![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক স্মৃতি, অনেক ভালবাসা, অনেক আনন্দ,অনেক বিস্ময়ের সাথে শেষ হয়ে গেলো বহুল প্রত্যাসিত "RAG DAY".উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছিল মাঝরাতে সব বন্ধু ভাসল ভালবাসার (actually বালতি ভরতি ট্যপের)জলে,কথা একটাই,হয় তোকে ভিজতে হবে, নয়তো তোর রুম ভেসে যাবে,রুম আর PC র ভয়ে বন্ধুকে ভিজতেই হল, তারপর সারারাত ধরে আলপনা আঁকা,ব্যচের নাম আর আলপনা আকতে আকতে সকাল হয়ে গেল, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রঙখেলা যার ফলে সবাই হয়ে গেল "AVATAR" r new edition,অনেক কস্ট করে চিনতে হয়েছে খুব কাছের বন্ধুদের,তারপর ঢাকের বাজনায় উন্মাতাল নাচের সাথে কাম্পাস ঘুরে শোভাযাত্রা, শিরোনামহীনের সুরের জাদু......জানি,সব বন্ধুদের নিয়ে এমন করে আর কোনদিনই রঙ খেলা হবে না,মাঝরাতে বন্ধু এসে বলবে না," একটু ভিজলে কিছছু হবে না",অথবা সারা রাত ধরে দেয়ালে দেয়ালে ব্যচের নাম লেখা হবে না্.....................
০৮ এর ট্যাগ লাইন : অসম্ভব কে সম্ভব করাই অষ্টক ০৮ এর কাজ ।
শিরোনামহীন কে রুয়েটে আনব এইটা অসম্ভবের চেয়ে বেশি কিছু ছিল । কোন প্রকার স্পন্সর ছাড়া শিরোনামহীনের মত মেইনস্ট্রিম ব্যান্ড কে কোন ক্যম্পাসে আনা আসলে পাগলের প্রলাপের মত শুনায় । কিন্তু কি আর করা আমারা যে অষ্টক । আমরা যে আসলেই পাগল । আমরা এক হল এ ঝামেলা হইসে , ক্যম্পাস ভরা পুলিশ , হাল এর গেইটে ৩ গাড়ি দাড়ানো অবস্থায় রুম থেকে হই হই করতে করতে ইচ্ছায় হোক , অনিচ্ছায় হোক ভিজিয়ে দেই ।
রং মারলে শাস্তি বহিষ্কার জেনেও পুরা ক্যাম্পাসে রং দিয়ে ধুয়ে দিতে পারি ।
এই সবই গেল । কিন্তু শিরোনামহীন তো আর মেটাফেজ না , যে ভাই ধরেন টাকা নাই ৫০০০ টাকা রাখেন । এই শিরোনামহীন কে আনব এটা অনেকটা হয়ে গেছিল পকেটে ২ টাকা নিয়ে হায়াদ্রাবাদি বিরিয়ানি খাইতে চাইবার মত । কিন্তু তারপরেও ৭০,০০০ টাকা ঘাটতি কিভাবে পুরন করেছি সেটা আনাদের অল্প কিছু ছেলেপেলে ছাড়া আর কেউ জানে না । কেউ জানবেও না যে সৎ দিন শিরোনামহীন কে হাতে পায়ে ধরা টা শুধু বাকি ছিল ।
তাই তুহিন ভাই এর সাথে মাইক্রো তে আসার পথে হাত টা মিলিয়ে মনে হল অনন্ত জলিল হয়ে গেছি । বললাম ভাই --সপ্ন সত্যি হইছে , আজকে রুয়েটে ইতিহাস হতে যাচ্ছে । আপনাদের এমনি পাগলা ফ্যান যে সব কিছু ভুলে নিয়ে আসবই এই চিন্তা থেকে সব কিছু করা ।
কবি নির্মলেন্দু গুণ কে বলেছিলাম আমাদের ব্যাচের নাম দিতে । কবি দিয়েছিলেন । চমৎকার সেই নাম পেছনে রেখে শিরোনামহীন যখন গাইতে শুরু করল । তখন হুট করে cse বিল্ডিঙে পোকার সংখ্যা বেরে গেল । আর সব পোকা বেছে বেছে আমার চোখের উপরই পরতে থাকল । পাছে কেউ মনে করে অন্য কিছু তাই বার বার সবার অজান্তে আসিফের টি শার্টের হাতায় চোখ মুছতে হচ্ছিল ।
দেখতে দেখতে চলে যাবার সময় এসে গেল । এই ক্যাম্পাস , হল , আমার ২৩০ নং হেল , অসম্ভব কাছের কিছু ছোট ভাই , সিরিজ ধরে টাল অষ্টক এর বন্ধুরা , মেইন গেটে সাচার চা , তে মাথার গল্প , জিয়া হলের ছাদ অথবা লেডিস হলের পুকুর পারে গলা ছেরে গান গাওয়া ...এই সব খুব মিস করব । রুয়েটকে যতই গালি দেই , এই সব ছাড়া কিভাবে বাচব জানি না ।
কিবোর্ডে কালি শেষ , আর লিখতে পারছি না । রুমেও যে এত এত পোকা কোথা থেকে আসে ।
জেমস এর গান মনে পরতেছে ...
যেদিন বন্ধু চলে যাব ,
চলে যাব দূরে ,
ক্ষমা করে দিয়ো আমায়
ক্ষমা করে দিয়ো ...
মনে রেখ কেবল একজন ছিল
ভালবাসত শুধুই তোমাদের ।
২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮
আমিনুর রহমান বলেছেন:
শাহজাহান এর ফেবুতে আপনাদের র্যাগ এর ছবি দেখলাম। দারুন মজা করেছেন বুঝা যায়।
অষ্টক ০৮ এর বন্ধন যেন সব সময় অটুট থাকে। শুভ কামনা।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭
শিকদার ০০৮ বলেছেন: কমেন্ট এর জন্য ধন্যবাদ
৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫২
রাতুল_শাহ বলেছেন: ছবিগুলো শেয়ার করতে পারতেন।
৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৬
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: শাহাজাহান সিরাজ ভাইয়ের ছবিতে দেখেছি.....আপনাদের।
কিছু ফটো এড করতে পারতেন পোস্টে.....
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫
এ.আর.রাজ বলেছেন: উই'ভ ওলসো এঞ্জয়ড ব্রো.।।
থ্যাংস ফর ইওর চ্যালেঞ্জিং জব.।।।