নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
facebook.com/atikmahmud.kaushik
তিন রাস্তার মোড়। সেখান থেকে বা দিক ধরে কয়েক পা হাটার পর একটি গলি। সমকোণের মত গলির শেষ বাসাটায় থাকেন আতিক সাহেব।
.
বাসাটা পুরনো আমলের। দেয়ালে শেওড়া পড়া। এই বাসার নিচতলার রুমটাতে একাই থাকেন তিনি। খুব একা প্রকৃতির মানুষ। মানুষের সাথে তেমন মিশেন না।
.
খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে খুব অলস প্রকৃতির। সকালে চা, দুপুরে হোটেলের খাবার, আর রাতটা মাঝে মাঝে না খেয়েই পার করে দেন। তবে মাঝরাতে সিগারেট খান।
.
গত ৩দিন ধরে আতিক সাহেব বাহিরে যান না। প্রচন্ড জ্বর তার। জ্বরের ঘোরে আবোলতাবোল ব্কা শুরু করেছেন।
ঘরের ক্যালেন্ডারটাও ওলটানো হয় নি। সেই আগস্ট ২০১৫ তেই পড়ে আছে। কি কারণে এই পাতাটার পর আর উল্টানো হয় নি, তিনি তা খুব মনে করার চেষ্টা করছেন।
.
আজ তার খুব 'মা' এর কথা মনে পড়ছে! মানুষের নাকি মৃত্যুর পূর্বে তার সব অতীত স্মৃতি মনে পড়ে!
আতিক সাহেব খুব চেষ্টা করছেন এগুলো ভুলে থাকতে। তার স্টাডি টেবিলে "প্রফেসর শঙ্কু" ও "শ্রেষ্ঠ উপন্যাস সমগ্র" পড়ে আছে। বই দুটো হাতে নিয়ে অযথাই পাতা ওল্টাচ্ছেন।
.
কারো একাকীত্ব খুব অনুভব করছেন। ভেবেছিলেন বিয়া করবেন না। কিন্তু, এখন মনে হচ্ছে, কাউকে খুব প্রয়োজন। মৃত্যুর আগে, কারো কান্না ভেজা চোখ দেখার খুব ইচ্ছে করছে।
.
এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়েন আতিক সাহেব। চশমাটাও চোখে পড়া এখনো। ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখেন, একটি ছোট্ট মেয়ের সাথে হাত ধরে হেঁটে বেড়াচ্ছেন। মেয়েটা রাস্তার পাশে, বেলুন দেখে কেনার জন্য কান্না করতে থাকে। কিন্তু, তার কাছে কোনো টাকা নেই। এদিকে মেয়েটি কাঁদতেই থাকে।
.
আতিক সাহেব খুব আগ্রহ নিয়ে, মেয়েটির কান্না দেখছেন। শিশুরা কত সহজে কান্না করতে পারে। আজ তারও কান্না করতে ইচ্ছা করছে। খুব কান্না, যাকে বলে চিৎকার করে কান্না...
২| ০৮ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৬:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। ++
ছোট্ট, কিন্তু নিটোল, নির্মেদ ও পরিপাটি।
৩| ০৮ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:০৮
দারাশিকো বলেছেন: যেহেতু আবোলতাবোল, সেহেতু কিছু বললাম না।
৪| ০৮ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর গল্প।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৩৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ছোট গল্প। তবে বেশ ভালোই লিখেছেন। +++