নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবু মুছা আল আজাদ

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র

আবু মুছা আল আজাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

“গোল্ডেন রাইস” এন্ড ব্লাক লাইস -The Hidden Agenda of Genetic Manipulation

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯



1984 সালে প্রথমবারের মত রকফেলার ফাউন্ডেশন নতুন molecular প্রযুক্তির মাধ্যমে ধানের genome আবিষ্কোরের জন্য ব্যাপক পরিসরে কর্মসূচি গ্রহন করে। ব্যাপক রিসার্স কর্মসূচি গ্রহন করার উদ্দেশ্য হিসেবে তারা আগামী পরবর্তি দশকে পৃথিবীর মানুষের ক্ষুধা নিরসনের কথা ঘোষনা করে। কারণ আগামী দশকের নতুন এক বিলিয়ন ক্ষুধার্ত মানুষের ক্ষুধা নিরসনের জন্য তাদের প্রজেক্ট অগ্রনী ভুমিকা পালন করবে। নতুন রিসার্স পরিচালনা করার জন্য তাদের প্রতিষ্টিত প্রতিষ্ঠিান International Program on Rice Biotechnology (IPRB) পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ন রিসর্সি lab এ অর্থ পাঠায়। পরবর্তি 17 বছরের মধ্য রকফেলার ফাউন্ডেশন তাদের $105 millions ডলার অর্থ ব্যায় করে genetically Modified ধানের উন্নয়ন ও প্রসারের জন্য। অধিকন্তু 1989 সাল থেকে এ উদ্দেশ্য আরো $54 million ডলার যা 1989 সাল থেকে পরবর্তী 10বছরে $540 million এরও বেশী ব্যায় করে উক্ত উদ্শ্যে অর্জন করার জন্য।

প্রাথমিক পর্যায়ে ফাউন্ডেশনটি শিল্পন্নত দেশের 46 টি ল্যাবে গবেষনার জন্য ফান্ড সরবরাহ করে।রকফেলার ফন্ড গ্রহনকারীদের মধ্য অন্যতম ছিল জুরিখে অবস্থিত বিখ্যাত Swiss Federal Institute of Technology এবং জামার্নির the Center for Applied Biosciences at Freiburg University. অনুদানের অর্থ বিশ্বব্যাপি বিজ্ঞানীদেরকে প্লান্ট ও মানব সম্প্রদায়ের উপর জেনেটিক ইন্জনিয়ারিং এর প্রভাব সম্পর্কে রকফেলার ফাউন্ডেশনের দৃষ্টিভঙ্গি প্রচার ও ট্রেনিং দেয়ার জন্য নেটওয়ার্ক তৈরীতে ব্যায় করা হয়। ফাউন্ডেশন তাদের নতুন উদ্ভাবিত genetically modified organisms এর বিস্তার ও সায়েন্টিফিক অবকাঠামো তৈরীর জন্য শত শত গ্রাজুয়েট ও পোস্ট গড়্রাজুয়েট ফেলোদের ট্রেনিং দানের জন্য অর্থ সহয়াতা দান করে।

ফিলিফাইনে অবম্থিত International Rice Research Institute (IRRI) প্রতিষ্ঠিত হয় রকফেলার ফান্ডের মাধ্যমেই এবং এর প্রধান গবেষকরাও ছিল ফাইন্ডেশনের অর্থে পরিচালিত। প্রগা্রম শুরুর অল্প সময়ের মধ্যই Rockefeller's International Program on Rice Biotechnology (IPRB) এমন একটি বীজ উদ্ভবের কথা প্রচার করে যা উন্নয়নশীল দেশের পুষ্টিহীন শিশুদের Vitamin A এর অভাব দূর করবে। এটি ছিল সুচতুর ও কৌশলী propaganda । Vitamin A এর অভাব দূর করার কতঅ এজন্য প্রচার করা হয় যাতে জনগণ ভাবে যে, বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর ক্ষুধা ও অপুষ্টি দূর করার জন্য সত্য সত্যই অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। অথচ এটি ছিল একটি সু-পরিকল্পিত প্রতারনা (The only problem was that it was a deliberate deception.)

ধান ছিল Rockefeller' এর gene revolution এর অংশ। কারণ তাদের এক গবেষক রকফেলার ফাউন্ডেশনকে ধান সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে যে, ধান পৃথিবীর 2.4 বিলিয়ন এরও বেশী মানুষের প্রধান খাদ্যশস্য। প্রায় 12,000 এরও বেশী বছর ধরে ধান স্থানীয় চাষীদের দ্বারা উদ্ভাবিত ও সংরক্ষিত হচ্ছে এবং বিভিন্ন পরিবেশে চাষ করার জন্য অসংখ্য প্রকারের ধান বীজ রয়েছে। এশিয়াতে খাদ্য নিরাপত্তার প্রতিশব্দ হল ধান। বিশ্বের 90% এরও বেশী ধান উৎপন্ন হয় চীন ও ইনিডয়াতে এবং অত্র অঞ্চলের জনগনের 80% এরও বেশী calorie পুরুন করে ধান।

ধান পশ্চিম আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরকিার ক্যারিবিয়ন ও ট্রপিকাল অঞ্চলের প্রধান খাদ্যশস্য। ধান চাষীরা এমন অস্যংখ্য প্রকারের ধান উদ্ভব করেরছে যা খরাতেও বেচে থাকতে পারে, পতঙ্গ প্রতিরোধী, এবং biotechnology এ সাহায্য ছাড়াই সম্ভব্য সকল পরিবেশে জন্মাতে পারে। তারা/ সনাতন কৃষকেরা 140,000 এরও বেশী প্রকারের ধান এর মাধ্যমে অবিশ্বাস্যকরা biological diversity/জীব বৈচিত্রের উদ্ভব ঘটিয়েছিল।

1984 সালের IPRB project বহু পূর্বেই এশিয়ার ধানের ঝুড়ির উপর চোখ পড়েছিল Rockefeller Foundation এর। ফাইন্ডেশনের Green Revolution/সবুজ বিপ্লব এর প্রাইম টার্গেট ছিল এশিয়ার ধান উৎপাদন। Green Revolution এর তথাকথিত HighYielding Varieties এর নামে ত্রিশ বছরেরও বেশী সময় ধরে সমৃদ্ধ ধানের বৈচিত্রতা(বিভিন্ন প্রকারের) গুরুত্তপূর্নভাবে ধ্বংস করে দেয়। এই বিপ্লব স্বাধীন ও মুক্ত কৃষকদেরকে world trade system এর শৃঙ্খলে নিয়ে যায়। এর ফলে মুক্ত কৃষকেরা পশ্চিমা agribusiness জায়ন্টদের উদ্ভাবিত সার, উচ্চ ফলনশীন বীজ, কীটনাষক, কৃষি উপকরণ, সেচ এবং ঋণের দিকে ধাবিত হতে হয়।(তাদের নতুন বীজ চাষের জন্য শুধু যদি নতুন নিবিড় সেচ ব্যবস্থার ক্সতির কথা বলা য়ায় তাহলে বলতে হয় পুরা পৃথিবীর সকল নদীর পানি বন্টন নিয়ে যে সংঘাত শুরু হয়েছে তা সবেই রকফেলার ফাইন্ডেশনের প্রতারনার কারণে)

সোর্স: Seeds of Destruction'
The Hidden Agenda
of Genetic Manipulation

লেখক: F. William Engdahl

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০১

কলাবাগান১ বলেছেন: অশিক্ষিত বকলম লোকেরাই বিজ্ঞান না বুঝে এর বিরূদ্ধে কথা বলে......দেখেন তাবিজ/ফু দিয়ে আমন ধান কে high yielding varieties বানাতে পারেন কিনা? GMO কিভাবে তৈরী হয়, তা বুঝেন??? এখন CRISPR দিয়ে জিনোম এডিটিং করে high yielding varieties তৈরী করলে তো আর GMO বলে গলা ফাটাতে পারবেন না......

high yielding varieties তৈরী না হলে ১৩০০ সনের ৩৭০ মিলিয়ন (৩০০,০০০,০০০) লোক যেটা বেড়ে এখন এখন সাড়ে সাত বিলিয়ন (৭,৫০০,০০০,০০০) হয়েছে...তারা না খেয়ে থাকত।

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৪০

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: হতে পারে আপনার ভাবনাটাই সঠিক।

তবে আমি বইটি পড়ার পর কিছুটা সন্দেহে পরলাম যে কোনটা ঠিক? লেখক যা বলেছে তা? নাকি বাস্তবে যেটা চলছে সেটাই সঠিক।
মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।

২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০৩

কলাবাগান১ বলেছেন: মিথ্যা ও কালো হয়??? হোয়াট ইজ ব্লাক লাইস??? এখানে ও বর্নবাদীতা.....রেসিজম??? আপনি কি সাদা ইউরিপিয়ান???

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৪৫

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ”মিথ্যা ও কালো হয়?? হয়তো মিথ্যার তীব্রতার জন্য ”ব্লাক লাইস” শব্দটা লেখক ব্যবহার করেছে।
এর সঠিক বা কার্যকরী অনুবাদ কি হবে তা আমার জানা নেই। আপনার ভাবনাটা লেখলে কিছু জানতে পারতাম।

ইউরোপে তো সাদা লাল উভয়ই অছে। তবে শুধু সাদা হবার বিশেষ কোন অর্থ আছে কী?

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৫৭

রাতুল_শাহ বলেছেন: হুম

০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: সাথে থাকার জন্য অনেক অকেন্যবাদ রাতুল শাহ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.