![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যাপিত জীবনকে নিয়ে ভাবনার অনেক উপাদান আছে। তবে সবকিছু ভাবতে পারি না। ভাবার সুযোগ পেয়েও অনেক অনুষঙ্গ নিজ প্রয়োজনে এড়িয়ে গেছি। অনেক বিষয়ে পরে ভাবা যাবে বলে ঐ পরিচ্ছেদে আর কখনও যাওয়াই হয়নি। তবে বারংবার আমি প্রকৃতির কাছে ফিরে গেছি। তার কাছে শিখতে চেয়েছি। প্রকৃতিও শেখালো ঢের। তবুও হয়তো আমার প্রত্যাশা ও শিখনফলে আছে হতাশা । ইচ্ছা ও প্রাপ্তির খতিয়ান খুব একাকী মিলিয়ে দেখি-কত কিছুইতো হলো না দেখা, হলো না কত শেখার শুরু । তবুও প্রাপ্তি কি একেবারেই কম? মোটেই না। পেয়েছিও ঢের। মনে তাই প্রশ্ন জাগে, যেদিন আমি আবার নিঃশ্বেস হয়ে যাব সেদিন কি প্রকৃতিও আমার মতো একা হয়ে যাবে? এর জবাবও প্রকৃতির বিবৃতিতেই পেয়েছি-না, ক্ষুদ্র জীবনের আঁচর প্রকৃতিতে বেশিক্ষণ মূর্ত থাকে না। অন্যকথায় প্রকৃতির মধ্যে বিষণ্নতা বেশি দিন ভর করে থাকে না। তাই সে সহজ, তাই সে সমাদৃত! আমার বিবেচনায় একারণে প্রকৃতি সকল জীব ও জড়ের কাছে সবচেয়ে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
জন্ম নিয়ন্ত্রনের পক্ষে বিপক্ষে আমর কোনো বক্তব্য নেই।
আপনাদের সামনে আজ আমি বরং জন্ম বিবর্তণ নিয়ে কথা বলি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে, অন্তত
এর ওর মুখে খানিক শুনেছেন অনুমান করে...
আমি সূচি শিল্পীর মতো দুই শতক কে জোড়া দিয়ে তৈরি করেছি
স্মৃতিময় সময়ের রুমাল।
সেকালের নকশীকাঁথার চেয়ে কম ফোঁড় নেই এখানে।
না দেখলে ঠিক বুঝানো কষ্টকর, কতো শতো কথার ডকুমেন্ট্রি ওটা।
আমার রুমালটা মাঝে...
আমি সময়কে তল্পিবাহকের মতো
বয়ে নিয়ে চলেছি মরুভূমি থেকে মরুদ্যানে ।
তথাপি নাফরমান সময় হয়নি আপন আমার
থেকেছে আসমান তফাতে।
(মুক্তিযুদ্ধ ক্ষেত্রে একুশে পদক প্রাপ্ত অধ্যাপক মজিবর রহমান দেবদাস। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় যাকে উপাধি দিয়েছিলেন ‘জীবন্ত শহীদ বুদ্ধিজীবী’। আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।)
মধ্যরাত হয়েছে। শিশির ভেজা গ্রামীণ...
হাঁটতে হাঁটতে আমি আমার কাছ থেকে ক্রমাগত সরে গেছি।
আমার কাছে ফিরবো বলে কসম করেও সে কথা রাখতে পারিনি
চলে গেছি ভারত মহাসাগরে ।
যাত্রাপথে পখ ভুলে আমি কখনো তলিয়ে গেছি চালতা ফুলের...
ফিদেল ক্যাস্ট্রো কে একটি রাষ্ট্র ৬৩০ বার হত্যার চেষ্টা করে।
পত্রিকার এই শিরোনামের দিকে আমি তাকিয়ে থাকি।
আমার চোখ বলে এটাই সঠিক, আমি বলি, না। এ কী করে হয়!
হয়তো কিছু...
আমি রৌদ্রে হাত বিছিয়ে দেই।
রৌদ্রর সোনালী মুখ আমার হাতে আয়না পেতে
গণক টিয়ার মতো হাত পড়ে দিক।
আমি জলের গভীরে শরীর বাঁকিয়ে ধরি।
সচেতন পরদারিকের মতো খুব সঙ্গোপনে রপ্ত করি ধনু বিদ্যা
এবার...
ভালোবাসার শীতলতায় তোমার চোখে
সৃষ্টি হয়েছে কষ্ট গলা বরফের উপ-নদী
সারা রাত ঘুরে ঘুরে, ঘুরে ঘুরে আমি সেই
তরল প্যাসেজে মদ্যপ নাগরিক।
তোমার সঙ্গে আমার শেষ দেখা হয়েছিলো লাশ ঘরে।
সারি সারি লাশবাহী কফিন গুলোকে ঘিরে ছিল
স্বজনের ভিড়। আর তাদের চোখেমুখে লেপ্টে
ছিলো কাকের পালকের মতো কালো শোক।
আমি ইতিউতি তোমাকে খুজি,
তোমার...
আমি আমার পাপিষ্ঠ ছায়া কে দস্তানার মতো শরীর থেকে খুলে ফেলেছি ।
এখন আমি ছায়াহীন আলপনার মতো বিচরণ করি বেশ্যালয়ে।
এখানে ছায়াময়ীরা কিভাবে বসন্ত বিকালে চায়ের কাপে চুমুক দেয়, সোনালু ফুলে সুখ...
ছয় এপ্রিল ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ।
সেই পাখিদের সাথে আমার দূর সম্পর্কেরও পরিচয় ছিলো না।
কুষ্টিয়ার ধলনগরের অভয়াশ্রমে নিহত পাখিদের কোন হিসেবই রাখতাম না
যদি না সেখানে এদিন বৈশাখী ঝড়ের সহগামী পাপিষ্ট শিলা আমার প্রেমিকা...
ছয় এপ্রিল ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ।
সেই পাখিদের সাথে আমার দূর সম্পর্কেরও পরিচয় ছিলো না।
কুষ্টিয়ার ধলনগরের অভয়াশ্রমে নিহত পাখিদের কোন হিসেবই রাখতাম না
যদি না সেখানে এদিন বৈশাখী ঝড়ের সহগামী পাপিষ্ট শিলা আমার...
কীভাবে এতোটা সময় আমাকে আমার কাছে থাকতে হবে ভাবতেই পারি না।
রাজপথের কংক্রিটে, পিচের উদরে, কাভার্ড ভ্যানের চাকায় পিষে
অহরহ মরতে দেখেছি সোনালু, কৃষ্ণচূঁড়া ও বৃক্ষের অনাথ পাতা কে
ওদের রক্তে আজ যত্রতত্র...
রাস্তার পাশে বসে থাকা লোকটার সামনে
বেশ কিছু থালা উন্মুক্ত ছিলো, প্রথম দেখায়
ভাবলাম লোকটি বোধহয় ভিক্ষুক। তারপর ভাবি
এক ভিক্ষুকের এতো থালা? কে দিলো কোন
থালায় খয়রাত তার হিসেব কি আলাদা...
আমার হাতের তৃষ্ণার্ত যাত্রায় তোমার খোপা
থেকে ছিড়ে পড়ালো ভালোবাসার শিউলি মালা।
তুমি লজ্জায় শামুকের খোলসে লুকিয়ে গেলে।
আমি বিশ্ব নেতার মতো তৎক্ষণাত ঘোষণা
দিলাম- বেওয়ারিশ প্রতিটি শিউলি কুড়িয়ে
তোমাকে পুনরায় চমৎকার মালা...
©somewhere in net ltd.