![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেলে আসা বছরে পাতায়া-ব্যাংককে পাঁচ দিন চার রাত ভ্রমণের সময়টুকু কোন ফাঁকে যেন কীভাবে ফুড়ুৎ করে উড়ে গিয়েছিল । আর রেখে গিয়েছিল পাত্তি কম থাকার কারণে বাড়তি কদিন ভ্রমণ এরেঞ্জ না করতে পারার দীর্ঘশ্বাস । এ দীর্ঘশ্বাস একদিন চাপা কান্নার মত অনুভূত হল যখন জানতে পারলাম আমাদের বাংলাদেশি এয়ারলাইন্সগুলো ব্যাংকক-পাতায়ার কিছু আকর্ষণীয় প্যাকেজ দিচ্ছে ।
যাইহোক, থাই এয়ারে করে থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু রাত একটায়। ভোরে পৌঁছলাম সদা হাস্যের দেশে । Land of smiles এর বাংলা কী হবে? মুগ্ধতার শুরু ব্যাংকক সুবর্ণভূমি এয়ারপোর্টের ভেতরকার পরিবেশ ও আয়োজন দেখে ।
প্রথম দিন পাতায়ায় :
এয়ারপোর্ট থেকে বেরুবার মুখেই প্রিপেইড সিম কেনা হয়ে গেল মিনিট পাঁচেকের মধ্যে । নিয়ে নিলাম একটা ম্যাপও । তারপর টিকেট কেটে ব্যাংকক থেকে পাতায়ার উদ্দেশ্যে এসি বাসযোগে চারজনের যাত্রা শুরু। দুঘন্টার জার্নি প্রায় দেড়শ কিমি, ১২০ বাথ ভাড়া । এক বাথ প্রায় দুই টাকা পঞ্চাশ পয়সার সমান । পরিপাটি পথের দুধার দেখতে দেখতে ভালোলাগায় আচ্ছন্ন হলাম।মাঝে কিছু ঝিমুনিও এল ।
পাতায়ায় নেমে এক ভারতীয় রেস্তোরায় চিকেন রাইস খেলাম, আর সাথে “ধরা”ও খেলাম –চারশ টাকার প্লেটে চিকেন খুঁজতে হল আতশি কাঁচ আর চিমটা দিয়ে। পাতায়ায় আমাদের হোটেলে সকালের নাস্তা ইনক্লুড ছিল না । পরদিন থেকে জনপ্রতি একশ বাথ দিয়ে এক জায়গায় বুফে ব্রেকফাস্ট সারলাম । সেখানে একেকজন চার পাঁচটা ডিম খেয়ে আড়াইশো টাকা উসুলের কুচেস্টা ছিল । ডিম পোচ আর মামলেট/ভাজি ছিল ক্যামন মিস্টি বা কিছুটা অদ্ভূত । বীফটাও তেমন জুতের লাগল না ।
পাতায়ায় উঠেছিলাম বীচসংলগ্ন একটা হোটেলে । রাস্তা পেরোলেই বীচ। ইউটিউবে বীচ ভিডিও যা দেখেছিলাম তা বাস্তবের সাথে মিলে কীনা তা দেখতে রুমে ঢুকামাত্র ব্যাগটা রেখেই দে ছুট । আরেহ ডট বাই ডট মিল ।
দুপুরে এক বাংলা আহারালয় খুঁজে বের করা হল । দামটা বেশি মনে হলেও পরে দেখলাম পরিমাণ যথেস্ট যা অনায়াসে ১:২ শেয়ার করে খাওয়া যায় । ভাল লেগেছিল রাস্তার ধারে সতেজ ফলের সমাহার । বিক্রেতাই ফেলে দেয়া উচ্ছিষ্ট সংগ্রহের ব্যাপারে সচেতন । যেখানে সেখানে কাউকে ফেলতেও দেখা যায় না । চিকেন শর্মাটা সস্তাই মনে হল ।
আংশিক কেনাকাটা শেষে সন্ধ্যার পর দৌড় দিলাম ওই যে ‘হাঁটাহাঁটির রাস্তা’ না কি যেন একটা আছে না ! সন্ধ্যার পর এটি জেগে ওঠে । ভাই-বেরাদরেরা, অনুগ্রহ করিয়া সেখানে ছুডু পুলাপাইন নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়িয়েন না ।
ওয়াকিং স্ট্রীটে হাঁটতে তেমন ক্লান্তি লাগে না বলাই বাহুল্য ।
দ্বিতীয় দিনে কোহ লানে বিকেল পর্যন্ত :
লান দ্বীপে যাবার প্যাকেজ আগেরদিনই করে রাখা ছিল । প্যাকেজে দুপুরের খাবার সহ নানাবিধ আয়োজন আছে যেমন, প্যারাসেইলিং, স্নোরকেলিং, জেটস্কি, কলানৌকায় চড়ন্তিস, ডুব দিয়া জল খাওন্তিস থুক্কু জল খাওন্তিস না, জলের নীচের পৃথিবী দেখন্তিস (সি ওয়াকিং) ইত্যাদি । ১৫০০/১৭০০ বাথ হবে । টাকার পরিমাণ কমবেশি হবে উপরের কোন আইটেম আপনি নিলে বা না নিলে ।
নিজেকে পাখির মত উড়ার অভিজ্ঞতা দিতে চাইলে প্যারাসেইলিং। প্যারাসেইলিং এর একটি ছবি
পানি এত স্বচ্ছ যে তাতে গভীরতা সম্বন্ধে বিভ্রান্ত হলাম আর নীচের বালু খুব কাছে দেখা যাচ্ছে ভেবে স্পীডবোট থেকে নামার জন্য স্টীলের সিঁড়ির শেষ ধাপটা ইগনোর করে একবারে পা ফেলে নামতে চাইলাম । আর ঝপাৎ করে পানিতে পড়ে দ্বীপে অভ্যর্থিত! আহা, জলে তো ভিজতামই ।
তৃতীয় দিনে ব্যাংকক :
পাতায়া থেকে ব্যাংককে এসি বাসে আসার নির্ধারিত বাস স্টেশন আছে । অন্যান্য রুটের বাসও আছে । ডিজিটাল ডিসপ্লে দেখে বুঝতে পারলাম -যে সময়টা ঘোষণা দেয়া হয়েছিল ঠিক সে সময়ে বাসগুলো ছাড়ল ।
বিদেশ ভ্রমণের একটা অপরিহার্য অংশ হচ্ছে কেনাকাটা । ট্রাভেল ব্যাগের ভিতর আরেকটা খালি ব্যাগ কি এমনি এমনি আনা হইসে ? উল্লেখ্য, পাতায়ায় নাইট বাজার বা থেপ্রাসিট মার্কেটে সস্তায় বিকিকিনি চলে। ব্যাংককে সস্তা একটা মার্কেট হচ্ছে চাতুচক উইকএন্ড মার্কেট । ফ্যান্সি ও ক্যাজুয়াল কাপড়ের জন্য যেতে পারেন প্রাতুনাম মার্কেট । আছে সেইরাম কিছু জাঁকালো মার্কেট । ব্যাংকক বিটিএস স্কাই ট্রেনের কথা না বল্লেই নয় । সুলভে এবং দ্রুতগতিতে আর উপর থেকে শহর দেখতে দেখতে যাওয়ার অনুভূতি দারুণ ।
চতুর্থ দিন:
বিশাল সিয়াম প্যারাগনে ঘুরলাম । আয়নাঘর আর তাতে প্রতিবিম্বের খেলা
এরপর গেলাম সিয়াম ডিসকভারির মাদাম তুসোর মোমের যাদুঘরে । প্রায় জীবন্ত মনে হয় সব কাজকারবার ।
আছে ভার্চুয়াল পেনাল্টি কিক নেয়ার আনন্দ । লক্ষ ঠিক করে কাল্পনিক বলে কিক করুন ।
মাইকেল জ্যাকসনের সাথেও নাচতে পারেন ।
এরপর সিয়াম প্যারাগনের ব্যাংকক সি লাইফ ওশন ওয়ার্ল্ডে । মায়াবি কাঁচঘেরা সামুদ্রিক মাছ আর তার পরিবেশ । অনন্য বৈচিত্রে সমৃদ্ধ । আছে পেঙ্গুইনের জন্য উপযোগী পরিবেশ
পঞ্চম দিন :
প্রাত্যহিক পৌন:পুনিক জীবন থেকে যে সাময়িক বিরতি নেয়া হয়েছিল, আজ তাতে যতিচ্ছেদের দিন, আজ ফিরবার দিন । ফিরবার সময় তো রাতে, হোটেল রুম ছেড়ে দিতে হবে দুপুর বারোটায় । তাই অবশিষ্ট সময়ের জন্য ৯০০ থাই বাথ দিয়ে একটা সিংগেল রুম নিয়ে তাতে আমাদের সব লাগেজ রেখে বেরিয়ে পড়লাম । প্রথমে গেলাম দুসিত এনিম্যাল থিম পার্কে । সুন্দর একটা লেকও রয়েছে সেখানে । লেকের ওই পারে দেখা যায় পার্লামেন্ট ভবন ।
এরপর গেলাম গ্র্যান্ড প্যালেসে, থাই রাজাদের একসময়কার অফিসিয়াল বাসভূম, এখন অবশ্য রাজকীয় অনুষ্ঠানাদি হয় । কিন্তু প্রাসাদের ভেতর ঢুকি নাই। টিকিটের দাম ৫০০ বাথ বা ১২৫০ টাকা । উল্লেখ্য, বিস্তৃত এই এরিয়ায় প্রাথমিক প্রবেশের সময় আইডি দেখাতে হবে
পাতায়া আর ব্যাংকক খুব বেশি দেখতে পারি নাই, কিন্তু যতটুকু দেখেছি, তার পুরোটাই এক নিটোল ঝকঝকে চিত্রকল্প । দুঃখের বিষয়, অনেকদিন বাদে ক্যামেরা ব্যবহার করে লক্ষ্য করা গেল যে, ব্যাটারি দুর্বল হয়ে গিয়েছিল । আর তাই, পুরো দিন ক্যামেরার সার্ভিস পাওয়া যায়নি ।
আরো কিছু ছবি
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:০৫
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: আপ্নাদের ভালো লাগাতেই এ পোস্টের স্বার্থকতা । সামান্য কিছু বেশি নিতে হবে বৈকি ।
২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৪৭
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: বাহ ভালো লাগলো ।
ছবিগুলোও সুন্দর সাথে বর্ণনা গুলো ও
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৫৭
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: ব্যাগভর্তি ধন্যবাদ আপনার জন্য।
৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:০৪
সুমন কর বলেছেন: এবার পোস্টটি পরিপূর্ণ লাগল। বর্ণনা আর ছবি মিলিয়ে সুন্দর পোস্ট।
+।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২০
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: আপনার সচেতন পর্যবেক্ষণে আমি আপ্লুত।
৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:০৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ব্যংককে ভ্রমন বিবরণী ও ছবি ভাল লেগেছে ।
অনেক সুন্দর সুন্দর স্থানে ভ্রমন করে ভ্রমনলব্ধ বিষয়গুলি
আমাদের সাথে শেয়ার করায় অনেক তথ্য জানা গেল ।
শুভেচ্ছা রইল ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১৩
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ।
৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৪৭
প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার ছবি এবং বর্ননা।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২৮
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: স্বাগতম আপনাকে।
৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৩৭
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: বাহ!!! দারুণ ছবি ব্লগ !!
ভালো লাগলো ।।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: প্রেরণা পেলাম অনেক।
৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:০০
নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: ভ্রমন কাহিনি পড়ে মনেহল বেশ মজা পেয়েছেন । অনেক আনন্দময় ছিল । শুভ কামনা রইল এমন করে পৃথিবী ঘুরে বেড়ান ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১৯
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন। অনেক মজা হয়েছিল। শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ অগুনতি।
৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:০৪
ওমেরা বলেছেন: আমি ও একবার যাব ঘুরতে ,ইনশা আল্লাহ । প্রথম বার সুইডেন আসার সময় থাই এয়ারলাইন্সে এসেছিলাম ৮ ঘন্টার ট্রানজিট ছিল ব্যাংকক এয়ারপোর্টের ভিতরই হোটেল ছিল বাহিরে যাই নাই ।
ভ্রমন বর্ণনা খুব ভাল হয়েছে আর ছবিগুলো খুব সুন্দর তুলেছেন। অনেক ধন্যবাদ নিবেন ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: আপনাদের ভালোলাগাই আমার প্রাপ্তি। অজস্র ধন্যবাদ।
আপনার অনাগত ট্যুরে আগাম শুভেচ্ছা রইল।
৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৩১
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: দারুণ লাগলো সাথে ছবিগুলো দেখে মনটা ভরে গেল। জানি না কোনদিন যাওয়া হবে কিনা তবুও দুধের সাধ ঘোলে মেটানো হল।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:১২
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ।
১০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮
ধ্রুবক আলো বলেছেন: বর্ণনা এবং ছবি মিলিয়ে সুন্দর পোস্ট। ছবি গুলো খুব সুন্দর তুলেছেন। পোষ্টে +
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:২২
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: অনুপ্রেরণাদায়ী মন্তব্যে ভালোলাগার ঝাপটা লাগল ।
১১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:২২
তারেক ফাহিম বলেছেন: চমৎকার ভ্রমন পোষ্ট
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানুন ।
১২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬
সনেট কবি বলেছেন: বর্ণনা আর ছবি মিলিয়ে সুন্দর পোস্ট।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: স্বাগতম ও শুভেচ্ছা ।
১৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৭
শাহিন বিন রফিক বলেছেন: আরও কিছু ছবি হলে ভাল হত। তবুও যা দিয়েছেন তা নিয়ে আমাদের সন্তষ্ট থাকতে হবে। খুবই ভাল লাগল আপনার ভ্রমণ কাহিনী।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: ভাই, আগের দিন নাই । সামুতে এখন ছবি সংযোজন আমার কাছে ঝামেলা লাগে । দশ মেগাবাইটের মধ্যে রাখতে গিয়ে ষোলটার মতন ছবি নিয়েছি । আরো দু/একটা বেশি দেয়া যেত বোধহয় ।
উৎসাহের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
১৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮
শাহিন বিন রফিক বলেছেন: একদম ব্যাক্তিগত ঘাঁসা একটা প্রশ্ন করি, আপনার এই ভ্রমণে মার্কেট বাদে কি পরিমাণ খরচ হয়েছিল?
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: টিকিট আর বুকিং এর ব্যাপারে নিজে না করে অন্য একজনকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। থাই এয়ারের টিকেট আর হোটেল বুকিং আলাদা আলাদা করাতে ৪২০০০ মত গিয়েছিল । কিন্তু আমার মনে হয় এখন আমাদের বাংলাদেশি এয়ারলাইন্স গুলোর ওয়েব সাইটে যে প্যাকেজ উল্লেখ আছে তা যথেস্ট ইকোনমিক ঃ পাঁচ দিন চার রাত ব্যাংকক পাতায়া (বাংলাদেশি টাকায়)
রিজেন্টে ডাবল/টুইন এর ক্ষেত্রে জনপ্রতি ২৭২০০ (ঢাকা), ৩১২০০ (চট্টগ্রাম)
ব্রেকফাস্ট সহ হোটেল স্টে, এয়ার টিকেট, পাতায়া ব্যাংকক বোথ ওয়ে ট্রান্সফার ইনক্লুডেড ।
সেইম প্যাকেজ ইউএস বাংলায় ৩০,০০০ জনপ্রতি মিনিমাম দুই জন
যাইহোক, আমাদের ব্যাংকক টু পাতায় টু ওয়ে লেগেছিল জনপ্রতি ৬০০ টাকা (বাস)। কোহ লান দ্বীপে ৪৫০০ টাকা, সি লাইফে ২২০০, দুপুর ১২ টার আগে মোমের যাদুঘরে ঢুকলে ১৬০০ মতন , সি লাইফ আর মোম যাদুঘর একসাথেও প্যাকেজ আছে । রাজার বাড়ি গ্রান্ড প্যালেস ৫০০ বাথ বা ১২৫০ টাকা । পাতায় দেখার আছে অনেক কিছু যা আমরা পারি নাই । ওদের অনেক উল্লেখযোগ্য স্থানগুলোর ব্যাপারে ওদের ওয়েব সাইট আছে ।
খাবার কস্টলি হতে পারে । চিকেন শর্মায় ভরসা রাখুন ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: মূল সিংহভাগ টাকা এদেশেই পে হয়ে গিয়েছিল বিধায় আমরা ওখানে গিয়ে হিসাব সেভাবে রাখি নাই। তাই সব মনে পড়ছে না ।সবার কাছ থেকে অল্প অল্প নিয়ে কমন খরচগুলো চালিয়েছিলাম ।
১৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯
উম্মে সায়মা বলেছেন: বাহ কী মজা আপনার!
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: তা বেশ মজা হয়েছিল বৈকি !
১৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:১৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরুল ইসলাম বাবু ,
আহা, কি আনন্দ আকাশে বাতাসে !
এ যেন , পাতায়ার সৈকত ছেড়ে ব্যাংককের ছায়ায় ছায়ায় ঘোরার আনন্দ ।
আবার শুরু হোক আপনার পরবর্তী পথচলা ...............
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:১৬
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যে প্রশান্ত কাব্যময়তা আছে ।
শুভকামনার জন্য কৃতজ্ঞতা ।
১৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৫২
মিথী_মারজান বলেছেন: বাহ্!
আমরাও আপনার সুবাদে কিছুটা দেখতে পেলাম।
প্যারাসেইলিং ব্যাপারটা দারুণ এক্সাইটিং লাগে আমার কাছে।
ভালো লাগলো আপনার ভ্রমন অভিজ্ঞতা।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:০৬
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন , প্যারাসেইলিং এক্সাইটিং একটা বিষয় । ভ্রমণ অভিজ্ঞতা আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগল ।
১৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৪১
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সুন্দর ছবি ও নিপুন বর্ণনার ভ্রমন পোস্টটি সত্যি ভাল লেগেছে।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৫৮
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: ভাল লেগেছে জেনে আমি আনন্দিত ।
১৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:১১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার ভ্রমন পোষ্ট !!!
ভালোলাগা ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:২৭
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: অনুপ্রাণিত হলাম অনেক ।
২০| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭
মিরোরডডল বলেছেন: good one
ভালো লেগেছে
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: স্বাগতম । ধন্যবাদ অজস্র ।
২১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মুগ্ধ হলাম।ছবি ও লেখা ভীষণ সুন্দর।
শুভ কামনা রইল।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:১৪
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: স্বাগতম। অনেক ধন্যবাদ।
২২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৪৯
কালীদাস বলেছেন: একুরিয়ামের ছবিগুলো ভাল লাগল
ব্যাংককের ট্রান্সপোর্ট সিসটেম কেমন এখন? আমার যতদূর মনে পড়ে, ব্যাংককের ট্রাফিক জ্যামের কাছে ঢাকারটা কিছুই না স্কাই ট্রেনের ভিড় ছিল দেখার মত
পাতায়ায় যাইনি, ছবিটা দেখে খুব আহামরি লাগল না। ছোটবেলায় কক্সবাজারে যা দেখেছি, এখন দুনিয়ায় কোন বিচই আর আমাকে মন্ত্রমুগ্ধ করেনা
শুভ নববর্ষ
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১৫
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: ধন্যবাদ । আপনাকেও নববর্ষের অফুরান শুভেচ্ছা ।
ব্যাংককের ট্রাফিক জ্যাম মারাত্মক তাই স্কাই ট্রেন ছিল ভরসা । সময় ও টাকা দুটোই বেঁচেছিল । হ্যা ভীড় প্রচুর , দাঁড়িয়েই থাকতে হয় বেশিরভাগ সময় , কিন্তু ভিতরের ঠান্ডা আরামদায়ক পরিবেশের কারণে ভ্রমণটা আনন্দদায়কই লাগে । আমার কাছে তো ঢাকার ট্রাফিক জ্যাম বরং বেশি অসহনীয় লাগে যদিও আমার কম্পেয়ার করা ঠিক হবে না কারণ ব্যাংককের জ্যাম তেমন ফেইস করা লাগে নাই স্কাই ট্রেনের কারণে ।
পাতায়ার বীচের পানি খুব স্বচ্ছ, কিন্তু তেমন ঢেউ নাই । কক্সবাজারের বীচে উদ্দাম ফেনিল ঢেউ মন ভাসিয়ে নিয়ে যায় । এ আনন্দের সত্যি তুলনা হয় না ।
২৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৪৬
জুন বলেছেন: মনিরুল ইসলাম বাবু
আপনিই তো ভারী সুন্দর বর্ননায় পাতায়া আর ব্যংকককের বর্ননা দিয়েছেন। ছবি আর লেখায় মুগ্ধ হোলাম অবশ্যই। বেশ কয়েক বছর আগে যখন প্রথম ব্যংকক যাই তখন সেখান থেকে ডে ট্রিপে পাতায়া গিয়েছিলাম আর সেই কো লান দ্বীপে তো অবশ্যই সারাদিন কাটিয়েছিলাম নীল সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে । প্যারাগ্লাইডিং, স্নকেরলিং করেছিল আমার কিশোর ছেলে। হাটাপথে হাটিনি কারন ঐ ছেলের জন্যই
আপনি ঠিকই বলেছেন থাইল্যান্ডের অনেক ট্যুরিষ্ট স্পট আমার দেখা হয়েছে বটেই এমনকি দুবার করেও । কিন্ত পাতায়া একবারই গিয়েছি। ওটা যেই বিভাগে তার নাম ছনবুরি। ছনবুরিতে কিন্ত অসাধারন প্রকৃতি ও সুন্দর সুন্দর বীচ ছাড়াও দেখার মত অনেক জায়গা আছে। কিন্ত বেশিরভাগ পশ্চিমা ট্যুরিষ্টরা বিনোদনের জন্য পাতায়াকে বেছে নেয়। ফলে টুর কোম্পানীও পাতায়াকেই বেশি প্রমোট করে।
যাই হোক তবে আপনার মত আমিও নীল সায়রের অতল জলে ঘুরে এসেছি অর্থাৎ ওশন ওয়ার্ল্ডে । সময় থাকলে দেখতে পারেন।
আগামীতেও আপনি থাইল্যান্ড ভ্রমনে গিয়ে সুন্দর অভিজ্ঞতা লাভ করুন সেই আশা থাকলো ।
@কালীদাস ব্যংককের জ্যাম সাধারনত অফিস টাইমে একটু ক্ষনের জন্য হয় । জ্যাম ছাড়া পরিবহনের জন্য আপনি আকাশ পথে বিটিএস স্কাই ট্রেন বা মাটির নীচে দিয়ে যাওয়া মেট্রো রেল অথবা টোলপ্লাজায় তোল দিয়ে এক্সপ্রেস ওয়ে ব্যবহার করতে পারেন, যাতায়ত করতে পারেন নৌ পথে যা চলাচল করছে অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন আন্তর্জাতিক মানের ব্যবসায়িক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিডা (ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অভ ডেভলাপমেন্ট অথরিটি) থেকে রাজবাড়ীর বোট পিয়ের ফানফা লিলার্ড পর্যন্ত। যার মাঝে রয়েছে
ব্যংককের প্রতিটি গুরুত্বপুর্ন এলাকা ।
আমাদের দেশের মত দিন রাত চব্বিশ ঘন্টা জ্যামে আটকে থাকতে হয়না যা সম্পুর্ন মানুষ সৃষ্ট। বারবার রাস্তা কাটা খোড়াখুড়ি নরক গুলজার করে দিনের পর দিন রেখে দেয়া এহেন দৃশ্য আপনি আমাদের পার্শ্ববর্তী রাজ্য ভারত অর্থাৎ কলকাতা ও ভুটান, বার্মা কোথাও দেখবেন না। উন্নত দেশের উদহারন নাইবা দিলাম
http://www.somewhereinblog.net/blog/June/30128504
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:০৫
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: আপনার এত সুন্দর করে বিস্তারিত আন্তরিক মন্তব্য দেখে আপ্লুত হলাম এবং মন্তব্যটি দুইবার পড়লাম । আপনার এই মন্তব্যটাই একটা চমতকার মিনি ভ্রমণ কাহিনীর মত হয়েছে । আর ওদের উন্নত যানবাহন ব্যবস্থা সম্বন্ধে আপনার মারফত আরো বেশি জানা গেল। ওদের রাস্তায় যেটা খুব করে ভাল্লাগে তা শৃঙ্খলা । যে গাড়ি সোজা বা ডানদিকে যাবে সে বামের পথ আটকাবে না । আর এদেশের খোড়াখুড়ি নরকের কথা আর কী বলব !
আপনার পোস্টে যাচ্ছি এক্ষুনি ।
২৪| ১৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২২
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ................................................................বিদেশ ভ্রমনে সময় এবং অর্থ গুরুত্ব পূর্ণ ফ্যাক্টর,
সেই সাথে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কেউ থাকলে তাহলে অনেক সুবিধা।আমি অনেক বার থাইল্যান্ড ভ্রমন করেছি
অনেক কম খরচে, বর্তমানে ওখানে গিয়ে মনমতন প্যাকেজ নেয়া যায় এবং দেশী খাবারের ব্যবস্হা আছে
শুধু মাত্র শর্মা খেয়ে থাকতে হবে না।
ছবি ও লেখা সুন্দর, অন্য কে অনুপ্রানিত করবে সে জন্য ধণ্যবাদ।
....................................................................................................................................................................
১৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:০১
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার ছবিটা চোখ জুড়ানো।
২৫| ১৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০
শায়মা বলেছেন: ছবিগুলো দেখে আমারও থাইল্যান্ড স্মৃতি মনে ভেসে উঠলো...
আনন্দ ভ্রমন- ২০১৫
১৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:০৫
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: এখনই যাচ্ছি আপনার ভ্রমণ পোস্টে।
২৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: থাইল্যান্ডে আমার জন্য সবচেয়ে সুখকর এবং তৃপ্তিকর বিষয় ছিল ওখানকার খাওয়া দাওয়া। যাই খেয়েছি (অবশ্যই হালাল), তাই ভাল লেগেছে, তৃপ্তির সাথে খেয়েছি। মূল্যেও আশে পাশের অন্যান্য দেশের তুলনায় সুলভই বলা চলে। ওদের স্ট্রীট ফুডের জুড়ি নেই।
ওরাও আমাদেরই মত মানুষ। ১৯৭০ এর আগেও ওরা ছাত্র পাঠাতো আমাদের দেশে কৃ্ষি, চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল বিজ্ঞান পড়ার জন্য। ১৯৭৩ সালে মালয়েশিয়া আমাদের দেশ থেকে বিরাট এক বহর ডাক্তার নিয়ে গিয়েছিল ওদের দেশে, জনগণকে চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য। আজ ওরা কোথায় আর আমরা কোথায়! পার্থক্যটা জনদরদী নেতা আর সুশাসনের মধ্যে।
পাতায়া গিয়েছিলাম, ভাল লেগেছে। আপনার ছবি ও বর্ণনা- দুটোই ভাল লেগেছে। এখন একবার ভিয়েতনাম, লাওস এবং ক্যাম্বোডিয়া ঘুরে আসার ইচ্ছে আছে।
জুন এর ২৪ নং মন্তব্যটা ভাল লেগেছে। পর্যটক হিসেবে বোধকরি এ ব্লগে ওনার সমকক্ষ আর কেউ নেই। তবে সব কিছুর উপরে উনি একজন থাই বিশেষজ্ঞ। থাইল্যান্ড ভ্রমণেচ্ছু ব্লগারগণ ভ্রমণের পূর্বে ওনার কাছ থেকে কিছু টিপস নিয়ে গেলে ভাল করবেন।
পোস্টে ভাল লাগা + +
০৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫১
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: অপুর্ব মন্তব্য আর স্মৃতিচারণায় অনন্য আপনার উপস্থিতি। কৃতজ্ঞতা জানুন।
জুন আপার ব্যাপারে আপনি সঠিক বলেছেন।
২৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৪৪
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: অপুর্ব লেগেছে ।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:০২
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৪১
সোহানী বলেছেন: ভালো লাগলো থাই ভ্রমণ। সাথে ছবিগুলো ও......... বুঝলাম টাকার থলেটা নিতে হবে বেশী করে...........++++++++++