![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উত্তরণ
বাবুল আবদুল গফুর
যখন তুমি কিছু করবে, সমাজ, প্রগতিশীল মুক্তমনা, ধর্ম-
এমনকি তোমার নারীটিও বলবে, সরে এসো-
তোমার বুঝা উচিত আমাদের সন্তান আছে-
আছে তাদের বেঁচে থাকার সুতীব্র অধিকার!
তোমার চোখে খুব সম্ভবত আরও সস্তায় লোকে দেখবে-
কি দ্রুত অশ্রু তৈরি হচ্ছে, তুমি বরফের মতো-
বাতাসের ধাক্কায় কি দ্রুত বাষ্প হয়ে উড়ে যাচ্ছো কোন এক গন্তব্যহীন পথে!
চোখের সামনে পড়ে থাকবে অগুণিত লাশ, কোনটি ধবধবে কাপড়ে মোড়ানো-
কোনটি কফিনে বাঁধা আষ্ঠেপৃষ্ঠে, কোনটি চন্দন কাঠের মোলায়েম গন্ধ পেয়ে-
ঘুমাতেছে অপরিমেয় ঘুম, তৃপ্তিতে বারুদের আঘ্রাণ!
তুমি দু’পা সরে এলে মনে হবে, এ যুদ্ধ।
একটা সমুদ্রের সাথে, একটা আকাশের সাথে, একটা প্রথার সাথে, একটা পরাজয়ের সাথে-
একটা নরপুংশক খাদকের সাথে-
সাঁঝপাড়ে ফিরে আসা মাটির পাঁজরে প্রোথিত একটি গাছের সাথে-
একটি ঢেউও কখনও কখনও মনে হবে রুস্তম পালোয়ান।
তোমার অন্ধকার প্রকোষ্ঠে দেখা যাবে স’মিলে করাতের শব্দের চেয়েও-
শাঁসানো নৃত্যে ছিঁড়ে যাচ্ছে মানুষের আয়ু, চোখ, হাত-পা
পাখি বা ভেড়ার গরম পশমের উত্তাপ!
তুমি দেখবে, অতদূর সমুদ্র সংকটে জড়িয়েছে মানুষ- তাদের চোখে এক ধরনের নেশা-
বনে আগুন লাগাতে লাগাতে উৎসব করে এরা খাবে-
নীল তিলওয়ালা আকাশের উরু!
তোমার যতদূর এসে থামে, একটি শুঁমওয়ালা শিং মাছের কাঁটার ব্যথা-
সেটাই বাড়তে বাড়তে একদিন অপরাগ হয়ে-
বলবে, সুদের সবকিছু দিলাম, আমার কাছে কিছু নেই এর বেশি।
সমস্ত সংকট, কাঁটা, পায়ে রশির মতো মোড়ানো বিপত্তি তোমাকে নিতে হবে-
জিদ করা দাঁড়িয়ে থাকা দেয়ালের মতো-
অনতিবিলম্বে প্রতিশোধ পরায়ন জানোয়ারের মতো-
মেনে নিতে হবে, তোমার প্রিয় ইন্দ্রিয়ের বেইমানির কথা, যারা তোমাকে সবুজের ঘাসে
বসেও দেবে ধ্বংসের সংবাদ!
একদিন পুড়ে পুড়ে তুমি অঙ্গার হবে, তোমার ছাই ধুয়া জলে-
স্নান সেরে নেবে কুৎসিত কাক।
তবু শরীরে যতটুকু রক্ত চলাচলে মৃত্যুর সন্নিকট হয় মানুষের স্বাদ-
যতটুকু বিশ্রামবিহীন চোখ জ্বলে লেলিহান ধ্বংসে-
তার দুর্দম পথে হেঁটে যেতে হবে ফুসফুসে চেপে একটি নি:শ্বাস।
©somewhere in net ltd.