নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুন্দরী, তবে তার চেয়েও বেশি যা ছিল, তা শুধু তারই ছিল। রূহীন অনুভব করলাম এই অজানা অচেনা মেয়েটা আমাকে চুম্বকের মতো টানছে। শুধু তার চোখে চোখ পড়তেই আমরা দু-জনই নিজেদের মধ্যে এক ভালোলাগা অনুভব করলাম। তার পর দীর্ঘ ১ ঘন্টার জার্নি সাথে চোখা-চোখি দেখা-দেখি, মুচকি হাসি, এরই মাঝে আবার অভিমান এ ভাবেই চলতে থাকে আমাদের নিরব হৃদয় ক্ষরন প্রেমের কাহিনী।
পরীর সঙ্গে আমার প্রথম দেখা আজ ০২.০৭.২০১৪ ইং সকাল ৭:৩০ মিনিট। বাসা থেকে বের হয়ে অফিসের উদ্দেশ্য রওয়ানা হলাম। একটা স্টপিস পার হতেই পরী বাসে উঠলো, পরী বসেছিল মহিলা সিটে, আর আমি এমন জায়গায় বসেছিলাম যেন সামনের দিকে তাকালেই দু-জন দু-জনকে চোখে চোখ পরে যাবে। পরী বাসে উঠে বসে প্রথমে আমার দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিলেন যে হাসি এসে আমার কলিজায় আঘাত করলো আমি কোন রকমে নিজিকে সামলিয়ে সুন্দর করে একটা হাসি দিয়ে রিপ্লাই দিলাম। কিছু সময় পরে পরীকে বেশ নার্ভাস বলেই মনে হচ্ছিল আমার কাছে। চলতে চলতে খুঁটিয়ে দেখছিলাম পরীর আচরণ। বারবার এদিকে-ওদিকে তাকাচ্ছিল সে। আমার অতি আগ্রহী হয়ে ওঠার ব্যাপারটা পরী খেয়াল করেছিল। সুন্দরী পরী যখন আমার আগ্রহ দেখে আরো চনচল হয়ে উঠলো আর তখনই সম্ভবত আমার ঘাড়ে প্রেমের ভূতটা চেপে বসেছিল। প্রথম দেখায় প্রেম বুঝি একেই বলে।
গাড়ীর মধ্যে অনেক মানুষ কিছু কিছু সময় মানুষের ভীরে পরী আমাকে না দেখতে পেয়ে সিট থেকে উঠে উকি মের আমাকে দেখছিল আর আমি থুথু ফেলানোর ছলে পরীকে দেখছিলাম। কোন একটা সময় আমার পাশের সিট ফাকা হতেই আমি পরীকে ঈশারা করায় পরী এসে আমার পাশে বসলো, আমি খেয়াল করলাম পরীর চোখ গড়িয়ে পানি পরছে, পরী কাঁদছো কেন, তখন পরি বললো আমি আপনার পাশে বসতে পেরে…………… আর কিছু বলতে পারলো না।
যাই হোক প্রেমে পড়ার ব্যাপারটা পরীকে তখন আমি বলিনি বা বুঝতে দেইনি। উল্টো পরী কোথায় যাচ্ছে, পড়া লেখা ইত্যাদি ইত্যাদি জানতে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করেছিলাম। পরী আমাকে বলছিল আমাকে দেখেই নাকি তার মন বলছিল, আমি ছেলেটা অন্য আর দশটা ছেলের মত নয়। আমার ওপর নাকি নিশ্চিন্তে নির্ভর করা যায়। কি দেখে পরী নামের মিষ্টি মেয়েটা আমার ওপর নির্ভর করেছিল, সেটা এখন পর্যন্ত আমি জানি না। তবে সেই যে নির্ভর করে পথচলা শুরু, সেই পথ চলা আর থামেনি।যত সময় আমরা এক সাথে বাসের মধ্যে ছিলাম বন্ধুত্বের পথ পেরিয়ে আমরা দু’জনে ভালোবাসার পথে চলতে শুরু করি। পরিচয়ের ৩০ মিনিট মধ্যে এভাবে প্রেম হয়ে যায় কারও সঙ্গে, এ কথা শুথু গল্প, কবিতা আর সিনেমা, উপন্যাসেই পেয়েছি। এখন আমার জীবনেও যে এমন সিনেমাটিক স্টাইলের প্রেম এসে ধরা দেবে, কস্মিনকালেও সে কথা আমি ভাবিনি।
বেশ ভালোই চলছিল আমার আর পরীর প্রেম। কিছু সময় পরে হঠাৎ দেখি আমার প্রাণপাখি পরীর মনটা খারাপ। কারন জিজ্ঞেস করতেই পরী বললো আর কিছু সময় পরেইতো আমরা দু-জন দু-জন থেকে অনেক দুরে চলে যাবো বলেই পাগলী পরী গাড়ী ভর্তী মানুষের মাঝে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলো। শেষ অবধি প্রিয়তমার পরীর কান্না থামাতে খুব শির্ঘ্যই দেখা করার প্রতিশ্রুতি দিলাম। আমার প্রতিশ্রুতিতে পরীর কান্নামাখা মুখে যে হাসিটা ফুটল, সে হাসি তো লাখ টাকাতেও কেনা সম্ভব নয়। যথা সময়ে আমি আমার গন্তব্যে এসে পরলাম আমি সিট থেকে উঠে এক-পা দু-পা করে সামনের দিকে এগোচ্ছি আর পরীর কলিজায় যেন একেকটা ছুরির আঘাত পড়ছে। দু-চোখ গড়িয়ে গড়িয়ে জ্বল পরছে……………….।
২| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪
বাবুই বাবু বলেছেন: কি ভেবেছিলেন বিল্লা বাবা???
৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:০০
মাখন লাল রায় বলেছেন: হা হা হা..!!!
০৩ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৫
বাবুই বাবু বলেছেন: ধন্যবাদ মাখন লাল রায়
৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:২৮
নাহিদ ইসলাম ৩৫০ বলেছেন: ভালো .
.........................
টেকনোলজি ব্লগ
০৩ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৫
বাবুই বাবু বলেছেন: ধন্যবাদ আমার লেখাটি পড়ার জন্য
৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:১৮
রাজিব বলেছেন: বাংলা সিনেমার ভাল স্ক্রিপ হতে পারত লেখাটা।
১২ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩
বাবুই বাবু বলেছেন: রাজিব ভাই যা বলেছেন না, ধন্যবাদ
৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬
মোঃ নাসির উদ্দীন বলেছেন: আর কিছু বলতে পারলো না।
১৪ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:২০
বাবুই বাবু বলেছেন: কথায় আছেনা নারী ও চলন্ত গাড়ী কারো জন্য অপেক্ষা করে না। এক্ষেত্রে দুটোই আছে, বলার থাকলেও বলাটা অসম্ভবের মায়ায় আটকে ছিল।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:২৭
বিল্লা বাবা বলেছেন: টাইটেল দেইখা তো অন্য কিছু ভাবসিলাম