নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিজয় না হওয়া পযর্ন্ত সংগ্রাম কর

মানুষ আজি০৯

মানুষ আজি০৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেচেঁ থাকার গল্প । মানুষ আজিজ

০৪ ঠা জুন, ২০১৬ রাত ২:২০



বেশ কয়েক বছর আগে সুনাম ধন্য কিছু প্রতিষ্টানের বিজ্ঞাপনের কাজ করেছিলাম । শেখানে বেশ কলাকুশিলির প্রয়োজন ছিল , বিশেষ করে অভিনয় শিল্পদের । ধারাবাহিক কাজ করতে যেয়ে নির্মাতাদের ক্ষেত্রে যা হয়, এক সুন্দরী নায়িকার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম আর এই লাইনের নায়িকারা সবসময় এটাই চায় । বছর পর বছর বিয়ে পরিবর্তন কোন বিষয় নয় , যেমনটা আমার হয়েছিল "অর্মিতার ক্ষেত্রে" অর্মিতার আগে বিয়ে হয়েছিল এটা অর্মিতাই বলেছিল । বেশ কিছুদিন লিভটুগেদার করার পর মনে হলো বিয়েটাই ওকে করে ফেলি মনে হচ্ছে মনের মানুষ পেয়েগেছি এবং বিয়েটাও করে ফেললাম । বিয়ের পর আমাদের ভালই কাটছিল আমি আমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও অর্মিতা ওর কাজ কমিয়ে আনলো এবং সাংসারের প্রতিমন দিল । বিয়ের দু'বছর পর এক রোড একসিডেন্টে অর্মিতা মারা যায় , পর ওর আত্মীয় তেমন কাউকে খুজেঁই পেলাম না যেন ! অথচ ২ বছর সাংসার জীবনে জানতেও চাইনি ওর কে কি আছে ? আমরা আমাদের নিয়েই সুখেছিলাম তবে অনেক খুজেঁ অর্মিতার এক দু:সম্পকীয় আত্মীয়র খোজঁপেলাম সেখানে জানলাম অর্মিতার ক্লাস ১০ পড়ুয়া এক ছেলে আছে কিন্তু অর্মিতা আমাকে একেবারে হাইট করে গেছে ওর আয়ের টাকা থেকে কুরিয়ার করতে দেখেছি ও বলতো ওর বাবা-মা দেয় এখন মনে হচ্ছে ওর সন্তানের কাছেই সে টাকাটা পাঠাতো ।

অর্মিতার মৃত্যু সংবাদ ওর ছেলেও জানে না ভাবলাম ওর বোডিং স্কুলে যেয়ে মা মরা ছেলেও দেখে আসি আর বুঝিয়েও ঘটনাটা বলি , যত যাইহোক ও তো আমার স্ত্রীর সন্তানই । অর্মিতার প্রতি আমার ভালোবাসাটাই যেন ওর সন্তানের প্রতি দায়িত্ব কবর্ত্যটা বাড়িয়ে দিয়েছিল ।

উত্তর বাড্ডার বোডিং স্কুলে গেলাম ওর সাথে দেখা করতে ও আসলো আমার সামনে বসলো , ওর নাম রিহান । ওর বাবা অন্যকোন পরিচালক ছিল ওকে আর দেখেনা । রিহান জানতে চাইলো আমি কেন এসেছি । আসলে আমি সময় নিচ্ছিলাম মার কথা বললে ওর মনটাই না খারাপ হয়ে যাবে । পর আমতা আমতা করে বললাম , আসলে রিহান জানতো তোমার মার সাথে দু' বছর আগে বিয়ে হয়েছিল ?
রিহান আমার দিকে বড় বড় চোখ করে বললোঃ কেন আবার বিয়ে করেছে নাকি?
আমিঃ আমি ওর উত্তরশুনে অভাগ হয়ে গেলাম! যা বলতে চাইছি তা যেন হারিয়ে ফেললাম , রিহানকে বললাম - মানে কি আবার বিয়ে মানে ?
রিহান একটু কাচু-মাচু করে বললোঃ না, মা তো বছর - বছর বিয়ে করে তাই বললাম ।
আমি ওকে বুঝাতে গিয়ে বললামঃ রিহান মা সম্পর্কে এমন খারাপ ধারনা করা উচিত নয় ।
রিহান আমার দিকে অভাগ হয়ে বললোঃ খারাপ ধারনা নয় তো, সে যে করে বেড়াচ্ছে তাই বললাম , ঐ মহিলায় এ পযর্ন্ত চারটে বিয়ে করেছে বলে শুনিছি ।
আমি মনে মনে বললাম অর্মতি চারটে বিয়ে করেছিল ! ও তো আমাকে বললোঃ দু'টো বিয়ে করেছে ? যাইহোক আমি রিহান বলতেছিলাম ঃ রিহান গুরুত্বপূর্ন্য একটা তর্থ্য দেয়ার জন্য আমি এলাম বহুদুর থেকে । আমার কথা শেষ হতে না হতেই রিহান বললোঃকি বলবেন, মা আপনাকে তালাক দিবে? এটা আমাকে বলার কিছু নেই ।
আমি রিহানকে বললামঃ রিহান আমাকে কথাটা শেষ অনর্ন্ত করতে দাও ।
রিহানঃ এর আগে অনেকেই এসেছিল আপনার মত, আমি যেন বলি তাকে নিয়েই যেন মা থাকে ! আর যেন বিয়ে টিয়ে না করে ।
রিহানের প্রতি বিরক্ত হয়ে বললামঃ মার প্রতি খুব রাগ তোমার বুঝিছি ।
রিহানঃ যা বলবেন বলুন না ?
আমিঃ আসলে তোমার মার সাথে আমার সম্পর্কটা ভালই চলছিল টানা দু'বছর থাকার পর বুঝেছি এ সম্পর্ক অনেক দিন থাকবে , এর মধ্যই রিহান মুখ থেকে আবার কথা টেনে নিয়ে বললোঃ কিন্তু থাকলো নাতো ?বুঝেন এবার ? সে ইচ্ছে করলে একজনের সাথেই থাকতে পারতো এত মানুষের প্রয়োজন ছিল ।
আমিঃ যে মানুষটা এত কিছুর পরও তোমাকে টাকা দিতো, স্কুলের খরচ দিতো তার জন্য কি তোমার একটুও রেসপেক্ট নেই? আমি তোমার বাবার মত এমন ভাবে আমার সাথে তোমার কথা বলা মানায় না ।
রিহানঃ আচ্ছা বলুন ।
আমি ডাইরেক্ট বলেদিলামঃ তোমার মা মারা গেছে ।
রিহানের মুখদিয়ে " অ" শব্দটাই বের হলো ওর মুখের দিকে আর তাকালাম না এবং বললাম এবার খুশিঁ তো, তোমার মা আর বছরপর -বছর বিয়ে করবে না তোমার আর অপমান বোধ হবে না । আমি কিছুক্ষন বসে থেকে চলে আসছিলাম । কিছুদুর আসার পর রিহান দেখি পিছু পিছু আসছে আমি আবার ওর দিকে এগিয়ে গেলাম এবং বললামঃ কিছু বলবে ? রিহান বললোঃ আক্কেল, আমার সামনে এস এসসি পরীক্ষা , মা তো চলে গেল জানি না স্কুলে পড়া হবে কিনা যাষ্ট আপনাকে একটা অনুরোধ করবো এস এসসি পযর্ন্ত যদি আমার স্কুলের খরচটা দেন খুব উপকার হয় , কলেজে উঠে না হয় কিছু টিউশনি করে নিজের টা নিজেই চালিয়ে নিতে পারবো । আমি রিহানের মাথায় হাত রেখে বললামঃ আচ্ছা, তোমাকে সম্ভবত এত টেনশন করার কিছু নেই তোমার অপছন্দ করা মাই তোমার নামে ব্যাংকে বেশ টাকা রেখে গেছে ,খুব ভালোবাবেই চলতে পারবে তুমি তবে ও টাকাতে এখন হাত দেয়ার দরকার নেই তোমার স্কুলের খরচ তুমি আমার কাছ থেকেইন ও । এরপর এত অশান্ত একটি ছেলের সাথে অনেকক্ষন সময় কাটালাম ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.