![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবি: ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত ওবিলিস্ক
প্রাচীন জাতিসমূহের মধ্য বিভিন্ন দেবদেবীকে মানুষের আকার দান করে উপাসনা করার প্রথা প্রচলিত ছিল। এছাড়া ওবিলিস্কসহ অন্যান্য কিছূ ভাস্কর্য বা নিদশর্নেরও উপসনা করত যেগুলো গোপন বা রহস্যময় উদ্দেশ্য অর্থ বহন করত। ব্যাবিলনে Diodorus নামে একটি ১৩০ ফুট উচ্তা বিশিষ্ট ওবিলিস্ক রানী Semiramis নির্মান করে। বাইবেলের ভাষ্যমতে, ওবিলিস্ট আকারের ভাস্করর্যের প্রস্থ ৯ ফিট এবং দৈর্ঘ ৯০ফিট।
মানুষ অধপতিত হয়ে সোনালী রং এর মুর্তির উপাসনা করত যা নেবুচাদনেজার ব্যাবিলনে স্থাপন করেছিল (Dan. 3:17). কিন্তু ওবিলিস্ক এর প্রাথমিক উৎস হল মিশর। এ ধরনের অনেক অবিলিস্ক এখনো মিশরে বিদ্যমান।কিছু কিছু অন্য দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তার মধ্য একটি আছে Central Park in New York এ এবং একটি আছে লন্ডনে এছাড়া কতিপয় ওবিলিস্ক রোমে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ছবি: ওবিলিস্ক ইন Central Park in New York
উৎপত্তিগত দিক থেকেই ওবিলিস্ক SUN Worship. এর সাথে সম্পর্কযুক্ত। প্রচিীন মানুষ প্রকৃত সৃষ্টিকর্তার কথা ভূলে বলতে থাকে দেখ- সুর্য গাছ পালা এবং মানুষকে জীবন দিচ্ছে। সুর্যকে জীবন দানকারী সবচেয়ে বড় গড হিসেবে দেখ। তাদের মতে, ওবিলিস্ক এর ন্যয় উপরমুখি কোন বস্তুর সেকসুয়াল গুরুত্বও রয়েছে। তাদের ধারণা মতে সেকসুয়অর ইউনিয়নের মাধমে জীবনের উৎপন্ন হয়েছে। এজন্য তা সুর্যের সাথেও সম্পর্কীত এবং জীবনের প্রতীক। এই বিশ্বাসই ওবিলিস্ক এর মাধমে পকাশ পায়।
পৃথিবীর মধ্য সবচেয়েে উচ্চ phallus (ওবিলিস্ক/লিঙ্গের প্রতীক) ওয়াশিংটন ডি সি তে অবস্থিত George Washington monument। 55.5 ফিট প্রস্থ ও 55.5 ফিট দীর্ঘ এবং 555 ফিট উচ্চতা বিশিষ্ট স্থাপনা। ভাবুন এর ডাইমেনশন কত? তাদের অভিপ্রায় বহন করার জন্য ওবিলিস্ককে খারা উর্দ্ধ মুখি রাখে। Ezekiel এর সময় ইসরাঈলীরা নিজেদের ধর্মের সাথে যখন এই পৌত্তলিক মিশ্রন করে ফেলে তখন তাদের প্রার্থনা গৃহের সম্মুখে ওবিলিস্ক মুর্তি স্থাপন করে।
ছবি: ওবিলিস্ক রোমের সেন্ট পিটার চার্চের সামনে।
প্রাচীন সময়ে মিশরে যে ধরনের ওবিলিস্ক ছিল ঠি ক তার অনুরুপ আকারের হল সেন্ট পিটার এর ওবিলিস্ক। সুর্য উপাসনার যুগে রহস্যময় এই চর্চা যখন রোমে আসল তখল রোমে নতুন করে ওবিলিস্ক তৈরীই হল না বরং রোম সম্রাটরা বহু অর্থ ব্যায়ে মিশরের ওবিলিস্ককে মেরামত করে। বর্তমানে ভ্যাটিকান হিলে অবস্থিত Caligula নামের ওবিলিস্ককে খিস্টাব্দে মিশরের Heliopolts থেকে আনা হয়। প্রচিীন যুগে Heliopollis ছিল সূর্য উপাসনার কেন্দ্র।
ঠিক একই আকারের ওবিলিস্ক রয়েছে রোমান ক্যাথলিজমের মাদার চার্চের সম্মুখে। এটাকে একটি কয়েনসিডেন্স মনে হতে পারে কিন্তু ওয়াশিংটন ডি সি তে পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ ুবিলিস্ক রয়েছে তা কখনো কয়েনসিডেনন্স হতে পারে না।
ভ্যাটিকানের লাল ওবিলিস্ক ১৩২ ফিট উচ্চ এবং ৩২০ টন উচ্চতা বিশিষ্ট। ১৫৮৬ সালে এটিকে St. Peter's স্কয়ারের চার্চের সম্মুখে স্থাপনের জন্য এটিকে সরিয়ে নেয়া হয়। Pope Sixtus V. ওবিলিস্ককে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন। ঐ সময়ে এত বড় ও ভারি স্থাপনাকে সরিয়ে নেয়া ছিল খুবই কষ্টসাধ্য। এছাড়া পোপ ঘোষনা করে যে ওবিলিস্ক যদি পড়ে ভেঙ্গে যায় তাহলে মৃত্যু দন্ড দেয়া হবে।
অবশেষে Domenico Fontana নামে একজন এই দায়িত্ব নিতে সম্মত হয়। ৫০টি winch (এখনকার ক্রেনজাতীয় যন্ত্র) ১৬০টি ঘোড়া, ও ৮০০ শ্রমিকের মাধমে এটি সরিয়ে নিতে সফল হয়।
ছবি: ওবিলিস্ক ইন ক্যাথেড্্রাল জার্মানি।
ছবি: চার্চ অব সোফিয়া
কিন্তু আমার কিছু বুঝে আসে না প্রাচীন এসকল নিদর্শন কেন বা কি কারণে বর্তমান বিজ্ঞানের যুগেও বহু অর্থ ব্যায়ে নির্মান করা হচ্ছে।
সোর্স: রিলিজিয়ন অব ব্যািাবলন/নেট
০১ লা মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩৯
আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: রাতুল_শাহ ভাই প্রশ্ন আমারও একই ।
দেখি অনুসন্ধান করতে থাকি কোথাও উত্তর পাওয়া যায় কি না।
২| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: আবু মুছা আল আজাদ ,
শেয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ ।
শেষ প্রশ্নটির উত্তর --- যাদের যেমন অভিরুচি ।
০১ লা মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩৩
আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জি এস ভাই।
যাদের যেমন অভিরুচি' হ্যাঁ হতে পারে বিষয়টি সেরকমই একটা কিছু
৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৪
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: হতে পারে কোন গুপ্ত বিশ্বাস থেকে এটার শুরু।
০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৪৫
আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: দেখার চেষ্টা করব কি সে গুপ্ত বিশ্বাস?
৫০০০ বছর পূর্বে ৪৫০ ফুট উচ্চু পিরামিড তৈরীর মত অবিশ্বাস্য জ্ঞান কিভবে হল সাথে এদেরই উত্তরসূরীরা বর্তমান সময়েওে ঐসব প্রতীক ব্যবহার করছে।
৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৫৬
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: # আমি তাদের পূর্বে বহু সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছি, তারা এদের অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী ছিল এবং দেশে বিদেশে বিচরন করে ফিরত। তাদের কোন পলায়ন স্থান ছিল না।- সূরা ক্বাফ: ৩৬ #
এটা আল্লাহ-তায়ালা বলেছেন। এবার বুঝেন ঘটনা কি??????
০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৫
আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ধন্যবাদ নয়ন বিন বাহার
‘তাদের কোন পলায়ন স্থান ছিল না’ এর অর্থ কি এমন যে তারা সকলেই সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে?
না কি ২-৪ জন ছিল যারা আবার পৃথিবীতে সব কিছুর নিয়ন্তত্রণ নিয়েছে?
না কি নতুন করে ঐ মতের উদ্ভব হয়েছে?
৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৪
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: ব্রিটিশদের সূর্য কখনো অস্ত যেত না, এটা শোনেননি? তাহলে তো বুঝে যাওয়ার কথা। তার পরেও না বুঝলে বলবেন।
০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩৫
আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ধন্যবাদ নয়ন বিন বাহার ভাই
শুনেছি তবে আরো নিজে নিজে জানার চেষ্টায় আছি ভাই।
৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪৪
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: শুনেছেন তো নিশ্চয়। কিন্তু বুঝেছেন কি? বুঝলে দেখবেন কিছু প্রশ্নের উত্তর আপনা পেয়ে যাবেন।
আপনার জন্য শুভকামনা।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:২৪
আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ধন্যবাদ নয়ন বিন বাহার
সাথে থাকা, তথ্য ও মাতামত জানানোর জন্য শুভকামনা রইল
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:১৪
রাতুল_শাহ বলেছেন: কিন্তু আমাদের কিছু বুঝে আসে না প্রাচীন এসকল নিদর্শন কেন বা কি কারণে বর্তমান বিজ্ঞানের যুগেও বহু অর্থ ব্যায়ে নির্মান করা হচ্ছে।
আমারও একই প্রশ্ন