নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঢেউ টলোমল পদ্ম পুকুর

বাবুল অাবদুল গফুর

লেখক, চিত্রশিল্পী ও সরকারি চাকুরিজীবী

বাবুল অাবদুল গফুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রবন্ধ

০১ লা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭

সেক্স ক্রাইম : রেপ এন্ড স্কেপ
বাবুল আবদুল গফুর

এরকম একটি ক্যতাক্ত বিষয় নিয়ে লেখার কারণটা পরে জানাবো। ভাল কলেজে ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ অতঃপর কিশোরীসহ তার মাকে মাথা নেড়ে করে দিয়েছে ধর্ষকের স্ত্রীসহ স্বজনরা। তুফান সরকার নামে স্থানীয় শ্রমিক লীগ নেতা এ ঘটনার মূল নায়ক। কয়েকদিন থেকে বাংলাদেশের আলোচিত খবর হলো এটি। আপনি কাকে দোষ দিবেন? সরকার? না ব্যক্তিকে? একজন মানুষ নষ্ট হওয়ার জন্য পরিবারের মতো রাষ্ট্রও এর জন্য বহুলাংশে দায়ী। কিন্তু কখনও ঢালাও ভাবে রাষ্ট্রকে এবং দলের আধিপত্যকে দায়ী করতে পারবেন না। আলোচিত বনানী ধর্ষণ মামলা, তথাকথিত শাইনিং ইন্ডিয়ায় ২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর (শুধু ৫-৬ জন যাত্রী ধর্ষণই করেনি, তার গোপনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দিয়েছে বর্বোরিচত কায়দায়) এর আদলে রাঙ্গামাটিতে ২০১৩ সালে আদিবাসী দুই তরুণীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণ, ঢাকা মেডিকেল কলেজে পিতার চিকিৎসা করাতে এসে আনসার সদস্যের হাতে মেয়ের ধর্ষণ, একই বছর ৬ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল জেলার ১৫ বয়সী ময়নাকে ৩দিন ৩রাত টানা ধর্ষণ, দৈনিক সংবাদপত্রগুলোর নিউজ ফিডে লজ্জ্বায় ভেসে বেড়ানো ধর্ষণের নিউজসমূহ যেমন ‘এবার কক্সবাজারে তরুণীকে গণধর্ষণ শেষে হত্যা’ (বাংলাদেশ প্রতিদিন ২০১৩)। ‘সাভারে ধর্ষিতার জবানবন্দি’ (বাংলাদেশ প্রতিদিন)। ‘ঝিনাইদহে আড়াই বছরের শিশুকে ধর্ষণ’ (আমার দেশ ২০১৩)। ‘সারিয়াকান্দিতে সাড়ে চার বছরের মেয়ে ধর্ষিত’ (আমার দেশ)। ‘পিরোজপুরে ছাত্রলীগ নেতার কাণ্ড : প্রেমিকার নগ্ন ছবি ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে শহর থেকে গ্রামে’ (জানুয়ারি ২০১২)। ‘গার্মেন্ট কর্মীকে ধর্ষণের পর জিহবা কেটে দিয়েছে যুবলীগ কর্মী’ (ডিসেম্বর ২০১১)। ‘মুসলিম কিশোরীকে পাশবিক নির্যাতন : হিন্দু যুবক গ্রেফতার’ (সেপ্টেম্বর ২০১১)। ‘ভিকারুননিসার ছাত্রী ধর্ষণ : আসামি শুধুই পরিমল’ (আগস্ট ২০১১)। ‘ধর্ষণের জ্বালায় আগুনে জ্বলল মেয়েটি’ (ফেব্র“য়ারি ২০১১)। ‘নারায়নগঞ্জে দু ভাইকে বেঁধে রেখে বোনকে ধর্ষণ’ (ফেব্র“য়ারি ২০১১)। ‘ধর্ষণের পর আবার অপমান : সইতে না পেরে আত্মহত্যা’ (ফেব্র“য়ারি ২০১১)। ‘টঙ্গিতে তিন তরুণীকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা’ (জানুয়ারি ২০১১)। ‘মোরেলগঞ্জে তরুণীকে গণধর্ষণের পর বিষ খাইয়ে হত্যা’ (নভেম্বর ২০১০) ইত্যাদি আমাদেরকে জাতিগতভাবে কতটা বিব্রত ও লজ্জ্বায় ফেলে, আমরা কখনও ভাবিনি। এসব ধর্ষণে রাষ্ট্রের ইন্ধন ছিলো? আমি বলবো, না। তবে রাষ্ট্র কখনও এর দায় এড়াতে পাারে না।
কারণ, ধর্ষকেরা কখনও বিচারের উর্ধ্বে নয়। কিন্তু তাদের কেবল নামেমাত্র বিচার হচ্ছে, কিছু কিছু ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে।কারণ কী? এবার চলুন সে বিষয়ে কিছু আলোচনা করি।

ধর্ষণ কি? আমরা সাধারণ জ্ঞানে ধর্ষণ বলতে কেবল শারীরিক যৌন নিপীড়নকে বুঝি! কিন্তু প্রথাগত এ জ্ঞান এর বাইরেও ধর্ষণের রয়েছে বিস্তর প্রকারভেদ, শাখা-উপশাখা। গৃহ নির্যাতন, এসিড নিক্ষেপ, স্ত্রী নির্যাতন -সতীদাহ প্রথা, যৌতুকের জন্য নির্যাতন, সম্মান রক্ষার্থে হত্যা, গর্ভবতী নারী হত্যা, মানব পাচার • যৌন দাসত্ব, জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি, নারী খৎনা- ইনফিবুলেশন ইত্যাদিকে ধর্ষণের আওতায় আনা যায়। এগুলোর পৃথক নামকরণ করা হলে করা যায়, মানসিক ধর্ষণ। তাছাড়া ধর্ষণের অন্যান্য প্রকারভেদগুলো হলো-
• ডেট ধর্ষণ
• গণধর্ষণ
• বৈবাহিক ধর্ষণ
• শিশুর ধর্ষণ
• সংবিধিবদ্ধ ধর্ষণ
• কারাগারে ধর্ষণ
• ধারাবাহিক ধর্ষণ
• পরিশোধকৃত ধর্ষণ
• যুদ্ধকালীন ধর্ষণ
• প্রতারণার দ্বারা ধর্ষণ
• সংশোধনী ধর্ষণ
• হেফাজতগত ধর্ষণ
তাছাড়া আরও কয়েকপ্রকার ধর্ষণ রয়েছে। যেমন: বিনিময় ধর্ষণ (Exchange rape): পুরুষদের মধ্যে দরকষাকষি বা সংহতি প্রকাশের ফলাফল হিসেবে যে ধর্ষণ সংঘটিত হয়।
• punitive rape (দণ্ডমুলক ধর্ষণ)- মুলত কাওকে শাস্তি দেওয়ার জন্য এই বলাৎকার সংগঠিত হয়।
• চৌর্যবৃত্তিমুলক ধর্ষণ - নারী অথবা পুরুষকে অপহরণ করে এ ধর্ষণ করা হয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের যৌনদাসত্বে অথবা দেহব্যবসায় বাধ্য করা হয়।
• আনুষ্ঠানিক ধর্ষণ - defloration ধর্মীয় রীতিতে ধর্ষণ করা হয়
• মর্যাদা ধর্ষণ (Status rape): সামাজিক পদমর্যাদা ও সামাজিক শ্রেণীর পার্থক্যজনিত কারণে যে ধর্ষণ সংঘটিত হয়।

একজন নারীর জন্য পৃথিবী নিরাপধ নয়, প্রশস্ত নয়। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় নারীর অসহায়ত্বের কারণ হলো ধর্ষণের প্রধান কারণ। এর নেপথ্যে আরও কারণ রয়েছে। দিন দিন ধর্মীয় অনুশাসনের গণ্ডি থেকে মানুষ বেরিয়ে আসতেছে, মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে মানুষ এখন স্বাভাবিকভাবে নিয়েছে। পর্ণগ্রাফী, পর্ণ আসক্তি ইত্যাদির পেছনে সময় খরচ করার লোকবল দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। ফলে বিপর‌্যস্ত মানসিক অসুস্থ এসব মানুষ নারীর দেহ ভোগের প্রতি মাত্রাতিরিক্ত আসক্ত হয়ে পড়ছে। যার দরুণ ধর্ষণের রেকর্ড দিনকে দিন গুণোত্তর ধারায় কেবল বাড়ছে আর বাড়ছে। ধর্ষণের কারণ ব্যাখ্যা করতে গেলে বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্তসমূহ বিশ্লেষণ করা যেসব কারণ এর জন্য প্রধান তা হলো-
১। গ্রোথের প্রকরণ
• ক্রোধবশত ধর্ষণ
• শক্তি প্রদর্শনকারী ধর্ষণ
• ধর্ষকামমুলক ধর্ষণ
২। গণধর্ষণ
৩। সামাজিক কারণ
• যুদ্ধ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ
• দারিদ্র
• শারীরিক এবং সামাজিক পরিস্থিতি
• আইন এবং পুলিশ
• ভিক্টিমের ধর্ষণের রিপোর্ট করতে গেলে সামাজিকভাবে প্রতিরোধের বৈধতা
• যৌন প্রতিষ্ঠান এবং ধর্ষণ
তাছাড়া সামাজিক অর্থনীতি, ক্রোধ, শক্তিপ্রদর্শনী, ধর্ষকাম, যৌন প্রশান্তি, মানসিক অস্থিরতা রূপ্ম ব্যাধি ইত্যাদিও ধর্ষণের জন্য দায়ী।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিচার পরিসংখ্যান ব্যুরো-র (১৯৯৯) হিসেব অনুসারে সেদেশের ধর্ষিতদের মধ্যে ৯১% মহিলা ও ৯% পুরুষ এবং ৯৯% ক্ষেত্রেই অপরাধী পুরুষ।মহিলাদের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, যাঁরা তাঁদের উপর যৌন অত্যাচারের কথা স্বীকার করেন, তাঁদের মাত্র দুই শতাংশ বলেন যে তাঁরা কোনো অপরিচিত ব্যক্তির দ্বারা ধর্ষিত হয়েছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা :
দক্ষিণ আফ্রিকায় কমবয়সী ও শিশুকন্যার ধর্ষণের ঘটনা ঘটে সবচেয়ে বেশি। আর সেদেশে সাজাও অত্যন্ত কম। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে সাজা হয় মাত্র ২ বছরের জেল।
সুইডেন :
সুইডেনে প্রতি চারজনে একজন মহিলা ধর্ষণের শিকার হন।
ভারত:
বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারতে প্রতিমুহূর্তেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে। ধর্ষণ সেখানে বিবাহ পরবর্তী যৌন মিলনের মতো জায়েজ মনে হয়।
জার্মানি :
ইউরোপের আর এক উন্নত দেশ জার্মানিতে এখনও পর্যন্ত ধর্ষণের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষ।
ফ্রান্স:
১৯৮০ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সে ধর্ষণের ঘটনা অপরাধ হিসাবে গণ্য হতো না। পরে তা অপরাধের তালিকায় স্তান পেয়েছে। বছরে ৭৫ হাজারের বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ফ্রান্সে অথচ ১০ শতাংশ ঘটনারও অভিযোগ জমা পড়ে না পুলিশে।
কানাডা :
হাফিংটন পোস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী বছরে ৪ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষ যৌন নির্যাতনের শিকার হন কানাডায়। বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটে বাড়িতে চেনা পরিবেশে এবং ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে পরিবার- বন্ধুবান্ধবরাই যৌন নির্যাতন করেন।
অস্ট্রেলিয়া :
অস্ট্রেলিয়াতে ২০১২ সালের হিসাব ধরলে পঞ্চাশ হাজারের বেশি মহিলা বছরে নির্যাতিতা হন।
ডেনমার্ক :
ডেনমার্কে ৫২ শতাংশ মহিলা যৌন নির্যাতনের শিকার হন প্রতিবছর।
আজারবাইজান:
প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ৩জন ধর্ষিত হয়।
ইয়ামেন:
শেষের দিক থেকে ৩ নম্বর। প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ৪ জন ধর্ষিত হয়। মেয়েদের পর্দা আবশ্যক।
ইন্দোনেশিায়:
এখানে প্রতি ১০লক্ষ নারীতে ৫জন ধর্ষিত হয়।
ওমান :
এখানে প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ১৮জন ধর্ষিত হয়।

এসব তথ্যকে সামনে দেখলে বুঝা যায়, নারীকে প্রতিটি জনপদে কতটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয়। যদি ধর্ষণকে প্রতিটি রাষ্ট্রে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংবিধানে বিভিন্নভাবে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। কয়েকটি দেখি।
চিন : কমিউনিজিমে বিশ্বাসী এই দেশটিতে ধর্ষণের সাজা শুধুমাত্র মৃত্যুদণ্ডই। ধর্ষণ প্রমাণ হলেই সরাসরি মৃত্যুদণ্ড। আর তা কার্যকর করা হয় অত্যন্ত দ্রুত।
ইরান : হয় ফাঁসি, না হয় সোজাসুজি গুলি। এভাবেই এদেশে শাস্তি দেওয়া হয় ধর্ষককে।
আফগানিস্থান: এই দেশটির কথা উঠলেই মনে পরে তালিবানী শাসন। কিন্তু, অদ্ভুত বিষয় আফগানিস্থানে ধর্ষণের হার অত্যন্ত কম। তবে, সেখানে ধর্ষণের সাজা শুনলে আপনিও আঁতকে উঠবেন। কারণ, ধর্ষণ করে ধরা পড়লে সোজা মাথায় গুলি করে মারা হয় ধর্ষককে।
ফ্রান্স: নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে ধর্ষকের সাজা ঠিক করা হয় এখানে। তবে, ধরা পড়ার পর এবং অপরাধ প্রমাণিত হলে কমপক্ষে ১৫ বছরের জেল। অপরাধ গুরুতর হলে তা বেড়ে হতে পারে ৩০ বছরও।
উত্তর কোরিয়া: এদেশে ধর্ষণের সাজা শুধুই মৃত্যুদণ্ড। অভিযোগ, গ্রেফতার আর তারপর অভিযোগ প্রমাণ হলে গুলি করে হত্যা করা হয় ধর্ষককে।
সৌদি আরব : এখানেও ধর্ষণের কঠোর সাজা দেয়া হয় । ধর্ষককে প্রকাশ্যেই বেত্রাঘাত করে শাস্তি দেয়া হয় এদেশে। আর তাই এখানেও ধর্ষণের সংখ্যা অনেকটাই কম।

কতিপয় মুসলিম অধ্যূষিত অঞ্চল ব্যতীত বেশিরভাগ রাষ্ট্রে এগুলো কেবল আইন। নেই কোন কঠোর প্রয়োগ ও কার‌্যকরী পদক্ষেপ। তাছাড়া সামাজিক প্রতিপত্তি, রাষ্ট্রীয় ছত্রছায়া, অর্থ, বংশগত ঐতিহ্য ইত্যাদির কারণে ধর্ষক, ধর্ষকের দোসর, সহযোগী সবাই নাম মাত্র শাস্তি পেয়ে অনায়াসে মুক্তি পেয়ে যায়।

আর যেসব নারী এই ধর্ষণের শিকার হয়, তারা সামাজিকভাবে হেয় হয়ে যায়, পরবর্তী জিবন তাদের নরক যন্ত্রণায় কাটাতে হয়। নিজের পিতা, ভাই, সমাজ, প্রতিবেশী, এমনকি রাষ্ট্রের কাছে তার কোন মূল্য থাকে না।
আমি কখনও বলবো না, ধর্ষণের জন্য কেবল পুরুষ দায়ী, নারী দায়ী নয়। ধর্ষণের জন্য পুরুষের পাশাপাশি নারীও দায়ী। যদিও পুরুষের দায়ভার বেশি।
ভেবে দেখুন, আপনি যদি নারী হন, আপনাকে কেউ যদি ধর্ষণ করে, বাংলাদেশের মতো এ জনপদে কতটা নির্মম হবে আপনার জিবন? আপনার বোনের কথা ভাবুন একবার, সে যদি ধর্ষিত হয়, তার চোখের দিকে তাকালে আপনার কেমন অনুভূতি হবে?
তাই নিজের অবস্থান থেকে আমাদেরকে ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। তাহলে নিরাপধ থাকবেন আপনি, আপনার রাষ্ট্র, আপনার মা, আপনার বোন, আপনার স্ত্রী, আপনার মেয়ে, আপনার প্রতিবেশী। নিজেকে ভালোবাসুন, অন্যকেও ভালোবাসুন। আপনার সামান্য তৃপ্তি, যৌনক্ষুধা, প্রতিশোধের জন্য যেন বলি না হয়, আরেক জনের সোনার জিবন। মানুষ হিসেবে তাহলে আপনার মনুষ্যত্ব কোথায়?


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.