নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবু মুছা আল আজাদ

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র

আবু মুছা আল আজাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডুমস ডে সীড ভল্ট: বিল গেটস, রকফেলার এবং জিএমও জায়ান্ট মনসান্টো কি ভিন্ন কিছূ ভাবে?

১৮ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০


ছাব: ডুমস ডে সীড ভল্ট
যেই একটি কারণে মাইক্রোসফট এর প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস কে অভিযুক্ত করা যাবে না তাহল আলসেমি বা কুড়েমি। অলসতা তার উপর কখনোই প্রভাব বিস্তার করতে পারেনী। ১৪ বছর বয়সেই প্রগ্রামিং শুরু, হাভার্ডে পড়ালেখা করা অবস্থায় ২০ বছর বয়সে মাইক্রসফট প্রতিষ্ঠা। ১৯৯৫ সালে ফর্বস ম্যাগাজিন মতে পৃথিবীর সেরা ধনী। একচেটিয়া সফটওয়ার বিজনেসও তারই দখলে। তারই প্রতিষ্টিত গেটস ফাউন্ডেশন জাতিসংঘের World Health Organization এর বাজেটের প্রায় সম্পূর্নভাগ সরবরাহ করে।

কিন্তু একেবারে রিমোট মেরু অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত একটি রহস্যময়ী প্রজেক্ট নিয়েই বেশী উৎসাহ তৈরী হয়েছে অনেকের মধ্য। আর্কটিক মহাসাগরের নিকটবর্তি ব্যারেনস্টস সাগরের Svalbard নামক স্থানে সীড ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করার জন্য মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করছে বিল গেটস। নর্থ পোল থেকে ১১০০ কি.মি দূরে Svalbard একটি রেমোট স্থান। ১৯২৫ সালে আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধমৈ নরওয়ের কাছ থেকে যায়গাটি নিয়ে নেয়া হয়।

এই পরিতাক্ত দ্বীপেই বিল গেটস মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যায় করছে। তার সাথে সাথে যুক্ত রয়েছে Rockefeller Foundation, Monsanto Corporation, Syngenta Foundation এবং নরওয়ে সরকার। তাদের প্রতিষ্টিত এই সীড ব্যাংকেই বলা হয় ‘doomsday seed bank। অবশ্য অফিসিয়ালি এটি Svalbard Global Seed Vault নামে পরিচিত। ব্যাংক/ভল্টটি পাহারের মধ্য অবস্থিত। ব্যাংকটি দই স্তরের blast-proof, মশোন সেনসর, ২টি বায়ুরোধক/এয়ারলক এবং এক মিটার পুরো স্তর বিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিটের তৈরী দেয়াল। সমগ্র বিশ্ব থেকে প্রায় ৩ মিলিয়ন বিভিন্ন ধরনের সীড/বীজ ধারণ করতে পারবে। যাতে ভবিষ্যতের জন্য শস্য ডাইভারসিটি সংরক্ষন করা যায়।

আমরা কি এখানে কিছু মিস করলাম? তাদের প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে- ‘so that crop diversity can be conserved for the future'' কিন্তু কোন ভবিষ্যতের কথা সীড ভল্ডের প্রতিষ্ঠাতারা বললেন? বিশ্বব্যাপী বর্তমান সিডকে কি কোন কিছূ হুমকির সম্মুখিন করবে? যার জন্য সনাতন বীজকে বিশ্বব্যাপি সীড ব্যাংকে সংরক্ষন করা হচ্ছে?

প্রথমেই উল্লেখ করার বিষয় হল যে, কে ডুমস ডে সীড ভল্টে অর্থ সহায়তা দিচ্ছে? তারা হল Bill & Melinda Gates Foundation, GMO প্যাটেন্ট এর মালিক মনসান্টো, DuPont/Pioneer Hi-Bred, সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক GMO প্রসস্তুতকারক Syngenta Foundation, Rockefeller Foundation , gene revolution কারী প্রাইভেট গ্রুপ CGIAR।

CGIAR and ‘The Project:
১৯৬০ সালে ফিলিফাইনের Los Baños এ জন ডি রকফেলার III এর Agriculture Development Council এবং ফোর্ড ফাউন্ডেশন যৌথ উদ্যগে International Rice Research Institute (IRRI) এবং গম ও ভুট্টা উন্নয়নের জন্য মেক্রিকোতে International Maize and Wheat Improvement Center প্রতিষ্ঠা করেন। IRRI এবং IITA মিলে প্রতিষ্টিত হয় CGIAR। CGIAR এর উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘ এবং বিশ্ব ব্যাকের উন্নয়ন কর্মসূচীতে ফান্ড সরবরাহ করে। ১৯৭০ সালের শুরু থেকে বিশ্বব্যাপি কৃষি কর্মসূচী গ্রহন ও বাস্তবায়নের সাথে জড়িত Rockefeller Foundation। তৃতীয় বিশ্বের সকল দেশে তাদের পলিসি বিশেষ করে ‘Gene Revolution বাস্তবায়ন করার জন্য উন্নয়নশীল দেশের বিজ্ঞানিদের জন্য বিভিন্ন প্রগ্রামের মাধমৈ উক্ত দেশে তা বাস্তবায়নে সহায়তা করে।


Genetically engineering a master race?
যে প্রজেক্ট সম্পর্কে বলা হচ্ছে তা হল Rockefeller Foundation এবং কতিপয় প্রভাবশালী গ্রুপের জন্য। ১৯২০ সাল থেকে genetically-engineered Master Race তৈরীর কা করে যাচ্ছে। হিটলার এবং নাজিরা একে Ayran Master Race বলত। হিটলারের eugenics বা প্রকল্পে সাহায্য করেছে Rockefeller Foundation এবং বর্তমানে এটিই সমগ্র পৃথিবীর সকল বীজের স্যাম্পল নিয়ে গড়ে তুলেছে ডুমসডে সিড ভল্ট/ব্যাংক। এই একই Rockefeller Foundation মানব বৈশিষ্ট পরিবর্তন ও মানব আয়ুষ্কাল কমিয়ে দেয়ার জন্য molecular biology নামে কাল্পনিকও ভিত্তিহীন ডিসিপ্লিন তৈরী করেছে। তাদের biological eugenics research এর জন্য ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর হিটলারের বিজ্ঞানীদেরকে গোপনে নিয়ে আসা হয়।

এই রকফেলার ফাউন্ডেশনই তথাকথিত পন্ঞাশের দশকের Green Revolution তৈরী করেছে। পৃথিবীর থেকে বিশেষ করে মেক্সিকো, ইন্ডিয়ার ক্ষুধা দূর করার জন্য Green Revolutionএর সুত্রপাত। রকফেলার ফাউওেন্ডশনের কৃষিবিদ/agronomist- Norman Borlaug তার কাজের জন্য নোবেল লাভ করেন।

Henry Kissinger বলেছিলেন- Green Revolution রকফেলার পরিবারেঅসাধারণ প্রকল্প যার মাধমৈ কয়েক বছরের মধ্যই বিশ্বব্যাপি কৃষি ব্যবসার নিয়ন্ত্রন নিবে যেমন তারা পৃথিবীব্যাপি এককেন্দ্রিক তেল ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। কিসিন্জার ১৯৭০ সালে বলেন- যদি তুমি তেল কন্ট্রোল করতে পার তাহলে দেশকে কন্ট্রোল করতে পারবে আর যদি খাদ্যকে কন্ট্রোল কর তবে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন করতে পারবে (‘If you control the oil you control the country; if you control food, you control the population.’)।

প্রেসিডেন্ট Eisenhower এর কৃষি সেক্রেটারী John H. Davis ১৯৫৬ সালে হার্বার্ট বিজনেস রিভিউতে একটি অার্টিকেল বলেন- কৃষি উৎপাদনে বিপ্লব/গ্রীন বিপ্লব ফুড চেইনের নিয়ন্ত্রন সনাতন পারিবারিক কৃষকদের কাছ থেকে কতিপয় মাল্টিন্যাশনালদের হাতে পন্জিভূত করবে। গ্রিন রেভুলশনের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল উন্নয়নশীল দেশে নতুন hybrid seeds এর বিস্তার ও প্রয়োগ করা। ফলে ইচ্চ ফলন পাবার জন্য কৃষকরা প্রতিবছর তাদের কাছ থেকৈ বীজ ক্রয় করবে। যদি মাল্টি ন্যাশনাল সীড কোম্পানিগুলো সনাতন বীজ উৎপাদন ব্যবস্থা সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রন করতে পারে তবে কোন প্রতিদ্বন্দী বা কৃষকই হাইব্রিড বীজ উৎপাদন করতে পারবে না। পৃথিবী ব্যাপি হ্উব্রিড সিড নিয়ন্ত্রনকারী জায়ান্ট কোম্পানি DuPont’s Pioneer Hi-Bred এবং Monsanto’s Dekalb।


আামরা প্রশ্ন করতে পারি যে, কেন বিল গেটস ও রকফেলার ফাউন্ডেশন জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং জায়ান্ট DuPont, Syngenta এবং CGIAR ডুমসডে সিড ভল্ট তৈরী করছে? এই সিড ভ্যাংক কে ব্যবহার করে? প্লান্ট ব্রিডার এবং গবেষকরা জিন ব্যাংক এর প্রধান ব্যবহারকারী। বর্তমানে পৃথিবী ব্যাপি প্রধান GMO জায়ান্ট হল Monsanto, DuPont, Syngenta and Dow Chemical। তারা Terminator নামে এক প্রকার প্রযুক্তি ব্যবহার করছে যাতে বীজ গুলো একবার উৎপাদিত হবার পর অটোমেটিক ধ্বংস হয়ে যায়। যার সম্পূর্ন নিয়ন্তণে প্রাইভেট কোম্পানি। ফুড চেইনের উপর এম নয়িন্ত্রন মানব ইতিহাসে আর কখনো হয়নি। terminator প্রযুক্তি কৃষকদেরকে প্রতি বছর Monsanto বা GMO সীড সরবরাহকারীদের কাছে যেতে বাধ্য করছে।

রসায়নিক সার, বাণিজ্যিক হোইব্রিড সীড, জিএমও সহ নতুন প্রযুক্তি হাজার বছর ধরে স্বাধীনভাবে চলে আসা কৃষকদেরকে বিদেশী বিশেষ করে এউএস এর জায়ান্ট কোম্পানির উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। বহু দশক পূর্বের পরিকল্পিত পরিকল্পনার প্রাথমিক ফল হল এই স্বকীয়তার পরিবর্তে নির্ভরশীলতা তৈরী। Green Revolution এর একটি বড় গ্রাম্য এলাকা পরিত্যাগ করে কৃষকদেরকে কাজের সন্ধানে শহরের বস্তিগিুলোতে আসতে বাধ্য করা। বস্তি আসতে বাধ্য হওয়া এটি কোন দুর্ঘটনা নয়। বরং এটি সেই প্লানের অংশ যাতে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোর উৎপাদ কাজ ও বিশ্বোয়নের জন্য সস্তা শ্রমিকের যোগান দেয় যায়।

Green Revolution এ দারিদ্র দারিদ্র ওক্ষুধা দুরীকরণের প্রতিজ্ঞা করা হয় কিন্তু সনাতন চাষ ব্যবস্থা ধ্বংস হওয়াতেফলাফল হয় পুরো উল্টোএবং এসব বীজের ব্যবহারের ফলে জমির উর্বরতাও হ্রাস পেতে থাকে। অপরদিকে হাইব্রীড বীজে সেচ প্রকল্প ও ড্যাম নির্মান করার জন্য তাদেরই মালিকানাধীন World Bank থেকে প্রচুর পরিমান ঋণ নিতে হল। ড্যাম নির্মানের কারণে বহু উর্বর এলাকা পানির নিচে চলে যায়। জমিতে প্রয়োগের জন্য সার তৈরীন উপাদান নাইট্রেট ও পেট্রলিয়াম নিয়ন্ত্রিত হয় রকফেলার ডিমিনেটেড Seven Sisters কোম্পানির
মাধ্যমে।


Largest seeds in the world, at Millennium Seed Bank.



Doomsday Seed Vault


Doomsday Seed Vault

(সকল কিছুর নিয়ন্ত্রণ যদি মাত্র কয়েকজনের একচ্ছত্র নিয়ন্তণে চলৈ যায় তবে এমনটি কি হবার সম্ভাবনা নাই? যে, কোন এক সময় তাদের কথা কেউ না শুনলে তারা সীড সরবরাহ বন্ধ করে দিবে। তখন তো আমাদের কাছে কোন বীজই থাকবে না তাহলে ভাবুন তো কি হতে পারে? পারমানবিক বোমা ব্যবহারের কি দরকার আছে?
অথবা বিষয়টি টি কী এমন যে, ফ্রান্সিস ফুকুইয়ামার ‘এন্ড অব হিস্ট্রি এন্ড দ্যা ল্যাস্ট ম্যান এবং হান্টিংটনের ক্লাশ অব সিভিলাইজেশন এন্ড রিমেকিং দ্যা নিউ ওয়াল্ড অর্ডাার এর বেচে যাওয়া মানুষগুলির জন্য এটা তৈরী। তারা কি নিশ্চিত যে অন্য মানুষগুলো ধ্বংস হতে যাচ্ছে বাট তারা বেচে থাকবে এবং নতুন করে পৃথিবী গড়বে বলে এত আয়োজন? )


সোর্স: Source: Click This Link




মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ব হু বিলিওনিয়ার মিলে, আনবিক যুদ্ধে টিকে থাকার পথ বের করেছে, যা সাধারণ মানুষ জানে না।

ফার্মা, এগ্রো জায়েনটা ট্রলিয়ন ট্রিলিয়ন আয় করতে গিয়ে মানুষকে পংগু করে ফেলবে ক্রমেই।

১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০৬

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ``ব হু বিলিওনিয়ার মিলে, আনবিক যুদ্ধে টিকে থাকার পথ বের করেছে, যা সাধারণ মানুষ জানে না।'

ধন্যবাদ চাঁদগাজী, অিঅমিও একমত।

তবে বুঝি না এগুলোও যে আলোচনার ইসু হতে পারে তা কোথাও দেখা যায় না। অথচ এসবই মুল ইস্যু

২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


"তবে বুঝি না এগুলোও যে আলোচনার ইসু হতে পারে তা কোথাও দেখা যায় না। অথচ এসবই মুল ইস্যু "

-ক্যাপিটেলিজম মানুষকে চাপে রাখার ফলে, বিশ্বের বেশীর ভাগ মানুষ খাবার যোগাড় করতে মুল সময় ব্যয় করছে; রাজনীতি নিয়ে ভাবার সময় পাচ্ছে না।

১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪৯

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন:
-ক্যাপিটেলিজম মানুষকে চাপে রাখার ফলে, বিশ্বের বেশীর ভাগ মানুষ খাবার যোগাড় করতে মুল সময় ব্যয় করছে;'

এটিই বাস্তব। দেখি জানার চেষ্ঠায় আছি................................

৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫৩

রাতুল_শাহ বলেছেন: তারা Terminator নামে এক প্রকার প্রযুক্তি ব্যবহার করছে যাতে বীজ গুলো একবার উৎপাদিত হবার পর অটোমেটিক ধ্বংস হয়ে যায়

ব্যাপারটা খু্বই ভয়ংকর।

বর্তমানে সবাই ধর্ম আর টাকা নিয়ে ব্যস্ত। গভীর ভাবে চিন্তা করার কারো সময় নেই।

চাঁদগাজী ভাই এর মন্তব্যের সাথে সহমত পোষণ করি।

২০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৫৬

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ব্যাপারটা খু্বই ভয়ংকর’

আমি নিজেও চিন্তিত কেন যে মানুষ এসব ইসু নিয়ে মাথা ঘামায় না?
সাথে চাদগাজি ভায়ের মন্তব্যটাও অসাধারণ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.