নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপন ঘরের খবর নেয় না \nঅনাসে দেখতে পাবি \nকোন খানে সাঁইর বারামখান....

মাঝিবাড়ি

মা, তোমার শাড়ির সুরভী গন্ধ থেকে ফ্রেশ অক্সিজেনটা আমি এখনো খুঁজি! মা!

মাঝিবাড়ি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিটটুর মুক্তি

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:০৩





কিটটু! নতুন খাঁচায় বন্দি ষোল মাস! তার আগে কত খাঁচা বদলিয়েছে আমার জানা নেই। সে যাকগে, কিটটুর মিষ্টি হাক ডাক প্রথম দিন থেকেই আমার ভাল লেগে যায়। বেতিক্রম ছিল আমার মেয়ে হুমায়রা! অতি মেধাবী বুদ্ধিমতী মেয়েটি কখনই আমার বা পরিবারের অন্য কারোর মত নয়, বরাবরি স্বাধীনচেতা প্রত্যক্ষজ্ঞানী!



যাক, কিটটুর ভরণ পোষণের দায়িত্ব পাখি প্রিয় আমি আর পরিবারের অন্যরা এড়িয়ে গেলেও হুমায়রা কখনো এড়িয়ে যায়নি। পানি খাওয়ানো, ধান চাল বাদাম বিস্কুটের গুঁড়া কোনটাই বাদ যাইনি। যাকগে, হুমায়রা আমার কানে কানে বলল, বাবা পাখিটি মুক্তি চায়! খবরদার আম্মুর কানে যেন না যায়!



আমার ছোট্ট মেয়ের কথা শুনে বিস্মিত হলাম। কারন এই ভাবনাটি কখনই আমাকে বচলিত করেনি। হুমায়রা বলল, বাবা প্রতিদিন যখন পাখির দল বাসার আশপাশ দিয়ে উরে যায় কিটটু যন্ত্রণাময় ডাকাডাকি করে, আমার খুব মায়া হয়! বাবা, প্রকৃতিতে বিধাতার কৃপায় জন্ম নেয়া কিটটু কি দোষ করল যে আমরা তাঁকে খাঁচায় বন্দি করে রেখেছি? আম্মুকে বুজাও দয়াকরে!



আমার মেয়ের পরের উপমাটি তাৎক্ষনিক ভাবে আমার মনে আঘাত করলো। সে বলল, বাবা ধরো আমি ঐ খাচার ভেতর বন্দি, তুমি আর কিটটু বাহিরে। সে অবস্থায় তোমার কেমন লাগবে? তাহলে কিটটু তার বাবা মা ভাই বোনদের ছেড়ে কেমন আছে? সে তো তার পছন্দের খাবার গুলোও খেতে পারছেনা! প্লিজ বাবা কিছু একটা করো।



আমি তাৎক্ষনিক হুমায়রার সাথে প্রতিশ্রুত হয়ে গেলাম খুব শিগ্রই কিটটু মুক্তি অভিযান শুরু হবে! কিটটুর স্বাধীনতা চাই, উড়ার স্বাধীনতা, কিটটুর চিৎকার চেঁচামেচির স্বাধীনতা, হ্যাঁ দিতেই হবে।



শুরু হল দেনদরবার! কিছুতেই কাজ হচ্ছিলনা, অবশেষে অনেক নিবিড় পর্যবেক্ষণে আমার ঘরের বিশেষ আদালত পাখিটিকে মুক্ত ঘোষণা করলো! কিটটুর মুক্তি, একটি প্রানের মুক্তি, নতুন ভালবাসায় গান গাইবে কিটটু মুক্ত আকাশে!



মুক্তির আগে আমাদের প্রায় দশ মিনিট কথা কিটটুর সাথে, দুবার তাকালো হুমায়রার দিকে। হয়তো কৃতজ্ঞ চোখে! খাঁচার দরজা খোলার পর কিটটু বের হয়ে প্রথমে গ্রিলে বসলো, প্রথমত সে ভাবতে পারেনি আসলে সে মুক্ত! কয়েক সেকেন্ড পর ঢুঁ......! যেতে যেতে অনেক চিৎকার চেঁচামেচি করছিল। হয়তো শুকরিয়া, না হয় আনন্দে কাঁদছে কিটটু!



হুমায়রার মুখে আনন্দ অশ্রু...... বিড়বিড় করে বলছে, অনেক ভালো থাকিস কিটটু......!



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.