![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-প্রেমা বাড়ি আছো ? দরজাটা খুলবে ?
-কিছুক্ষনপর ;
-প্রেমার বোন শ্যামা দরজা খুললো;
- ও মানুষদা আসছো, আপুতো বাড়ি নেই ।
-বাড়ি নেই কেন শ্যামা ও না আমাকে বললো আজকে এই সময় আসতে ?
-শাহেদ ভাই এসেছিল, গাড়ি করে ওকে নিয়ে গেল ।
-কোথায় গেল ওরা ?
-কোথায় যাবে আর, বড় কোন শপিংমলে, সিনেপ্রেক্সসে ।
-কখন ফিরবে ?
-বললো তো রাত হবে ।
-কত রাত ?
-আগে শাহেদ ভাইয়ের সাথে বের হলেতো অনেক রাতেই ফিরতো সেই ধারণা থেকে বললুম ।
-ও
-জানো মানুষদা, শাহেদ ভাই আমাদের জন্য অনেক গ্রিফ্ট নিয়ে এসেছে । আমার জন্যই চার সেট জামা এনেছে । কত ভালো শাহেদ ভাইয়া ।
- ও ।
-মানুষদা ভেতর আসো না চাঁ করে দিই ।
-না থাক , ও তো নেই । আজ তাহলে চলেই যাই ।
-চলে যাবে ?
-হুম ।
-একটা কথা ছিল মানুষদা ।
-বলো ।
-তুমি আর এসো না এই বাড়িতে ।
-কেন, প্রেমা না করে দিয়েছে ?
-ও না করবে ? ও না করার মানুষ বলো ? ঘরে যত বেটাছেলে ঢুকাতে পারে ততই তো ওর লাভ ।
-ছিহ, বড়বোন সম্পর্ক এমন করে বলিস কেন ?
-সত্যটাই বলেছি । কতটা চিন ওকে ?
-চিনি না , চেনার ট্রাই করছি ।
-আর করতেও যেয়ো না ।
-কেন?
-দেখো, তোমার তো এখন গুরুত্বপূর্ন্য সময় , একটা কাজে মনদাও না ,ভালো কোন মেয়ে দেখে বিয়ে করে নাও না ! প্রেমা আপু তোমাকে তো কোনদিন বিয়ে করবে না ।
-ও যে বলেছিল ?
-দুর , ও রোজ কতজন কে যে বলে ।
-কেন এমন করে ও ?
-মানুষের মন নিয়ে খেলা একটা গেমের মত ।
-গেম ?
-তারচেয়ে বড় চারপাশকে জানান দিতে হবে না আমার কত ডিমান্ট, কতজন আমাকে চায় । এইসব আর কি ?
-তুমিও তো খুশিঁ হয়েছিল শাহেদের কাপড় পেয়ে ?
-তোমার অনুভূতিটা দেখার জন্য ।
-কেমন দেখলি ?
-তোমার কোন অনুভূতি নেই , যে মানুষটা অন্যজনের সাথে বের হয়ে গেল ,রাত্রিরে বাড়ি ফিরবে । এটা জেনেও তুমি চুপ , কষ্ট হয় না তোমার ?
-কষ্ট ?
-না, আমার কষ্ট হয় না । আমারও তো হৃদয় বলে কিছু নেই ।
-তাহলে আর কি , রোজ আস তাহলে । পকেটের টাকা খরচা করে যাও ।
-আমি তো তেমন খরচা করি না ! তোমাদের কি কখনো গ্রিফ্ট করেছি ? বলো ?
-না , তাতো করো নি কিন্তু আপু তো এমনি এমনি কারো সাথে মিশার পাত্রী নয় ।
-তাহলে বুঝ, ওই আমাকে সত্যিকারের ভালোবাসে ।
-কনফিউজ হচ্ছি !!
-এই দেখনা , গত পরশুদিনই তো ও আমাকে এই দামী মোবাইল সেটটা দিল , এই বেকার জীবনে আটকে গেলেতো ওই আমাকে দিয়ে চালায় ।
-তো , আপুকে না করতে পারো না এইসব লোক ঠকানো বন্ধ করতে ?
-আমি বললেই কি ও করবে ? আমি তো ওর জীবনের শ্রষ্টা নই ?
-যদি ভালোবেসে থাকে করবে না;
-না থাক, একটা মেয়ে কিছু করে তো খাচ্ছে বাধা দিব কেন ? বললে সম্পর্কটাই নষ্ট হবে যেখানে নিজেই কিছু করতে পাচ্ছি না অন্যকে কিছু করা থেকে বাধাঁ দেয়াও অন্যায় ।
-তাই বলে লোক ঠকাবে ?
-জানি না ঠকাচ্ছে কিনা , ও ঠকানের মানুষ না যতদুর জানি আমি। কেউ যদি কিছু দিয়ে থাকে সেই কেউ এরচেয়ে বেশি হয়তো আদায় করে নেয় আজকাল ।
-ও ।
- আমাদের তো কোন কিছু হারানোর ভয় নেই বা কারো সাথে কোন কমিটমেন্ট নেই । এই তো সাধারণ চলে যাওয়া । এত কমিটমেন্ট দিয়ে কি লাভ । মানুষতো কল্পনায় কমিটমেন্ট মুক্ত ।
-তাহলে বলছো আপু যা করছে ঠিক ?
-ওর জীবনের মালিক ও , ওর শরীর ,ওর মন, ওর বিশ্বাস ওর ব্যক্তিগত ব্যপার । কোন ইন্টারেস্ট নেই এতে । শুধু বলি বিশ্বাস করে যেয়ো বন্ধু ।
-কি জানি তোমাদের বিষয়াদিই আলাদা । কি বলো , কি করো । এটাতো এই সমাজে গ্রহনযোগ্য নয় ।
-সমাজ ! সেও সুযোগ সন্ধানী ।
-তাহলে আপুকে ছাড়ছো না তুমি ?
-কেন তুমি আমার সাথে প্রেম করবা তাহলে ? তাহলে ছাড়বো ।
-দুর ! তুমি তো বুড়ো হয়ে গেছ ।
-বুড়োরাই আজ জনপ্রিয় তরুণীদের কাছে !
-সে তো পয়সাওয়ালা বুড়ো ।
-হাহাহহাহাহাহাহহা
-হাসছো যে ?
-কোন পয়সা ওয়ালা বুড়ো পেয়েছিলে ?
-তোমরা পুরুষরা যে কি ! কি যে বলবো তোমাদের ।
-কেন ?
-ঔ ছোট ভাই পিন্টু , ওর বন্ধু রোজ এসে আমার সাথে লাইন মারতে চায় ।
-বাচ্ছা ছেলে ?
-হুম ।
-ওর বাবা কি করে ?
-করে হয়তো কিছু একটা ,অবস্থা মন্দ নয় ।
-তাহলে লাইনে ঢুকে যা, আজকাল প্রতিযোগীতার যোগ । কোন জবে ঢুকলে পড়ও বসের ইভটিজিং এর শিকার হবি , তখন কিছু বলতে পারবি না শুধু ঘুমের ভেতর বালিশ ভেজাবি ।
-তাই বলে বাচ্ছা ছেলেকে ?
-যত বাচ্ছা দেখছিস তত নয় । তাছাড়া চার -পাচঁ বছরের ছোট তেমন ছোট নয় । বুঝিয়ে -সুঝিয়ে রাখলেই হলো ।
-বলছো ? সুযোগ দিয়ে দেখবো একবার ?
-দেখ । যদি ছুতে চায় ?
-আপাদত চুমু ছাড়া আর কিছু দিস না ।
-দুর ভাল লাগছে না কিছু !!
-আচ্ছা রাখ এসব কথা । চলো কোথা থেকে বের হয়ে আসি ।
-চল ।
-হুম ।
-পাচঁমিনিট সময় দিবে, রেডি হবো শুধু ।
-আচ্ছা ।
-পাচঁমিনিট পর ।
-রেডি ।
-চল ।
-চলো ।
-চলতে চলতে ।
-আচ্ছা , আজ যদি তোর সাথে প্রেম হয়ে যায় । তাহলে ?
-ভালো হবে তো । আপুর মত আমার কাছ থেকে তো টাকা পাবে না । কাজ করেই খেতে হবে আমাকে চালাতে হবে পর বুঝবে ।
-তা না হয় করলাম ।
-কি , সত্যিই বলছো এসব ?
-তোর বললো কয়েকদিন ।
-কি বললো ?
-বললো, তোর সাথে কথা বলতে । সত্যিই ও তো পারবে না । কত কত সামাজিক কাজ ও করে ।
-আহ ! সামাজিক কাজ । তাই বটে ।
-হাহাহাহহা ;
-তুমিই বা কেমন আপুর সাথে ঘুরে ফিরে আমার সাথে ।
-তোর সাথে কমিটমেন্ট থাকবে ,বিশ্বাস থাকবে ।
-সত্যিই পারবে তুমি ?
-পারবো ।
-ঠকাবে নাতো ?
-না ।
-তাহলে রাজি আমি ।
-
-
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১১
নুসরাত অনি বলেছেন: কঠিন কিছু কথা লিখেছেন যা কিনা বুঝাই বড় দায়।
-এই দেখনা , গত পরশুদিনই তো ও আমাকে এই দামী মোবাইল সেটটা দিল , এই বেকার জীবনে আটকে গেলেতো ওই আমাকে দিয়ে চালায় ।
-তো , আপুকে না করতে পারো না এইসব লোক ঠকানো বন্ধ করতে ?
-আমি বললেই কি ও করবে ? আমি তো ওর জীবনের শ্রষ্টা নই ?
-যদি ভালোবেসে থাকে করবে না;
-না থাক, একটা মেয়ে কিছু করে তো খাচ্ছে বাধা দিব কেন ? বললে সম্পর্কটাই নষ্ট হবে যেখানে নিজেই কিছু করতে পাচ্ছি না অন্যকে কিছু করা থেকে বাধাঁ দেয়াও অন্যায় ।
-তাই বলে লোক ঠকাবে ?
-জানি না ঠকাচ্ছে কিনা , ও ঠকানের মানুষ না যতদুর জানি আমি। কেউ যদি কিছু দিয়ে থাকে সেই কেউ এরচেয়ে বেশি হয়তো আদায় করে নেয় আজকাল ।
অনেক ভালোলাগা রইল।