![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে মানুষের ধর্ম আর তার ধর্মানুভূতির ধারক, বাহক, রক্ষক এবং প্রচারক এখন হেফাজতে ইসলাম নামের এক সংগঠন। জানি না এই দায়ত্ব তাদের দেশের মানুষ কবে দিল । ইসলাম অবমাননার শাস্তির দাবি নিয়ে মাঠে নেমে তারা পদদলিত করছে মানবতাকে, অপমান করছে হাজার-হাজার ভিন্ন ধর্মাবলম্বীকে।না করার কোন কারণও নাই, জনগনের প্রতিনিধি ক্ষমতালোভী সরকার আর মহামুর্খ বিরোধী দলকে জুব্বার পকেটে ভরতে তাদের সময় লেগেছে মাত্র কয়েক সপ্তাহ।
ইসলাম বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষের প্রানের ধর্ম। আল্লাহ আর তার রাসুলের প্রতি ভালবাসা, কিংবা বেহেস্তের লোভ, অথবা পূর্বপুরুষের বিশ্বাসের প্রতি আস্থা যে কারণেই হোক, বাংলাদেশের মোসলমানরা নিজেদেরকে বিশ্বাসী আর ঈমানদার ভাবতে পছন্দ করে। এই বিশ্বাস দুষের কিছু না, আখিরী নবীর উম্মত হিসেবে ইসলাম এই নিরীহ মানুষদের যে সন্মান দিয়েছে, হাজার বছরের শাসন-সুশননে নিপীড়িত বাঙালি তা পেয়ে আনন্দে আত্মহারা।
করিম মিঞা তার নেতাদের কাছ থেকে সাম্য-অধিকারের বাণী আর সমাজের তার চেয়ে একটু উচ্চ শ্রেনীর মানুষের সাথে এককাতারে নামাজ পড়তে পারলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করে।হোক না সে নিপীড়িত, অথবা পুজিবাদী সমাজের খেলার পুতুল আল্লাহর কাছে সে মুমিন বান্দা, আল্লাহর কাছে রিক্সা চালক করিম মিঞা আর আরবের শেখের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই।এই মহান ধর্মের মর্যাদা রক্ষা করতে যদি হেফাজতে ইসলাম তাকে জীবন দিতে বলে, করিম মিঞা তাতে পিছুপা হবে না, সে মরলে শহীদ বাচলে গাজী।
এইবার আসেন দেখি করিম মিঞার ধর্ম আর তার অধিকার রক্ষা করতে হেফাজতে ইসলাম কি দাবি পেশ করেছে সরকারের কাছে ..
১।সংবিধানে‘আল্লাহ্র উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন এবং কোরান-সুন্নাহ্ বিরোধী সকল আইন বাতিল করতে হবে।
বিসমিল্লাহ তেই গলত, সংবিধান কার ? রাষ্ট্রের, রাষ্ট্র কার? মানুষের, রাষ্ট্রের সকলের কি কুরআন ও সুন্নাহ তে বিশ্বাস করে না? না।
নিজের বিশ্বাস, অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়ার একটা জঘন্য অপরাধ, করিম মিঞার কাছে কুরআনী জীবন ব্যবস্থা যতটা পবিত্র অন্য ধর্মাব্লম্বী কাছে তাদের নিজেদের ধর্মীয় জীবন ব্যবস্থাও ঠিক একই রকম পবিত্র। অন্যের ধর্মের কাছে মাথা নত করলে করিম মিঞার যেমন পাপ হয়, একই কথা অন্য ধর্মাব্লম্বী জন্যও প্রযুজ্য, নাস্তিকদের কথা বাদই দিলাম, তাদের তো আপনারা মানুষ হিসেবেই গণ্য করেন না।
২। আল্লাহ্, রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করতে হবে।
এই দাবির দুটি অংশ "১, আল্লাহ্, রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা" আল্লাহ্, রাসুল (সা.) এর অবমাননা কখন হয়, যখন কেও আল্লাহ ও তার রাসুলের দেখানো পথ থেকে সরে গিয়ে ভিন্ন পথ অনুসরণ করে এবং তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে।প্রশ্ন হচ্ছে যারা আগেথেকেই ভিন্ন পথ অনুসারী তাদের জন্যও কি একই শাস্তি? কুরান মাজিদে কি আল্লাহ তাদের জন্য মৃত্যুদন্ড নির্ধারিত করেছেন? উত্তর যদি হয় "না" , তবে আল্লাহর আদেশকে অবমাননা করার জন্য হেফাজতিদের কি শাস্তি দেওয়া হবে ?
"২, মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধ" যে কাউ যে নিয়ে কুৎসা রটনা নিন্দনীয় অপরাধ, সে হিন্দু, মুসলমান, বুদ্ধ-খ্রিস্টান যেই হোক।দাবিটা আরো যুক্তি-যুক্ত হত যদি বলা হত "মুসলমান সহ যে কোনো ধর্ম নিয়ে কুৎসা". আর কুৎসা রটানুর শাস্তি যদি হয় মৃত্যুদন্ড তাহলে একমাসের মধ্যে পৃথিবীর জনসংখা অর্ধেক হয়ে যাবে। নাকি ওয়াজে মাইক বাজিয়ে ইহুদি-নাছারাদের নামে কুৎসা করা জায়েজ আছে? অথবা জায়েজ আছে পেপার-পত্রিকায়, ও সাধারণ মানুষের কানে ব্লগার অনলাইন একটিবিস্টদের নাম কুৎসা?
৩। কথিত শাহবাগী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয় নবী(সা.)-র শানে জঘন্য কুৎসা রটনাকারী কুলাঙ্গার ব্লগার ও ইসলাম বিদ্বেষীদের সকল অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
"কথিত শাহবাগী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ !!" কিচ্ছু বলার নাই, খালি বলি, ইংরেজিতে একটা কথা আছে, "ল্যাজা ইজ এ ডিফিকাল্ট থিং টো হায়ড" মানে, তুই শালা আসলে একটা রাজাকার।
৪। ব্যক্তি ও বাক-স্বাধীনতার নামে সকল বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বলনসহ সকল বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
"ব্যক্তি ও বাক-স্বাধীনতার নামে সকল বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার" খুবই নায্য কথা, " প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ!!" মানে কি? প্রিন্টিং মিসটেক মনে হয়, আসলে হবে প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ যৌনাচার। "মোমবাতি প্রজ্বলন" বেচারা মোমবাতি আবার কি করলো সে তো নাস্তিক না, তার ফেবু একাউন্টও নাই, ও বুচ্ছি, আসলে জামার-শিবিরের কোন মোমবাতির কারখানা নাই। মন খারাপ কইরেন না, ক্ষমতায় আসলে বেজি নিজ খরজে আপনাদের কারখানা করে দিবে, দরকার পড়লে, সন্ধার পর ইস্পেশাল লোডে শেডিংএর ব্যবস্থা করে আপনাদের মোমবাতি বিজনেস, ধর্ম বিজনেসের মত চাঙ্গা করার ব্যবস্থা করা হবে।
"সকল বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ" বাহ বেশ পিউর বাঙালিয়ানা, ভালই হতো মনে হয়। "বিজাতি" বলতে বাঙালি ছাড়া বাকি সব জাতি। এইটা হইলে সবচেয়ে বিপদে পরবে আপনাদের মত কাঠ মুল্লারা, ভেঙ্গে বললাম না মাথার ভিতর ঘিলো বলে কিছু থাকলে বুঝে নেওয়ার কথা।সংস্কৃতি শব্দের মানে যে জানে তার জানার কথা, কোন জাতির বা সমাজের সংস্কৃতি সদা পরিবর্তনশীল, জুজুর ভয়ে দরজা বন্ধ রেখে কোনো লাভ নাই। নিজ ধর্মের ইতিহাসের দিকে তাকান,ইসলামের স্বর্ণ যুগের তাকান, এই রকম মানসিকতা তখন ছিল না, থাকলে ইসলাম ধর্মের এই পরিবর্ধন সম্ভব হতো না।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:২৯
বাদল১৩১০ বলেছেন: "এই দায়িত্ব তাদের দেশের মানুষ দেয় নাই, দিয়েছে ইসলাম ১৪০০ বছর আগে"
একটু বুঝায়া বলেন প্লিজ ..
২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:১৯
আমি মেহমান বলেছেন: বাদল ভাই, হেফাজতে ইসলাম সম্পর্কে আপনার ধারনা যে খুবই সীমিত তা পরিস্কার। ওরা আসলে 'কাতলে জামাত' বুঝলেন!
তবে লেখাটি ভালই লেগেছে। আসল সমস্যা 'জনগনের প্রতিনিধি ক্ষমতালোভী সরকার' - ক্ষমতায় থাকার জন্য মনে হয় করতে পারেনা এমন কিছুই নেই পৃথিবীতে আর!!!
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৪০
বাদল১৩১০ বলেছেন: 'কাতলে জামাত' হইলে তো ভালই হয়, তবে তাদের দাবি-দাওয়া দেখলে তা মনে হয় না।
আর হাসিনা বুবুর ক্ষেমতা আর ইচ্ছা সম্পর্কে তো আমাদের সবারই জানা আছে।
ধন্যবাদ
৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:০১
নষ্ট ছেলে বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাইজান জামাত কোন দল না, তারা হইলো একটা প্রতিষ্ঠান, দে ডোন্ট গিভ এ ফাক এবাউট এনি লিডার্স, তাদের ধর্ম ব্যবসা ঠিক রাখতে পারলেই হয়। গু-আজম আর মেসিন মাানের মুক্তির চেয়ে তাদের নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাটাই এখন তাদের কাছে মূল বিষয়।
আপনার কথা অনুসারে যুদ্ধাপরাধীদের বাচানোর জন্য তো ঐ জামাত নামের প্রতিষ্ঠানের টু শব্দও করার কথা না। কিন্তু বাস্তব চিত্র হচ্ছে তাদের নেতাদের বাঁচানোর জন্য পুলিশের গুলি খেয়ে মরছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। বিদেশীদের দিয়ে লবিং করাচ্ছে। এত কিছু কেন করছে?
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৪৯
বাদল১৩১০ বলেছেন: প্রতিষ্ঠানের সমর্থক আর শুভানুধায়দের দেখানোর জন্য করতেছে, যে দেখ আমরা আমাদের লিডারদের প্রতি কতটা লয়াল। তাছাড়া ট্রেনিং দিয়া নতুন চুর-বাটপার বানানোর চেয়ে পুরাতন চুর-বাটপারদের কাজে লাগাতে পারাটা বেশি লাভজনক।
জামাত-শিবিরের কাজ নেতাদের মুক্তির দাবির নামে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরী করা আর হেফাজতে জামাতের কাজ আস্তিক নাস্তিক ত্যানা পেচায়া সরকার ও দেশবাসীকে অসস্তি তে ফেলা।
৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৫২
নষ্ট ছেলে বলেছেন: লেখক বলেছেন: প্রতিষ্ঠানের সমর্থক আর শুভানুধায়দের দেখানোর জন্য করতেছে, যে দেখ আমরা আমাদের লিডারদের প্রতি কতটা লয়াল। তাছাড়া ট্রেনিং দিয়া নতুন চুর-বাটপার বানানোর চেয়ে পুরাতন চুর-বাটপারদের কাজে লাগাতে পারাটা বেশি লাভজনক।
জামাত-শিবিরের কাজ নেতাদের মুক্তির দাবির নামে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরী করা আর হেফাজতে জামাতের কাজ আস্তিক নাস্তিক ত্যানা পেচায়া সরকার ও দেশবাসীকে অসস্তি তে ফেলা।
একেবারে সস্তা যুক্তি। আপনার সাথে তর্ক করে লাভ নাই। যান তালগাছ আপনার।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:০০
বাদল১৩১০ বলেছেন: জনাব আমি যুক্তি বিদ্যায় পারদর্শী না, ক্ষমা করবেন। তবে আমার এই ক্ষুদ্র মস্তিস্ক হেফাজতে জামাতের উদ্দেশ্য আচ করতে পারে ।আশাকরি, প্রাণ প্রিয় আহমদ সফির বক্তব্য শুনিয়াছেন।তাহার বক্তব্য শুনার পরও কি আপনার মনে কোন সন্দেহ আছে, হেফাজতে জামাত কোন লেভেলের আন্দোলন করে কার জন্য আন্দোলন করে ? কিউরিয়াস মাইন্ড ওয়ান্ট টো নো ....
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:০৭
ঢাকাইয়া০০৭ বলেছেন: বাংলাদেশে মানুষের ধর্ম আর তার ধর্মানুভূতির ধারক, বাহক, রক্ষক এবং প্রচারক এখন হেফাজতে ইসলাম নামের এক সংগঠন। জানি না এই দায়ত্ব তাদের দেশের মানুষ কবে দিল ।
**এই দায়িত্ব তাদের দেশের মানুষ দেয় নাই, দিয়েছে ইসলাম ১৪০০ বছর আগে।