নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"আমি উন্মনা হে, হে সুদূর, আমি উদাসী।\"

বাউন্ডুলে ঝড়

আমি উন্মনা হে, হে সুদূর, আমি উদাসী।

বাউন্ডুলে ঝড় › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন করলে সত্যই কি ঈশ্বর ক্ষুব্ধ হন?

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪২

ধরুন, আপনি একটি রোবোট বানিয়েছেন। সেই রোবোটকে দিয়েছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এখন আপনি রোবটটির কাছ থেকে কী আশা করবেন? আপনি নিশ্চই চাইবেন, রোবটটি তার স্রস্টার কাছ থেকে প্রাপ্ত বুদ্ধিমত্তা প্রদর্শন করুক। এখন রোবটটি যদি আশানুরূপ বুদ্ধির পরিচয় না দিতে পারে, তাহলে আপনি হতাশ হবেন। হয়ত রেগেও যেতে পারেন।

এখন একটু বুদ্ধিমত্তা অথবা বুদ্ধির সংজ্ঞা কী সেটা নির্ধারন করা যাক। একটা ক্লাসরুমের কথাই ধরা যাক। ক্লাসের যে ছেলেটা/মেয়েটা সবচেয়ে বেশী প্রশ্ন করে সাধারনত দেখা যায় সেই ছেলেটা/মেয়েটাই পরীক্ষায় সবচেয়ে ভালো ফলাফল করে। এর করন হল, ক্লাসে যা পড়ানো হচ্ছে তা সেই ছেলেটি/মেয়েটি ঠিকঠাক ভাবে বোঝার চেষ্টা করেছে, এবং বুঝেছে। সেই সব মানুষই বেশী প্রশ্ন করে যারা কোন ঘটনাকে অথবা কোন কিছুকে বোঝার চেষ্টা করে। আর প্রশ্ন আসে সন্দেহ থেকে। কোনকিছু যখন মানুষের বোধগম্য হয় না বা কোন ব্যাপারে মানুষ যখন সন্দিহান হয় তখনই মানুষ প্রশ্ন করে, এবং উত্তর খোঁজার চেষ্টা করে। সুতরাং এই বুদ্ধি প্রদর্শনের ব্যাপারটকে আমরা তিনটি ধাপে সাজাতে পারি।

প্রথম ধাপঃ সন্দেহ করা
দ্বিতীয় ধাপঃ প্রশ্ন করা
তৃতীয় ধাপঃ উত্তর খোঁজা

এখন আসা যাক মহাবিশ্ব এবং প্রান সৃষ্টির প্রসঙ্গে। স্বাভাবিকভাবেই এই প্রসঙ্গে প্রচলিতি ধর্মগুলোর আমদানি ঘটবে। মানুষ সেই আদিকাল থেকেই জানার চেষ্টা করে আসছে কিভাবে এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছিল এবং কিভাবে প্রানের সৃষ্টি হয়েছিল। আর এই জটিলতম প্রশ্নগুলোর সহজ উত্তর হিসেবে ধর্মগুলো বরাবরই খুব সহজ উত্তর দিয়ে আসছে, আর সেই সহজ উত্তরটির নাম ইশ্বর। ঈশ্বরই এই সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। যেহেতু সবচেয়ে জটিল প্রশ্নের সবচেয়ে সহজ উত্তর দেওয়া হয়েছে, তাই সেখানে যে গোঁজামিল থাকবে সেটা স্বাভাবিক। আর মানুষ যেহেতু বুদ্ধিমান প্রানি, তাই সে তার বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগও করবে। সে সন্দেহ করবে, প্রশ্ন করবে এবং উত্তর খোঁজার চেষ্টা করবে। সন্দেহের প্রথম পর্যায়েই সে প্রশ্ন করবে আসলেই ইশ্বর নামের কেউ আছেন কিনা। যদি উত্তর আসে "হ্যা" তাহলে সন্দেহ দ্বিতীয় পর্যায়ে গিয়ে প্রশ্ন করবে, ইশ্বর সত্যিই মহাবিশ্ব এবং প্রান সৃষ্টি করেছেন কিনা, করলে কত আগে এবং কিভাবে সৃষ্টি করেছেন।

সমস্যা হচ্ছে মানুষ তার এই আদিম প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে গিয়ে প্রতিমুহুর্তে ইশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ করছে, এবং ঈশ্বরের অস্তিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। কিন্তু আমাদের প্রচলিত ধর্মগুলো বরাবরের মতই এই কাজটিকে ঘোরতর অপরাধ বলে চিহ্নিত করে আসছে। ধর্মগুলো বলছে কেউ যদি ইশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তাহলে ইশ্বর মারাত্মকভাবে বেজার হবেন এবং তিনি এহেন অপরাধ করার ফলে তার সৃষ্ট সর্বশ্রেষ্ঠ(বুদ্ধিমত্তার দিক থেকে) প্রানি মানুষকে নরকে নিক্ষেপ করবেন। অর্থাৎ ধর্মগুলো চোখ, মুখ, নাক সব বন্ধ করে বোকার মত ইশ্বরকে বিশ্বাস করতে বলছে, বুদ্ধিমান হয়েও বোকার মত আচরন করতে বলছে।

এইবার আপনি একবার নিজেকে ঈশ্বরের জায়গায় বসিয়ে চিন্তা করুন। মানুষ নামের বুদ্ধিমান প্রানি বানিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন অথচ আচরন করছে হালের বলদের মত। আপনার কেমন লাগবে?


আমি আর কিছু কমু না, এই মুখে লাগাম দিলাম। :P :P :P

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তিনি এহেন অপরাধ করার ফলে তার সৃষ্ট সর্বশ্রেষ্ঠ(বুদ্ধিমত্তার দিক থেকে) প্রানি মানুষকে নরকে নিক্ষেপ করবেন। অর্থাৎ ধর্মগুলো চোখ, মুখ, নাক সব বন্ধ করে বোকার মত ইশ্বরকে বিশ্বাস করতে বলছে, বুদ্ধিমান হয়েও বোকার মত আচরন করতে বলছে।

এটা অন্য ধর্মে কি আছে বিশদ জানিনা- কিন্তু ইসলাম কখনোই নিরাশ করেনি। বরং তাতে উৎসাহ দিয়েছে। মান আরাফা নাফছাহু ফাকাদ আরাফা রাব্বাহু- ।

বারবার বলা হয়েছে- সৃষ্টি জগতের দিকে তাকাতে এবং এর রহস্য উদঘাটন করতে। বলা হয়েছে আমি এগুলো ানর্থক সৃষ্টি করিনি। সেই রহস্য উদঘাটনে তাগিদ দেয়া হয়েছে।

বারবার বলা হয়েছে এই কোরআন তাদের জন্য যারা জ্ঞানী।

শুরুই হয়েছে -পাঠ কর তোমার প্রভুর নামে বাক্য দিয়ে।

সুতরাং আপনার গুগলি বুমেরাং হয়ে আপনার অজ্ঞতাকেই কি পরিস্ফুট করল না ;)

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫২

খেয়া ঘাট বলেছেন: প্রশ্ন না করলেতো কিছুই জানা যাবেনা। জানার আগ্রহ থেকেইতো মানুষ আজ পৃথিবীর সভ্যতার পথে এতদূর অগ্রসর হয়েছে। জানার ইচ্ছা যেদিন শেষ হয়ে যাবে, পৃথিবীও সেদিন একজায়গায় থমকে যাবে। সভ্যতা হয়ে যাবে স্থবির।

তবে জানার ইচ্ছে আর শ্রষ্টার রহস্য ভেদ করা দুটি ভিন্ন ব্যাপার। যারা সাধারণত শ্রষ্টায় বিশ্বাস করে, তারা মনে করে এই পুরো ইউনিভার্স শ্রষ্টার সৃষ্টি। এই বিশাল সৃষ্টি জগতে মানুষের তুলনা হলো বিশাল আটলান্টিক মহাসমূদ্রের তীরে একটি অতি ক্ষুদ্র পিপঁড়ার চেয়েও ছোট।

এখন এই অতি ক্ষুদ্র ছোট পিঁপড়া আটলান্টিক মহাসাগর বিশালত্ব নিয়ে কতটুকুইবা চিন্তা করবে?

আপনার পোস্টটি বেশ চিন্তাজাগানিয়া। সুন্দর পোস্ট।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:০৭

বাউন্ডুলে ঝড় বলেছেন: যদি এটা ধরেই নেই যে ঈশ্বর এই সব কিছু সৃষ্টি করেছেন তাহলে জানার আর কিছু বাকি থাকে কি?

ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৮

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: বিধাতা যেই মেধা দিয়ে মানুষ সৃষ্টি করেছে সেটা যদি সত্যই মানুষ কাজে লাগায় তাহলে বিধাতা আছেন তা নিয়ে সন্দেহ পর্বটা সরে যাবে,থাকবে প্রশ্ন এবং উত্তর।এতে কোন সমস্যা নেই।

আপনি যদি আপনার সন্দেহকে সত্যি প্রতিষ্ঠা করতে উঠে পড়ে লাগেন সেটা হলে বিশ্বাস টুকু থাকবেনা, ইসলামের শুধু এখানেও একটু জোর দিয়েছেন, বিধাতা ইচ্ছে করেই তা করেছেন নিজেকে আড়াল করে না দেখে মানুষ তাকে বিশ্বাস করবে এবং জগতের সকল সৃষ্টির দিকে তাকিয়ে সেই বিশ্বাসকে মজবুত করবে।
একটু অন্ধ বিশ্বাসের মাজেজা যদি নাই থাকে তাহলে বিধাতা সরাসরি দেখা দিতেন।এত প্রশ্ন মনে জাগতোনা এত মতভেদ সৃষ্টি হতোনা।

মুল কথা বিধাতা আছেন সেই বিশ্বাস নিয়ে প্রমাণ খুজুন পাবেন তাতে সমস্যা নেই,বিধাতা খুব্ধ হবেনা,বরং খুশি হবেন।

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১০

আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: সমস্যা হচ্ছে মানুষ তার এই আদিম প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে গিয়ে প্রতিমুহুর্তে ইশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ করছে, এবং ঈশ্বরের অস্তিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। ------------------ইশ্বরের তো বেজার হওয়ারই কথা। এর কারন তো একজন মাথামোটাও বুঝতে পারে। আচ্ছা ধরা যাক কেউ তার জম্নদাতাকে নিয়ে প্রশ্ন করলেন তাহলে তিনি বেজার হবেন কিনা?

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৮

উড়ালপঙ্খি বলেছেন: চমৎকার পোস্ট

বিশ্বাস না করে তথ্য ও প্রমান সহকারে কোন কিছুকে মেনে নেওয়ায়ই শ্রেয়

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:১৩

বাউন্ডুলে ঝড় বলেছেন: ভাই, পরানডা বাঁচাইলেন!

উপরের কমেন্টগুলা পইড়া ভাবতাসিলাম, এতো কষ্ট কইরা লিখলাম। সব কষ্টই বোধ হয় বৃথা গেলো, আমার বক্তব্য বুঝি লেখায় স্পষ্ট কইরা তুইলা ধরতে পারি নাই। আপার কমেন্ট পইড়া জানে পানি পাইলাম। ধন্যবাদ।

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৯

এস বাসার বলেছেন: যুগে যুগে নতুন নতুন চিন্তা, জানার আগ্রহ, গবেষনা......... জ্ঞানের পরিধি বেড়ে যাওয়া..........., তবুও শেষের কোন শেষ নাই......

আর ধর্ম সম্ভবত তারপর কি? সেই প্রশ্নটার উত্তর দিয়ে দিয়েছে। যদিও অতি সহজ সরল ভাবে। ঈশ্বর আছেন। মানা, না মানা আপনার ব্যাপার।

৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১২

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: ধর্মে মানুষের উৎপত্তি সম্পর্কে যে বয়ান দেয়। অথাৎ অ্যাডাম এবং ইভের যে কাহিনী তা রীতিমতো হাস্যকর। মুসলিমরা মহাভারত নিয়ে হাসি ঠাট্টা করে অথচ অ্যাডাম এবং ইভের কাহিনী গাজাখুরি মিথ। এই মিথটি প্যালেস্টাইন পুরান থেকে নেওয়া। অথচ ধর্মগ্রন্থগুলো আবার পুরানকে অস্বীকার করে। ধর্ম ধর্মীয় বিষয়ে প্রশ্নকে স্বাগত জানায় না। মানুষকে অন্ধকারে রেখে ধর্মজীবিদের সুবিধা করে দেওয়াটাই এর উদ্দেশ্যে হতে পারে।
আর ভৃগু , কথা না বুঝে কোরান হাদিস টানেন কেন? ধর্মে ঈশ্বর সংক্রান্ত প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকতে বলেছে, সেটা কি আপনি জানেন না?

পরিশেষে সৃষ্টিকর্তার মানবিক সত্তা নিয়ে আমার একটি পোস্ট রয়েছে। পড়ার আহবান জানাই।
সৃষ্টিকর্তা কি ছোটোলোক?
Click This Link

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:১৯

বাউন্ডুলে ঝড় বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার পোষ্টের লিঙ্কটা সেইভ করে রাখলাম। সময় পেলেই পড়ে নেব।

৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৭

মো কবির বলেছেন:
আসলেই ভাই আপনার নিকটা যথার্থ হয়েছে, আসলেই আপনি একটা বক ধার্মিক। কেননা, এই দুনিয়ার সব কিছুরই একটা ধর্ম থাকে, যেমন অক্সিজেন গ্যাসের কথাই বলি এর ধর্ম হচ্ছে নিজে অন্যকে জ্বলতে সাহায্য করা। এমনি করে দুনিয়ার সকল কিছুরই একটা ধর্ম থাকে। শুধু আপনিই তার ব্যতিক্রম।

প্রথমেই বুঝতেই পারতেছি আপনার জ্ঞান তেলাপোকার মতো। না জেনে না শুনে এদিক ওদিক দৌড়া দৌড়ী করেন।
এই বার আহেন কোথায় বলা হয়েছে,"ধর্মগুলো বলছে কেউ যদি ইশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তাহলে ইশ্বর মারাত্মকভাবে বেজার হবেন"।


আমি অনেক ধর্ম গ্রন্থ পড়েছি এই কথা কোথাও আজো পাইনি। কেবল আজকে আপনার ধর্মে পাইলাম।

এবার আসুন, কুরআনে--
১। "আমি বুঝার জন্য কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি অতএব কোন চিন্তাশীল আছে কি ?"---- সূরা আল কামার(৩২,৪০)

২।"আল্লাহ ব্যতীত এমন কোন স্রষ্টা আছে কি, যে তোমাদেরকে আসমান ও জমীন থেকে রিজিক দেন ? "-----সূরা ফাতির(৩)

৩। "যারা জানে আর যারা জানে না তারা কি সমান হতে পারে ? চিন্তা ভাবনা কেবল তারাই করে যারা বুদ্ধিমান।"----সূরা যুমার(৯)

৪। "তাদের জিজ্ঞেস করে দেখুন, আসমান ও যমীন কে সৃষ্টি কেরেছ? তারা অবশ্যই বলবে - আল্লাহ। বলুন ,
তোমরা ভেবে দেখছ কি ,যদি আল্লাহ আমার অনিষ্ট করার ইচ্ছা করেন, তবে েতামরা আল্লাহ ব্যতীত যাদেরকে ডাক,
তারা কি সে অনিষ্ট দূর করতে পারবে ?"----সূরা যুমার(৩৮)

৫।"আল্লাহ মানুষের প্রান হরন করেন তার ম্রিতু্র সময়। অতপর, যার মৃত্যু অবধারিত করেন, তার প্রান ছাড়েন না এবং অন্যদের ছেড়ে দেন এক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্য রয়েছে নিদর্শনাবলী "-----------সূরা যুমার(৪২)

৬। "তারা কি কোরআন সম্পর্কে গভীর চিন্তা করে না? না তাদের অন্তর তালাবদ্ধ ?"----------সূরা মুহাম্মদ(২৪)

৭। "আমি তোমাদের সম্মনা লোকদের ধংস করে দিয়েছি, অতএব কোন চিন্তাশীল আছে কি ?" ---সূরা আল কামার(৫১)

৮। "তোমরা কি ভেবে দেখেছ, তোমাদের বীর্যপাত সম্পর্কে। তোমরা তাকে সৃষ্টি কর, না আমি সৃষ্টি করি? "----সূরা আল ওয়াকিয়া(৫৮)

৯।"তোমরা অবগত হয়েছ প্রথম সৃষ্টি সম্পর্কে, তবে তোমরা অনুধাবন কর না কেন? "------ সূরা আল ওয়াকিয়া(৬২)

১০।"তোমরা যে বীজ বপন কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি ?, তোমরা তাকে উৎপন্ন করো না আমি করি??"------সূরা আল ওয়াকিয়া(৬৩)

১১।"তারা কি উঠের প্রতি লক্ষ্য রাখে না, তা কিভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে?"----সূরা আল গাশিয়াহ(১৭)

১২।"তারা কি আকাশের প্রতি লক্ষ্য করে না তা কিভাবে উচ্চ করা হয়েছে"---- সূরা আল গাশিয়াহ(১৮)

১৩।"তারা কি পাহাড়ের প্রতি লক্ষ্য করে না তা কিভাবে উচ্চ করা হয়েছে"---- সূরা আল গাশিয়াহ(১৯)

এমনি করে কুরআনে অনেক জায়গায় আল্লাহ মানুষকে পৃথিবীতে তার নিদর্শন খুজতে এবং সে গুলো নিয়ে চিন্তা করতে বলেছেন।
আর কিছু মূর্খ অল্প জ্ঞান নিয়ে নাস্তিক,নাসারা হয়ে এদিক ওদিক ছুটে, তাদের ছুটা ছুটি দেখে তাদের সাথে আরো কিছু লোকও দৌড়ায়।

মুলত কিছু লোক নাস্তিক সাজে মানুষের কাছে নিজেকে আলাদা করে উপস্থাপন করতে। দয়া করে নিজের জ্ঞানের ভিত্তিতে খুজে বের করুন সত্যটা।



৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১১

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: মো. কবির, ঈশ্বর সংক্রান্ত সব প্রশ্ন কোনো ধর্মই সমর্থন করে না। এটা জেনেও অবান্তর মন্তব্য করে বসলেন। বেশিরভাগই আপনারা না বুঝে কথা বলেন।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২২

বাউন্ডুলে ঝড় বলেছেন: ভাই, এদের বলে লাভ নেই। ভাঙ্গা রেকর্ড বাজাতেই থাকবে।

১০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৩১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: একটা কনসেপ্ট মাঝে মাঝে কাজ করে।


ধরা যাক আমাদের মহাবিশ্বের মতো এরকম আরো কয়েক বিলিয়ন মহাবিশ্ব বিদ্যমান। এই মহাবিশ্বগুলো একটা আরেকটার সাথে লেগে আছে বা ধারন করে আছে পেয়াজের খোসার মতো। এর মধ্য থেকেই তৈরী হচ্ছে এই নতুন নতুন মহাবিশ্বগুলো। সেখানে যখন এরকম পৃথিবীর মতো বসবাস যোগ্য গ্রহের উদ্ভব হয় তখন কিছু কিছু মহাবিশ্বের অসীম ক্ষমতাধর জাতী এখানে আসে নব্য জন্ম নেয়া জাতীকে নিজের আয়ত্বে রাখতে আর সেটার জন্য তখন ধর্মের মতো মতবাদের আশ্রয় নেয়।

তাই যখন প্রাচীন হিন্দু ধর্ম বা খ্রিস্টান বা ইসলাম এগুলো হয়তো বিভিন্ন অসীম শক্তিধর মহাবিশ্বের কোনো কিছু। যারা বিভিন্ন সময় পৃথিবীতে প্রভাব বিস্তার করে নিজেদের মতবাদের প্রসার ঘটিয়েছে।

হয়তো একদিন মানবজাতীও সেরকম শক্তিধর জাতী হবে। তারাও একদিন ঈশ্বর হবে।


তবে কনসেপ্ট টা অনেকটা হাস্যকর।


১১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

মো কবির বলেছেন:
@পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন, এত গুলো উদাহরণ দিলাম।
তারপরেও প্যাচাচ্ছিস কেন ভাই। আমি এত গুলো কুরআনের আয়াত দিলাম তবু কেন এই নিয়ে প্রশ্ন হচ্ছে ??


কে কি বলল, আর সেটা শুনে আপনারাও লাফালাফি করেন। একটু ভাল করে আয়াত গুলো পড়েন তার পরেও যদি না বুঝতে পারেন তবে একটা কুরআন শরীফ কিনে ভাল করে দেখেন।

আর লেখক আপনি তো ব্যাটা অকাজের লোক আপনার নিক থেকেই তার প্রমান মিলে। কেন বলে লাভ নেই?
যদি সত্য হয় তবে অবশ্যই লাভ আছে। কিন্তু আপনি তো অকাজ আর আকামের লোক, আপনি একজন বক ধার্মিক সুতরাং আপনাকে কিভাবে বিশ্বাস করি।

১।"দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবর দস্তি নেই"---------সূরা বাকারা(২৫৬)

২।"কুরআনই একমাত্র বিধান, সুতরাং যার মন চায় তা হইতে উপদেশ নিক"---------- সূরা মুদ্দাচ্ছির(৫৪-৫৫)

৩।"তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না এবং জানা সত্বেও সত্যকে গোপন করো না"--------------সূরা বনী ইসরাইল(৪২)

৪।"যে ব্যাক্তি কাউকে ভাল কাজের সুপারিশ করবে সে পাবে তার অংশ, আর যে খারাপ কাজের সুপারিশ করবে সে পাবে তার অংশ"----- সূরা নিসা(৮৫)

৫।"রহমান এর বান্দা তারাই, যারা পৃথিবীতে নম্র ভাবে চলাফেরা করে এবং তাদের সাথে যখন মুখ্ররা কথা বলতে থাকে, তখন তারা যেন বলে সালাম"---------------সূরা ফুরকান(৬৩)


আপনি যদি নাস্তিক হন তবে আপনি আপনার জায়গায় থাকেন। আপনি নাস্তিক, সেটা আপনার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। কারো কোন সমস্যা নেই,কিন্তু সেটা প্রচার করতে কে বলল?? প্রচার করেন তাও কোন সমস্যা নেই। কিন্তু অন্য ধর্মের নামে কুৎসা রটাতে পারেন না। কেউ তো জোর করে আপনাকে জিজ্ঞেস করেনি, আপনি কি নাস্তিক। :|
আসল কথা হলঃ
পৃথিবীতে সবাই চায় বিখ্যাত হতে। কেউ সেটা হয় সৎ পথে আর কেউ হয় অসৎ পথে আর কেউ কোন ভাবেই পারে না। তখন এরা বিখ্যাত হওয়ার জন্য হয় নাস্তিক। যেন সবাই ওদের দেখে চোখ বড় বড় করে তাকায়। ওদের দিকে সবার নজরটা যেন অন্য রকম হয়। আজ ওরা নাস্তিক বলেই পত্রিকায় ওদের নাম এসেছে, তাই নিশ্চয় এই গর্বে ওরা গর্ভিত। :D:P
যদি আপনি এই কথা না মানেন,তবে বলেন নাস্তিকরা কেন স্বেচ্ছায় বলে যাচ্ছে আমি নাস্তিক, কেন ওরা অন্য ধর্মের নামে কুৎসা রটাচ্ছে ?? পৃথিবীতে বিখ্যাত হওয়ার সহজ উপায় মনে হয় নাস্তিক হওয়া, কোন কষ্ট নেই কিছু নেই, টাকা খরচ নেই। X(



তাই আবারো বলছি, অন্যের কথায় না লাফালাফি না করে বরং আপনার নিজস্ব চিন্তার মাধ্যমে সত্যকে যাচাই করুন। আর এজন্য কুরআনই আপনাকে শুধু প্রশ্ন নয় বরং চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে কোন ত্রুটি আছে কিনা সেটা খুজতেও।

১২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @ মো কবির বলেছেন: ইনারা তালগাছবাদী।

তিনারা একটা ইজম কয়েছেন- আপনি সুরসুর করে তাতে হ্যা হ্যা করে যান আপনি সুশীল আপনি গিয়ানী, আপনি মুক্তি চিন্তক!!!!!!!

কিন্তু যদি জায়গা মত ধরিয়ে দেন- তবে আপনি বুঝৈন না আমি বুঝি না- কেউ বুঝে না_ বুঝেন শুধূ তিনারা!!

ভাসা ভাসা প্রশ্ন করে মানুষকে কনফিউজড করতে ওস্তাদ!!

করুনা হয় শুধূ। হেদায়েতের মালিক যদি হেদায়েত নসীব করেন- তেবই হয়তো মুক্তি পাবে... নয়তো আর কি.... আফছুসসস

১৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: @ মো. কবির, কথা বোঝেন না নাকি?
আয়াতগুলোতে কোথায় বলা হয়েছে, আল্লাহ তাঁর সম্পর্কে প্রশ্ন সমর্থন করেন। স্পষ্টই বলা হয়েছে, ''আমাকে নিয়ে নিয়ে প্রশ্ন কোরো না।''

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.