![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মা, তোমার শাড়ির সুরভী গন্ধ থেকে ফ্রেশ অক্সিজেনটা আমি এখনো খুঁজি! মা!
কুয়েতের এরাবিয়ান গালফ স্ট্রীটের মেরিনামল (শপিং সেন্টার) এর আশেপাশের ট্র্যাফিক সিগন্যালে একজন বাংলাদেশীকে সাত সকালে ময়লার বিন হাতে প্রায়ই ঘুরতে দেখা যায়! কালমত সুঠাম দেহের ২৫-৩০ বছরের এক যুবক, পরনে হলুদ পোশাক।
সকালের লম্বা সিগন্যাল, যুবক সিগন্যাল পড়লেই বিন হাতে সিগারেটের অবশিষ্ট অংশ, হাবিযাবি গাড়ির আশপাশ থেকে বিনে তুলছে, আর প্রত্যেক গাড়ি লক্ষ্য করে করুনভাবে হাত তুলে সালাম দিচ্ছে! গাড়িতে বসা কেউ কেউ ফিরেও তাকায় না! আবার কেউ কেউ গাড়ীর গ্লাস নামিয়ে ১০০, ২০০ পয়সা অথবা আধা দিনার হাতে গুঁজে দিচ্ছে! মিনিট পরে সবুজ বাতি এবং সিগন্যাল ক্লিয়ার।
যুবক এবার ধীরে ধীরে অন্য পাশে যাচ্ছে, আশপাশ থেকে কিছু কুড়িয়ে বিনে ভরছে! সেই অংশেও একই প্র্যাকটিস! এই দৃশ্যগুলো অভিজাত এলাকার সিগন্যালগুলোতে হরহামেশা দেখা যায়! অথচ ফজর আযানের সাথে সাথেই এলাকাভিত্তিক অত্যাধুনিক রোড সুইপার গাড়িগুলো প্রতিটি রাস্তা ইঞ্চি বাই ইঞ্চি ব্রাশ করে ক্লিন করে যায়! গ্লাস খুলে সেই যুবককে কাছে আসতে ইশারা করলাম, সে হয়তো বুঝতে পারছে আমি স্বদেশী তাই আসতে চায়নি, দুবার ইশারা করাতে কাছে আসলো, জিজ্ঞেস করলাম এ সময় তো এখানে আপনাদের ডিউটি করার কথা নয়, আর কেন মানুষজন থেকে হাত পেতে পয়সা নিচ্ছেন? কথাটা শেষ না করতে সিগন্যাল খুলে গেল। অনেক কিছু বলার থাকলেও বলা হয়নি!
আমার পাশে বসা মিশরীয় অফিস কলিগ ঘটনা বুঝতে পেরে বলল, এদের প্রায়ই দেখি গাড়ি থেকে হাত পেতে পেতে পয়সা নেয়, আমি জানি তুমি বিব্রত, কিন্তু এরা কারো কথা শুনবে না, এটা অভ্যাস হয়ে গেছে! এসময়ে ডিউটি না থাকলেও এই যুবককে আমিও প্রায়ই দেখি এখানে নানা ছুতায় ভিক্ষা করতে!
মিশরীয় বন্ধুর কথা শুনে দীর্ঘশ্বাস আরো বেড়ে গেল! কিন্তু কিছুই করার নেই, এদের থামান যাবে না, লাখ লাখ টাকা খরচ করে ক্লিনিং কোম্পানিতে এসেছে ৬০ দিনার বেতনে, যা থেকে নিম্নে ২০ দিনার পারসোনাল খরচ আছে, বাঁচে ৪০ দিনার, যা বাংলাদেশের ১০ হাজার টাকার সমতুল্য!
পরিবার চলবে কিভাবে? তাই ডিউটির পরে এদের কেউ কেউ নানা ছুতায় রাস্তায় ভিক্ষা করে, কেউ কেউ বিধিবিধান অমান্য করে রাস্তার পাশে সবজি বিক্রি করে, কেউ কেউ আবার সিগন্যালে টিস্যু বক্স বিক্রি করে, কেউ আবার রাস্তায় বড় বড় ডাস্টবিনে কাগজ-পেপসি ক্যান, কার্টুন কুড়াতে দেখা যায়! এ সব কিনে নেয় তাঁদেরই সুপারভাইজার অথবা অন্য প্রতিনিধি, নানা হাত বদলে কিছু পয়সা পায় আর তা যোগ করে পরিবারের ভরণপোষণ চালিয়ে যাচ্ছে বছরের পর বছর, কে কার খবর রাখে!?
আপনারা কয়েক মাস আগে দেখেছেন ‘নাজের আল ইসলাম’ নামে এক ব্যাক্তিকে নিয়ে টুইটে হাসি ঠাট্টার ঝড় উঠেছিল! এই ব্যাক্তি অবাক হয়ে জুয়েলারি দোকানের শোকেসে তাকিয়ে আছে, কেউ একজন ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করে লিখেছে ময়লার গারবেজে তাকিয়ে আছে বাংলাদেশী!! তাঁকে ভিক্ষা দেয়ার জন্য অনেকেই এগিয়ে এসেছে মানবতা উড়াতে! আরবিরা সারা দুনিয়ায় খবর ছড়িয়েছে বাঙালীর প্রতি দয়া দেখিয়েছে! বাঙালিরা কবে দয়া নেয়া বন্ধ করবে? বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করা বীরের জাতির এই সব বাঙালী কি কখনো বুঝবে না যে ভিক্ষা করে খাওয়ার চেয়ে উপাস থাকা ভাল!?
অথচ এই কাজে ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল বা অন্য দেশের কাউকে দেখা যায় না! পাকিস্তান, ভারত, ফিলিপাইনের শত শত ডাক্তার-নার্স-ইঞ্জিনিয়ার-শিক্ষক গালফে সেবা দিয়ে যাচ্ছে!
ডিজিটাল বাংলাদেশ! বড় বড় কর্তারা তর্কে লিপ্ত হচ্ছে মধ্যম আয়ের দেশ নিয়ে, টিভি খুললেই এগুলো নিয়ে হাতাহাতি দেখি! কাউকে কোন দিন তর্কে লিপ্ত হতে দেখি না ফরেন এমপ্লয়িদের সুযোগ সুবিধা নিয়ে! আমরা বাঙালী, আমরাই শুধু ক্লিনার, বাঙালী ক্লিনার ছাড়া পরিষ্কার হয় না গালফের রাজপথ!
১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৯
মাঝিবাড়ি বলেছেন: জি দাদা, পরিচিত কেউ থাকলে জিজ্ঞেস করুন! ১০০% সত্যি
২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩০
আহা রুবন বলেছেন: এগুলো যতটা-না অভাব তার চেয়ে বেশি কুঅভ্যাস!
১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৯
মাঝিবাড়ি বলেছেন: ঠিক বলেছেন, সহমত পোষণ করছি
৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৪৮
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:
কি বলছেন?
বেগম জিয়া ও শেখ হাসিনা ওখানে বাংগালীদের সভায়, সব বাংগালীকে " প্রত্যকেই এক একজন রাস্ট্রুদূত" বলে এসেছেন; আপনি এগুলো কি বলছেন?
আমাদের রাস্ট্রদূত গালফে ভিক্ষা করে , আফসোস!!!
১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০২
মাঝিবাড়ি বলেছেন: হাসাবিয়া নামে একটা জায়গা আছে দাদা, পরিচিত কেউ থাকলে জায়গাটা নিয়ে জিগাবেন, কি কি হয়! নিজেকে বিশ্বাস হবে না!
৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৫৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ডিজিটাল বাংলাদেশ! বড় বড় কর্তারা তর্কে লিপ্ত হচ্ছে মধ্যম আয়ের দেশ নিয়ে, টিভি খুললেই এগুলো নিয়ে হাতাহাতি দেখি! কাউকে কোন দিন তর্কে লিপ্ত হতে দেখি না ফরেন এমপ্লয়িদের সুযোগ সুবিধা নিয়ে! আমরা বাঙালী, আমরাই শুধু ক্লিনার, বাঙালী ক্লিনার ছাড়া পরিষ্কার হয় না গালফের রাজপথ!
রেমিটেন্সের হিসাবে শুধু পাকা! ফকিরের সর্দারদের মতো! কিভাবে আনলো ভাবার দরকার নেই পয়সা এলেই হল! শেইম!
সেই টাকায় বিলাসী গাড়ী হাকিয়ে মন্ত্রীত্বের গরম দেখায়!!!!!!!!!!!!!!!!
১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০৪
মাঝিবাড়ি বলেছেন: ৬০ ডিনার বেতন! ২০ টাকা খরচা আছে, নাকি ৪০!!! ১০ হাজার! আমাদের মফস্বল শহরের রিকশাওয়ালা বেশী কামায় দাদা
৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
@বিদ্রোহী ভৃগু ,
আপনিও কিন্তু এই সিস্টেমের সাপোর্টার; এখন সিস্টেম আওয়ামী লীগের হাতে, সেই কারণে আপনার সাপোর্ট নেই এখন; বেগম জিয়া থাকলে আপনার অসুবিধা হতো না।
১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০৮
মাঝিবাড়ি বলেছেন: থামুন দাদা'রা! এটা কোন সরকার নয়, যারা ভিসার ব্যবসা করে তাঁরা বেশী দায়ী! আদম বাণিজ্য অলা, সরকার আসে যায়!
৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০৪
মোহাম্মাদ শাওন বলেছেন: কলিজারা ফেটে যায় ভাই।
যখন আমরা বাঙ্গালীরা বহির্বিশ্বে এত অবহেলীত হয়। সবার মানুশের কাছে চাওয়ারব অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। আমরা কি পারি না.।।।দেশেই কিছু একটা করে বাঙ্গালী আত্বমর্যাদাবোধ নিয়ে বাচতে??
১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১১
মাঝিবাড়ি বলেছেন: হ দাদা, এই ভিসাটাই বন্ধ করতে হবে, অথবা নিম্নে ১২০ ডিনার (প্রায় ৩০ হাজার টাকা) মজুরী ধরতে হবে! যেমন ভারত ফিলিপাইন করে থাকে! তারপর দেখা যাবে কত ধানে কত চাল!
৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২৭
ইউনিয়ন বলেছেন: যাদের যা করা দরকার তারা সেটা করবেই। এদেশের যুবকরা করবে কি? শেয়ার বাজারে যাবে সেখানে লুটেরা হা... করে বসে আছে। চাকুরীর বাজারে যাবে সেখানে ঘুষখোর মুখ ফাক করে আছে। বিদেশ যেতে হলে রাষ্টীয় সেবক দালালদের জমি বেচার টাকারর বৃহৎ অংশ দান করে যেতে হয়। ব্যবসা করতে যাবে- পর্যাপ্ত পুজি নেই, যেটুকু আছে পুঁজিপতিদের দৌড়াত্বে তা খুইয়ে ফেলতে হয়। একজন পরিপূর্ণ বেকার যুবক যে বয়সে সংসার গঠন করে দেশ সেবায় অধিকতর আত্মনিয়োগ করবে সে বয়সে যুবক কে বালিশ ভিজাতে হয়। এর চেয়ে লজ্জা দুনিয়াতে দ্বিতীয়টি আছে কিনা আমার সন্দেহ হয়।
১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩৯
মাঝিবাড়ি বলেছেন: অনেক কষ্টের কথা বলেছেন! সরকার যদি নেগোশিয়েট করে বেতনটা ১২০ দিনার করতে পারে, তাহলে তাঁরা এগুলো করবে না!
৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৫
মোহাম্মাদ শাওন বলেছেন: সবার আগে আমাদের এই রক্ত-পিপাসো শিক্ষার নামে সার্টিফিকেট নেওয়া রুখতে হবে। আমরা আসলে জীবনের মুল্যবান ১০-১৭ বছর অহেতুক শিক্ষা চর্চা করি। আমার দেশের মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের কয়টা শিক্ষার্থীর এইভাবে চাপিয়ে দেওয়া শিক্ষার প্রতি আগ্রহ আছে।?যার যে বিষয়ে আগ্রহ আছে সে সেটা নিয়ে কেন থাকতে পারে না। এজন্য আমার দেশের সাধু বাবা-মাকে আমি ১ম দোশারূপটা করব। আসলে তারা তাদের সন্তানদের কাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন সে দিকে তারা অন্তরদৃশটি নিয়ে তাকানই না। ৯০% শিক্ষার্থীকে আজকে প্রাইভেট এর জন্য স্যারদের দরজায় দরজায় ঘুরতে হয়। তাহলয়ে ৮ ঘন্টার স্কুল কী হলো। এই ৮ ঘন্টার হিসেব কই। অভিবাবকরাও এই ৮ ঘন্টা নিয়ে বেখবর। কর্মমুখী শিক্ষাটা আমাদের দেশে খুব দরকার।প্রতিটা ছাত্রের একটা সাহসী সীদ্বান্ত নিতে হবে।
এই ৮ ঘন্টাকে যদি কেঊ ১০ বছর ব্যবহার করতে পারে.।. তার কী আল্লাহ ছাড়া আর কার মুখাপেখী হবার দরকার আছে?
১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫২
মাঝিবাড়ি বলেছেন: বাহ! চমৎকার বলেছেন নিঃসন্দেহে, সহমত! ক্লিনিং কোম্পানির বেতন ১২০ দিনার হওয়ায় চাই! একমাত্র সরকার পারে!
৯| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:১১
উম্মে সায়মা বলেছেন: ডিজিটাল বাংলাদেশ! বড় বড় কর্তারা তর্কে লিপ্ত হচ্ছে মধ্যম আয়ের দেশ নিয়ে, টিভি খুললেই এগুলো নিয়ে হাতাহাতি দেখি! কাউকে কোন দিন তর্কে লিপ্ত হতে দেখি না ফরেন এমপ্লয়িদের সুযোগ সুবিধা নিয়ে!
ঠিক বলেছেন ভাই। আসলেই খারাপ লাগে। কি মানবেতর জীবন যাপন করে এসব শ্রমিকেরা
২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:১২
মাঝিবাড়ি বলেছেন: ধন্যবাদ দিদি।
কেউ কথা রাখেনি!!
১০| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৩৩
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এরপরও কিন্তু লোক আসা বন্ধ হয় নি!! এখনও কয়েকটি কম্পানীতে প্রায় ৭/৮ লক্ষ টাকা দিয়ে লোক আসছে।।
সেই লোকগুলির বড় অংশই এই "বলদীয়ার" কাজ করার জন্য বাড়তি ঘুষ দিতেও রাজী।।
কি করবে, ঐ টাকাটা যে সুদ/বন্ধক বা ধার নেয়া।।
তবে এখন কিন্তু কোথাও ৭০/৮০ দিনারের কম বেতন নেই।।
ধন্যবাদ।।
২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:০৩
মাঝিবাড়ি বলেছেন: দাদা, সুন্দর বলেছেন, তবে বেতনটা ১২০ দিনার হলে কিছুটা কষ্ট লাগব হতো
১১| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:২৯
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সেটাতো সম্ভবই না।। কারন মিনিষ্ট্রিগুলির সাথে কম্পানীগুলির চুক্তিই হয় ১৪০/১৫০ দিনারের একটু কম/বেশী।। সেখেত্রে কম্পানী ব্যাবসা করবে কোথা থেকে?? কারন ব্যারাক ভাড়া/যাতায়াত তাদের যে।। তারপরে তো লাভ!!
আবার কিন্তু কয়েকটি কম্পানী দিচ্ছেও ১২০ দিনারের কিছু কম/বেশী।। তারপরও এটা হচ্ছে এবং হবেও।।
আরেকটি ভুল আছে বলবো, অথচ এই কাজে ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল বা অন্য দেশের কাউকে দেখা যায় না!
এই কথা পুরোই ভুল।। কারন ভারতীয়/পাকিস্তানী ফ্লাটে ফ্লাটে ভিক্ষা করে, নিজের/পরিজনদের অসুখ, দৈন্যতা প্রকাশ করে।। যা আজ পর্যন্ত কোন বাঙ্গালীকে দেখি নাই।।
আপনি মুদ্রার একপিঠ শুধু দেখেছেন, অপর পিঠ না।।
অঃটঃ স্যরি ভাই, কুয়েতে যখন আছেন তখন নিশ্চয়ই কুয়েত বা আরব টাইমসের ভষায় কথা বলবেন না।। কারন এদুটো পত্রিকায় পাকিস্তানী/ইন্ডিয়ান কেউ খারাপ কাজে ধরা পড়লে এশিয়ান আর বাঙ্গালী পড়লে বাংলাদেশী!! এই প্রচারটা কত বিপক্ষে যাচ্ছে আমাদের, দয়া করে একটু অনুভব করুন, প্লিজ।।
২০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬
মাঝিবাড়ি বলেছেন: ({"অথচ এই কাজে ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল বা অন্য দেশের কাউকে দেখা যায় না! পাকিস্তান, ভারত, ফিলিপাইনের শত শত ডাক্তার-নার্স-ইঞ্জিনিয়ার-শিক্ষক গালফে সেবা দিয়ে যাচ্ছে! "})
আমি মনে হয় ক্লিয়ার করতে পারিনি ভাই জান! বলতে চেয়েছি ক্লিনিং কোম্পানির কাজ গুলো! ভিক্ষাবৃত্তি নয়!
যাই হোক হাসাবিয়া এলাকার অবৈধ কাজ গুলো ৯৫% বাংলাদেশী ক্লিনাররা করে থাকে!
মেনে নেবেন কি?
(""নিশ্চয়ই কুয়েত বা আরব টাইমসের ভষায় কথা বলবেন না"""
না, বলব না!
আমার আশেপাশে থাকে ভারত আর পাকিস্তানের কিছু কলিগ আরব টাইমস এ কাজ করে" কিন্তু বাংলাদেশীরা কেন করে না?? অথবা করতে পারে না? আরবদের পত্রিকায় যেহেতু ভারত পাকিস্তানীরা কাজ করে, সেহেতু তাঁরা কিছু সুবিধা পাবে! তবে এদেশের সংবাদিক বাংলাদেশের চেয়ে নিরপেক্ষ!
যাই হোক, গালফের রাস্তা ঘাটে কতজন পাকিস্তানী/ভারতীয় ক্লিনার দেখাতে পারবেন? আমার মনে হয় নগণ্য! কাজ তো খারাপ না, খারাপ হচ্ছে খোঁজা- মাঙা-চুরি, সামান্য বেতন করবে টা কি!? তাই বলছিলাম যদি সরকার নেগশিয়েট করে আন্তর্জাতিক মানের বেতন ভাতা নিতে পারে! কেউ কিছু করে না বিধায় সব অসাধুরা সুযোগ নিচ্ছে!
আপনার আলোচনা ভাল লেগেছে! ধন্যবাদ রইল
১২| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৪০
আখেনাটেন বলেছেন: এই লোকগুলোর কষ্টার্জিত টাকায় কেনা গাড়িতে চড়ে এ দেশের রাজনীতিবিদরা। সংসদে ফাল পাড়ে হেন কারেঙ্গা তেন কারেঙ্গা। এত লাজ-লজ্জাহীন পলিটিসিয়ান পৃথিবীতে কম আছে। অার কিছু কূটনীতিকও হয়েছে চামচার চামচা। এদের কারণেও বাঙ্গালীদের সাফার করতে হচ্ছে ঐ সব দেশে। অথচ উল্টোটা হওয়ার কথা।
২০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪৯
মাঝিবাড়ি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আলোচনায় অংশ গ্রহন করার জন্য! সরকার নেগশিয়েট করে আন্তর্জাতিক মানের বেতন ভাতা নিতে পারে! কেউ কিছু করে না বিধায় সব অসাধুরা সুযোগ নিচ্ছে!
১৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫৯
নতুন নকিব বলেছেন:
"আখেনাটেন বলেছেন: এই লোকগুলোর কষ্টার্জিত টাকায় কেনা গাড়িতে চড়ে এ দেশের রাজনীতিবিদরা। সংসদে ফাল পাড়ে হেন কারেঙ্গা তেন কারেঙ্গা। এত লাজ-লজ্জাহীন পলিটিসিয়ান পৃথিবীতে কম আছে। অার কিছু কূটনীতিকও হয়েছে চামচার চামচা। এদের কারণেও বাঙ্গালীদের সাফার করতে হচ্ছে ঐ সব দেশে। অথচ উল্টোটা হওয়ার কথা।"
-সহমত।
মাঝিবাড়ি,
খবর টবর সব ভালো তো, ভাই? অনেক দিন যোগাযোগ নেই।
ভাল থাকুন।
২০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫
মাঝিবাড়ি বলেছেন: যাযাবর জীবনে যা একটু ভাল থাকা আর কি দাদা! কামের জন্য সময় পাই না, গরীব মানুষ! সময় পেলেই আসি! আলোচনায় অংশগ্রহন করার জন্য ধন্যবাদ নিবেন
১৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:০২
সালমা অক্তার বলেছেন: খুবই সুন্দর লিখেছেন
২০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬
মাঝিবাড়ি বলেছেন: সালমা আপা অনেক ধন্যবাদ, সুখ দুঃখ কিছু ভাল করে নিলাম, এই আর কি!
১৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:১৫
রিফাত হোসেন বলেছেন: লেখক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আলোচনায় অংশ গ্রহন করার জন্য! সরকার নেগশিয়েট করে আন্তর্জাতিক মানের বেতন ভাতা নিতে পারে! কেউ কিছু করে না বিধায় সব অসাধুরা সুযোগ নিচ্ছে!
////////////////
আরবীরা তখন বলবে রাস্তা মাপ, দেশ ছাড়!
দেশ তখন এতগুলো মানুষের চাপের চিন্তা করে কোন প্রকার বাক বিতন্ডায় জড়াবে না। আসলে দাবী আদায় করতে হলে রিস্ক নিতেই হবে। দেশের সরকারের কলিজা থাকতে হবে তো!
২০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৮
মাঝিবাড়ি বলেছেন: কথা মিথ্যে বলেন নি,
তবে আলোচনা করে আর বেশী রেমিটেনস আদায় করা যায়! ভাল পেশায় লোক জন প্রেরন করা যায়!
১৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬
রায়হান চৌঃ বলেছেন: আপনি মিথ্যা বলেন নি, কিন্ত ও বেচারা কি করবে ? এ ছাড়া তার আর কোন রাস্তা নেই, ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা খরচ করে আসার পর বুঝতে পারে সে কি করেছে, কিন্তু ততক্ষনে তার পেছনে ফেরার রাস্তাটা ও বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু আমি বলি কি, এই মধ্যপ্রাচ্যের টাকাটা না গেলে বাংলাদেশের ৭৫% মানে ওর, তার, আপনার, আমার মা-বোন খাওয়ার জন্য গণিকালয়ে যাতায়ত করা লাগতো
২০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৭
মাঝিবাড়ি বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা, হাসাবিয়া নামে একটা জায়গা আছে, অবৈধ ইন্টারনেট কানেকশন, মাগীবাজি, রাস্তায় বসে পিঠা-সবজি বিক্রি, জুয়ার বোর্ড, ঘরে ঘরে জুয়া খেলা, রাস্তায় হাত পেতে পয়সা.... মানে যা কিছু আছে আর কি! দেশীরা দৌড়ে সবার আগে! তবে অনেকে ব্যবসা বাণিজ্য করে ভাল আছেন!
আমি আসলে আবেদন করতে পারিনি! বলতে চেয়েছিলাম এই সকল ক্লিনিং কোম্পানির ভিসার পাশাপাশি ডাক্তার- নার্স- ইঞ্জিনিয়ার-শিক্ষকগন কাজ করলে বাঙালী কমুনিটির সুনাম হত আর কি!
"আপনি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের টাকাটা না গেলে বাংলাদেশের ৭৫% মানে ওর, তার, আপনার, আমার মা-বোন খাওয়ার জন্য গণিকালয়ে যাতায়ত করা লাগতো!!" কিন্তু ভিক্ষা করে টাকা পাঠানোর চেয়ে উপাস থাকা ভাল নয় কি? যে কোন ভাবে টাকা কামান কি রেমিটেন্স!?
১৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০
রায়হান চৌঃ বলেছেন: আমি গত ৭ বছরে এখানকার Multinational Organization গুলোর IT / Administration / secretarial position গুলোতে একজন বাংলাদেশী লোক পাইনি, অথচ আপনাদের আমাদের লজ্যা হয়না মধ্যপ্রাচ্যের রেমিট্যন্স খাইতে ? লজ্যা হয় না টেবিল থাপড়িয়ে সংসদে বড় বড় বুলি ছুড়তে
সত্যি আমরা অসভ্য !! সভ্যতা আমাদের থেকে বহু দুর... আমরা হলাম পা চাটা জাতি সেটা আমাদের নেতা রা প্রমাণ দিয়ে গিয়েছেন
২০ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪
মাঝিবাড়ি বলেছেন: সকল পেশায় অবদান রাখা উচিৎ বলে মনে করি! ডিগ্রী হোল্ডার কেউ আসে না তো!
১৮| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১
রায়হান চৌঃ বলেছেন: ভাই আপনি মধ্যপ্রাচ্যের কোথায় ঘুরেছেন বা থেকেছেন জানি না... তবে সত্যি টা হলো prostitute ব্যবসা টা এখনো ইন্ডিয়ান দের দখলে রহিয়াছে মদের ব্যবসাটা এখনো ইন্ডিয়ান দের দখলে, জুয়ার বোর্ড গুলোর মূল ব্যবসা এখনো ইন্ডিয়ার হাতে... চোখ খুলে ভালো করে তাকান দেখতে পাবেন দুবাই, কাতার, আবুধাবি, কুয়েত এর দিকে দেখবেন সব খানকি ইন্ডিয়ান..।
২০ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৫
মাঝিবাড়ি বলেছেন: সব শেয়ালের একই রা! আছে কম বেশী সব দেশের, কূটনীতি শক্ত হওয়ার কারনে ওরা ছাড় পেয়ে যাচ্ছে!
১৯| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৪
রায়হান চৌঃ বলেছেন: জী জনাব........ এই মানুষ গুলো কে নিয়ে যখন কে্উ কটাক্ষ করে তখন আমার উত্তেজনা বাড়ে..... আমি দেখেছি মানুষ গুলো কতটা কষ্ট করে
২০ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৮
মাঝিবাড়ি বলেছেন: আসলে, খারাপ কিছু বলিনি, শুধু কিছু অভ্যাসের কথা বলছিলাম! এই আধুনিক বিশ্বে পরিবর্তন হয়েছে, হচ্ছে, আমাদেরও হচ্ছে, হবে! তাঁরা যে কষ্ট করে, তাতে আপনার মত আমিও ব্যথিত! আমি বলেছি দরকার হলে আর দুইটা পার্ট টাইম করে খাক..... হাত পেতে ভিক্ষা না নিক!
২০| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩২
নতুন নকিব বলেছেন:
মাঝিবাড়ি,
প্রত্যুত্তরে কৃতজ্ঞতা!
তা--- 'গরীব মানুষ! যাযাবর জীবন!!'
কথাগুলো শুনে কষ্ট লাগল। আপনি গরীব? কক্ষনো নয়! দেশের জন্য পরিবারের জন্য, ভালবাসা-আনন্দ-স্বাচ্ছন্দ সব কিছু ছেড়ে বিদেশ বিভূইয়ে পড়ে থাকা আমার দেশের সোনার ছেলেদের মনের ভেতর বাসা বেঁধে আছে পাহাড়সম উঁচু প্রত্যয়, আল্লাহর প্রতি অন্তহীন শোকরিয়া তারা কখনও নিজেদের গরীব ভাবতে পারে?
যাযাবর জীবন!! সত্যি, আমার কাছে বেশ উপভোগ্য লাগে। তবে, এরকম দীর্ঘ সময় হয়তো কখনও ট্রাই করে দেখি নি।
ভাল থাকুন, প্রিয় ভাই।
২০ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬
মাঝিবাড়ি বলেছেন: এই মুহূর্তে ভরসা আর সাহস দুটো পেলাম দাদা, অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে, আপনাদের মত শিক্ষিত সমাজের সাথে যাযাবর জীবনের সুখ দুঃখের দুটো কথা শেয়ার করতে পেরে আমি গর্বিত!
এমনও হতে পারে পুরনো ল্যাপটপটা কখনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হারিয়ে যাব, হা হা হা!
হয়তো দেরী করে আবার ফিরবো!
অপার ভালবাসা আর শুভেচ্ছা দাদা।
২১| ২২ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৫৭
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমি সরকারপন্থি না।। এবং পড়েছি মন্তব্য এবং প্রতিউত্তরও।। তারই প্রেক্ষীতে।।
তাই বলছিলাম যদি সরকার নেগশিয়েট করে আন্তর্জাতিক মানের বেতন ভাতা নিতে পারে! কেউ কিছু করে না বিধায় সব অসাধুরা সুযোগ নিচ্ছে! বাহুল্য।। কারন আমাদের সরকার এমন আর্গুমেন্টে আসার পজিশনেই আসে নাই!!
আর পাকিস্তানী/ভারতীয়দের ব্যাপারে আমার কথা না পড়েই নেমে পড়েছেন, উত্তর দিতে!!
কুয়েতের পরিবেশ খারাপ ( বিশেষ করে লোকাল মদের ঘটনায়) কারা ধরা পড়ে??
ওদের(পত্রিকায় চাকুরীলাদের) অনেকেরই জন্ম এদেশে (কারন খোজ নিয়ে দেখেন ওরা তিন পুরুষ ধরেই এখানে) বলে ওদের চেয়েও শিক্ষিত কেউ হতে পারে না!!
ঝগড়া করছি না, শুধু অভিজ্ঞতার নিরীক্ষে কিছু বলছি।।
২২ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০
মাঝিবাড়ি বলেছেন: সহমত জানাচ্ছি জনাব! তবে আমিও অভিজ্ঞতার আলোকে লিখেছি বিষয়টা, শুভ কামনা রইল
২২| ২২ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:০৩
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মিনিষ্ট্রিজ কমপ্লেক্সয়ে বেশ কয়েকজন ভারতীয়কে পাবেন, পথ পরিষ্কার করছে।।
আসলে আমি আপনার বিরোধী নই।। পরিচিতও না।। প্রতিবাদ বার বার কারন আপনার লেখায় আমার জাতকে ছোট করা হয়েছে।। এই শুধুই কারন।।
তবে ভালই থাকুন।।
২২ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪২
মাঝিবাড়ি বলেছেন: স্বচক্ষে যাহা দেখি তাহাই উল্লেখ করেছি জনাব! আপনার জাত কি আমি জানি না, তবে অসত্য যে বলি নাই সেটা আপনি জানেন! এই জন্য কিছুটা আপনার গায়ে লেগেছে! যাই হোক, আমরা চাই ২ টাকা কামাই করবো মাথা উঁচু করে, ভিক্ষা করবো না ভিন দেশে! তাহলে আপনার জাত আমার জাত দুটোই যাবে যে!
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:২২
চাঁদগাজী বলেছেন:
কি বলছেন?
বেগম জিয়া ও শেখ হাসিনা ওখানে বাংগালীদের সভায়, সব বাংগালীকে " প্রত্যকেই এক একজন রাস্ট্রুদূত" বলে এসেছেন; আপনি এগুলো কি বলছেন?