![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যাপিত জীবনকে নিয়ে ভাবনার অনেক উপাদান আছে। তবে সবকিছু ভাবতে পারি না। ভাবার সুযোগ পেয়েও অনেক অনুষঙ্গ নিজ প্রয়োজনে এড়িয়ে গেছি। অনেক বিষয়ে পরে ভাবা যাবে বলে ঐ পরিচ্ছেদে আর কখনও যাওয়াই হয়নি। তবে বারংবার আমি প্রকৃতির কাছে ফিরে গেছি। তার কাছে শিখতে চেয়েছি। প্রকৃতিও শেখালো ঢের। তবুও হয়তো আমার প্রত্যাশা ও শিখনফলে আছে হতাশা । ইচ্ছা ও প্রাপ্তির খতিয়ান খুব একাকী মিলিয়ে দেখি-কত কিছুইতো হলো না দেখা, হলো না কত শেখার শুরু । তবুও প্রাপ্তি কি একেবারেই কম? মোটেই না। পেয়েছিও ঢের। মনে তাই প্রশ্ন জাগে, যেদিন আমি আবার নিঃশ্বেস হয়ে যাব সেদিন কি প্রকৃতিও আমার মতো একা হয়ে যাবে? এর জবাবও প্রকৃতির বিবৃতিতেই পেয়েছি-না, ক্ষুদ্র জীবনের আঁচর প্রকৃতিতে বেশিক্ষণ মূর্ত থাকে না। অন্যকথায় প্রকৃতির মধ্যে বিষণ্নতা বেশি দিন ভর করে থাকে না। তাই সে সহজ, তাই সে সমাদৃত! আমার বিবেচনায় একারণে প্রকৃতি সকল জীব ও জড়ের কাছে সবচেয়ে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
শিশুরা দলবেঁধে বসে থাকে খেজুর তলে।
কখন আসবে পাখি, খেজুরের পাকা ঝোপায় বসবে-
আর সেই দুলনিতে গাছ থেকে ঝুপ করে খসে পড়বে
পাকা পাকা খেজুর।
খেজুর কুড়াতে কুড়াতে শিশুরা ভাবে
এমন ফকিরের জীবনের চেয়ে
তাদের পাখি হওয়া ভালো ছিল। পরমুখাপেক্ষী
হতে হতো না। অন্তত মনের মতো করে গাছে
বসে খেতে পারতো খেজুর।
এরপর আসে আমের সময়
শিশুরা বসে থাকে আমতলায়, ঝড়ের অপেক্ষায়।
একই আক্ষেপ নিয়ে তারা
ঝড় হতে মনোবাসনা পোষণ করে।
আসে বর্ষা।
তারা মেঘের জন্য অপেক্ষা করতে করতে
কোরাস ধরে, ‘আল্লা মেঘ দে, পানি দে’।
অজান্তেই তারা মেঘ হতে চায়।
এসব কিছুই হতে পারে না তারা।
ফল খেয়ে, জল খেয়ে অবশেষে তারা বড় হয়।
এখন তারা মানুষ হতে চায়।
ুব
২| ০২ রা জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪৬
বাগান বিলাস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রইলো অপনার প্রতি। শিশুদের মানুষ হতে হয়। এর জন্যও আমরা কতোই না অপেক্ষা করি!
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুন, ২০১৭ রাত ৮:১৮
ধ্রুবক আলো বলেছেন: কখন আসবে পাখি, খেজুরের পাকা ঝোপায় বসবে-
আর সেই দুলনিতে গাছ থেকে ঝুপ করে খসে পড়বে
পাকা পাকা খেজুর।
পুরোনো কথা মনে পরে গেলো, সুন্দর লিখেছেন। +