নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হ্যা আমি ব্রা পরি এবং তা দেখা যায়… তাতে কী?
কেন? কেন এই কাজটা করতে হবে আপনার? কেন
আমার বুকের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে? কেন
বাসে ওঠার পর লোলুপ দৃষ্টি ঘুরে বেড়াবে
আমার শরীরে? কেন আমি বসে পড়ার পর
কাপড়ের ফাঁক দিয়ে আমার শরীর দেখার
চেষ্টা করা হবে?
কে দিয়েছে আপনাদের এই অধিকার? কোন
অধিকারে ভিড় বাসে আপনি আমার শরীরে
হাত দেবেন? কেন ইচ্ছে করে আমার শরীরের
ওপর ঢলে পড়বেন? কেন পা ক্রস করে বসলে
আমার পায়ের দিকে লোভাতুর দৃষ্টি চলে যায়
সাথে সাথে?
আমি কি শুধুই এক মাংসপিণ্ড?
আপনার কি মনে হয়? আমার কেমন লাগে, যখন
রাতে বাড়ি ফেরার সময়ে বারবার ভয়ে পেছনে
ফিরে তাকাতে হয় আমাকে কারণ আপনি
একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন আমার ঘাড়ের
দিকে?
ভেবে দেখুন আমার কেমন লাগে, যখন আমার
ফোনের ব্যাটারি ডেড হয়ে যায় রাস্তার
মাঝে?
যখন আমি রাত্রে বাড়ি ফিরবো বলে আমার
পরিবার-পরিজনের মুখে পড়ে শঙ্কার ছায়া?
যখন আমি নির্ঘুম চোখে বাসে বসে, ভাবছি কখন
না আপনার কালো হাত আমার পোশাক ছিঁড়ে
নিয়ে যায়।
আমি কি পোশাক পরবো, তা ঠিক করে দেবার
আপনি কে?
আমাকে এভাবে ভীত করে তোলার অধিকার কে
দিয়েছে আপনাকে?
আপনি কি করে ভাবেন, আমার পোশাকের
ভেতর থেকে বের হয়ে থাকা ব্রা-স্ট্র্যাপ
দেখে আপনার চোখ যখন চকচক করে ওঠে, তখন
আমার ভালো লাগে? হ্যাঁ আমি ব্রা পরি। হ্যাঁ,
ওটা দেখা যাচ্ছে? তাতে আপনার কি?
ব্যাস, এখন তো বলবেন, আমার পোশাকের জন্যই
আমাকে লাঞ্ছিত হতে হয়। খবরদার ওসব অজুহাত
টানবেন না। আপনি কি ভেবেছেন, আপনি যখন
মধ্যবয়সী শাড়ি পরিহিত মহিলাটির শরীরের
দিকে তাকাচ্ছিলেন, তখন আমরা কেউ খেয়াল
করিনি? যখন স্কুল ড্রেস পরা বাচ্চা মেয়েটার
শরীর খুবলে খাচ্ছিল আপনার চোখ, তা আমরা
কেউ লক্ষ্য করিনি?
ওড়না বা আঁচল একটু সরে গেলেই আপনাদের মুখ
দিয়ে কথার তুবড়ি ছুটতে থাকে, আমাদের দায়ী
করতে তখন একটুও বাধে না আপনাদের।
আপনারা দেখতেই থাকেন, আর আপনাদের মুখে
ফুটে ওঠে লোলুপ হাসি।
হ্যাঁ, আমি একজন নারী, আমি রাত্রে বাইরে
যাই। আমি হয়তো ধূমপান করি অথবা করি না।
আমি হয়তো অ্যালকোহল পান করি অথবা করি
না। কিন্তু তাতেই কি আমি খারাপ হয়ে
গেলাম? তার মানে কি এই যে আপনি এবং
রাস্তার অন্য সব পুরুষের অধিকার আছে আমাকে
লাঞ্ছিত করার?
আপনাকে বলছি, হ্যাঁ আপনি! আপনি নিজের
মেয়েকে বলেন অন্যের নজর থেকে সাবধান
থাকতে, কিন্তু রাস্তায় একটি মেয়েকে দেখলে
তার প্রতি আপনার নজর ঠিকই লোলুইপ হয়ে
ওঠে। হ্যাঁ আপনি, বোনের দিকে কেউ দৃষ্টি
দিলে আপনার মাথায় রক্ত উঠে যায় অথচ
রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে আর দশটি মেয়ের
উদ্দেশ্যে সিটি বাজাতে দ্বিধা হয়না আপনার।
এর পরেও বলবেন, আমাদের আরো সাবধান
থাকা উচিত?
আর এভাবেই বাংলাদেশের অসংখ্য নারীকে নানান অহেতুক যন্ত্রণাকর এবং অস্বস্থিকর পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যেতে হয়।
মূল: নিবেদিতা এন. কুমার
অনুলিখন: দেয়াl
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৩২
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: এই কাজটা আমাকে করতেই হবে, কারণ আমার মধ্যে একটা লোলুপ মন আছে, তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য একটা বিবেকও আছে, কিন্তু সেটা কিভাবে কাজ করে, সে শিক্ষা কেউ দেয়নি।
ছোটবেলাবেলা থেকে বাবা-মায়ের সাথে অর্ধনগ্ন ভারতীয় নায়িকাদের খ্যামটা নাচ দেখে দেখে বেড়ে উঠেছি। তাই নারী দেহের দিকে দৃষ্টি দিলে সেটা যে খারাপ কাজ - এটা জানতেই পারিনি।
আর দৃষ্টি দিলেই বা সমস্যা কোথায়? আপনার শরীর তো আর তাতে ক্ষয়ে যাচ্ছেনা! আচ্ছা, দৃষ্টি কেন, আমি যদি আপনার সাথে মিলিত হই, তাতেই বা সমস্যা কি? সেই আনন্দের ভাগীদার তো আপনিও হচ্ছেন। ভুল বললাম।
আর আপনাকে যদি ধর্ষণই করা হয়, তাতেই বা আমার দোষ কোথায়? আমার বয়েস কম, শরীরে উত্তেজনা বেশি। বাথরুমে যাওয়া যেমন জরুরী, কোন নারীর সাথে যৌন সম্পর্ক করাও তো তেমনই জরুরী। আপনি যদি ভালোয় ভালোয় রাজী না হন, তো আপনাকে ধর্ষণ করা ছাড়া আর উপায় কি?