নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাবু ইসলাম০০৭

লেখার মত কিছুই নেই আমার।

বাবু ইসলাম০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কর্নেল তাহের...

২২ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:২০

২টার দিকে কর্নেল তাহেরের রুমে প্রবেশ করল জেল কর্তৃপক্ষ। কর্নেলকে জানানো হলো তাঁর ফাঁসি আজ কার্যকর করা হবে। কর্নেল বললেন, সময় তো আরো বাকি আছে। আপনারা যান, আমি ঘুমাব। তাঁকে গোসল করতে বলা হলো। তিনি বললেন, 'গোসল করা লাগবে না। আমি এমনিতেই পবিত্র আছি।' এরপর তওবা পড়তে বলা হলো। তিনি বললেন, 'আমি তওবা কেন পড়ব? আমি তো কোনো ভুল করিনি।'



সবাই ভেবেছিল কর্নেল তাহেরকে জোর করে ফাঁসির মঞ্চে নিতে হবে। সবাইকে অবাক করে দিয়ে কর্নেল তাহের সটান চলে গেলেন ফাঁসির মঞ্চে। তারপর উপস্থিত কারা কর্তৃপক্ষকে বললেন, 'ফাঁসি কার্যকর হওয়ার আগে একটি কবিতা পড়তে চাই।' তারা বলল, 'কার কবিতা?' কর্নেল তাহের উত্তর দিলেন, 'পড়ার পরে বলব।' এরপর কর্নেল তাহের বিচার চলাকালে মেজর জিয়াউদ্দিনের লেখা একটি কবিতা আবৃত্তি করতে লাগলেন।



'জন্মেছি, সারা দেশটাকে কাঁপিয়ে তুলতে

কাঁপিয়ে দিলাম।

জন্মেছি, তোদের শোষণের হাত দুটো ভাঙব বলে

ভেঙে দিলাম।

জন্মেছি, মৃত্যুকে পরাজিত করব বলে

করেই গেলাম।

জন্ম আর মৃত্যুর দুটি বিশাল পাথর

রেখে গেলাম।

পাথরের নিচে শোষক আর শাসকের কবর দিলাম।

পৃথিবী_অবশেষে এবারের মতো বিদায় নিলাম।'



জল্লাদ তাঁকে ফাঁসির রশি পরানোর জন্য এগিয়ে এল। কর্নেল তাহের বললেন, 'আমি চাই না কোনো বাঙালি আমার গলায় ফাঁসির রশি পরাক।' এর পর তিনি নিজেই ফাঁসির রশি পরলেন। যমটুপি পরতে অস্বীকার করলেন তিনি। কর্নেল তাহের ইংরেজিতে এরপর বললেন, 'ডু ইউর ডিউটি।' কাঠের পাটাতন সরে গেল। ভোর চারটায় কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তমের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।.।সংরক্ষিত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.