![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যাপিত জীবনকে নিয়ে ভাবনার অনেক উপাদান আছে। তবে সবকিছু ভাবতে পারি না। ভাবার সুযোগ পেয়েও অনেক অনুষঙ্গ নিজ প্রয়োজনে এড়িয়ে গেছি। অনেক বিষয়ে পরে ভাবা যাবে বলে ঐ পরিচ্ছেদে আর কখনও যাওয়াই হয়নি। তবে বারংবার আমি প্রকৃতির কাছে ফিরে গেছি। তার কাছে শিখতে চেয়েছি। প্রকৃতিও শেখালো ঢের। তবুও হয়তো আমার প্রত্যাশা ও শিখনফলে আছে হতাশা । ইচ্ছা ও প্রাপ্তির খতিয়ান খুব একাকী মিলিয়ে দেখি-কত কিছুইতো হলো না দেখা, হলো না কত শেখার শুরু । তবুও প্রাপ্তি কি একেবারেই কম? মোটেই না। পেয়েছিও ঢের। মনে তাই প্রশ্ন জাগে, যেদিন আমি আবার নিঃশ্বেস হয়ে যাব সেদিন কি প্রকৃতিও আমার মতো একা হয়ে যাবে? এর জবাবও প্রকৃতির বিবৃতিতেই পেয়েছি-না, ক্ষুদ্র জীবনের আঁচর প্রকৃতিতে বেশিক্ষণ মূর্ত থাকে না। অন্যকথায় প্রকৃতির মধ্যে বিষণ্নতা বেশি দিন ভর করে থাকে না। তাই সে সহজ, তাই সে সমাদৃত! আমার বিবেচনায় একারণে প্রকৃতি সকল জীব ও জড়ের কাছে সবচেয়ে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
মায়া কে ভালোবাসতে না পারার দায়ে আমাকে কথা শুনতে হয়েছে অনেক
অনেকে মুখের উপর বলে বসেছে, লোকটা পাষাণ, দয়া মায়া নেই।
আমি তাদের অপবাদ মাথায় তুলে রেখেছি।
ব্যতিক্রমী এক অভ্র সকালে সফেদা গাছে বাসন্তী লটকন টিয়া
দেখে আমার খুব মায়া হলো।
সত্যি বলতে কি এতো সুন্দর পাখি আমি আর দেখিনি এ জনমে।
আমিও মুখ ফুটে বলে ফেললাম, এতো সুন্দর!
পাখিটি আমার মুগ্ধতা পান করে হাসলো।
গলা ছেড়ে বিশুদ্ধ স্বরলিপিতে রবীন্দ্র সংগীত গাইলো
মুর্খের মতো আমিও সুর মেলাতেই সে গম্ভীর মুখে উড়ে গেলো।
সে দিনই মায়া আমাকে চোরের মতো রশি দিয়ে বেঁধে ফেললো।
আমি তারপর যুগের পর যুগ সফেদা গাছটার নিচে অপেক্ষা করছি।
আমি জানি পাখিটার এতো দিন বাঁচবার কথা নয়, যুগ পর তার এখানে
ফিরে আসার কোন কারণই হয়তো নেই।
আমি যুক্তিতে জিতে যাই, তবে বিশ্বাসের কাছে হারি
পাখিটার ফেরার সম্ভবনা নেই জেনেও আমার অপেক্ষার শেষ হয় না।
মায়ার খড়গে বলিদান হয়ে সফেদা তলে নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মতো পড়ে থাকি।
২| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৬
বাগান বিলাস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ করিম কাকা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮
করিম কাকা বলেছেন: কিছু শব্দের মুগ্ধতা ছড়িয়ে গেলেন,