নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিজয় না হওয়া পযর্ন্ত সংগ্রাম কর

মানুষ আজি০৯

মানুষ আজি০৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বন্ধন । মানুষ আজিজ

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২২



নির্মান আমার বন্ধু । ও লেক সার্কাসে থাকে , দুপুরে আমাকে ও প্রায়ই ওর বাসায় নিয়ে যায় খাওয়াতে । প্রথম প্রথম ওর বাসায় কেমন যেন লাগতো , সবাই সবার মত ঘর খিল আটকে থাকে , কেউ যেন কারো নয় । ওদের বিশাল এক বুক সেলফ ছিল , আর ডিভিডি কালেকশন সব ফিচার ফিল্ম । ওকে বলেই দু'চারটে বই নিয়ে গেছিলমু ,এর মধ্য Hangover, silent of body বইগুলো ভালো লাগলো । বাকি দু'টা খুব কঠিন ইংলিশ ছিল, এক পৃষ্টা পড়ার পর দ্বিতীয় পৃষ্টাতে গিয়ে পূর্বের কাহিনী ভুলে যেতাম । এভাবে কয়েকবার বই নিচ্ছিলাম এর মধ্য old love বইটা পড়ছিলাম । পর একদিন ওদের বাসায় গেলাম নির্মানের রুমে বসে গান শুনছিলাম , হঠাৎ নির্মানের বড়বোন এসে সামনে দাড়িয়ে বললো; তুমি আমার বুক সেলফ থেকে বই চুরি করছিলে ? আমি হতচকিয়ে গেলাম ! নির্মানের দিকে বার বার তাকাচ্ছিলাম পর দেখি ও নিশ্চুপ হয়ে রইলো । পর আমিই বললাম, না আসলে নির্মানকে বলে নিয়েছিলাম । নির্মানের বোন কঠোর ভাবে বললো, ও সব বইয়ের মালিক আমি সুতরাং আমার কাছ থেকে তোমার অনুমতি নেবার প্রয়োজন ছিল , এভাবে চুরি করবে কেন । আমি বললাম, আচ্ছা নিয়ে আসবো সে চলে গেল । আমি নির্মানকে বললাম, কি করে কিছু বললি না তুই । নির্মান বললো, আমি কি বলবো তুইতো বলেছিসই তোকে বলে নিয়েছি । আমি বললাম, তারপরও । নির্মান চুপ হয়ে গেল , কোন উত্তার পেলাম না । সেইদিনের মত চলে এলাম, পর সব বইগুলো নির্মানকে দিয়ে ফিরিয়ে দিলাম । আর ওদের বাড়ি গেলাম না । একদিন Emk সেন্টার থেকে বের হয়ে , বাসার পথে হাটঁছিলাম -পর পাশে গাড়ির কাচঁ নামিয়ে কোন এক সুন্দরী আমাকে ডাকছিল এই মানুষ এই দিগে আস । আমার মন নেচে উঠলো, আমি কাছে গেলাম গিয়ে দেখি নির্মানের বোন । গাড়ির দরজা খুলে বললো, ভেতর আস । আমি বললাম, না দিদি আমার কাজ আছে একটু আমাকে যেতে হবে । সে জোর করে আমাকে গাড়িতে ঢুকালো । গাড়িতে মৃদু মিউজিক চলছিল । আমাকে সে বললো, কি খাবে তুমি ?
আমিঃ না ,ক্ষুদা নেই ।
-জুস খাবে, সামনে এক দোকান আছে ভালো জুস বানায় ।
আমিঃ না ।
-তাহলে ?
আমিঃ আমি কিছু খাব না ।
-ওকে ঠিক আছে । তাহলে পাশে বসে থেকো ।
এরপর সে অনেকগুলো ম্যানু অর্ডার করলো । একা একা সবাই খাচ্ছিলো, তার খাওয়া দেখে আমারি ক্ষুদা লেগে গেল । তবুও চেপে গেলাম । সে বললো, বাসায় আসনা কেন আর ? বুক চোর বলেছি বলে ?
আমিঃ না একটু ব্যস্ততা !
-কিসের ব্যস্ততা ? গালফ্রেন্ড আছে ?
আমিঃ নানা । ওসব নয় ।
-কেন গালফ্রেন্ড থাকাটা কি অস্বাভাবিক বিষয় ?
আমিঃ না , আসলে । ----
-আমার সাথে প্রেম করবে তুমি ?
আমি চুপ হয়ে গেলাম ।
-দেখ, মানুষ আমি তোমার চোখের নজর বুঝি লুকাতে পারবে না । এরপর সে , ছেলেদের মত করে আমাকে পটাতে চেস্টা করলো নানা কথা বলে । এমন ভাবে যুক্তি উপস্থাপন করলো যে আমাকেই তার প্রেম করা উচিত, দু'চার বছরের বয়সের বড় তেমন কোন বিষয় নয় বরং সিনিয়র গালফ্রেন্ড থাকলে ভালো টেককেয়ার ভালো পাওয়া যায় । ও তুমি তো আমার নামটাই জানো না , আমার নাম এনিখা । আমি বললাম. দেখুন আপনি আমার ফ্রেন্ডের বড়বোন !
এনিখাঃ যতদুর বললে তোমার বিষয়ে -তা কি হৃদয় থেকে বা ভয়ে ? তুমিই তো বললো কিছুক্ষন আগে , সাম্প্রদায়িকতা,বৈষম্য এগুলো তৈরী করা হিংস্রতা , রোহিঙ্গা বিষয় বলতে গিয়ে । আচ্ছা কেউ যদি বন্ধুর ছোটবোনের সাথে প্রেম করতে পারে বড়বোনকে কেন নয় , দু'টাইতো বোন ? ভেবেছিলাম তোমার ভেতর কিছু ঢুকেছে বোদয়, অনেকগুলো বই নিয়েছিলে কিনা ,old love,Mautre and Imature পড়েছিলে ওগুলো ।
আমিঃ পড়েছিলাম ।
এনিখাঃ পড়াকি শুধু লোক দেখানো নাকি জীবনপ্রণালীতে ঢুকানো প্রয়োজন ।
-না মানে ।
এনিখাঃ যখন দুর থেকে ডাকছিলাম , চিনতে না পেরে দেখলাম খুব উৎফুল্ল্য মেজাজে চলে আসলে । আর এখন পযর্ন্ত তোমার ভেতর ভয় দেখতে পাচ্ছি, কাটচ্ছে না ।
আমি : আপনি আমাকে কেন ভালোবাসবেন ? সবে তো চিনিছি মাত্র, আপনি বললেন আমি যদি আপনাকে ফিল করি তাহলে জানাবো ।

এনিখা একটা সিগারেট ধরিয়ে মুখের কাছে নিয়ে হুহু করে হেসে দিয়ে বললো : প্রেম করতে হলে তো পাশাপাশি আসতে হয়, রোজ কথা বলতে হয়, ছোট ছোট স্পর্শ থাকতে হয় , পারবে তুমি ?
আমি চুপ করে ভাবছিলাম সে আমাকে নিয়ে মজা করছে হয়তো ! যাচাই করে দেখছে , আমিও ভাব নিয়ে বললুম : দেখুন , সবতো আর সম্ভব না , নির্মানের সাথে আপনাদের বাড়ি যাবো দেখা করবো তখন ।

এনিখা নিচু স্বরে বললো ; বুঝেছি । এই বলে সিগারেট শেষ করলো ,খাবার শেষ করলো । কোথায় যাবে তুমি ?
আমিঃ টাউনহলে যাব একটু ।
এনিখাঃ আচ্ছা চলো, নামিয়ে দিয়ে আসি তোমায় ।
আমিও গাড়িতে গিয়ে বসলুম ।
অনেকক্ষন নীরাবতা ।
গাড়ি টাউনহলের কাছাকাছি আসতেই গাড়ি থামিয়ে দিল একটা নির্জন জায়গায় । কিছু বলার আগেই সে ,আমার চুল মুঠোয় ধরে মুখে মুখে অনেকক্ষন কিস করলো । শেষবারে ঠোটেঁ একটা কামড় কসে দিল । আমি হাফিয়ে বললাম, কি করলে ?
এনিখা: নামো এবার ।
আমিঃ না না বলুন আপনি ।
এনিখা:হাহহাহা
আমি: কি হলো বলুন ?
এনিখা: দেখো কখনো মিস করো কিনা । এসো বাসায় একদিন ।
আমি নেমে গেলুম ।
পর সত্যিই তার কিসের রেশ,শরীরের পারফিউমের ঘ্রাণ যেন আমার শরীরে দীর্ঘক্ষন মনের ভেতর নানা রঙ ছাপালো । কিছু এলোমেলো ঘুরলাম । সত্যিই কি সে আমাকে ভালোবাসে, নাকি ফান করছে ? ফান করলে কিস করবে কেন? সত্যিই হয়তো আমাকে সে লাইক করে । এরপরদিন নির্মানের সাথে ওর বাসায় গেলাম । গিয়ে বই দেখার নাম করে এনিখার রুমের দিকে বার বার তাকাচ্ছিলাম , গিয়ে কি ঢুকা কাটবো ? যদি রেগে যায় , গতকালের পর থেকে তো রাগ করার কথা নয় । সাহস নিয়ে গেলাম, দরজা খুললো । সে বললো, ও তুমি আসো , ভেতর বসো । মুখে হাসি নিয়ে বললাম, আজকি কিছু বই নিতে পারি ? সে বললো, মানুষ তুমি আমার নাম ধরে ডাকতে পারো ।
আমি: আচ্ছা, দিবে ?
এনিখা: বই ?
আমি: হুম
এনিখা:বই মানুষকে পরিবর্তন করে পারে না ততটা, মানুষ মানুষকে পরিবর্তন করতে পারে । বই মানুষের সৃষ্টি আর মানুষ শ্রষ্টা , তাই মানুষের ভালোবাসাকে গ্রহণ করা উচিত । যাহারা নিষ্টুর তারা মানুষকে ভালোবাসতে পারেনা ।
চুম করে রইলেম ।
এনিখা: নিষ্টুর তুমি ?
আমি: কেন !
এনিখা: কিছু বুঝনা তুমি ?
আমি: না ।
এনিখা: কাছে আসো ।
আমি: নির্মান খোজঁবে তো ।
এনিখা: খোজঁবে না , কাছে আসো ।
আমি: কি ?
এনিখা: বই নিতে গেলে খরচা আছে, মাটাতে পারবে ?
আমি: কি খরচা ?
এনিখা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হাসলো : জানি ভেতর ভেতর সব জানো । এনিখা ওর পাঁ আমার দিকে উচু করে বাড়িয়ে দিল , দেখ না কত ধবধবে শাদা পাঁ ছুতে মন চায় ? ইচ্ছে হলে একটু ছুতে পারো ।
আমার নিরাবতা দেখে এনিখা বললো: কি বাচ্ছা ছেলের প্রেমে পড়লুম প্রেমিকাকে ছুতেও চায় না । পর আমি মুর্হুতেই দেরী না করে এনিখাকে ধরে উন্মাদের মত চুমু খাচ্ছিলাম । জ্বিবের জলে ওর সারামুখে ছড়িয়ে দিলাম চুমু খেতে খেতে । এনিখাও নিজেকে রাখতে পারলো না , নিজেকে মুক্ত করেদিল আমার কাছে । শুধু মনে মনে বাজছিলো আমি ইহাকে পাইলাম, আমি তাকে জয় করলাম , এটাই পৃথিবীর সর্বসুখ । এনিখা আরো গভীরতা চাইলো , আমাকে জাগালো , ইচ্ছেমত আমার উপর উঠে বুকের পশমে ওর নাক,মুখ ঘসালো । আমি ওর ছোট চুল খেকে ঘ্রাণ নিঙ্গরে নিঙ্গরে খাচ্ছিলাম , এমন সময় এনিখা অগ্নিস্পর্শতা জাগালো , এনিখা এখন মুর্হুতের স্বাধীনতা চায় ! হলুদ ঘামে একে অপর একাকার হয়ে স্বাধীন হলুম । এনিখা থামলো, আমার উপর শাদা তুয়ালে রেখেদিল । আমি ওর মুক্ত পেটে নাভিকুলে চুমু খেয়ে ওর পেটে মাথা রাখলাম । এনিখা রবীন্দ্র সঙ্গিত গাইলো আমি চুম মেরে শুনলুম । এনিখা আস্তে আস্তে নিজেকে গুছিয়ে নিল । আমিও গুছিয়ে নিলাম , এনিখা অনেকক্ষন আমাকে আলিঙ্গন করে রইলো ; কানে কানে বললো- আমাকে রেখে চলে যাবে না তো ? আমি তোমায় খুব ভালোবাসি । আমি বললাম, আমিও । এনিখা বললো, কি বাচ্ছামি করেছিলে প্রথম অথচ কত কিছু জানো তুমি মানুষ ? শরীর লুকিয়ে ছিলে কেন এতদিন ?
আমি: তোমাকে পাইনি বলে ?
এনিখা হাসলো : এখনতো পেলে ।
আমি: পেলাম ।
এনিখা: মনে ধরেছে ।
আমি: ধরছে ,ফিল করছি দিন দিন ।
এনিখা: হুম ,ধরতে দাও ।
আমি: আমি তোমাকে জ্বালিয়ে তুলবো রোজ ?
এনিখা: কিহ ! রোজ ?
আমি: হুম ।
এনিখা : পারবো এত ।
আমি: পারবো ।
এনিখা : না রোজ নয় , আমি তোমাকে ডাকবো ।
আমি: তুমি না ডাকলে আসতে পারবো না ?
এনিখা: তা পারবে ।
আমি: সেটাই ।
এনিখা: কি, এত নরছো কেন ?
আমি: চলনা আবার ?
এনিখা : কিহ !
আমি: না ।
এনিখা : তোমার শরীর দুর্বল হয়ে যাবে , শরীরের শক্তি হারাবে ।
আমি: হোক ।
এনিখা: পাগল আমার । আজ নয় আর । এখন যাও । নির্মাণ তো একা বসে আছে ।
আমি: যদি নির্মান কখনো টেরপা্য় ।
এনিখা: নির্মান জানে তো ।
আমি: কি জানে ?
এনিখা: আমি তোমাকে লাভকরি । যেদিন তোমায় চোর বললাম, সেদিনি তোমায় ভালো লেগেছিল ! যদিও মেজাজটাও চড়েছিল , আমার বকুনি খেয়ে কেমন নিশ্চুপ , চোখে কাতরতা ছিল যেন ঝুরঝুরিয়ে কেদেঁ দিবে ।
আমি: হাহাহা । আমি সহজে কাদিঁ না ।
এনিখা: নির্মান সব বলে ।
আমি চুপ হয়ে গেলাম ।
এনিখা: নির্মান বলে , জানার দিক দিয়ে তুমি ওর অনেক সিনিয়র । আর আমি তোমাকে দিকে তাকিয়ে পৃথিবী দেখতে পাই । এবার ছাড়, যাও । কথা হবে । বই যা ইচ্ছে নিয়ে যাও । পর চলে এলাম । সারাক্ষন এনিখাকে ভাবলাম , বার বার মন চায় ওদের ফ্ল্যাটে চলে যাই । পারস্পারিক নগ্ন হয়ে দু'জনা একে অপরের ঘন্টার পর ঘন্টা শুয়ে থাকি । পারস্পারিক নগ্নতা, মিলন আমাদের বিনয় হতে শেখায় ,শেখায় অনেকদিন বাচিঁয়ে রাখতে ।

দু' সপ্তার মধ্য কয়েকবার দেখা হলো ওর সাথে । দু' হপ্তা পর ও বললো, মানুষ আমি কনসেপ্ট করেছি । আমি স্বাভাবিক ভাবেই বললাম ,রেখে দিবে ?
হুম ।
এনিখা: হুম, রেখে দিব । ধন্যবাদ মানুষ । অনেক ইচ্ছেছিল আমি সিঙ্গেল মাদার হবো ।
আমি: আর আমি ?
এনিখা: যদি আসতে চাও আসতে পারো, কিছুটা ভীত বা সংশয় দেখি তোমায় যদি মনে হয় তুমি পারবে তাহলে এসো । কোন ফোরর্স করছি না । আমাকে গ্রহন করলে অনেক কথা সইতে হবে সিনিয়র বলে । যদি সব বুঝে আসো ।
আমি: না , তোমাকেই চাই আমি ।
এনিখা: তবুও সময় নাও । একমাস ভেবে দেখো । আর আমার জন্য কোন সমস্যা হবে না তোমার ।
আমি: ভাবনার কিছু নেই , সামাজিক নিয়ম নীতি ভাঙ্গাই আমার কাছ । এই সমাজ নীতি এক অসুস্থতা তাই বলে ভালোবাসলে গ্রহণ করতে পারবো না । হুম যদি কোনদিন ক্লান্তি , অপ্রিয়তা জন্মায় চলে বন্ধন ছেড়ে দিব অভিনয় করতে পারবো না ।
এনিখা: তখন যদি বয়স হয়ে যায় ?
আমি: হলেও ।
এনিখা: একসময় শরীর একা হয়ে যায় , শরীরের তেজ কমে আসে । কোথাও চলে যেয়ে যদি মনে হয় আমাকে চলে এসো ।
আমি: যদি এসে দেখি তুমি অন্যকারো । যদি কাউকে ভালো লেগে যায় ।
এনিখা: হুম । তাও হতে পারে । তাই বলে , আমার সন্তানের বাবাকে ফেলে দিব না নিশ্চয় , এই আমার ছোট্ট বালক প্রেমিককে ।






মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.