![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মা, তোমার শাড়ির সুরভী গন্ধ থেকে ফ্রেশ অক্সিজেনটা আমি এখনো খুঁজি! মা!
আমি ঐ চরণে দাসের যোগ্য নই।
নইলে মোর দশা কি এমন হয়।
ভাব জানিনে প্রেম জানিনে
দাসী হতে চাই চরণে।
ভাব দিয়ে ভাব নিলে মনে
সেই সে রাঙ্গা চরণ পায়।।
নিজগুনে পদারবিন্দু
দেন যদি সাঁই দীনবন্ধু
তবে তরি ভবসিন্ধু
নইলে না দেখি উপায়।।
অহল্যা পাষানী ছিল
প্রভুর চরণ ধূলায় মানব হলো।
লালন পথে পড়ে র’লো
যা করে সাঁই দয়াময়।।
যা বুঝতেছিনা......
{নিজগুনে পদারবিন্দু}
{অহল্যা পাষানী ছিল
প্রভুর চরণ ধূলায় মানব হলো}
১৫ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৩১
মাঝিবাড়ি বলেছেন: দাদা, অশেষ কৃতজ্ঞ আমি! লালনের ভক্ত বলতে পারেন, অনেক ভাব ধরতে পারি না! আপনার বর্ণনায় সব পেলাম। ভালবাসা আপনার জন্য।
২| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কঠিন কথামালা আপনাকে আর ভৃগু দাকে ধন্যবাদ
২২ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯
মাঝিবাড়ি বলেছেন: মাঝে মাঝে খেই হারিয়ে ফেলি আপা! ধন্যবাদ নিবেন
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অহল্যা উত্তর নীচে দেখুন
স্বয়ং ব্রহ্মা অহল্যা নামক সুন্দরী সৃজন করে ইন্দ্রকে বললেনঃ
“ততো ময়া রূপৈগুণৈরহল্যেতি নির্মিতা।
হলং নামেতি বৈরূপ্যং হল্যং তৎপ্রভবং ভবেৎ।।” (বাল্মীকি রামায়ণ/ বালকাণ্ড)
অর্থাৎ রূপে-গুণে অতুলনীয়া অহল্যা নামে রমণী আমি সৃষ্টি করেছি। ‘অহল্যা’ নাম কেন, তাঁর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বললেনঃ ‘হল্য’ শব্দের অর্থ বিকৃতি। অতএব যে নারীর মধ্যে রূপে বা গুণে কোন বিকৃতি নেই, তিনিই অহল্যা। এর থেকে বোঝা যায়, অহল্যা সর্বাঙ্গ সুন্দরী। শুধু রূপে নয়, গুনেও তিনি সবার সেরা। বাঙালী কবি কৃত্তিবাস অহল্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেনঃ
“সহস্র সুন্দরী সৃষ্টি করিলেন ধাতা।
সৃজিলেন তা সবার রূপেতে অহল্যা।
ত্রিভুবনে সৌন্দর্যে না ছিল তার তুল্যা।।”
কবি বলতে চেয়েছেন ব্রহ্মা সহস্র সুন্দরীর রূপ একত্র করে পরম রমণীয় এক রমণী সৃষ্টি করলেন, যার নাম অহল্যা। এই অহল্যা পরবর্তীকালে শাপগ্রস্তা হয়েছিলেন। শাপগ্রস্তা অহল্যাকে হিন্দীকবি সন্ত তুলসীদাস ও বাঙালীকবি কৃত্তিবাস উভয়েই পাষাণ দেহধারী বলে বর্ণনা করেছেন। যথা, সন্ত তুলসীদাসের ‘শ্রীরামচরিত-মানস’ -এ পাইঃ
‘গৌতমনারি শ্রাপবস উপলদেহ ধরি ধীর’ – এর অর্থ- গৌতমের পত্নী অহল্যা শাপবশত প্রস্তর দেহধারণ করে ধৈর্যসহকারে অপেক্ষা করে আছেন।
আবার, কবি কৃত্তিবাস বলেছেনেঃ
“অহল্যাকে শাপিলেন ক্রোধে মুনিবর।
শাপ দিনু তোর তনু হউক প্রস্তর।।”
স্বয়ং বাল্মীকি প্রস্তরদেহের কথা বলেননি। বাল্মীকি রামায়ণে অহল্যার প্রতি গৌতমমুনির শাপের কথা এভাবে বলা হয়েছেঃ
‘ভার্যামপি শপ্তবান্।
ইহ বর্ষ সহস্রাণি বহূনি নিবসিষ্যসি।।
বাতভক্ষা নিরাহারা তপ্যন্তী ভস্মশায়িনী।
অদৃশ্যা সর্বভুতানামাশ্রমেহস্মিন্ বসিষ্যসি।।’-- (বাল্মীকি রামায়ণ/ বালকাণ্ড, ৪৮ তম সর্গে, ৩৯ নং শ্লোক)
বাংলায় এর সরলার্থ হলঃ গৌতমমুনি স্বপত্নী অহল্যাকে এই বলে শাপ দিলেনঃ তুমি এই আশ্রমে ভস্মশায়ী হয়ে (ছাই-এর গাদায় শুয়ে) সকলের অলক্ষ্যে বহু হাজার বছর তপস্যা কর। তপস্যাকালে কেবলমাত্র বায়ুই তোমার আহার হবে। গৌতমের অভিশাপ বাণী থেকে স্পষ্ট, তিমি অহল্যাকে নিষ্প্রাণ পাষাণে পরিণত করার অভিশাপ দেননি।
তবে পরবর্তী দুই কবির কল্পনায় অহল্যা কেন পাষাণ দেহধারী হলেন, তাঁর কারণানুসন্ধান প্রয়োজন।
আমাদের মনে হয়, অহল্যার পাষাণ হওয়ার গল্প রূপক মাত্র। কারণ দীর্ঘকাল বায়ুমাত্র আহার করে একাগ্রচিত্তে তপস্যায় মগ্ন থাকার ফলে তাঁর দেহ অস্থিচর্মসার হয়ে গিয়েছিল, সে দেহে বাহ্য চেতনারও প্রকাশ ছিল না। তাই ঐ দেহকে জড় পাষাণের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। যদিও তাঁর অন্তশ্চেতনা ছিল। এ এক প্রকারের সমাধি।
==
‘যদা ত্বেদং বনং ঘোরং রামো দশরথাত্মজঃ।
আগ মিষ্যতি দুর্ধস্তদা তদাপুতা ভবিষ্যামি।।’ - (বাল্মীকি রামায়ণ/ বালকাণ্ড, ৪৮ সর্গ, ৩৯ নং শ্লোক)
বঙ্গানুবাদ করে বলা যায়, দশরথপুত্র রামচন্দ্র যখন এই ভয়ঙ্কর বনে আসবেন, তখন তুমি শাপমুক্ত হয়ে পবিত্র হবে। তুলসীদাসী রামায়ণে দেখি, মহর্ষি বিশ্বামিত্র শ্রীরামকে বলছেনঃ ‘চরণকমলরজ চাহতি কৃপা করহ রঘুবীর।’ অর্থাৎ হে রঘুবীর! আপনার চরণধূলি প্রার্থনা করছেন ঐ পাষাণ দেহধারী অহল্যা; আপনি ওর প্রতি কৃপা করুন। [শ্রীরামচরিত মানস – বালকাণ্ড – পৃঃ ১৮১]
এরপর ‘পরসত পদপাবন সোক নসাবন প্রগট ভঙ্গ তপপুঞ্জ সহী’ শ্রীরামচন্দ্রের চরণ –স্পর্শ পাওয়ামাত্র পাষাণময়ী অহল্যা নড়ে উঠলেন, তাঁর অব্যক্ত প্রাণ ব্যক্তভাব ধারণ করল। তিনি করজোড়ে শ্রীরামের সম্মুখে দণ্ডায়মান হলেন।
বিশাল কাহিনী। সংক্ষেপ মাত্র। শাপ গ্রন্থ ছিলেন এবং শ্রী রামের পদার বিন্দু (পদষ্পর্শ পাোয়া মাত্র শাপমুক্ত হেয় পুন: মানব জন্ম পেলেন!