![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সারা বিশ্বে বিভিন্ন দেশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে আমাদের অহংকার শহীদ মিনার। বায়ান্নর ভাষা শহিদদের স্মরণে বিভিন্ন দেশে নির্মিত হয়েছে শহীদ মিনার। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যে ২ টি, ইতালিতে ২ টি শহীদ মিনার রয়েছে। জাপান ও অস্ট্রেলিয়াতে ১ টি করে শহীদ মিনার রয়েছে। প্রবাসীরাও আমাদের মত প্রভাত ফেরীতে ‘’আমার ভাইয়ের রক্তে......ফেব্রুয়ারি’’ গান গেয়ে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এটা ভাবতেই ভালো লাগে। বিদেশের মাটিতেও তারা আমাদের সংস্কৃতিকে লালন করে যাচ্ছেন পরম মমতায়।
প্রবাসে প্রথম শহীদ মিনারটি নির্মিত হয় ১৯৯৭ সালে ব্রিটেনের মাঝারি মানের শহর ওল্ডহ্যামে। এর ঠিক দুই বছর পর ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয় শহীদ মিনারটি নির্মিত হয় লন্ডনের বাঙ্গালি প্রধান এলাকা টাওয়ার হ্যামলেটসের শহীদ আলতাব আলী পার্কে। ১৯৯৯ সালে এটি উদ্বোধন করেন প্রয়াত স্পিকার হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী। ব্রিটেনে বাংলাদেশী জনগোষ্ঠীর অধিকার ও মর্যাদা প্রতিস্থার জন্য আশির দশকে বর্ণবাদীদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে শহীদ হয়েছিলেন আলতাব আলী।
ইতালির আড্রিয়াটিক সাগরের পাড়ে বারিতে নির্মিত হয় ইতালির প্রথম শহীদ মিনার। ২০১০ সালে এটি নির্মিত হয়। ২০১১ সালে রোমের পারিওলিতে লারগু বাংলাদেশ চত্বরে তৈরি হয় ইতালির দ্বিতীয় শহীদ মিনার। এছাড়া ইতালির তৃতীয় আরেকটি শহর তুরিনেও প্রবাসীরা শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য নগর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেয়েছেন।
জাপানের রাজধানি টোকিওর অন্যতম ব্যস্ততম নগর কেন্দ্র ইকেবুকরোর স্টেশন সংলগ্ন পার্কে ২০০৫ সালে শহীদ মিনার গড়ে তোলা হয়। জাপানে বাঙ্গালি সংস্কৃতি আবর্তিত হয় মুলত এই শহীদ মিনারকে কেন্দ্র করে।
ক্যাঙ্গারুর দেশ অস্ট্রেলিয়া। সিডনি শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এশফিল্ড পার্ক। পার্কের প্রস্তর জুড়ে রয়েছে অতি প্রাচীন বৃক্ষরাজি এবং তার এক কোনায় দাঁড়িয়ে আছে আমাদের ভাষা শহিদদের স্মৃতি রক্ষার্থে শহীদ মিনার।
হাজার বছরের বাঙ্গালি সংস্কৃতিকে বিভিন্ন ধরনের আগ্রাসনের সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু কোন কিছুই আমাদের সংস্কৃতির পথ রুদ্ধ করতে পারে নি। তাই তো সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে আমাদের হাজার বছরের লালিত সংস্কৃতি।
তথ্য সুত্রঃ প্রথম আলো
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৭
নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: +++