![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যাপিত জীবনকে নিয়ে ভাবনার অনেক উপাদান আছে। তবে সবকিছু ভাবতে পারি না। ভাবার সুযোগ পেয়েও অনেক অনুষঙ্গ নিজ প্রয়োজনে এড়িয়ে গেছি। অনেক বিষয়ে পরে ভাবা যাবে বলে ঐ পরিচ্ছেদে আর কখনও যাওয়াই হয়নি। তবে বারংবার আমি প্রকৃতির কাছে ফিরে গেছি। তার কাছে শিখতে চেয়েছি। প্রকৃতিও শেখালো ঢের। তবুও হয়তো আমার প্রত্যাশা ও শিখনফলে আছে হতাশা । ইচ্ছা ও প্রাপ্তির খতিয়ান খুব একাকী মিলিয়ে দেখি-কত কিছুইতো হলো না দেখা, হলো না কত শেখার শুরু । তবুও প্রাপ্তি কি একেবারেই কম? মোটেই না। পেয়েছিও ঢের। মনে তাই প্রশ্ন জাগে, যেদিন আমি আবার নিঃশ্বেস হয়ে যাব সেদিন কি প্রকৃতিও আমার মতো একা হয়ে যাবে? এর জবাবও প্রকৃতির বিবৃতিতেই পেয়েছি-না, ক্ষুদ্র জীবনের আঁচর প্রকৃতিতে বেশিক্ষণ মূর্ত থাকে না। অন্যকথায় প্রকৃতির মধ্যে বিষণ্নতা বেশি দিন ভর করে থাকে না। তাই সে সহজ, তাই সে সমাদৃত! আমার বিবেচনায় একারণে প্রকৃতি সকল জীব ও জড়ের কাছে সবচেয়ে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
আনন্দ সারাটা জীবন দুঃখ-কষ্টে তেলেভাজা পিঠার মতো
এফোঁড় ওফোঁড় হয়েছে। দুবছর বয়সে ওর মা মরল।
পাঁচে হঠাৎ সড়ক দুর্ঘটনায় চলে গেল বাবা।
এতিম আনন্দকে দেখার মতো ইহধামে আর কেউ থাকল না।
স্রোতে গড়ানো নামপত্তনহীন পাথরের মতো গড়াতে গড়াতে
শেষমেশ ওর ঠাঁই হলো চন্দন নগরে, রামদয়ালের আশ্রমে।
সেই সাধুও দু’হাজার আট সালে ভারতের কুম্ভ মেলায় গেল,
আর ফিরে এল না।
আনন্দ যেন জীবনে যে ডাল ধরেছে সে ডালই ভেঙ্গে পড়েছে।
ডাল ভাঙতে ভাঙতে আনন্দ’র অভিশপ্ত পৃথিবী
মরুভূমির নিষ্পত্র বৃক্ষে পরিণত হয়েছে।
আঠাশ বছর অশ্রুর অববাহিকায় বসবাস করতে করতে
আনন্দ এখন পরীক্ষিত নিরানন্দের উপত্যকা। এখন সে জীবনের
মর্ম খুঁজতে বাউলের বেশ ধরেছে। সাধক ফকিরের মতো কাঁধ
বরাবর জটা চুল, লম্বা দাড়ি, গায়ে কাটা থানের সফেদ বসন,
গলায় রুদ্রাক্ষমালা। নিমকাঠের দোতারা বাজিয়ে পথে পথে
গান করে। কেউ তাকে বলে সাধু, কেউ বলে ভিখারি।
আনন্দ’র তাতে ন্যূনতম ভ্রূক্ষেপ নেই।
আনন্দ এখন যে কোনো নারীকে দেখলে ডাকে-মা।
আর পুরুষকে বলে-বাবা। সবাই ভাবে, এটা সাধুর বোল।
আদতে কাদামাটিতে বেড়ে ওঠা আনন্দ যেন মৃত্তিকার কাছেই
চূড়ান্ত অর্বাচীন। আনন্দ তাই মাটি দেখলেই খামচে ধরে,
ওখানে ওর অপাংক্তেয় শেকড়টাকে হন্যে হয়ে খোঁজে।
আনন্দকে কেউ আনন্দ নামে ডাকলে তার দিকে পুকুরের
শান্ত জলের মতো অপলক তাকিয়ে থাকে, জবাব দেয় না।
আনন্দকে কেউ আনন্দ নামে ডাকলে আনন্দ’র চোখের কোণে
ভেসে ওঠে সার্বভৌমহীন মেঘের মতো এক পরাজিত ঈশ্বর।
ছবি ঋণ: গুগল।
২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:২৪
বাগান বিলাস বলেছেন: কৃতজ্ঞতা আপনাকে। আনন্দ আনন্দময় হোক। মানুষের জীবন সুখময় হোক।
২| ২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৪১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আনন্দের নামের প্রভাব তার জীবনে পরেনি।
২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:০৭
বাগান বিলাস বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। যথাযথ মূল্যায়ণ। এই আনন্দ চরিত্রের এটাই ট্রাজেডি। ভালো থাকুন।
৩| ২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৫৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দর কবিতা লিখেছেন।
২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:০৮
বাগান বিলাস বলেছেন: কৃতজ্ঞতা আপনাকে। বর্ষার একগুচ্ছ কদম ফুলের শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন।
৪| ২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য।
২৫ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:৩৪
বাগান বিলাস বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা নিরন্তর।
৫| ২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৫৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কবিতার কিছু যে বুঝতে পেরেছি এতেই আমি আনন্দিত। কারণ আমি কবিতা ভালো বুঝি না।
২৫ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:৩৩
বাগান বিলাস বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। তবে আপনার অনুভূতির প্রকাশটি আমার কাছে স্পষ্ট নয়। ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:২১
রাজীব নুর বলেছেন: অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর কবিতা পাঠ করলাম।