন্দের পর স্টালিন ট্রটস্কিকে ১৯২৭ সারৈ পার্টি থেকে বের করে দেন । এবং ১৯২৯ সালে দেশ থেকে নির্বাসনে পাঠান। এর পরে আর তাকে পেছনে ফিরতে হয়নি পুরো সোভিয়েত ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রণ এক হাতে তুল নেন। অপরদিকে কমুনিজমের আদর্শিক ও জম্মগত শত্রু পশ্চিামারা ট্রটস্কি এবং স্টালিন দ্বন্দকে কাজে লাগিয়ে কিছু একটা করার পরিবর্তে
স্টালিনকে বিভিন্নভাবে সাহায়্য প্রদান করতে থাকে।

ফ্রান্সের Kuhn, Loeb and Co (পৃথিবীর প্রধান পূজিপতি ও মহাজনী কারবারি রথচাইল্ড এর ছেলে জ্যাকব রথচাইল্ড মালিকানাধীন ব্যাংক)
এর আর্থিসক সহায়তায় দ্রুত শিল্পন্নয়নের জন্য অর্থনৈতিক প্লান"First Five Year Plan গ্রহন করেন। ১৯৩২- ১৯৩৩ সালে যারা কম্যুনিস্ট সরকারকে সহযোগিতা করতে অস্বীকার করে তাদের সকলকে স্টালিন হত্যা করে। এবং এদের সংখ্যা প্রায় সাত মিলিয়ন (৭০ লক্ষ)

লেনিনের "Down with religion! Long live atheism!" (ধর্ম নিপাত যাক অধর্ম/নাস্তিকতা দীর্ঘজীবি হোক) ন্যায় স্টালিন বলেন- "God must be out of Russia in five years. (পাচ বছরের মধ্যই গড রাশিয়া থেকে বিদায় নিবে)। প্র্রভাবকে কাজে লাগিয়ে স্টালিন অন্ধ, গোড়া এবং পুলিশ স্টেট গঠন করে। স্টালিন বলেন কম্যুনিজমের গোল বা উদ্দেশ্য হল বিশব্ব্যাপি কেওস/বিশিৃঙ্খলা তৈরী করা, একটি বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা, উন্নত দেশকে অনুন্নত দেশে সহায়তা করার জন্য উৎসাহিত করা। এবং পৃথিীবিকে বিভিন্ন আঞ্চলিক গ্রুপে ভাগ করা যা পরবর্তিতে one-world government এ উত্তরনের জন্য কাজে লাগানো যায়। ( অথচ one-world government প্লান হল রথচাইল্ড, রকফেলা, কভেন্টিস ইলুমিনাতিদের যারা সম্পূর্নভাবে পশ্চিম ইউরোপ ও আমেরীকা নিয়ন্ত্রণ করে)। কম্যুনিস্ট এবং তাদের সমর্থকরা এই প্লানই বাস্তবায়নে কাজ করেছে।

১৯৩৩ সালে ইলুমিনাতিরা রুজভেল্টকে অর্থনৈতিক ধ্বংস থেকে রক্ষা করার জন্য সোভিয়েত ইউনিয়নকে স্বকৃতি দানের আহবান জানান। (অথচ তা কখনোই হবার কথা ছিল না) ১৭ নভেম্বর ১৯৩৩ সালেন ইউএস সোভিয়েত এর সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে পরিবর্তে রাশিয়া ইউএসএর অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার প্রতির্শতি দেন অথচ সোভিযেত তা কখনো মান্য করেনী। ১৯৩৪ সালে লীগ অব নেশনের সদ্যস্য হন এবং ১৯৩৯ সাল ফিনল্যান্ড আক্রমন করার জন্য সদস্যপদ প্রত্যাখ্যান করে।

এ সময়ের মধ্য ইউএস রাশিয়াতে ব্যাপক সহায়তা করতে থাকে। Arthur G. Mackee এর Cleveland firm বিশালায়তনের Magnitogorski; স্টিল প্লান্ট তৈরী করার সকল সরন্জাম সরবরাহ করে। John Clader of Detroit চেলাবিস্কিতে স্থাপন করতে সহায়তা করে, গোর্কিতে Henry Ford and the Austin Co. একটি অটোমোবাইল ফ্যাক্টরী তৈরী করে, Dniepostrol এ বিশালায়তনের জলবিদ্যুৎ প্লান্ট তৈরী করে Hugh Cooper,
স্টালিন পরবর্তিতে স্বীকার করে যে, রাশিয়ার দৃই তৃতিয়াংশ িশল্পন্নয়নই হয়েছে ইউএস এরসিহায়তায়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সোভিয়েত এবং নাজি (১৯৩৯-১৯৪৪):
২৩ অগাস্ট ১৯৩৯ সালে হিটলার স্টালিনের সাথে নন-অগ্রাসন চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং উভয়েই ব্লিতজিগ যুদ্ধে পোলান্ড আক্রমন করে। ব্লিতজিগ যুদ্ধই ২য় বিশ্বযুদ্ধের সুচনা করে। পোল্যান্ডের সাথে ফ্রান্স ও বৃটেনের সামরিক সহায়তা চুক্তি থাকায় তারা জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে।
হিটলার প্রকাশ্য বলেন যে ‘ ইংল্যান্ডের সাথে যুদ্ধে জড়াতে চাচ্ছে না কিন্ত এখন তা করতে বাধ্য হচ্ছে। ১৯৪০ সালেই নেদারল্যান্ড, বলেজিয়াম এবং ফ্রান্স এর উপর আধিপাত্য বিস্তার করে হিটলার। অপরদিকে স্টালিন লাটভিয়া, লিথুনিয়া, এস্তোনিয়া এবং মলদোভিয়াতে অভিযান চালায় যা হিটলারের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাড়ায়।

অপরদিকেে ইংল্রান্ডের সাথে জামাৃনির যুদ্ধ স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকায় ইলুমিনাতিরা (রথচাইল্ড) প্রধানমন্ত্রি চেম্বারলিনের বিরুদ্ধে প্রেস আক্রমণ করতে থাকে। কারণ ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংকাররা (ইলুমিনাতি/রথচাইল্ড/রকফেলার) চাচ্ছিল ব্যাপক সংঘর্ষ এজন্য চেম্বারলিনকে চাপ প্রয়োগ করে রিজাইন করতে এবং তার পরিবর্তে চার্চিলকে ক্ষমতায় আনে। চার্চিল আসার সাথে সাথে জার্মানির উপর বিমান আক্রমন চালিয়ে যুদ্ধকে চুড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যায়।

চলবে , , , , ,, , ,, ,

সোর্স: Click This Link

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:০০

শোভন শামস বলেছেন: লিখা ভালো লাগলো। এগিয়ে যান। শুভ কামনা থাকলো

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:০৭

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ধন্যবাদ শোভন শামস উৎসাহ দেবার জন্য।

আশা করি আমার টেরোরিজম ও ইলুমিনাতি: তিন হাজার বছরের ইতিহাস অনুদিত বইতেও আপনাকে পাব

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:০১

সোহানী বলেছেন: ভালো লাগলো... সাথে আছি...+++++++++

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:০৯

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: সোহানী অনেক অনেক ধণ্যবাদ ও আশির্বাদ

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪২

জগতারন বলেছেন:
সাথে আছি চালিয়ে যান।
ইলুমিনাতি সমন্ধে বিস্তারিত জানতে চাই,
ইহার ছবি 'রিকান ডলারে আছে, কারন কী?
আশা করি জানতে পারবো।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫১

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: জগতারন ধন্যবাদ ও আশির্বাদ ।
উৎসাহিত হলাম।

তবে আমি চাই আমার চোখে বা লেখায় নয় বর্ং আপনিই অনুসন্ধান করেন এজন্য সার্চ করুন এবং আমরা আরো অধিক পরিমান জানি।

ফেডালেরল রিজার্ভ এবং ডলার: https://www.youtube.com/watch?v=waetWPG_W7o

http://disinfo.com/2015/08/titanic-federal-reserve-conspiracy/
িএছাড়াও আমার লেখাতে কিছু বইএর লিংখ ও না দেয়া আছে গুগল তো আছেই

৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: আপনার লিখা পড়তে বরাবরই ভাল লাগে। তবে আপনার আগের লেখা গুলো আবার পড়তে ইচ্ছে হচ্ছে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩২

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: প্রশ্নবোধক ভাল লাগার জন্য নেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। উৎসাহিত হলাম

তবে সময়ের অভাবে আমার লেখাগুলোতে কিছু ভাষাগত অসামঞ্জস্যতা রেখেই পোস্ট করছি। তবে সময় পাওয়াটা অনেক কঠিনই হয়ে গেছে। তবে দেখি সামনে কিছু করা যয় কি না।

আগের লেখা পড়তে চাইলে আমার পেজে আসলেই হবে এছাড়া ধারাবাহিক লেখাতে পূর্বের পর্বের লিংক দেয়া আছে সেখান থেকে আপনি ভিজিট করতে পারবেন।

৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০

রাতুল_শাহ বলেছেন: ২য় বিশ্বযুদ্ধে মরগান ফ্যামিলিরও মনে হয় হাত ছিলো।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:০০

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: অসাধারণ জিনিয়াস এবং অনুসন্ধানী মন্বব্য রাতুল শাহ।

মরগান, ফোর্ড, এফ আই ফরবেনই মুলত উভয় পক্ষকেই অর্থনৈতিক সাহায্য করেছে এবং যুদ্ধকেও টিকে রেখেছে।

তবে এ বিষয়ে পড়ে লেখব আশা করছি কারণ যুদ্দটি যে ম্যাকানাইজড ছিল তা বুঝতে িবা বিশ্বাস করতে আমাদের আরো বহু সময় লাগবে।

৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০০

টারজান০০০০৭ বলেছেন: যাক ! বামাতীদের আরেক নবীরে ল্যাংটা কইরা দিছেন ! হেগো নবীদের মতন এরা ধর্মের বিরুদ্ধে সরাসরি কিছু কইতে সাহস পায় না , তয় ইনিয়ে বিনিয়ে নিন্দা কইরা বেড়ায় ! হেগো নবীরা আর যাই হোক কাপুরুষ ছিলোনা ! এরা কামেয়েলোক !

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৪৫

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য
‘বামাতীদের আরেক নবীরে ল্যাংটা কইরা দিছেন’

ভাল করে বুঝতে পারলাম না।

৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:০৭

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: রুশ প্রেসিডেন্ট সরাসরি বলছে;

Putin: First Soviet government was mostly Jewish

http://www.timesofisrael.com/putin-first-soviet-government-was-mostly-jewish/

তবে এই উগ্র নাস্তিকদের পূর্ব পুরুষরা ইহুদী ছিল।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:১৪

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ধন্যবাদ
‘First Soviet government was mostly Jewish’
পুটিন এস পশ্চিমা বিরোধির এব্যাপারে ইউটিউবে অনেক ভিডিও আছে।

কিন্তু আমি বলি এটা হল থিসিসস-এটিন্ট থিসিস- সিনথিসিস এর ওয়াল্ড এলিট কর্তক খেলা।
পরে আমি লেখব যে কিভাবে এলিটরা তাদের গোলে পৌছঅর জন্য সোভিয়েত রাশিয়াকে প্লে করিয়ে সমগ্র পৃথিবীকে ২ টি পোলারের অধীন নিয়ে নেয়। অথচ ঊভয়ের চালক/এলিট একই গ্রুপ

৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:১৩

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: এই বলশেভিকদের লক্ষ্যই ছিল রাশিয়ার অর্থডক্স খ্রীষ্টিয়ানিটিকে ধ্বংস করে দেওয়া। বলশেভিক তথা ইলুমিনাটিদের পূর্ব পুরুষরাই খ্রীষ্টানদের মধ্যে বিভেদ ঘটায়া প্রথমে রোমান ক্যাথলিক তারপর শুধু ক্যাথলিক এবং পরে প্রোটোষ্ট্যান্ট গ্রুপ সৃষ্টি করছে। ক্যাথলিক, প্রোটোষ্ট্যান্টরা(নেতারা) যেহেতু ইলুমিনাটিদের বন্ধু তাই তারা সহজে সমস্যায় পড়ে না।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪০

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ধন্যবাদ জিন্দাবাদ
‘এই বলশেভিকদের লক্ষ্যই ছিল রাশিয়ার অর্থডক্স খ্রীষ্টিয়ানিটিকে ধ্বংস করে দেওয়া। বলশেভিক তথা ইলুমিনাটিদের পূর্ব পুরুষরাই খ্রীষ্টানদের মধ্যে বিভেদ ঘটায়া প্রথমে রোমান ক্যাথলিক’

অসাধারণ জিনিয়াস এবং ভাবুক মন্তব্য
তবে প্রটেসট্যান্টদের ব্যাপারে কিছু ব্যাতিক্রম আছে

৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১১

টারজান০০০০৭ বলেছেন: বামাতিরা লেলিন , স্তালিন এবং মাও যে দং রে নবীর মতন মানে। নবীগো যেমন কোনো গোনাহ নাই হেরা মনে করে তাগোও কুনু ভুল হইতে পারে না। আফনে স্তালিনের বদ কামগুলান প্রকাশ কইরা টরে ল্যাংটা কইরা ফালাইছেন। তাই ধন্যবাদ দিছিলাম।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪২

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ধন্যবাদ Tarzan00007
ব্যাক্তিগতভাবে সম্পূন একমত আমি।
তবে বামদের দোষ দিব না কারণ তারা এত বড় মহাষড়যন্ত্রের স্বীকার যে তাদের কাছে তা প্রকাশ হবার পরও তাদের জন্য তা বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে পড়ে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.