![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কলাপাতার ঘোড়া
বাবুল আবদুল গফুর
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ
বিপদের মনে হয় পরস্পরের সাথে একটা যোগসূত্র আছে। একটা বিপদ চলে গেলে যাওয়ার সাথে সাথে সে স্থানে অন্য বিপদ এসে হাজির। সমিরের কাছে অদ্ভূত লাগে! কিন্তু শেষ পর্য়ন্ত যে বিপদ চলে যায় না, তা নয়। চলে যায়, তবে যে ঘটমান ক্ষতি সে করে যায়, তা পুষিয়ে উঠা অনেক সময় সম্ভব হয় না।
আজ সকালে সাইকেলে প্রজেক্টে যাওয়ার সময় ঘটে বিপদ। একটা বড়ো লড়ির সাথে ধাক্কা খেয়ে রাস্তা থেকে ছিটকে যায় সমির। গুরুতর জখম হয়তো হয়নি, কিন্তু পা মচকে গেছে। গোড়ালির দিকে সাথে ফুলে গেছে পা। অসহ্য যন্ত্রণায় সেখানেই বসে পড়লো সে। লড়িটি একবারও থামলো না। যেভাবে এসেছিলো দ্রুত, তারচেয়ে দ্বিগুণ বেগে চলে গেলো। সমির সে দিকে চেয়ে চিৎকার দিয়ে উঠলো, শুয়রের বাচ্চা, গাড়ি চালাস তো বাড়িতে কাজ রেখে আসবি কেন? তোর বাপের রাস্তা- যেরকম ইচ্ছা চালিয়ে যাবি-
আবার মা বেড়াতে গেছে বড় বোনের শ্বশুড় বাড়িতে। আসার কোন লক্ষণ নেই। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় খবর এলো মায়ের ভিষণ জ্বর। পাতলা পায়খানার সাথে বমি। শুনে মনটা খারাপ হয়ে যায় সমিরের। হিসাব করেছিলো, সকালে মাছ মারার পর একবার মাকে দেখতে যাবে। কিন্তু এমন করে বিপদ নিজের ঘাড়ে আসবে কে জানে!
মচকে যাওয়া পা নিয়ে কাদিরের কাঁধে ভর করে উঠানে এসে দাঁড়ালো সমির। সমিরকে দেখে শফিকা দৌঁড়ে এলো। তার চোখেমুখে স্পষ্ট আতঙ্ক সমিরকে বিচলিত করে তুললো।
কি হয়েছে তোমার?
সমির কোন কথা বললো না। কাদির সব বুঝিয়ে বললো। বললো, খামারে যাওয়ার সময় লড়ির সাথে ধাক্কা খায়। চিন্তার কিছু নেই ভাবি। মচকে গেছে, ভাঙ্গেনি। ডাক্তার ওষুধ পথ্য দিলো-ওতেই হবে। নিয়মিত খেতে বলেছে। তিন চারদিনের বেশি লাগার কথা নয় সুস্থ হতে।
শফিকা সমিরকে ধরে বারান্দায় তুলতে তুলতে বললো, তুমি দুপুরে খেয়ে যেও ভাই।
কাদির মাথা নাড়লো, না ভাবি। বলেছেন এতে খুশি। আমার কাজ আছে। হাটে মানুষ বসিয়ে এসেছি। আরেকদিন আসবো।
কাদিরকে আর জোরাজুরি করলো না শফিকা। বারান্দায় একটা চাটাইয়ে সমিরকে বিছানা করে দিতে দিতে বললো, ফজু সকাল থেকে কাশতেছে। জ্বরও আছে হালকা। এদিকে তোমার বিপদ। কি করবো বল? স্কুলে যেতে চাইছিলো, যেতে দিইনি।
-ভালো করেছো।
-বাবা এসেছে। তোমাকে ফোন দিতে যাবো, তার আগেই এলে। বিপদ মনে হয় ছাড়বে না।
শ্বশুড় এসেছে শুনে সমিরের মুখ কালো হয়ে গেলো। অনেকদিন পর এসেছেন। বাজারে গিয়ে মাছ মুরগি আনবে এমন অবস্থা তার নেই। বললো, কখন এলো বাবা?
-একটু আগে।
-আছে?
-বাজারে গেছে। ফজুর জন্য ওষুধ কিনবে মনে হয়। সকালে নাস্তা পর্য়ন্ত করলে না, মা মোচা পাঠিয়েছে, খাবে?
-না। পা ব্যথা করতেছে। তুমি পারলে আমাকে গরম পানির ছ্যাঁক দাও। ফজুকে ডাকো।
শফিকা গরম পানি আনতে চলে গেলো। খুব সংসারী মেয়ে। সমিরের মাঝে মাঝে শফিকার জন্য কৃতজ্ঞতায় মন ভরে যায়।
কাশতে কাশতে ফজু এলো সামনে, বাব ডেকেছো।
-বস। কি হয়েছে তোমার মা?
ফজু দৃঢ় কণ্ঠে উত্তর দিলো, দেখতে পাচ্ছো না!
সমির ঘাবড়ে গেলো। করিমের কথা মিথ্যা নয়, তার মেয়ে সত্যি সেয়ানা হয়ে গেছে।
-কাশি?
-না, হাত ফুলে গেছে।
-মিথ্যা কথা বলো কেন?
-দেখতেই যখন পাচ্ছো, না জিজ্ঞেস করলেই পারতে!
সমির হেসে উঠলো, হাত বাড়িয়ে ফজুকে টেনে নিলো বুকে। মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললো, নানু কি এনেছে তোমার জন্য?
-মোয়া।
-খেয়েছো?
-না। আমার ভাল্লাগে না। আচ্ছা বাবা তোমার পায়ে কি অনেক ব্যথা?
-একটু।
-ইশ না হলেই হতো। আজ বাজারে গিয়ে একটা ড্রেস কিনতাম।
-ড্রেস?
-ড্রেস না, ফ্রক, মিতু নিয়েছে, চাঁদপাখি ফ্রক।
-আচ্ছা আনবো।
-এখন না। পা ভালো হলো এনো। ভুলে যেও না। মা বলে তুমি সব ভুলে যাও।
সমির লক্ষ্য করলো, শফিকার তাকে বলা অনেক কথাবার্তা ফজু লক্ষ্য করে। এবার থেকে ফজুর সামনে কথাবার্তা বলার সময় হুঁশ করে বলতে হবে। মেয়ে বড় হচ্ছে- এটা স্পষ্ট।
গরম পানি নিয়ে শফিকা এলো, ফজুকে হাত দিয়ে সরিয়ে বললো, মাখামাখি করতে হবে না। একটু আগে বাপের নামে হাজার খানেক নালিশ করলো, এর এখন কোলে বসে গল্প! সর-
ফজু সরে গেলো। তার অভিমানে গাল ফুলিয়ে থাকার বিষয়টা চোখ এড়ালো না সমিরের।
সুতির একটা গামছা, গামলায় একটু ভিজিয়ে নিংড়ালো শফিকা। গামছা থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। কাপড়টা ভাঁজ করে সমিরের পায়ের গোড়ালিতে বসাতেই সমির কঁকিয়ে উঠলো, গরম বেশি। তবে ভালো লাগছে।
ফজু বাবার দিকে তাকিয়ে বললো, এটা কি বাবা?
শফিকা ধমক দিলো, চুপচাপ দেখ। এতো কথা বলতে হবে না।
সমির শফিকাকে ধমক দিলো, আহা! ওকে এতো ঝাঁড়ি দাও কেন?
-বাড়িতে তো থাকো না একঘন্টা। থাকলে বুঝতে ও কিভাবে আমার মাথা খাচ্ছে। সারাদিন এটা ধরবে ওটা ঘাটবে- বাড়িসুদ্ধ জিনিসপত্র তছনছ করে রাখবে। কে গোছাবে বারবার এসব?
সমির বললো, একটা মেয়েই তো। কত আর ঘাটবে।
-দাও লাই দাও। তারপর তুমি গেলে আমাকে ছিঁড়ে খাবে। বাবা কখনও নিষেধ করেনি, তুমি করো। তুমি পঁচা। কত কি! কথার কমতি নেই। কার সাথে চলাফেরা কে জানে?
সমির পায়ের পাতার উপরের দিকে দেখিয়ে বললো, ওখানে একটু দাও। ব্যথা মনে হয় হাঁটু পর্য়ন্ত গড়াবে। সমির ফজুর দিকে হাত টেনে বললো, আমার পাশে বসো মা!
শফিকা বাঁধা দিলো, খবরদার। দাঁড়িয়ে থাকো। কিছুক্ষণ পর দেখবে তোমার পায়ে আছাড় খাচ্ছে। কোন কিছুতে তাল নেই। কে সামলাবে?
সমির একটু নড়েচড়ে বসতে হঠাৎ প্রচণ্ড ব্যথা পেল পায়ে। কঁকিয়ে উঠলো, ও-ও- আহ!
শফিকা বললো, আস্তে-
একটু স্বাভাবিক হয়ে সমির বললো, মাকে ফোন দাও। জ্বর বাড়লো না কমলো দেখি।
শফিকা মোবাইল এনে হাতে দিয়ে বললো, ডায়ালে আছে। রিসিভ করে কিনা দেখ।
ফোন রিসিভ করলো বড় আপু। বড় আপু জানালো, মায়ের অবস্থা ভালো। স্যালাইন চলতেছে। মাকে ওষুধপত্র ঠিকঠাক খাওয়াতে বলে ফোন রেখে দিলো সমির।
শফিকার দিকে চেয়ে বললো, আজ মাছ মারার কথা আছে। প্রজক্টে যাওয়া জরুরি। মাকে দেখতে যাওয়া উচিত। কিন্তু-
-মায়ের কিচ্ছু হবে না। বড় আপু আছে না? সামলে নিবে। বাবা না আসলে আমি যেতাম। মাছ মারার লোক তো ভোরে ভোরে চলে যায়, এতক্ষণে হয়তো মাছ মারা শেষ। ফোন করে দেখ।
-ফোন দিবো ঠিক আছে, রিসিভ করে না। এক বদঅভ্যাস।
-দিয়ে দেখ। যদি মাছ মারে কাউকে দিয়ে কিছু মাছ পাঠায়ে দিতে বলো। বাবা এসেছেন, আনলে ভালো হয়।
সমির মাছ বেপারী সলিমকে ফোন দিলো। বারকয়েক ফোন রিসিভ করলো না। কিছুক্ষণ পর ফোন আসলো, শফিকা রিসিভ করলো, হ্যালো কে?
-ভাবি আমি সলিম। ভাই কৈ?
-আছে। দিচ্ছি, দাঁড়ান।
শফিকা সমিরের দিকে ফোন বাড়িয়ে দিয়ে বললো, সলিম। কথা বল।
সলিমকে মাছ আনার ব্যাপারে কথা বলে, ফোন কেটে দিলো সমির। শফিকাকে উদ্দেশ্য করে বললো, মাছ পাঠাবে। বড় কাতলা ধরেছে নাকি চারটি।
দুপুরের একটু আগে, সমিরের শ্বশুড় এলেন বাজার থেকে ওষুধ হাতে নিয়ে। সমির সালাম দিলো। শফিকা সমিরকে দেখিয়ে পুরো ঘটনা খুলে বলবো। বললো, সকালে প্রজক্টে যাওয়ার সময় লড়ির সাথে ধাক্কা খেয়ে পা মচকে গেছে।
কিন্তু সমিরের শ্বশুড়কে শান্ত মনে হলো, তিনি বললেন, সব খোদার ইচ্চা। হয়তো বড় কোন বালা-মুছিবত কেটে গেছে।
তিনি হাতের ওষুধ শফিকাকে দিয়ে বললেন, ডাক্তার এই সিরাপ আর ট্যাবলেট দিলো। তিনে তিনবার করে খেতে বলেছে। এখন খাইয়ে দে।
-সকাল থেকে কিছু খায়নি। খালি পেটে খেলে অসুবিধা হবে না?
-কিছু খাইয়ে তার পর ওষুধ দে।
শফিকা ওষুধ রেখে আবার ফিরে এলো, বাবা কি নামাজ মসজিদে পড়বেন, না এখানে? এখানে পড়লে আমি জায়নামাজ বিছিয়ে দিতাম।
-মসজিদে পড়বো মা। নামাজ পড়ে আসি দুমুঠো খেয়ে চলে যাবো।
শফিকার চেহারা গোমরা হয়ে গেলো। সে সমিরের দিকে তাকালো। সমির শ্বশুড়কে বললো, বাবা কি বলেন? আজ আসলেন, আবার আজ চলে যাবেন- হবে না। আজ থাকতে হবে।
-বাড়িতে কাজ আছে বাবা। আজ এশার নামাজের পর মসজিদ কমিটির মিটিং। তারা আমাকে সভাপতি বানাতে চায়। কত করে বললাম- ওসব আমাকে দিয়ে হবে না। আপনারা করেন। এসব বিষয় রাজনৈতিক। দূরে থাকাই সম্মানের।
সমির অনুনয় করে বললো,তাহলে আছরের পর বের হয়েন।
-দূরের পথ। তাড়াতাড়ি বের হওয়া মঙ্গল। নাতির জন্য পরানটা জ্বলছিলো। এলাম।
তিনি শফিকার দিকে তাকিয়ে বললেন, ফজুকে ডাকো।
কিন্তু শফিকা শুনলো না। ডুকরে কেঁদে উঠলো, আপনি প্রত্যেকবার আসার আগেই চলে যাওয়ার বন্দোবস্ত করে আসেন। এমন হলে আর আসবেন না-
সমির শফিকাকে ধমক দিলো, কি বলো এসব। বাবার কাজ থাকতেই পারে। তাছাড়া মসজিদ কমিটির মিটিং।
শফিকা কথা বাড়ালো না। তার কান্নায় বাবার প্রতি অনুরাগ ঝরে পড়লো।
দুপুরের পর একটা ছেলে বড় সাইজের একটি কাতল মাছ নিয়ে শফিকাকে দিলো, চাচি, মামা পাঠিয়েছে। আর এই টাকাটা দিলো।
-কত?
ছেলেটা দিতে দিতে বললো, দশহাজার।
ছেলেটাকে দাঁড়াতে বলে ভেতরে গেলো শফিকা। সমিরের কাছে গিয়ে বললো, একটা ছেলে এসেছে। মাছ আর এই টাকাটা দিলো।
-ওকে ভেতরে আসতে বলো।
শফিকা ছেলেটাকে ভেতরে নিয়ে আসলো। সমির ছেলেটাকে দেখে জিজ্ঞেস করলো, কত তুলেছে মাছ?
-কাতাল বিশ কেজি, তেলাপিয়া এক মণ।
-রুই ধরেনি?
-না।
-কেন?
-জানিনা।
-টাকা কম দিলো কেন?
-কাল দিবে বলেছে। মামার কাছে আর টাকা নাই বললো।
সমির ছেলেটাকে মোয়া দিতে বললো। মোয়া হাতে পেয়ে ছেলেটা বললো, আমাকে যেতে হবে। মামা তাড়াতাড়ি ফিরতে বলেছে।
-বাজারে মানুষ আছে?
-হুঁ।
-তাহলে যা।
ছেলেটা চলে গেলো, সমির জিজ্ঞেস করলো, ফজু ঘুম থেকে উঠেনি?
শফিকা উত্তর দিলো, না। কাশির ওষুধে নাকি ঘুম ভারি হয়। ওষুধ খাওয়ার পর সেই ঘুমাচ্ছে-উঠেনি।
-ডেকে দাও। এতো ঘুম ভালো নয়।
শফিকা ডাকলো না। সমির শফিকাকে বললো, বাবা থাকলে ভালো হতো। মাছটা হাতে দিতে পারতাম।
শফিকা বললো, বাবা নিতো ভেবেছো?
-কেন?
-মেয়ের শ্বশুড় বাড়ির জিনিস নিলে মা গালিগালাজ করতো।
-হারাম?
-জানিনা। মা পছন্দ করে না।
-একদিন শ্বশুড় বাড়ি থেকে তুলে তোমাকেও বাপের বাড়ি দিয়ে আসবো। নেয় কিনা দেখি।
-দিও সাহস থাকলে। তুমি কতখানি পুরুষ আমি জানি!
সমির খোঁচাটা স্পষ্ট বুঝলো। কিছু না বলে কেবল মুখ টিপে হাসলো। শফিকা রান্না ঘর থেকে বড় একটি গামলায় মাছ, পানি আর বড়কি নিয়ে সমিরের পাশে এসে বসলো। মাছের আঁশ তুলতে তুলতে বললো, কিভাবে রান্না করবো বল?
- জুল কম করে। আলু দিয়ো কিছু।
-কিন্তু খাওয়ার বেলায় তো তোমার মুখে রুচে না।
সমির গায়ের কাঁথাটা সরিয়ে বললো, রুচে না ঠিক আছে। তুমি কি অসুখী?
শফিকা এবার সত্যি সত্যি লজ্জ্বা পেলো। তার চোখের পাতায় লজ্জ্বার লাল রঙ স্পষ্ট খেলেতেছে মনে হলো সমিরের। হঠাৎ অদ্ভূত রকম রূপবতী মনে হলো শফিকাকে।
শফিকা বললো, তোমার লজ্জ্বা শরম নাই?
-তাহলে আমাদের বাচ্চাই হতো না!
শফিকা হাতের কাছে থাকা গামলা থেকে হাতের খোসে পানি নিয়ে সমিরের মুখে ছুঁড়ে মারলো, বুড়ো রসিক চাঁন! কথাবার্তার শ্রী দেখো কেমন!
সমির নড়েচড়ে বসতে শফিকা দরোজার বাইরে চলে গেলো। সমির ডাকলো কিন্তু শফিকা কাছে এলো না। শফিকা বললো, আমি ছাড়া তুমি কতটা অচল দেখো। বিছানা থেকে পর্য়ন্ত নামতে পারোনা।
সমির বললো, আমার পা মচকে গেছে, আজ তোমার মজা বের করতাম।
-সুস্থ হলে করো। বাঁধা দিবে কে?
শফিকা রান্না ঘরের দিকে চলে গেলো। তার কাছে শফিকাকে বাসর রাতের সেই প্রাণচঞ্চল কিশোরী মনে হলো, যার চোখে নেশা কিন্তু লজ্জ্বায় আপদমস্তক ঘিরে হয়ে আছে মূর্তিমান রূপসী!
২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৫৯
বাবুল অাবদুল গফুর বলেছেন: সবাইকে পড়ার অনুরোধ রইলো।
৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০০
বাবুল অাবদুল গফুর বলেছেন: সবাইকে পড়ার অনুরোধ রইলো।
৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০০
বাবুল অাবদুল গফুর বলেছেন: সবাইকে পড়ার অনুরোধ রইলো।
৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০০
বাবুল অাবদুল গফুর বলেছেন: সবাইকে পড়ার অনুরোধ রইলো।
৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০০
বাবুল অাবদুল গফুর বলেছেন: সবাইকে পড়ার অনুরোধ রইলো।
৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০০
বাবুল অাবদুল গফুর বলেছেন: সবাইকে পড়ার অনুরোধ রইলো।
৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০১
বাবুল অাবদুল গফুর বলেছেন: সবাইকে পড়ার অনুরোধ রইলো।
৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০১
বাবুল অাবদুল গফুর বলেছেন: সবাইকে পড়ার অনুরোধ রইলো।
১০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০১
বাবুল অাবদুল গফুর বলেছেন: সবাইকে পড়ার অনুরোধ রইলো।
১১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০১
বাবুল অাবদুল গফুর বলেছেন: সবাইকে পড়ার অনুরোধ রইলো।
১২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০৮
অপরিচিত মানব শুণ্য বলেছেন: দুর্দান্ত হচ্ছে.... এক নিঃশ্বাসে পড়া শেষ করলাম...
এরপর কি আর নাই....??
আশা করি পরিবর্তী পর্ব দ্রুত পাব....
ধন্যবাদ প্রিয় লেখক....!
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৫৯
বাবুল অাবদুল গফুর বলেছেন: সবাইকে পড়ার অনুরোধ রইলো।