নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

undefined

জাহাজী পোলা

বন্দর থেকে বন্দরে.. দেশ হতে দেশে... আমি ছুটে বেড়াই.........

জাহাজী পোলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রামপাল - কয়লা পরিবহণ ঝুঁকি, জাহাজীদের কাঁঠাল, গোঁফ আর তেল

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:০১

বাংলাদেশী মেরিনাররা একটা কঠিন সময় পার করছি। মেরিনাররা দেশের প্রতিনিধি সাগরে, বন্দরে, বাহিরের দেশে। কিন্তু আমাদের দেশের ভাবমূর্তি আর অথর্ব পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অনাগ্রহের ফলে ভিসা নাই, চাকুরীর সুযোগ কমে গেছে আমাদের। অবস্থা যখন এই, তখন গাছের কাঁঠালের মতো রামপাল এসে হাজির!
রামপালে মেরিনারদের কয়লা পরিবহণ ব্যাপারটায় ইন্টারেস্ট বেশি। তাই পরিবহণের কাঁঠাল দেখে অনেকেই গোঁফে তা দিচ্ছি।

উইকিতে লিখসে, রামপালে প্রতি বছর 4.72 মিলয়ন টন কয়লা আমদানী করতে হবে। বিশাল এমাউন্ট কিন্তু এইটা। কয়লা দেশের বাইরে থেকে আসবে মার্চেন্ট শিপে করে। বাল্ক ক্যারিয়ার শিপ। এইটা শুনে দেশের অনেক জাহাজীরা খুব হ্যাপী!!

কারন, স্বাভাবিক হিসেব মতে নিজেদের প্লান্টের কয়লা নিজেদের শিপ দিয়ে আনলে খরচ অনেক কম পড়বে। তাই, অনেকেই আশা করে আছেন, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন এত্তোগুলো জাহাজ কিনবে। তারপর নিজেদের কয়লা নিজেদের জাহাজ এবং জাহাজীরাই বহন করবে। কি মজা!! চাকুরীটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো!

উইকি আরও লিখসে, প্রতিটা ৮0,000 হাজার টনের মার্চেন্ট শিপ হিসেবে প্রতিবছর 59 টা জাহাজ মংলা পোর্টে আসবে! ওয়াও! জাস্ট ওয়াও!!

একজন জাহাজী হিসেবে এর চে খুশির সংবাদ আর কি হতে পারে!


অবশ্য ৮0,000 টনের জাহাজ বাংলাদেশে কারও আছে বলে জানা নাই। যেগুলো আছে সেগুলো সাধারণত 40,000-55,000 টনের জাহাজ। তাই 59 জাহাজ কয়লাতেও পোষাবে বলে মনে হয় না। সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলেই আমার বিশ্বাস। তাছাড়া মংলায় আশি হাজার টনের জাহাজের ড্রাফটও নাই। সেই সাগরে এংকর করে ডিসচার্জ করতে হবে। তারপর যদি ড্রাফট কমিয়ে মংলার ভেতরে আসতে পারে। (মেরিনাররা, মংলার আউটারে কিন্তু মোবাইল নেটওয়ার্ক নাই, মনে রাইখ। � )


কিন্তু ভয় হইলো, সরকার আর বি এস সি কে নিয়ে। তারা আসলে এই বিপুল পরিমান কয়লা কিভাবে আনাবে তা পরিষ্কার করে নাই। শুনেছি Bangladesh Shipping Co. কিছু জাহাজ কেনার বাজেট পাশ করিয়ে ফেলেছে। তবে আমার সন্দ লাগে, রামপালের অসম চুক্তির মতো কিছু জাহাজ দাদাদের থেকে আনবে চার্টারে। সেক্ষেত্রে আমাদের মেরিনারদের সাথে প্রচন্ড অবিচার করা হবে। শুধু এই রামপাল প্রজেক্টের জাহাজগুলোতেই চকুরি করে দেশের মেরিনারদের বেকারত্ব 50% কমিয়ে ফেলা সম্ভব।


উপরের অংশটুকু মার্চেন্ট মেরিনারদের জন্য। তাদের কাঁঠাল।


নিচের অংশটুকু সাধারণ মানুষের জন্য।


আমরা জাহাজীরা অন্য দেশ থেকে কয়লা এনে মংলা পর্যন্ত এনে পৌঁছে দিলাম। এবার জাহাজ থেকে প্ল্যান্ট পর্যন্ত 40 কিলোমিটার নদী পথে কিভাবে কয়লা যাবে?


- পিচ্চি পিচ্চি লাইটার জাহাজে করে।


আমরা আউটারে মাদার ভেসেল নিয়ে এংকর করবো আর লাইটার শিপ আমাদের পাশে ভিড়ে এংকর করবে। জাহাজের ক্রেন দিয়ে লাইটারে কয়লা দেওয়া হবে, সেই লাইটার পশুর নদী দিয়ে রামপালে কয়লা নিয়ে যাবে।


এখন কয়লা পরিবহনের এই পর্যায়ে এসে সবচাইতে বড় ঝুঁকি জড়িতে যা সুদরবনের ডাইরেক্ট ক্ষতি করতে পারে।

1. 4.72 মিলিয়ন টন কয়লা যাবে প্রতিবছর মাদার ভেসেল থেকে প্ল্যান্টে। গড়ে লাইটারের ক্যাপাসিটি 500-1500 টন হয়। বুঝার জন্য 1000 টনের হিসেবে 4,720 ট্রিপ লাইটার যাওয়া আসা করবে মাদার ভেসেল টু রামপাল!


এখন, আসেন লাইটার শিপগুলো নিয়ে ধারনা দেই। কম বেশি সবাই লাইটার শিপ দেখসেন, অভ্যন্তরীণ নদীতে পন্য পরিবহন করে তারা। দেশীয় লোকজন সেগুলে চালায়।


এতোগুলো নতুন লাইটার নিশ্চয়ই কিনবে না, যেগুলো আছে সেগুলো দিয়েই পরিবহণ করবে। ঘটনা যেটা সেটা হলো, লোকালবাসের মত কাগজে কলমে তাদের ফিটনেস সার্টিফিকেট থাকলেও তাদের বেশিরভাগই ফিটনেস বিহীন। তাছাড়া নৌপরিবহন অধিদপ্তরের যে ইঞ্জিনিয়ার ফিটনেস সার্টিফিকেট দেন তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে জাহাজ পরিদর্শন না করেই টাকার বিনিময়ে ফিটনেস সার্টিফিকেট ইস্যু করার।


উদা - 2012 তে শরীয়তপুর 1 নামের লঞ্চটা ডুবে 147 জন যাত্রী নিহত হন, 2015/16 তে এসে সেইটা আবার যাত্রী পরিবহণ করার সার্টিফিকেট পাইসে- যাত্রীদের প্রাণের মায়া না করে যে সার্ভেয়র লঞ্চের ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয় সে লাইটারের তলা আর ইঞ্জিন চললেই সার্টিফিকেট দিয়া দিবে, সুন্দরবনের মায়া করবে কচুটা।


লিংক- http://goo.gl/Pf6uX8

2- লাইটার জাহাজের ইঞ্জিন বিকট শব্দ করে, মনে হবে হাজারটা মেশিনগান একসাথে গুলি ছুঁড়তেসে, ঠ্যাঠ্যাঠা।
যারা দেখসেন তারা জানেন। বিকট শব্দে সুন্দরবনের অভ্যন্তরীণ শান্ত পরিবেশ নষ্ট হবে।


3- বাংলাদেশি লাইটার ফিটনেসের অভাবে কদিন পর পর ডুবে যায়। কদিন আগেই সুন্দরবনে তেলবাহী টেংকার ডুবসে। যে পরিমাণ জাহাজ যাতায়াত করবে সুন্দর বনের ভেতর দিয়ে তাতে প্রতিবছর যে কয়টা করে লাইটার ডুববে তা চিন্তার বিষয়। ডুববে এইটা শিউর।
কে জানি কইসিলো, কয়লা পানি পরিষ্কার করবে। বোকচোদ, সুন্দরবনের পানি এমনিতেই অনেক পরিষ্কার, কয়লার জাহাজ ডুবাইয়া পরিষ্কার করার কোন প্রয়োজন নাই।


তাছাড়া লাইটারে জ্বালানি তেল থাকে। লাইটার ডুবলে সে তেল বেরিয়ে পড়ার আশংকাও আছে।

4- বাংলাদেশের পানিতে আইন কানুন খুব ঢিলে, পতেংগায় এক পাশে নেভাল একাডেমী, কোষ্টগার্ডে, বনৌজা ঈশাখাঁ। তারপরেও সেইখানে লাইটার শিপগুলো কোনকিছুর তোয়াক্কা করে না। তেলবাহী লাইটারগুলো দিনে দুপুরে কার্গোহোল্ড ধুয়ে তেল ফেলে সাগরে। কোন মনিটরিং নাই কিসুই নাই।


2011 সালে সামুতে এইটা নিয়া একটা প্রমাণভিত্তিক লেখা আছে, স্টিকিপোস্ট, চাইলে দেখে আসতে পারেন।


লিংক- http://goo.gl/nnzmt8
সুন্দরবনেও এরকম হবে আশা করি। আমরা এখনো এতো সভ্য হই নাই।


5- লাইটারের ইঞ্জিনরুমে বিলজ জমবে- ইঞ্জিনরুমের বিলজ মানে মেশিনারিজের তেল মিশ্রিত পানি। এই পানি কোনভাবেই অভ্যন্তরীণ পানিতে ফেলার নিয়ম নাই। লাইটারগুলো সেগুলোর তোয়াক্কা করলে তো! বাংলাদেশের লাইটার সেগুলো সুন্দরমতো ফেলে দিচ্ছে নদীতে। পশুর নদীর নাম হবে কালা পশুর।

6- লাইটারে সুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নাই, লাইটারের লোকজনের হাগুমুতু সোজা পানিতে। যারা নদীতে গোসল করেন তাদের এগুলো দেখার কথা। �


আমি জাহাজী দৃষ্টিতে রামপালের কয়লা পরিবহণে আপাতত এই ঝুঁকিগুলো পেলাম।


আসলে পুরো রামপালটাই একটা নিশ্চিত ধ্বংশ, সুন্দরবন অবশ্যই ধ্বংশ হবে, আবুল মাল মুহিতও সেটা স্বীকার করেছেন।
আর আনু সাহেব যেরকম রামপাল চাই না আন্দোলন একা একা করতে চান তাতে ষড়যন্ত্রের পালের গোদা তাকেই মনে হয়। সেই পুরুনো কথাটাই তার জন্য প্রযোজ্য- বাংগালি একাই একশ হতে পারে কিন্তু একশ বাংগালি এক হতে পারে না ব্লা ব্লা ব্লা।


কিন্তু আমার মনে হয় না কেউ আওয়ামীলীগকে রামপাল থেকে বিরত রাখতে পারবে। আনু সাহেবও সুন্দরবনের সাথে পলিটিক্স করে ফেললেন, আওয়ামীলীগের কঠোর মনোভাবের কাছে দেশের মানুষের চাওয়ার পরাজিত ঘটবে মনে হয়।


রামপাল যদি হয়েই যায় আর আমি যদি কখনো রামপালের কয়লাবাহী জাহাজে চাকুরী করি তাহলে জাহাজের ব্রিজে শুয়ে স্মোকবাথ করবো। আমার মতো কাল চামড়ার কেউ জাহাজে বেড়াতে আসতে চাইলে দাওয়াত থাকলো। মিলেমিশে স্মোকবাথ করা যাবে আর আপনার জাহাজও দেখা হবে।


গোঁফে তেলটা কি বেশি বেশি হয়ে গেল?


আর যদি আমরা পারি রামপালকে ঠেকিয়ে দিতে, এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে পারি ফিরিয়ে আনতে তাহলে সুন্দরবন বেঁচে যাবে, বাঘমামারা বেঁচে যাবে, আরও অনেক কিছুই হবে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমরা সুন্দরবনকে হস্তান্তর করে যেতে পারবো অক্ষত অবস্থায়।


আমরা মেরিনাররাও কাঁঠালের কথা ভুলে যাব, গোঁফের তেল ধুয়ে শেইভ করে ফেলবো খুশি মনে, আমরা আফসোস করবো না চাকুরী নিয়ে। সমুদ্র অনেক বিশাল। জাহাজীদের মনটাও তাই!

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:১১

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

সমুদ্র অনেক বিশাল। জাহাজীদের মনটাও তাই! - অনেক ভাল লাগল।

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯

মহা সমন্বয় বলেছেন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি আমরা ঠেকিয়ে দিতে না পারি তাহলে আমরা ব্যার্থ জনগণ।

৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২

শ্রাবণধারা বলেছেন: চমৎকার তথ্যবহুল পোস্ট । আমি মোটামুটি নিশ্চিৎ ড্রাইবাল্ক জাহাজের ব্যবসাটা ইন্ডিয়ানরা পাবে, বিসিবি'র পাবার কোন সম্ভাবনাই নেই । দাদারা যখন মাঠে নামছে তখন আটঘাট বেধেই নামছে । যটদূর জানি বিসিবির যে জাহাজগুলো আছে এগুলো অনেক ছোট ড্রাইবাল্ক - কয়লা পরিবহনের জন্য সুয়েজম্যাক্স সাইজের বড় জাহাজ লাগবে । আমি আরও নিশ্চিৎ এই জাহাজগুলো দাদাদের শীপইয়ার্ডেই তৈরী হবে । একে তো আমাদের দেশপ্রেম নাই, তার উপর যোগ্যতাও নাই । এত বড় প্রজেক্টে বিসিবি'র মত কোম্পানী কাজ পাওয়া দূরের কথা ঠিক পাত্তাই পাবে বলে মনে হয় না ।

আপনার পোস্টের শেষের লাইন গুলো খুবই ভাল লাগলো " আমরা আফসোস করবো না চাকুরী নিয়ে। সমুদ্র অনেক বিশাল। জাহাজীদের মনটাও তাই! " জাহাজীরা ভাল থাকুক । বেঁচে থাকুক সুন্দরবন ।

৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: Bangladesh Shipping Corporation = BSC । বিএসসি হবে বিসিবি নয় ।

৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যারা বোঝার তারা বোঝে
যারা শোনার তারা শোনে
যারা বলার তারা বলে

কেবলই স্বার্থটুকুকেই ধরে !! দেশ, সুন্দরবন, পরিবেশ, মানুষ...হুহ.. তাদের ভাবার সময় কই?????????????????

+++++++++++++++++++

৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:২৯

অশ্রুকারিগর বলেছেন: জাহাজী ভাই, অনেকদিন পরে আসলেন। ফেসবুকে নোট পড়েছিলাম এখানে এসে কমেন্ট করে গেলাম।

পোস্টের কন্টেন্টের ব্যাপারে আর কিছু বলার নাই। সকল এঙ্গেল থেকেই রামপালের ব্যাপারে একটাই মন্তব্য "নো টু রামপাল"।

৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১৭

বিলুনী বলেছেন: প্রথম কথা হলো মেরিনারদের বেকারত্ব ও ভিসা সমস্যার দায় পররাস্ট মন্ত্রনালয়ের উপরে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে তা ঠিক নয় । নীচে স্বব্যাখাত লিখাটি দেখে নিন তাহলে নিজেই বুঝতে পারবেন । অনেক মেরিনারদের সার্টিফিকেট ফরজারী ও অবৈধভাবে পোর্ট থেকে উধাও হয়ে যাওয়ার কারণে নীজেদের রিপোটেশন নস্ট করেছেন সমন্বপনদব নিজেরাই এর জন্য পররাস্ট মন্ত্রনালয় দায়ী হয় কি ভাবে পররাস্ট মন্রনালয়ের দায়িত্ব কি মেরিনারদেরকে সার্টিফিকেট ফরজারী ও পোর্ট হতে জাহাজ ছেড়ে পলায়ন পুর্বক উধাও হয়ে যাওয়াতে সহায়তা করা !!!! আর এ কারনে দেশের পররাস্ট মন্ত্রনালয়ের মত একটা মন্ত্রনালয়কে অনিহার অযুহাতে অথর্ব পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় হিসাবে অবিহিত করা কতটা যুক্তি সংঘত তা ভেবে দেখার অবকাশ আছে । তবে বলা যায় তারা অথর্ব এই হিসাবে যে কেও তাদেরকে দায়ী করলেও তাদের মধ্যে কেহ নাই যে তা দেখে ।

Bangladeshi mariners fall behind in global race
FM Mizanur Rahaman, Chittagong
http://archive.dhakatribune.com/bangladesh/2014/nov/22/bangladeshi-mariners-fall-behind-global-race

Cadets say there are several reasons behind this including visa-related complications and a deterioration of reputation because of certificate forgery by some dishonest Bangladeshis
Bangladeshi seamen and ex-marine cadets have in recent times been finding it hard to compete in the international shipping sector as they slide down the preference list of recruiters.
Cadets say there are several reasons behind this including visa-related complications and a deterioration of reputation because of certificate forgery by some dishonest Bangladeshis.
There have also been instances where Bangladeshi mariners have illegally stayed back in foreign countries during shipping transit
- See more at: Click This Link

দ্বিতীয়ত: মাদার ভেসেল জাহজ কতটি লাগবে তার হিসাবটা একটু দেখুন নীচে ।
হিসাবের ভিত্তি পোস্ট লিখকের মুল তথ্য তথা কয়লা পরিবহনের বাৎসরিক পরিমাণ ৪.৪৭ মিলিয়ন টন ও মাদার ভেসেলে পরিবহন ক্ষমতা ৮০০০০ টন ধরে নিয়ে । এবার সরল অংকের হিসাবটা দেখুন
৪.৭২ মিলিয়ন টন = ৪৭২০০০০ টন
৮০ ০০০ ক্যাপাসিটিন জাহাজের জন্য এই কয়লা পরিবহনে প্রয়োজন হবে
৪৭২০০০০/৮০০০০ টন = ৫৯ টি ট্রিপের
কয়লার মাসিক চাহিদার ভিত্তিতে প্রয়োজন হবে মাসে ৫ টি ট্রিপের । যা ৮০০০০ টনের ৫ টি জাহাজের জন্যই যথেস্ট . প্রতি বছর ৫ টি জাহাজ আসবে ৫৯ বার ।

মোট কথা কয়লা পরিবহনের জন্য ৫৯ টি জাহাজ লাগবেনা কোন মতেই ।

আর এ লক্ষে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ইতিমধ্যে চায়নীজ সরকারের আর্থিক সহায়তায় প্রতিটি ৪০০০০ টনের ৬ টি নতুন জাহাজ সংগ্রহের কাজ শুরু করে দিয়েছে ( যা নীচে ইংরেজী অংশে তুলে ধরা হয়েছে ) । প্রয়োজনে আরো জাহাজ সংগ্রহনের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা যাবে । তাই এ লক্ষে দাদাদের বিশেষ প্রয়োজন পড়বেনা বলেই ধরে নেয়া যায় । এটা মুলত প্রতিবেশী দেশ নিয়ে একটি বিদ্বেশপুর্ণ কথা । তাছাড়া ভাড়া নিতে হলে কোন না কোন দেশ হতেতো নিতে হবে , তারা কি তখন এটা ফ্রি দিবে নাকি । এ নিয়ে এত উদ্বিগ্ন হ ওয়ার কি আছে ।

লাইটারেজ জাহাজের হিসাবের বেলাতেও একটু কেলকুলেশন দেখালে এমনি বিভ্রান্তিকর অবস্থা চলে আসবে ।


The government has greenlighted the purchase of six new ships with Chinese funding for Bangladesh Shipping Corporation (BSC).
The Cabinet Committee on Economic Affairs at a meeting chaired by Finance Minister AMA Muhith on Monday also gave the go-ahead to sign the final commercial agreement with two firms to build the National Data Centre with the funding from China's Exim Bank.

Cabinet Division Joint Secretary Mostafizur Rahman after the meeting told reporters that the ships for BSC would be bought under the 'direct purchase system'.

The Chinese government will bear the total Tk 14.39 billion cost of the ships, each of which will be capable of carrying 40,000 metric tonnes of goods.

http://bdnews24.com/economy/2015/01/26/bangladesh-shipping-corporation-to-buy-six-new-ships

অতএব কয়লা পরিবহনের জন্য যে ভীতিকর তথ্য এ পোস্টে মাননীয় লিখক উপস্থাপন করেছেন সে বিষয়ে উনাকে বলার কিছু নেই উনার কাজ উনি করেছেন ।

তবে সুন্দর বন হতে বিদ্যুত কেন্দ্র নিরাপদ দুরত্বে সরিয়ে নেয়া হোক সেটা চাই । আর এ জন্য সাগর আর জাহাজের দোহাই দেয়ার প্রয়োজন নাই । বনের দোহাই দেয়াই যথেস্ট ।

৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৬

অদৃশ্য বলেছেন:



মনে হয়না এই প্রোজেক্ট কেউ ঠেকাইতে পারবে... আমার মনে হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষেও এখন এটা ঠেকানো সম্ভব না... আর পাবলিক, কে ভাই মরিতে চায় অকালে...

শুভকামনা...

৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০১

ইফতি সৌরভ বলেছেন: ধন্যবাদ "জাহাজী পোলা"। মেরিনারদের হয়ে লেখার জন্য ।

Comment করার ইচ্ছা ছিল না তবে একজনের comment দেখে আর থাকতে পারলাম না!
"বিলুনী" - আপনি কি একই সাথে পরিবেশবিদ & মেরিনার?
আপনি কি জানেন, marine academy কোথায়? এই খানে কি হয়?
জাল certificates নিয়ে যারা বাইরে যাচ্ছে তারা যেতে পারছে কারণ প্রশাসন তথা সরকারের ব্যর্থতায়। তাদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা সরকার নেয় না কারণ এখানে কোটি টাকার দুর্নীতি চলে মন্ত্রী -আমলা সহ। আপনি কি জানেন, বাংলাদেশি মেরিনারদের সুনাম worldwide (those r fm marine academy, Chittagong ) এবং এ একাডেমির x-cadet দের কারণেই আজ private academy গুলো ব্যবসা করে চলেছে। middle east সহ বিভিন্ন দেশের ভিসা সমস্যা কারণে ভালো companies গুলো ইচ্ছা থাকা সত্বেও বাংলাদেশ থেকে recruit করতে পারছে না কারণ sign on & sign off। আপনি তো অনেক কিছু জানেন, বলেন তো , এ দুই শব্দের মানে কি?

আপনি কি জানেন, draft কি? 80,0000 GRT জাহাজের draft কত হবে - any idea? 80,000 GRT জাহাজ কোথায় Anchor করতে পারবে & তা কত দূরে হবে "হাড়বাড়িয়া anchorage" থেকে - তা জানেন?

BSC সম্পর্কে কি জানেন? একটু IDEA থাকলে BSC নিয়ে বাজি ধরতেন না! Just one question : 'সাইদুল্লাহ' কি - জানেন?
জাহাজ আর লাইটার জাহাজ এর পার্থক্য বুঝেন? নেভী, coast guard এর সামর্থ্য কতটুকু - any practical idea? MARPOL বুঝেন? Bangladesh এ এর প্রভাব?

......... .... .....

আপনার কাছে 'বাল' এর sewage পবিত্র হতেই পারে - কিন্তু সবাইকে তা জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা বৃথা। anyway লাইটার জাহাজের sewage treatment কতটুকু - any practical idea / knowledge?

বকবকবক করলেই চিন্তাবিদ হয় না, পাগলও সারা দিন তা করে

১০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ পোস্ট এর জন্য
আসলেই যে ভাবেই দেখি সব ভাবেই
নো রামপাল।

১১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১৭

ব্লগারনির্ভীক বলেছেন: আসুন রামপাল মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.