![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাসন্তী চাদেঁর আলোর উপর হেটেঁ হেটে মধ্যরাত্রিরে বাড়ি ফিরলাম , গিয়েছিলাম মোহাম্মদপুরের সোসাইটি হাউজিং এ "নিশীথিনীদের বাড়ি" আজ রাত্রিরে ওখানেই নেমন্ত্রন্য ছিল । নিশীথিনী আমার কাকিমার বোনের মেয়ে হয়, ওর সাথে আমার বিয়ে নিয়ে কথা বার্তা চলছিল তাই দেখতে গেছিলুম " নিশীথিনী যখন সাজগোজ করে আমার সামনে বসলো ওকে প্রথম দর্শনে মনে হলো " দীর্ঘ ,ঋজু, পাতলা চেহারা -আর মুখে উৎফুল্ল চকচকে দু'টি চোখ যেন আমাকে পর্যবেক্ষন করছে " । নিশীথিনীর সাথে কথা বলে বুঝলাম ওরা বিহারী, সম্ভবত ইন্ডিয়ান বিহারী হবে ,যদিও জিজ্ঞাসা করিনি ওদের তবে ওরা নিজের ভেতর হিন্দিতেই কথা বলছিল । নিশীথিনীর সাথে একান্ত একরোমে কথা বলার সময় নিশীথিনীকে বললুম, আমি তোমার চোখের চাহনীর প্রেমে পড়ে গেছি তোমার চোখযেন জলকাঠ পাতা দিয়ে বাধানো ঘাট, যেখানে মাঝি এসে ভীর করেছে আচ্ছাদনের খোজেঁ , নিশীথিনী আরক্ত হয়ে বললো: মা যে বলেদিল : আগ বাড়িয়ে যেন কিছু নাবলি তোমাকে?
আমি: কেন?
নিশিথীনি: কখন ভুল কিছু বলেফেলি তাই ।
আমি: আর কি বলেছে মা?
নিশিথীনি: বলেছে, যদি হাত ধরতে চাও তাহলে যেন ধরতে দিই, যদি চুমু খেতে চাও তাও যেন দিতে দিই ।
আমি: তোমার মা বলেছে এসব?
নিশিথিনি: তুমি মাকে বলোনা প্লিজ ! পর বলবে কেমন বেহাইয়া মেয়ে সব বলেদিল ।
এরপর নিশিথীনিকে জরিয়ে চুমু খেলাম । ওর রুমের পশ্চিমের জানালা দিয়ে দিগন্ত ছেয়ে হাওয়া আসছিল , উদাস হাওয়া-মাতাল করা । চুমু শেষে মনে হলো নিশিথীনির গায়েঁ একটা অদ্ভুঁত ঘ্রার্ণ আছে অনেকটা বেলি-চামেলিফুলের যেমন থাকে, ওটা কোন পারফিউমের না বুঝলাম ,কার কাছে যেন শুনেছিলাম অবিবাহিত মেয়েদের শরীরে মারাত্মক মোহনীয় ঘ্রার্ণ থাকে যা অবিবাহিত ছেলেদের উন্মাদ করে দেয় তাই হবে হয়তো । অনেকক্ষন নিশিথিনীর সাথে কথা বলার পর , চলে আসার সময় নিশিথীনির নিটোল নিখুত মুখখানি বললো:- আমাকে বিয়ে করবে তো? আমার আসবে তো?
আমি নিশিথিনীর শ্যামলা আইব্রোরে চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম: আলবাত আসবো ।এরপর চলে এলাম বাসন্তী চাদেঁর আলোর মধ্যদিয়ে ছায়া পেড়িয়ে কিছুক্ষন পরস্পরকে ভালোবেসে ।
©somewhere in net ltd.